10/07/2025
রাফি একটা ছোট শহরের সাধারণ ছেলেটা। সদ্য HSC শেষ করেছে। চারদিকে তখন একটাই প্রশ্ন—“দেশেই থাকবে, নাকি বিদেশে যাবে?” বন্ধুদের অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। কেউ বলছে, “গ্র্যাজুয়েশনটা আগে দেশে শেষ করি, তারপর দেখা যাবে।”
কিন্তু রাফি আলাদা। ওর ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন—একদিন আন্তর্জাতিক কোনো বড় কোম্পানিতে কাজ করবে, মা-বাবাকে সুখে রাখবে, নিজের মতো করে পৃথিবী দেখবে। তাই রাফি সাহস করে সিদ্ধান্ত নেয়, HSC শেষ করেই বিদেশে ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য আবেদন করবে।
রাফির পরিবার একটু চিন্তিত ছিল, তবুও ওর স্বপ্নে আস্থা রাখে। ও একটানা IELTS-এর প্রস্তুতি নেয়, যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করে, স্কলারশিপের সুযোগ খোঁজে। অবশেষে, কানাডার একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার পায়।
বিদেশে গিয়ে প্রথমদিকে একটু কঠিন লাগলেও অল্প বয়সে হওয়ায় রাফি দ্রুত মানিয়ে নেয়। ক্লাসের পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ করে, ইন্ডাস্ট্রিতে এক্সপেরিয়েন্স নেয়। ২৫ বছর বয়সেই সে একটা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে ফুলটাইম চাকরি পায়, পারমানেন্ট রেসিডেন্সের আবেদন করে এবং পরিবারকে সাপোর্ট করতে শুরু করে।
তার বন্ধুরা তখনো মাস্টার্সের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, কেউ কেউ ভিসার জন্য অপেক্ষা করছে। আর রাফি? সে তখন নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করে ফেলেছে, নাগরিকত্বের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে।
রাফির গল্পটা প্রমাণ করে—সাহস করে একটু আগেভাগেই শুরু করলে, জীবন অনেক সহজ আর স্বপ্নগুলো আরও কাছের হয়ে যায়।
তোমার স্বপ্নের যাত্রা আজ থেকেই শুরু হোক!