30/05/2025
🌱 *পল্লী ট্যুর: কৃষি ও পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত!*
পল্লী ট্যুর শুধু একটি পর্যটন প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি স্বপ্ন, একটি যাত্রাযেখানে।
এটি কৃষিপ্রধান জাতির কৃষকের পাশে দাঁড়ানো পর্যটনের গল্প, আমরা কৃষকের সাথে পর্যটকের সরাসরি সংযুক্তির মাধ্যমে তার জীবন, তার পরিশ্রম, তার আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ছুঁয়ে যেতে চাই।
আমরা সবাই কোনো না কোনো সময় গ্রামে ছিলাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, জীবিকার তাগিদে, শহরকেন্দ্রিক ব্যস্ততায় আমরা আজ শহরে; বিশেষ করে ঢাকায়-সীমাবদ্ধ হয়ে গেছি। গ্রামের কৃষকরা রয়ে গেছে অভিভাবকহীন, কারণ যারা তাদের সাথে যুক্ত, তারা অনেকেই নিজস্ব স্বার্থে কাজ করে:
💰অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান (সুদভিত্তিক ঋণ)
💰আড়ৎদার (দাদন দিয়ে কম দামে পণ্য নেওয়া)
☢️পেস্টিসাইড কোম্পানি (কিটনাশক ব্যবহারে উৎসাহিত করা)
কখনো কি আমরা, শহরের মানুষ, কোনো পরিবেশবান্ধব বা সামাজিক সংগঠন থেকে গিয়ে তাদের বলেছি রাসায়নিকের ক্ষতি কী, বিকল্প কী, কীভাবে টেকসই চাষ সম্ভব?
না, কখনো বলিনি।
অন্যদিকে পর্যটক যখন কোন পর্যটন স্পটে যায় তখন তারা গিয়ে বানিজ্যিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে উঠে।আর খাবার-দাবার এর জন্য সেইসব হোটেল এবং কিছু প্রচলিত খাবারের রেস্টুরেন্ট থাকে। যেখানে মূলত চাইনিজ, এরাবিয়ান, কন্টিনেন্টাল বা ইংলিশ খাবার বিক্রি হয়। সেখানে অল্প কিছু লোকাল খাবার পাওয়াগেলেও তার মূল্য থাকে অনেক বেশি। আর স্থানীয় শিল্প সংস্কৃতি, পোশাক, হস্তশিল্প এইসকল অধিকাংশ সময় ই থাকে অব্যাবস্থাপনা এরপরও অল্প বিস্তর পাওয়াগেলেও মূল্য থাকে অনেক বেশি। আর সব থেকে বড় সমস্যা এইসকল হোটেল রিসোর্ট স্থাপনা গাছ,বন, পাহাড় কেটে কৃষি জমি নষ্ট করে করা হয়, এতে জীব বৈচিত্র ধ্বংস হয় ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্টহয় সেই সাথে এই সকল রিসোর্ট হোটেলের মালিক অধিকাংশ হয় বাইরের কেউ অথবা বড় কোন চেইন বা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এতে স্থানীয় জনবসতির দৈনন্দিন কাজ ও জীবন যাত্রা বাধা প্রাপ্ত হয়। এই পর্যটন উন্নয়নে স্থানীয়রা উপকৃত হয় নাম মাত্রই এবং ক্ষতির তুলনায় উপকার হয় যতসামান্য ই। যার কারনে স্থানীয় জনবসতির সাথে পর্যটকদের একটা দূরত্ব তৈরি হয় এতে পর্যটকদের স্থানীয়রা তেমন সাহায্য সহযোগিতা করে না। যার ফলশ্রুতিতে প্রায়ই বিভিন্ন পর্যটন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা শুনতে পাই।
🔶 *আমাদের পরিকল্পনাঃ*
আমরা চাই প্রতিটি ট্যুরিস্ট স্পট বা কৃষিপণ্য-বিখ্যাত অঞ্চলেঃ
✅ হোমস্টে তৈরি করাঃ স্থানীয় কমিউনিটির ঘরে পর্যটকরা থেকে গ্রামীণ জীবন, খাবার, সংস্কৃতি উপভোগ করবে।
✅ কৃষি পণ্য সরাসরি বিক্রির ব্যবস্থা করাঃ কৃষক নিজের উৎপাদিত পণ্য অনলাইনে বুকিংয়ের মাধ্যমে বিক্রি করবে, প্রয়োজনে বিদেশেও রপ্তানি করবে
✅ দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলাঃ
পেঁয়াজ, আলু, রসুন, আদা, হলুদ, মরিচ ইত্যাদির সঠিক সংরক্ষণ হবে, ফলে হঠাৎ সংকট হবে না।