
28/09/2024
পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বনাঞ্চলে শাল পাতা মা-বোনদের অন্যতম জীবিকা হয়ে উঠেছে।বনবিভাগ কর্তৃক গাছকাটা নিষেধ হলেও পাতা সংগ্রহে কোনো আপত্তি নেই। সাধারণত ছোটো শাল গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করা হয়। তবে অনেকসময়, বড়ো শালগাছ থেকে আঁকশি ব্যবহার করে পাতা সংগ্রহ করা হয়। কাঁচা শাল পাতা সংগ্রহ থেকে শুরু করে পাতা তৈরির যাবতীয় কাজ মহিলারাই করে থাকেন। প্রায় সব বয়সের কাজের মেয়েরাই এই জীবিকার সাথে যুক্ত। সাধারণত ৩৫-৫৫ বয়সী মহিলারাই জঙ্গল থেকে শাল পাতা তোলার কাজ করে থাকেন। পাতা বাড়িতে আনার পর রোজ কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে বাড়ির সব মেয়েরাই একসাথে বসে পাতা সেলাই করে থাকেন। শাল পাতা তৈরির জন্য কাঁচা শাল পাতা এবং সূক্ষ্ম শক্ত কাঠির প্রয়োজন হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাতা সেলাই বেনে কাঠি ব্যবহার করা হয়। Flipkart, Amazon-এর মতো শপিং সাইটগুলিতে অনেক বেশি দামে শাল পাতার থালা-বাটি বিক্রি হয়। সে তুলনায় প্রান্তিক এই মানুষজন খুব বেশি দাম পান না। অরণ্য নির্ভর এই কুটির শিল্পকে আরও উন্নত ও লাভজনক করা দরকার। শাল পাতার থালা-বাটি পরিবেশ বান্ধব, যা প্লাস্টিক বা থার্মোকলের থালা-বাটির মতো পরিবেশ দূষণ হয় না। বরং শাল পাতা ব্যবহার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এই কুটির শিল্প বিপুল সংখ্যক প্রান্তিক মানুষের উপার্জনের উৎস। আমরা প্লাস্টিক অথবা থার্মোকলের পরিবর্তে এই শাল পাতা অধিক হারে ব্যবহার করলে, পরিবেশ দূষণ হ্রাসের পাশাপাশি প্রান্তিক অরণ্যকেন্দ্রের মানুষের উন্নত হবে।
আহারমুন্ডা, বেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর
Photo: AmalenduNayek