30/06/2025
গ্লাসে হলুদ দিয়ে ট্রেন্ড যদি আপনি করে থাকেন তাহলে আপনি কত বড় ভুল করেছেন জানেন কি?
চলুন আজকের সম্পূর্ণ ঘটনাটা বুঝিয়ে বলা যাক!
“ হলুদ জল " কোনো ট্রেন্ড নয়, এটা আত্মা জাগানোর চূড়ান্ত নিষিদ্ধ রিচুয়াল — এবার এইভাবে আত্মাকে খুব দ্রুত ডেকে ফেলা সম্ভব, খারাপ আত্মা এবং ভালো আত্মা উভয়কেই। তাই না জেনে করা এই ছোট্ট কাজটির জন্য, আপনার হরোস্কপে যত ভালো গ্রহই থাক না কেন সকলকেই কিন্তু নষ্ট করে ফেলছেন এই একটি কাজের মাধ্যমে। যে সমস্ত জাতক জাতিকার রাশি খুব পাতলা, তাদের উপর কিন্তু ভর করতে পারে প্রেতাত্মা, শুধুই গ্লাসে হলুদ দিয়ে নিচে আলো জ্বালালেই তাদের প্রতি একটা আহবান সংকেত যায়।
আপনি ভাবছেন হলুদ জল কাঁচের গ্লাসে দিলেই সুন্দর একটা রিল হবে ? হ্যাঁ সুন্দর রিল তো তৈরি হবে কিন্তু তার সঙ্গে প্রেত আত্মদেরকে সুন্দরভাবে ডেকেও ফেলা যাবে।
যদি এখনো বিশ্বাস না হয়
তাহলে ভালো করে শুনে রাখুন.....
আপনারা যেটা করেছেন, তা হচ্ছে এক ভয়ানক তান্ত্রিক সংকেত পাঠানো। আর সে সংকেত এখনো বাতাসে ভেসে আছে - কে সাড়া দেবে, সেটা আপনি ধারণাও করতে পারবেন না।
📜 পৌরাণিক গ্রন্থ “প্রেতবিধান” এ বর্ণিত আছে এই রিচুয়াল —
যেখানে অন্ধকার ঘরে মন সংযম করে হলুদ, জল, ও কাঁচ একত্রে ব্যবহার করা হতো,
প্রেতলোকের আত্মাদের কাছে “দরজা খোলা” সংকেত পাঠাতে।
এটা শুনতে অবাক লাগলেও একদমই সত্যি একটা ঘটনা।
এই রিচুয়ালের নাম:
❝ তমসা দারোহণ ❞
(অর্থ: অন্ধকারে আত্মার অবতরণ)
এখনো যারা বিশ্বাস করছেন না তারা নিচের লেখাগুলোকে ভালো করে পড়ুন। আপনি জেনে সত্যিই অবাক হয়ে যাবেন।
চারটি পদক্ষেপ:
1. কাঁচ — আত্মার দরজা
2. জল — আত্মার অগ্রগতি
3. হলুদ — আত্মাকে ডাক
4. অন্ধকার শব্দহীন ঘর
বিশ্বাস করুন এই মজাদার ট্রেন্ড ভিডিওটিকে তৈরি করতে এই চারটি জিনিসই ব্যবহার করে চলেছেন এখনকার কিছু অল্প বয়সী যুবক এবং যুবতীরা।
এবং আপনি — সেই আহ্বানকারী
আপনি হয়তো জানেন না…
কিন্তু তারা জানে
কে, কোথা থেকে, কখন ডেকেছে।
খুব ভয় লাগল কি এগুলো শুনে?
⛔ সবচেয়ে ভয়ংকর সত্য?
এই রিচুয়ালটি একবার শুরু হলে মন্ত্র ছাড়া বন্ধ হয় না। আর সমস্যাটা ঠিক এই জায়গাতেই।
তন্ত্র বলে:
“জ্ঞান ছাড়া যিনি আহ্বান করেন, তিনি নিজেই দ্বার হয়ে যান।” আর এই কারণে কিছু অল্পবয়সি যুবক এবং যুবতীরা নিজের অজান্তেই জীবনের সবথেকে বড় ভুল করে ফেলেছেন।
বিশ্বাস করুন আপনি এখন সেই দ্বার বা মাধ্যম বা দরজা —
আপনার শরীর, আপনার ঘর, আপনার ছায়া…
সবই এখন প্রবেশযোগ্য, কাদের প্রবেশযোগ্য জানেন? সেই সমস্ত ভূত এবং প্রেতেদের।
🔥 “রক্ষা পেতে যা করতে হবে, এখনই”:
🕯️ প্রতিদিন সন্ধ্যায় লাল কাপড়ের উপর ধূপ ও প্রদীপ জ্বালাতে পারেন, হনুমান চালিশা বাড়িতে পাঠ করতে পারেন, শনি এবং মঙ্গলবার মা কালীর পুজো দিতে পারেন।
🕯️ 3 দিন ওই ঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে বলুন:
“এই ডাক ভুল ছিল, তোমরা যে যেখানে ছিলে ফিরে যাও, আমাকে ক্ষমা করো "🙏🙏 এবং এটা তিনবার বলতে হবে।
🕯️ কাঁচের গ্লাসটি কখনও ভাঙবেন না
⚠️ কেউ যদি এখনো ভাবে — “আরে ভাই মজা করছিলাম…”
তখন শুধু মনে রাখুন —
প্রেত আত্মা এদের দুনিয়ায় মজা চলে না আর এরা বোঝেও না , আপনি হয়তো অজান্তেই মজা করতে পারেন, কিন্তু এই পৃথিবীর কিছু অলৌকিক শক্তি মজা কিন্তু একদমই বোঝেনা। একবার ভাবুন আপনি ভুল করে মজা করে যদি বিষ খেয়ে ফেলেন তাহলে সেই বিচ কি আপনাকে মেরে ফেলবে না? আপনি তো মজা করে খেয়েছিলেন তাহলে সেই বিষ কেন আপনার শরীরে কাজ করবে? কিন্তু এই নিয়ম কি বিষ মানে?
তারা শুধু বোঝে: কারা ডাকল, আর কখন নিতে হবে তাদের প্রাপ্য
❝ এই ট্রেন্ড করার পর থেকে যদি আপনার ঘুম হালকা হয়ে যায়, বুঝে নেবেন… এখন আপনি একা নেই। ❞
এখনো অবিশ্বাস হলে পুরোনো তন্ত্র গ্রন্থ " প্রেতবিধান " সংগ্রহ করতে পারেন, তাতে " তমসা দারোহণ " চ্যাপ্টার টা একবার পড়ে নিয়েন.....