02/08/2025
ছেলেটি একজন হাফেজে কুরআন। নাম হুসাইন আহমদ। বাড়ি লাটিমারা, আসাম, ভারত। টাইফয়েডে দু'চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছে। জমি বিক্রি করে মুম্বাই যায় উন্নত চিকিৎসার আশায়। অর্থের সঙ্কুলান হয়নি, তাই সাথে যেতে পারেনি পরিবারের কেউ।
আসার পথে কলকাতা এয়ারপোর্টে এক নোংরা হি.ন্দু ঘটায় ঘটনাটি। হাতড়ে হাতড়ে নিজের সিট খুঁজছিল হাফেজ হুসাইন। শেষ দিকের একটি সিট ছিল ওর। হঠাৎ হুসাইনের হাত বসে থাকা সেই হি.ন্দু বিমানযাত্রী পীযূষ কর্মকারের চেহারায় লাগে। প্রচণ্ড রকম ক্ষেপে যায় পীযূষ। একপর্যায়ে উঠে কষে চড়ও মারে সে অসহায় হুসাইনের গালে! যেন একজন হি.ন্দু হিসেবে জন্মগতভাবেই ছিল তার কোনো মুসলমানের গায়ে হাত তোলার অধিকার।
6E 136 ফ্লাইটটির এয়ার হোস্টেজদের আচরণও ছিল যথেষ্ট আপত্তিজনক। সিট খুঁজে পেতে তারা অন্ধ হুসাইনকে কোনোরূপ সহায়তা করেনি বলে দাবি করেছে প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা৷ যখন পীযূষ কর্মকার হুসাইনের গায়ে আঘাত করে, উল্টো তারা পীযূষকেই শান্ত করায় ব্যস্ত ছিল!
ঘটনা দুপুর ১:০০টার। এক মুসলমান যাত্রী তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে ফেইসবুকে আপলোড করলে চাপে পড়ে যায় Indigo Airlines অফিস। বাধ্য হয়ে সন্ধ্যা ৬:০০টার দিকে টুইট করে— আক্রমণকারী সেই যাত্রীকে হেফাজতে নেয়া হবে, উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হবে।
অথচ বিমান কলকাতা থেকে আসামের শিলচরে ল্যান্ড করেছে দুপুর ২:০০টা নাগাদ। ইমিগ্রেশন-সহ সমস্ত কাজ সেরে যাত্রীরা ইতোমধ্যে চলেও গিয়েছে নিজনিজ গন্তব্যে। কাকে শাস্তির আওতায় আনবে কর্তৃপক্ষ?
তবে বিস্ময়ের ব্যাপার, শিলচর এয়ারপোর্ট থেকে হাফেজ হুসাইনের বাড়ি লাটিমারায় পৌঁছুতে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা লাগার কথা থাকলেও, ও বাড়িতে পৌঁছোয় গভীর রাতে। কান্নার রব পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। জ্ঞান হারান একাধিকবার হুসাইনের বাবা আব্দুল মান্নান মজুমদার।
বিমান কর্তৃপক্ষ কিংবা থানা কর্তৃপক্ষ, কেউ তথ্য দিচ্ছিল না ওর ব্যাপারে। নিখোঁজ ছিল হুসাইন প্রায় ১২ ঘণ্টা!
ধারণা করা হচ্ছে, শিলচর এয়ারপোর্ট অবতরণের পর ওকে আরেক দফা ট.র্চা.র করেছে স্থানীয় হি.ন্দু কর্মকর্তারা।
Collected