Holytrip

29/07/2025

🇧🇩🌏তাহখানা: শুধু একটি প্রাসাদ নয়-এটি মুঘল বাংলার গৌরবময় ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি!🇧🇩

🖼️০৭-০৯-২০২০

🌐এবার আমার ভ্রমণের জেলা হিসেবে গিয়েছিলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার "তাহখানা" তে।চলুন আপনাদের সাথে আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।

"চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী তাহখানা কমপ্লেক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি মুঘল স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য উদাহরণ এবং ফার্সি শব্দ 'তাহখানা' এর অর্থ হলো 'ঠান্ডা ভবন' বা 'প্রাসাদ'।"

📌 অবস্থান:
➡️চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ছোট সোনা মসজিদের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার উত্তর দিকে গেলেই এটি দেখা যায়।

🧱 ইতিহাস ও নির্মাণ:
➡️বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র মতে, ১৬৩৯-১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র বাংলার সুবাদার শাহ সুজা এটি নির্মাণ করেছিলেন।

➡️জনশ্রুতি অনুসারে, শাহ সুজা তার পীর ও মুর্শিদ হযরত শাহ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহর প্রতি ভক্তি নিদর্শনের উদ্দেশ্যে শীতকালীন বাসের জন্য এই তাপনিয়ন্ত্রিত ইমারতটি নির্মাণ করেন। সময়ে সময়ে শাহ সুজাও এখানে এসে বসবাস করতেন।

🛖 স্থাপত্যশৈলী:
➡️তাহখানা একটি তিনতলা বিশিষ্ট রাজপ্রাসাদ। যদিও পশ্চিম দিক থেকে দেখলে এটিকে একতলা মনে হয়, পূর্ব দিক থেকে এর দ্বিতল অবয়ব প্রকাশ পায়। এর নিচতলার কক্ষগুলো পূর্বদিকে বর্ধিত এবং খিলানপথগুলো সরাসরি জলাশয় থেকে উত্থিত হয়েছে।

➡️এটি মূলত ইট দ্বারা নির্মিত হলেও, দরজার চৌকাঠের জন্য কালো পাথর এবং সমতল ছাদের জন্য কাঠের বীম ব্যবহৃত হয়েছে।

➡️ভবনের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি গোসলখানা (হাম্মাম) রয়েছে, যেখানে অষ্টভুজাকৃতির একটি চৌবাচ্চার মাধ্যমে জলাশয় থেকে পানি সরবরাহ করা হতো।

➡️উত্তর পার্শ্বে একটি ছোট পারিবারিক মসজিদ আছে। এর পেছনে একটি উন্মুক্ত কক্ষ রয়েছে যেটি একটি অষ্টভুজাকার টাওয়ার কক্ষের সাথে সংযুক্ত। এই টাওয়ার কক্ষটি সম্ভবত ধ্যানের জন্য ব্যবহৃত হতো। এই অষ্টভুজাকার মিনারটি পুরো কমপ্লেক্সে ভারসাম্য প্রদান করেছে।

➡️প্রাসাদটি প্লাস্টার করা এবং খোদাইকৃত নকশায় সজ্জিত, যা মোঘল আমলের স্থাপত্যরীতি বহন করে।

➡️এই ধরনের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য বাংলায় প্রথম ছিল। এর পরে ঢাকা ও মুর্শিদাবাদে অনুরূপ প্রাসাদ, মসজিদ বা সমাধিসৌধ সম্বলিত কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রচলন শুরু হয়।

🏯 কমপ্লেক্সের অন্যান্য অংশ:
➡️তাহখানা কমপ্লেক্সের মধ্যে শুধু প্রাসাদই নয়, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। যেহেতু ভবনগুলি একই সময়ে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যেই নির্মিত হয়েছিল, তাই সবগুলি ভবনকে একত্রে একটি একক ইউনিট বা একটি কমপ্লেক্স হিসেবে ধরা হয়।

🕍 তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ:
➡️মূল ভবনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এটিতেও নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়।

