24/09/2022
একজন মেয়েকে ৫০/৬০ সাপের উপর কবর দেওয়া হয়েছিলো, ১৯৮৬ সালে করাচির এক পত্রিকায় সেই মায়ের লিখা চিঠি প্রকাশ পায়।
তিনি লিখেছিলেন,,
'আমার বড় মেয়ে কিছুদিন আগে মারা গেছে তাকে দাফন করার জন্য কবর খনন করা হলে দেখা গেল সেখানে ৫০/৬০ টা সাপ কিলবিল করছে।
এই অবস্থা দেখে ২য় ৩য় বারও কবর খনন করা হয় কিন্তু প্রতিবারই সাপ দেখা যাচ্ছিল। অতপর,সকলের সাথে পরামর্শ করে ওই সাপের ওপরই কবর দেওয়া হয়েছিল।
মেয়েকে কবর দেওয়ার পর তার বাবা অর্থাৎ আমার স্বামী নিজের মাথার চুল ছিড়া শুরু করছিলো আর বলছিল,
"আমার মেয়ে নামাজ রোজা সব কিছু করত, কিন্তু পর্দা করত না। তাকে পর্দা করতে বলা হলে সে যা ইচ্ছা তা শুনিয়ে দিত, এক কথায় আমি ছিলাম ব্যর্থ বাবা"।
অথচ, আজ সে কবরে ধনুকের ন্যায় বেঁকে আছে।'
১৪ শ ১৪ হিজরি শাবান মাসে আমার এক বন্ধু সে আমাকে জানালো করোংগী এলাকার একটি ঘটনা,
আমার আত্মীয়ের এক যুবতি মেয়ে মারা গেছে, মেয়েকে কবর দেওয়ার জন্য মেয়ের বাবাও কবরে নেমেছিল।
বাড়ি ফিরে এসে তার মনে পরে সে তার ম্যানিব্যাগ কবরে ফেলে এসেছিল যার মধ্যে ছিল অতি প্রয়োজনীয় কাগজ তাই তাকে বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হয়।
আবার, কবর খুড়ে কাগজ আনতে গিয়ে মাটি সরিয়ে কাঠ সরানোর পর মৃত মেয়ের অবস্থা দেখে বাবা জোরো চিৎকার করে দূরে সরে এলো, কেন চিৎকার করেছে জিজ্ঞেস করলে সে উত্তর দেয়,
আমি দেখেছি " তার সাদা কাফনের কাপড় নেই তার মাথার চুল দিয়ে তার পা বাধা, ভয়ংকর কিছু বিচ্ছুর ন্যায় প্রানী তাকে গ্রাস করে সারা দেহে লেপ্টে আছে। "
অতপর,মেয়েটির ব্যাপারে খোঁজ নিলাম।
জানা গেলো না তার কোনো খারাপ দিক,
শুধু তার বাবা মা বলে ছিল,
" তাদের সন্তান ফ্যাশন প্রিয় ছিল ,
সে কখনই পর্দা করেনি "।
[কবরের আজাবের বই থেকে
লেখক : মাওলানা তারিক জামিল]
_______
আহ, আমরা পর্দাকে কত সস্তা ভেবে নিয়েছি।
আর উম্মুল মু'মিনীনরা কিভাবে নিয়েছিলেন!
আফসোস!!!
শাহাদাতের রাতে শোকাতুরা স্ত্রীর ওড়না একটু সরে গিয়েছিল।
উসমান (রা). বললেন, “ওড়না ঠিক কর, বেগানা লোক তোমার একটা চুল দেখার চেয়ে, তীব্র মৃত্যুযন্ত্রণাও আমার জন্য অনেক সহজ।”
(শায়েখ আতিক উল্লাহ)
হারাম থেকে বেঁচে থাকতে কলিজা লাগে।
এটা সবাই পারে না। সমাজের সবাই নষ্টামির দিকে ছুটছে আর আপনি একা স্রোতের বিপরীতে। এরই নাম মুসলমান।
[শায়েখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ]
#উম্মতকে_জাহান্নামের_আগুন_থেকে
বাঁচানোর জন্য নবীজীর আপ্রাণ চেষ্টা।