19/01/2025
ক্রোয়েশিয়া ⚠️
ক্রোয়েশিয়া ফরেন মিনিস্ট্রি এবং লেবার মিনিস্ট্রি থেকে ভিসা বন্ধ বা পারমিট ইস্যু হওয়া বন্ধ এই ব্যাপারে কোন নোটিশ নাই। জার্গিব, স্প্লিট, জাদার এই তিনটা বড় সিটি গুলো থেকে ২০২৪ সালে লাখের উপরে পার্মিট আবেদন হয়ে আছে। যার কারণে পারমিট ইসু হতে সময় লাগছে। কিন্তু অন্যান্য সিটিগুলো থেকে রেগুলার পারমিট ইস্যু হচ্ছে অল্প সময়ে। ক্রোয়েশিয়া পার্মি টিস্যু হয় ২টি মিনিস্ট্রি থেকে ভেরিফাই হয়ে। উইন্টার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভিসার রেশিও একটু কম থাকবে। সামার আসার সাথে সাথে আবার রেশিও ভাল হবে। এটা শুধু ক্রোয়েশিয়ার জন্য নয় ইউরোপের প্রতিটা দেশেই উইন্টারে ভিসা রেশিও কম থাকে।
কিন্তু কর্মসংস্থানগুলো থেকে কর্মী পলায়ন অসন্তুষ্ট হারিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে ক্রোয়েশিয়া লেবার মিনিষ্ট্রি এবং ফরেন মিনিস্ট্রি, ফরেন ওয়ার্কার রিক্রুয়িটের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পরিবর্তন করতেছে।
ইচ্ছা করলেই এখন যেকোনো সাপ্লাই কোম্পানি পারমিট ইস্যু করতে পারবে না। প্রতিটা ওয়ার্কারের জন্য কোম্পানিকে অগ্রিম একমোডেশন প্রোভাইড দেখাতে হবে।
এমন অবস্থায় অনেক কোম্পানি ওয়ার্ক পার্মিট ইসু করতে পারবে না। আবার যে কোম্পানি থেকে পারমিট ইস্যু হবে, সেই কোম্পানিতে ভিসা রেশিও অনেক ভাল থাকবে।
আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ক্রোয়েশিয়া বাংলাদেশীদের অবস্থান তেমন ভালো নয়। ৬০% কর্মী কোম্পানিতে যেয়ে, পারমিট অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না। অদক্ষ কর্মীরা অতিরিক্ত আয়েরআশায়, ইতালি, জার্মানি এবং পর্তুগালে চলে যাচ্ছে। যার কারনে উক্ত কোম্পানিগুলোতে ফরেন মিনিস্ট্রি ফরেন ওয়ার্কার রিক্রুইটের উপর, রেস্ট্রিকশন দিয়ে দিচ্ছে।
যার কারণে নতুন করে যারা ফরেন ওয়ার্কার হাইয়ার করতে চাচ্ছে, উনারা বাংলাদেশকে সেকেন্ড অপশন রেখে, ফিলিপাইন এবং নেপাল থেকে লোক নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
ক্রোয়েশিয়া আমাদের দেশের জন্য ইউরোপের অনেক বড় একটি মার্কেট। দিন দিন আমরা আমাদের নিজের পায়ে নিজেরাই কুরাল মারছি।
ভিসা হবে এটা ১০০% সত্য। কিন্তু ২০২৫ হয়তো বাংলাদেশের জন্য শেষ সুযোগ। দক্ষ কর্মী এবং কোম্পানিতে ধৈর্য সহকারে কাজ করলে। পশ্চিমের অন্য দেশগুলোতে না পালাইয়ে, ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ অনুসারে ক্রোয়েশিয়াতে অবস্থান করতে পারি।
তা হলে শুধু ক্রোয়েশিয়া নয়, ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো আবার বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়া শুরু করবে।
আল্লাহপাক সবার মনের আশা পূর্ণ করুক।
ধন্যবাদ।
©️©️