🪨 এক গম্বুজবিশিষ্ট সমাধি:
➡️এটি হযরত শাহ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহর সমাধি বলে মনে করা হয়। এই এক গম্বুজবিশিষ্ট ভবনের চারপাশে ১২টি দরজা রয়েছে। এর সামনে এবং পাশেই আরও কিছু সমাধি রয়েছে, যা তার পরিবারের সদস্য এবং সহচরদের বলে মনে করা হয়। মাজারের পশ্চিমে একটি বিশেষ কবরস্থান ছিল যা শুধু নারীদের জন্য নির্ধারিত ছিল।

🏞️ দিয়ারা (দাফেউল বালাহ) দীঘি:
➡️এই কমপ্লেক্সটি একটি বড় পুকুরের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। এই দীঘিটিকে 'তালাবে দাফেউল বালা' বা 'রোগ মুক্তির পুকুর' বলা হয়। এটি তাহখানা ও মসজিদের সাথে দুটি সিঁড়ি দিয়ে যুক্ত ছিল, যা সরাসরি জলাশয়ের তলদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দীঘিকে ঘিরে অনেক উপকথা প্রচলিত আছে।

🚘যাতায়াত:

🚖 ঢাকা থেকে:
🚎 ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী সরাসরি বাস রয়েছে। গাবতলী/মহাখালী থেকে সরাসরি বাস পাওয়া যায়। আমি উঠেছিলাম চন্দ্র বাসস্ট্যান্ড থেকে গিয়েছিলাম অত্যন্ত সুন্দর একটি বাস "চাপাই ট্রাভেলসে" করে। তখনকার সময় ভাড়া লেগেছিল ৪৫০ টাকা। তবে এখন হয়তো ভাড়া বেড়েছে।

🛺চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে:
➡️চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর থেকে তাহখানার দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজি যোগে তাহখানা কমপ্লেক্সে যাওয়া যায়। সময় লাগে প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা।

🚲 ছোট সোনা মসজিদ থেকে:
➡️ছোট সোনা মসজিদ থেকে তাহখানা খুব কাছাকাছি। হাঁটার দূরত্বে অথবা রিকশা/অটোতে যাওয়া যায়।

🏟️ অন্যান্য দর্শনীয় স্থান:
➡️তাহখানা কমপ্লেক্সের পাশেই বিখ্যাত ছোট সোনা মসজিদ এবং দারসবাড়ী মসজিদ ও মাদ্রাসা রয়েছে। এই স্থানগুলোও মুঘল ও সুলতানি আমলের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই স্থানগুলো একই দিনে ঘুরে দেখা সম্ভব।

🗞️অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থানগুলির:
➡️ষাঁড়বুরুজ, খঞ্জনদীঘির মসজিদ, চামচিকা মসজিদ, কোতোয়ালী দরওয়াজা ইত্যাদি।

📓 প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা:
➡️প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে শিবগঞ্জে এসে ছোট সোনা মসজিদ আগে দেখতে পারেন, তারপর তাহখানা কমপ্লেক্সে যান। সময় অনেক বাঁচবে। আমি অনেক সকালে গিয়েছিলাম। খোলে সকাল ১০ টায়"
➡️কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে প্রাসাদ, জামে মসজিদ ও সমাধি, এবং ডিফে‑উল‑বালাহ ডিঙ্গি ঘুরে দেখুন।
➡️পরবর্তীতে আশেপাশে ধানিয়াচক মসজিদ, খনিয়াদিঘি মসজিদ, এবং দারাসবাড়ি মসজিদ-এ যেতে পারেন।
➡️তখন কোন প্রবেশ ফি লাগে নি, তবে এখন লাগতে পারে।

✅ শেষ কথা:
➡️তাহখানা কমপ্লেক্স বাংলার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক জীবন্ত দলিল। এটি ইতিহাসপ্রেমী এবং ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি চমৎকার গন্তব্য। আপনি ভ্রমণ প্রিয় & ইতিহাসপ্রেমী হলে ঘুরে আসতে পারেন। ভাল লাগবে।

#তাহখানা
#চাঁপাইনবাবগঞ্জ
#ঐতিহাসিকতাহখানা
#শাহসুজা
#মুঘলস্থাপত্য
#প্রাচীনঐতিহ্য
#বাংলাদেশেরইতিহাস
#দর্শনীয়স্থান
#শিবগঞ্জ
#ঘুরেবেড়াই
#ভ্রমনবাংলাদেশ
#ঐতিহ্যওসংস্কৃতি
#বাংলারগৌরব
#ঐতিহাসিকস্থান
#আঁধাররহস্য

