
04/02/2025
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে লন্ডন আসার সহজ উপায়: বাংলাদেশিদের জন্য বিস্তারিত গাইড
যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য একটি বড় সুযোগ। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি লন্ডনে কাজ করতে পারবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী বসবাসেরও সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে, সঠিক পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত থাকলে ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ। এখানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বিস্তারিত প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরণ
১. Skilled Worker Visa
এটি যুক্তরাজ্যে কাজ করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়ার্ক পারমিট।
NHS, আইটি, শিক্ষা, নির্মাণ, এবং কৃষিক্ষেত্রে কাজের জন্য এই ভিসা অন্যতম।
৫ বছর কাজের পর স্থায়ী বসবাসের (Indefinite Leave to Remain) সুযোগ।
ভিসার বৈধতা: ৩-৫ বছর (নিয়োগকর্তার চুক্তি অনুযায়ী)।
২. Health and Care Worker Visa
যারা স্বাস্থ্যসেবা পেশায় কাজ করতে চান, তাদের জন্য এই ভিসা দ্রুত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমোদিত হয়।
NHS বা অনুমোদিত কেয়ার সংস্থায় কাজের প্রস্তাব প্রয়োজন।
৩. Seasonal Worker Visa
কৃষিক্ষেত্রে অস্থায়ী কাজের জন্য।
৬ মাসের জন্য ভিসা দেয়া হয়।
ফসল সংগ্রহ বা গ্রীষ্মকালীন কাজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য এটি আদর্শ।
কেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বেছে নেবেন?
1. উন্নত জীবনযাত্রা: যুক্তরাজ্যের জীবনমান উন্নত এবং কর্মক্ষেত্রের সুযোগ ভালো।
2. উচ্চ আয়: পেশার উপর নির্ভর করে £২০,০০০-£৩৫,০০০ বা তার বেশি আয়।
3. পরিবার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ: ওয়ার্ক ভিসায় সঙ্গী ও সন্তানদের নিয়ে যাওয়া যায়।
4. স্থায়ী বসবাস: ৫ বছর পর স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
1. অনুমোদিত নিয়োগকর্তার কাছ থেকে স্পন্সরশিপ সার্টিফিকেট (Certificate of Sponsorship - CoS)।
2. কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা।
3. ইংরেজি ভাষার দক্ষতা (IELTS/TOEFL স্কোর বা সমমান)।
4. স্পন্সরকৃত কাজের বেতন:
সাধারণত £২৬,২০০/বছর বা £১০.৭৫/ঘণ্টা।
কিছু পেশার জন্য বেতন কম হলেও গ্রহণযোগ্য।
5. স্বাস্থ্য সাপোর্ট চার্জ (Immigration Health Surcharge - IHS) এবং ভিসা আবেদন ফি।
আবেদনের প্রক্রিয়া
1. কাজের জন্য আবেদন:
অনুমোদিত নিয়োগকর্তার তালিকা থেকে কাজ খুঁজুন।
কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন নিম্নলিখিত সাইটগুলোতে:
https://www.gov.uk/find-a-job
https://www.nhs.jobs
https://www.totaljobs.com
2. স্পন্সরশিপ নিশ্চিতকরণ:
চাকরি পেলে নিয়োগকর্তা আপনাকে CoS প্রদান করবে।
CoS নম্বর ভিসার আবেদনের সময় জমা দিতে হবে।
3. ভিসার জন্য আবেদন:
ভিসা আবেদন জমা দিন: https://www.gov.uk/skilled-worker-visa/apply
প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করুন এবং বায়োমেট্রিক জমা দিন।
4. ডকুমেন্ট জমা দিন:
পাসপোর্ট।
স্পন্সরশিপ সার্টিফিকেট।
ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ)।
স্বাস্থ্য বিমা।
5. ভিসার অনুমোদন:
সাধারণত ৩-৮ সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
লন্ডনে পৌঁছানোর পর করণীয়
1. NHS নম্বর সংগ্রহ: স্বাস্থ্যসেবার জন্য।
2. National Insurance Number (NIN): কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজন।
3. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা: বেতন জমার জন্য।
4. বসবাসের ব্যবস্থা: প্রথমে শেয়ার করা বাসা নিতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ লিংক
ওয়ার্ক পারমিটের তথ্য: https://www.gov.uk/skilled-worker-visa
নিয়োগকর্তার তালিকা: https://www.gov.uk/government/publications/register-of-licensed-sponsors-workers
কাজের জন্য আবেদন: https://www.reed.co.uk
যুক্তরাজ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া একটি বড় সুযোগ, বিশেষ করে দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য। বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি সঠিক যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি নিয়ে আবেদন করেন, তাহলে যুক্তরাজ্যে উন্নত জীবন শুরু করা খুবই সহজ। আজই কাজের সন্ধান শুরু করুন এবং আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যান।
Search and apply for jobs in Great Britain using ‘Find a job’.