
04/08/2025
"উপহাস: যেখান থেকে শুরু হয় সফলতার যাত্রা"
একটা বিষয় খেয়াল করে দেখো—তুমি যখন কোনো সাধারণ সিদ্ধান্ত নিই, যেমন চাকরি করা, পরীক্ষা দেওয়া, বা বিয়ে করার মতো চিরচেনা রাস্তায় হাঁটো—তখন খুব বেশি কেউ কিছু বলে না। সবাই চুপচাপ দেখে, কিছু উৎসাহ দেয়, কিছু পরামর্শ দেয়, হয়ে যায়।
কিন্তু ঠিক তখনই চারপাশ অস্বস্তিতে পড়ে যায়, যখন তুমি ভিন্ন কিছু করতে চাও।
নিজের একটা স্বপ্ন গড়তে চাও, নিজের মতো করে ভাবতে চাও, কিছু "আলাদা" করতে চাও।
সেখানেই শুরু হয় উপহাস।
⟶ “এটা দিয়ে কী হবে?”
⟶ “তোমার মতো মানুষ এটা পারবে?”
⟶ “বেকার সময় নষ্ট করছো।”
এই কথাগুলো শুনে কষ্ট হয়—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটাও ঠিক যে, এ কথাগুলোই তোমাকে সত্যিকার অর্থে গড়ে তোলে।
কেন উপহাস আসে?
কারণ তুমি পরিচিত ছকে হাঁটছো না।
মানুষ নতুন কিছুকে প্রথমে ভয় পায়, তারপর ব্যঙ্গ করে, এরপর প্রশ্ন তোলে—আর সবশেষে সেই নতুনকেই মেনে নেয়।
তুমি যদি সাহস করো নিজের মতো করে চলার, তাহলে তারা তোমাকে ব্যতিক্রমী ভাববে। কিন্তু ‘ব্যতিক্রমী’ হওয়াটাই তো বড় হওয়ার প্রথম ধাপ।
সবাই যা করে, সেটাই যদি করো, তাহলে নতুন কিছু তৈরি হবে কীভাবে?
উপহাস আসলে এক প্রকার প্রশংসা, ছদ্মবেশে
তারা তোমাকে ব্যঙ্গ করে, কারণ তুমি তাদের পরিচিত গণ্ডির বাইরে চলে গেছো।
তুমি হয়তো সেই কথাগুলোতে ভেঙে পড়তে পারো, আবার চাইলে সেগুলোকে শক্তিতে পরিণত করেও এগিয়ে যেতে পারো।
তোমার কাজের প্রতিক্রিয়া যত বেশি হয়—উপহাসই হোক বা প্রশ্নবিদ্ধতা—তত বেশি তুমি জানবে, তুমি "কিছু একটা" ঠিক করছো।
ইতিহাসও তাই বলে সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী যখন বানানো হচ্ছিল, অনেকেই বলেছিল এটা কেউ দেখবে না।
জেকে রাউলিং-এর হ্যারি পটার ১২টি প্রকাশনী প্রত্যাখ্যান করেছিল।
স্টিভ জবস, এলন মাস্ক, এমনকি কবি রবীন্দ্রনাথও—সবার জীবনে শুরুতে উপহাস এসেছিল।
তাদের সবাইকেই প্রথমে ‘অসম্ভব’ মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তারাই একদিন হয়ে উঠেছে অনুপ্রেরণা।
তোমার জন্য বার্তা
তুমি যদি এখন উপহাসের মুখে দাঁড়িয়ে থাকো—জেনো, তুমি একা নও।
এটাই সেই পর্যায়, যেটা পেরিয়ে গেলে ভবিষ্যত তোমার হবে।
তুমি যদি নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, কঠোর পরিশ্রম করতে পারো, আর ভেতরের আগুনটা জ্বালিয়ে রাখতে পারো—তাহলে আজ যে মানুষগুলো হাসছে, কাল তারাই তোমার গল্প শোনাবে অন্যকে।
শেষ কথা:
উপহাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।
তোমার স্বপ্নের দরজা খুলে আছে—শুধু দরজার সামনে একটু হাসির শব্দ বাজছে। ভয় পেও না। এগিয়ে যাও।