29/07/2025

📢 ওমরাহ সংক্রান্ত জরুরি নোটিশ 🕋✈️🇸🇦

🔴 ওয়ান ওয়ে টিকিট নিয়ে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করা যাবে না।
✅ ভ্রমণের আগে টিকিটের ধরন যাচাই করুন এবং সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

আপনার ওমরাহ যাত্রা হোক নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল।

আপনার আকাশ ভ্রমণের বিশ্বস্ত সঙ্গী Holytrip

28/07/2025

🇧🇩🌏"তিনশ বছরের ইতিহাসের গন্ধ মেলে যেখানে—সেই উত্তরা গণভবনের অন্দরমহল!"🇧🇩

🖼️০৭-০৯-২০২০

নাটোর জেলার উত্তরা গণভবন বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্যের এক অসাধারণ নিদর্শন। এটি মূলত দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি নামে পরিচিত ছিল, যা বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বিশাল স্থাপনাটি বাংলার প্রাচীন রাজবংশের গৌরবময় ইতিহাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য প্রতীক।

📍 অবস্থান:
➡️নাটোর জেলা শহর থেকে প্রায় ২.৪–৩ কিমি উত্তরে, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে প্রাসাদটি অবস্থিত।

🌐ইতিহাসের প্রেক্ষাপট:
➡️দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা দয়ারাম রায় (১৬৮০-১৭৬০) ছিলেন নাটোরের রাজা রামজীবনের বিশ্বস্ত দেওয়ান। ১৭৩৪ সালে তিনি নাটোরের দিঘাপতিয়া এলাকায় জমিদারি লাভ করেন এবং প্রায় ৪৩ একর জমির উপর দিঘাপতিয়া প্রাসাদের মূল অংশ ও কিছু সংলগ্ন ভবন নির্মাণ করেন। এই রাজবংশ একসময় বগুড়া, পাবনা, জামালপুর এবং যশোর জেলার অনেকাংশ শাসন করত।

১৮৯৭ সালের এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাসাদটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর, রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা প্রমদানাথ রায় ১১ বছর ধরে (১৯০৮ সাল পর্যন্ত) বিদেশি প্রকৌশলী, শিল্পী এবং দেশি কারিগরদের সহায়তায় এটিকে পুনর্নির্মাণ করেন। মোগল ও পাশ্চাত্য স্থাপত্যশৈলীর এক নান্দনিক মিশ্রণে এই রাজপ্রাসাদটি গড়ে ওঠে।

১৯৪৭ সালে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর ১৯৫২ সালে দিঘাপতিয়ার শেষ রাজা প্রতিভানাথ রায় সপরিবারে কলকাতায় চলে যান। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এটি পরিত্যক্ত ছিল। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার এটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সরকারি ভবন হিসেবে সংস্কার করে।

🛖নাম পরিবর্তন:
➡️১৯৬৭ সালে এটি পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ‘ডিফেগভর্নর’ হাউস হিসেবে সংস্কৃত হয়, স্বাধীনতার পর—৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে—শেখ মুজিবুর রহমান এটি উত্তরা গণভবন নামকরণ করেন এবং মন্ত্রিসভার বৈঠকও এখানে ডাকা হয়েছিল।

📓 দায়িত্ব ও ব্যবহার:
➡️এখন এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন ও উদ্বাস্তু কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়

🧱 স্থাপত্য ও আকর্ষণ:
➡️উত্তরা গণভবন ৪১.৫১ একর জমির উপর বিস্তৃত, যা একটি বিশাল পরিখা ও উঁচু প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। এর স্থাপত্যশৈলী খুবই আকর্ষণীয় এবং এখানে ছোট বড় মোট ১২টি কারুকার্যখচিত ও দৃষ্টিনন্দন ভবন রয়েছে।

⛩️ প্রবেশদ্বার:
➡️এর পূর্ব পাশে একটি চারতলাবিশিষ্ট পিরামিড আকৃতির প্রবেশদ্বার রয়েছে, যা উপরের দিকে ক্রমশ সরু হয়ে একটি ঘড়িবিশিষ্ট টাওয়ারে শেষ হয়েছে। এই ঘড়িটি আজও সঠিক সময় দেখায় এবং এর ঘণ্টার ধ্বনি এক-দুই কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়। প্রবেশপথের দু'পাশে প্রাচীন ব্রিটিশ কামান দেখতে পাওয়া যায়।

🪵 ইতালিয়ান গার্ডেন:
➡️প্রাসাদের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত ইতালিয়ান গার্ডেনটি অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এটি ইতালিয়ান মার্বেল পাথরের তৈরি মনোরম ভাস্কর্য ও ফোয়ারা দ্বারা সজ্জিত। এখানে বিরল প্রজাতির নানা উদ্ভিদ রয়েছে, যা বাগানের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

🏰 মূল প্রাসাদ ভবন:
➡️প্রধান প্রাসাদ ভবনটি একতলা। এর কেন্দ্রে একটি বিশাল হলরুম রয়েছে যা একটি উচ্চ গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত। এই হলরুমে রাজ আমলের সোফা, ঝাড়বাতি এবং অন্যান্য মূল্যবান আসবাবপত্র রয়েছে। প্রবেশ পথের সিঁড়ির দু'পাশে দুটি নব্য-ক্লাসিক্যাল গ্রিক রীতির নারী ভাস্কর্য ছিল, যার একটি এখন ভবনের ভেতরে সংরক্ষিত।

🏤 কুমার প্যালেস:
➡️এটি একটি অসাধারণ দ্বিতল ভবন, যা প্রধান প্রাসাদ ব্লকের নিকটবর্তী দক্ষিণাংশে অবস্থিত। এখানে রাজার শয়নকক্ষ ও ড্রেসিং রুমসহ বিভিন্ন কক্ষ রয়েছে।

🏨 সংগ্রহশালা:
➡️২০১৮ সালের ৯ মার্চ উত্তরা গণভবনের পুরাতন ট্রেজারি ভবনে একটি সংগ্রহশালা স্থাপন করা হয়েছে। এখানে রাজবংশের ব্যবহৃত বিভিন্ন ঐতিহাসিক সামগ্রী, চিত্রকর্ম, দুষ্প্রাপ্য আসবাবপত্র, যুদ্ধবর্ম এবং কৃষ্ণ মূর্তি সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ।

🏕️ উদ্ভিদ ও প্রাণী:
➡️গণভবনের প্রাঙ্গণে অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য গাছপালা, ফুল ও ফলের বাগান রয়েছে। এখানে শতবর্ষী মালতীলতা এবং দুটি পাখিফুল গাছও আছে। সাম্প্রতিককালে এটি পাখির অভয়াশ্রম হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যেমন সাপপাখি, হাঁড়িচাচা, পানকৌড়ি, কাঠঠোকরা, কুবো, টিয়া, ঘুঘু, ডাহুক, মাছরাঙা, বুলবুলি ইত্যাদি দেখা যায়।( তবে এগুলো দেখার জন্য প্রকৃতির উপর আপনাকে নির্ভর করতে হবে)।একটি চিড়িয়াখানাও রয়েছে যেখানে হরিণ, বানর, ময়ূর দেখা যায়।

🪟 পরিদর্শনের নিয়মাবলী ও ব্যবস্থা:
➡️উত্তরা গণভবন যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন, তাই এটি পরিদর্শনের জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।

🕰️ সময়সূচী:
➡️গ্রীষ্মকালে: সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
➡️শীতকালে: সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
➡️বন্ধের দিন: প্রতি রবিবার গণভবন বন্ধ থাকে।

🏦 প্রবেশ মূল্য:
➡️গণভবনের আঙিনায় প্রবেশ করতে জনপ্রতি ২০ টাকা মূল্যের টিকিট ক্রয় করতে হয়। তবে ইতালিয়ান গার্ডেন এবং ভবনের ভেতরের অংশ দেখতে হলে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়।

⚠️ নিরাপত্তা:
➡️গণভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার এবং বিভিন্ন স্থানে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

🔃 কীভাবে যাবেন?
উত্তরা গণভবন নাটোর শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার উত্তরে দিঘাপতিয়ায় অবস্থিত।

🚘ঢাকা থেকে:
🚎বাস :
➡️ঢাকা থেকে নাটোর যাওয়ার জন্য গ্রিনলাইন, হানিফ, দেশ, শ্যামলী এবং ন্যাশনাল পরিবহনের মতো বেশ কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে। কল্যাণপুর বা গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে নিয়মিত বাস চলাচল করে। বাসে প্রায় ৪-৬ ঘণ্টা সময় লাগে।

🚉 ট্রেনে:
➡️উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন নাটোর স্টেশনে থামে, যেমন নীলসাগর, পঞ্চগড়, রংপুর, একতা এক্সপ্রেস। ট্রেনে প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় লাগে।

🛺নাটোর থেকে:
➡️নাটোর বাসস্ট্যান্ড বা রেলস্টেশন থেকে সিএনজি অটোরিকশা বা রিকশায় প্রায় ১৫ মিনিটে উত্তরা গণভবনে পৌঁছানো যায়। শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে রিকশা ভাড়া প্রায় ৩০ টাকা। যাতায়াতের জন্য রিকশা বা অটোরিকশা রিজার্ভ না নেওয়াই ভালো, কারণ স্থানীয় যানবাহন পর্যাপ্ত চলাচল করে।

🏙️ থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা:
➡️নাটোরে পাঁচতারা মানের হোটেল না থাকলেও মাঝারি মানের বেশ কিছু হোটেল রয়েছে, যেখানে ৩০০ থেকে ১,২০০ টাকায় রাতযাপন করা যায়। গণভবন থেকে ফেরার পথে কালীবাড়ি মন্দিরের কাছে নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা পাওয়া যায়। এছাড়াও নাটোর শহরের মৌচাক ও নবরূপ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে বাহারি মিষ্টি ও দই পাওয়া যায়। দুপুরের খাবারের জন্য চলন বিলের সুস্বাদু মাছসহ হরেক রকমের ভর্তা, সবজি ও তরকারি পাওয়া যায়। মাদ্রাসা মোড়ের কাছে 'ইসলামীয়া পচুর হোটেল' দুপুরের খাবারের জন্য জনপ্রিয় একটি জায়গা।

❣️শেষ কথা:
➡️উত্তরা গণভবন সত্যিই একটি অসাধারণ জায়গা যা আপনাকে মুগ্ধ করবে। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব, স্থাপত্যের কারুকাজ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেকোনো ভ্রমণপ্রেমীকে আকর্ষণ করে।

🇧🇩🌏অতএব যদি আপনার হাতে সময় থাকে এবং আপনি ভ্রমণ প্রিয় হন তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন এই স্থান থেকে।🇧🇩🌏
















#উত্তরাগণভবন
#নাটোর
#বাংলাদেশেরপর্যটন
#ঐতিহাসিকস্থান
#দিঘাপতিয়াবাড়ী
#ভ্রমণবাংলাদেশ
#বাংলারইতিহাস
#সুন্দরবাংলাদেশ
#রাজকীয়প্রাসাদ
#স্থাপত্যশিল্প
#ঘুরতেযাই
#বাংলাদেশেরঐতিহ্য
#প্রাকৃতিকসৌন্দর্য
#ঐতিহ্যবাহীস্থান

28/07/2025

🛫 গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা ওমরাহ যাত্রীদের জন্য 🕋
১ আগস্ট ২০২৫ থেকে বাংলাদেশ বিমানে নির্দিষ্ট ভ্রমণ ক্লাস ছাড়া ওমরাহ টিকিট ইস্যু হবে না।

🎫 অনলাইনে ক্লাস বুঝে টিকিট না কিনলে পড়তে পারেন অপ্রত্যাশিত বিড়ম্বনায়।
✅ তাই টিকিট কাটার আগে সঠিক ক্লাস নিশ্চিত করুন।

📌 সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন।
আপনার আকাশযাত্রার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী – Holytrip ✈️

27/07/2025

সুবহানাল্লাহ!

-মা ছোটবেলায় আমার স্কুল ইউনিফর্মের সাথে কাগজের এই লেখাটি ঝুলিয়ে দিতেন এবং সবসময় আবেগ প্রকাশ করে বলতে থাকতেনঃ-
“যখন তুমি পাইলট হবে, তখন আমাকে তোমার বিমানে করে মক্কা নিয়ে যাবে ”।

আজ আমার মা কাবা ঘরের যাত্রী আর আমি সেই ফ্লাইটের পাইলট আলহামদুলিল্লাহ।

26/07/2025

Night view of HSIA_T3💖💖💖

26/07/2025

মানুষ এখন মাইলস্টোনের সামনে ধং'শস্তুপ দেখতে যায় আর চটপটি-ফুসকা খায় 🥹

25/07/2025

🌏🇧🇩"পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার: ১২০০ বছরের পুরনো এক বিস্ময়কর স্থাপত্য-নির্মাণ!"🇧🇩

🖼️১৭-০৬-২০১৯

🇧🇩দিনটি ছিল ২০১৯ সালের জুন মাসের ১৭ তারিখ।এবার আমি গিয়েছিলাম উত্তরবঙ্গের নওগাঁ জেলার "পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার" নামে পরিচিত সেই স্থানে। কৃতপক্ষে আমি একজন ভ্রমন প্রিয় মানুষ তাই গিয়েছিলাম এই ঐতিহাসিক নিদর্শন এর খোঁজ করতে কোনরকম প্ল্যান ছাড়াই বেরিয়ে পড়লাম। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন আপনাদের সাথে এই নিয়ে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।

📍নওগাঁ জেলার "পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার" যা "সোমপুর মহাবিহার" নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এর প্রাচীন স্থাপত্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব এটিকে পর্যটকদের জন্য একটি অসাধারণ গন্তব্যে পরিণত করেছে।

🏤 পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ইতিহাস:
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার পালবংশের দ্বিতীয় রাজা-শ্রী ধর্মপালদেব (আনুমানিক ৭৮১-৮২১ খ্রিস্টাব্দ) কর্তৃক অষ্টম শতাব্দীর শেষের দিকে বা নবম শতাব্দীর শুরুতে নির্মিত হয়েছিল। ১৮৭৯ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম প্রথম এই বিশাল কীর্তিটি আবিষ্কার করেন। এর আয়তনের সাথে ভারতের বিখ্যাত নালন্দা মহাবিহারের তুলনা করা হয়, এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ একক বৌদ্ধবিহার হিসেবে বিবেচিত।

প্রায় ৩০০ বছর ধরে এটি বৌদ্ধদের ধর্মচর্চা ও জ্ঞানার্জনের এক বিখ্যাত কেন্দ্র ছিল। শুধু ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেই নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার (তৎকালীন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সহ আরও অনেক দেশ থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এখানে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন এবং ধর্মচর্চা করতে আসতেন। দশম শতাব্দীতে বিখ্যাত পণ্ডিত 'অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান' এই বিহারের আচার্য ছিলেন।

১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারকে "বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান" হিসেবে ঘোষণা করে, যা এর বৈশ্বিক গুরুত্বের পরিচায়ক। বিহারের স্থাপত্যশৈলী কম্বোডিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার বৌদ্ধ স্থাপত্যকেও প্রভাবিত করেছিল বলে মনে করা হয়।

🏯 দর্শনীয় স্থান ও বৈশিষ্ট্য:
➡️পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মূল কাঠামোটি একটি বিশাল বর্গাকার কমপ্লেক্স, যার প্রতিটি বাহু প্রায় ৯২২ ফুট লম্বা। এর কেন্দ্রে একটি বিশাল ক্রুশাকার মন্দির রয়েছে, যা ধ্বংসাবস্থায়ও প্রায় ৭২ ফুট উঁচু। বিহারের চারদিকে ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য ১৭৭টি কক্ষ রয়েছে।

⛩️ অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে রয়েছে:
🛕 কেন্দ্রীয় মন্দির: উন্মুক্ত চত্বরের মাঝখানে কেন্দ্রীয় মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এর মূল আকর্ষণ।

🏖️ স্নানাগার ও শৌচাগার: বিহারের বাইরে দক্ষিণ দিকের দেয়াল থেকে কিছুটা দূরে স্নানাগার ও শৌচাগারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

🏞️ সন্ধ্যাবতীর ঘাট: বিহারের প্রাচীরের বাইরে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি শানবাঁধানো ঘাট রয়েছে, যা "সন্ধ্যাবতীর ঘাট" নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে, রাজা মৈদলনের কন্যা সন্ধ্যাবতী এখানে স্নান করতেন।

🏟️ উন্মুক্ত অঙ্গন: বিহারের অভ্যন্তরে উন্মুক্ত অঙ্গনে আরও কিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনার চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।

🏰 সত্যপীরের ভিটা ও গন্ধেশ্বরী মন্দির: বিহারের বাইরের দিকে এগুলো অবস্থিত এবং এদের ঘিরে নানা জনশ্রুতি প্রচলিত।

🕍 পাহাড়পুর জাদুঘর: বিহারের পাশেই একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর রয়েছে যেখানে খননকাজে প্রাপ্ত অসংখ্য মূর্তি, রৌপ্য মুদ্রা, শিলালিপি এবং পোড়ামাটির ফলকচিত্র (যা মন্দিরের দেয়ালে পাওয়া গেছে) সংরক্ষিত আছে। এই ফলকচিত্রগুলোতে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেব-দেবীর মূর্তি ও চিত্রকল্প খোদাই করা হয়েছে।

🚘 যাতায়াত ব্যবস্থা:
পাহাড়পুর নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত। নওগাঁ জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং জয়পুরহাট জেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে।

🚗ঢাকা থেকে:
🚎বাসে: ঢাকার গাবতলী বা কল্যাণপুর বাস টার্মিনাল থেকে অনেক বাস সার্ভিস রয়েছে। নওগাঁ পৌঁছাতে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা। তো আমি গাজীপুরের চন্দ্র থেকে গিয়েছিলাম তাই আমার সময় লেগেছিল ৫ ঘন্টা।
এবং আমি গিয়েছিলাম শ্যামলী বাসে করে তখনকার সময় ভাড়া পড়েছিল ৩৫০ টাকা।

🛺নওগাঁ থেকে পাহাড়পুর: নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে পাহাড়পুরের উদ্দেশ্যে সরাসরি বাস অথবা সিএনজি/অটোরিকশা পাওয়া যায়। ভাড়া প্রায় ৪০-৫০ টাকা।

📓 প্রয়োজনীয় টিপস:
➡️যাতায়াতের আগে স্থানীয় আবহাওয়া এবং রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে জেনে যাওয়া ভালো।
➡️দিনের শুরুতে যাত্রা শুরু করলে সন্ধ্যার ভিড় এড়ানো যাবে।
➡️ গরমের দিনে গেলে অবশ্যই সাথে ছাতা অথবা ক্যাপ রাখুন এবং চোখের চশমা। (সেখানে গোসলের ব্যবস্থা আছে চাইলে কাপড় নিয়ে যেতে পারেন,আমি করেছিলাম,অনেক ফ্রেশ লাগবে)।

✅ শেষ কথা:
➡️পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের এই ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং মনোমুগ্ধকর স্থাপত্য আপনাকে নিশ্চিতভাবে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে।🇧🇩🇧🇩











#পাহাড়পুর
#পাহাড়পুরবৌদ্ধবিহার
#সোমপুরমহাবিহার
#বাংলাদেশেরঐতিহ্য
#বৌদ্ধসভ্যতা
#ঐতিহাসিকস্থান
#বাংলাদেশভ্রমণ
#ইউনেস্কোওয়ার্ল্ডহেরিটেজ
#প্রাচীনকীর্তি
#পুরাতাত্ত্বিকস্থান

24/07/2025

24/07/2025

বিয়ের পর কক্সবাজার সেইন্টমার্টিনে না ঘুরে বা অযথা খরচ না করে স্ত্রীকে নিয়ে উমরাহ করে আসতে পারেন যদি সামর্থ থাকে। এক্ষেত্রে বোনরা চাইলে তাদের মোহরের টাকাও ব্যবহার করতে পারেন।

এভাবে স্বামী স্ত্রী একত্রে কাবা'র দিকে তাকিয়ে থাকা বড়ই প্রশান্তিদায়ক! কাবা'র দিকে তাকিয়ে জীবনসঙ্গীর সাথে জান্নাতের জীবনের পরিকল্পনা করবেন, আল্লাহ অবশ্যই জান্নাত দিবেন ইন শা আল্লাহ!

24/07/2025

>>>>

প্রায় ৫০ জন আরোহী নিয়ে রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত