20/11/2024
দোয়ার ভান্ডারঃ
(০১) কালিমায়ে তাইয়্যেবঃ
উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুহাম-মাদুর রসূ-লুল্ল-হ।
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেহ উপাস্য নাই, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।
(০২) কালিমায়ে শাহাদাতঃ
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কালাহু ওয়া আশহাদু আন্-না মুহাম্মাদান 'আবদূহু- ওয়া রসূ-লুহু-।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেহই উপাস্য নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাঁহার কোন শরীক নেই, এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিতেছি। যে, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
(০৩) কালিমায়ে তাওহীদঃ
উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লা- আং- তা ওয়া হিদাল্লা-ছা-নিআলাকা মুহাম্-মাদুর রসূ-লুল্ল-হি ইমা-মুল মুত্তাক্বী-না রস-লু রব্বিল 'আ-লামী --- ন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য আর কেহই নেই, তুমি এক ও শরীকবিহীন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুত্তাক্বীগণের নেতা ও বিশ্বপ্রতিপালকের রাসুল।
(০৪) কালিমায়ে তামজীদঃ
উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লা- আং~~ তা নূ-রই- ইয়াহ দিয়াল্ল-হু লিনূ-রিহী। মাই-য়াশা-উ মুহাম্মাদুর রসূ-লুল্ল-হি ইমা-মুল মুরসালি-না খ-তামুন-না বিই --- ন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য অন্য কেহই নেই। তুমি জ্যোতিময় আল্লাহ, তুমি যাহাকে ইচ্ছা তোমার স্বীয় জ্যোতি দ্বারা পথ প্রদর্শন করে থাক, হযরত মুহাম্মাদ (সা.) রাসূলগণের নেতা ও আখেরী নবী।
(০৫) বেহেশত লাভের দোয়াঃ
উচ্চারণঃ রব্বানা ওয়াদখিলহুম জান-নাতা আদনিনিল্লাতী-ওয়া আতাহুম ওয়ামাং ছালাহা মিন আ-বা- -- -ইহিম ওয়া আযওয়াজিহিম ওয়া যুররিয়্যাতিহিম ইন-নাকা আং~~তাল আযী-যুল্ হাকী- - -ম।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে বেহেশতের চিরস্থায়ী বাগিচায় প্রবেশ করাও। যার সম্পর্কে তুমি ওয়াদা করেছ এবং তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতি যারা নেক কাজ করে তাদের বেহেশত নছীব কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী। (সূরা আল মু'মিন, আয়াত: ৮)
(০৬) দুনিয়া ও আখিরাতের সকল পেরেশানী হতে বাঁচার দোয়াঃ
হযরত আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলে করীম বলেছেন, যে লোক সকাল ও সন্ধ্যায় সাতবার করে নিচের দোয়া পাঠ করবে আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের সকল পেরেশানী দূর করবেন। দোয়াটিঃ
উচ্চারণ: হাসবিয়াল্ল-হু লা---ইলা-হা ইল্লা- হুয়া আলাইহি তাওয়াক কালু ওয়া হুয়া রব্বুল্ আরশিল আযী---ম।
(০৭) দুনিয়ার কল্যাণ লাভের দোয়াঃ
হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল তাঁর চাচা আব্বাস (রা.)-কে বললেন, চাচা জান; আমি আপনাকে দ্বীন দুনিয়ার কল্যাণের জন্য একটি শ্রেষ্ঠ কথা বলে দিব কি? চাচা বললেন, বাবা বল আপনি সবসময় এ দোয়া পড়বেন:
উচ্চারণ: সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল্হামদু লিল্ল-হি ওয়া লা---ইলা-হা ইল্লা-ল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আব্বার।
(০৮) তাওবাহ কবুল হওয়ার আমলঃ
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম মা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম-মা মাগফিরলী- ইন-না আং~~তা তাওয়্যাবুর রাহী---ম।
(০৯) ঈমান সঠিক রাখার আমলঃ
উচ্চারণ: ইয়া- মুকুল্লিবাল কুলু-বি কুল্লিব-'আলা- দ্বী-নিকা।
(১০) ঈমানের সাথে মৃত্যু হওয়ার আমলঃ
উচ্চারণ : রব্বানা- লা-তুযিগ্ কুলু-বানা- বা'দা ইম্ হাদাইতানা- ওয়া হাক্কানা- মিল্লা দুকা রহমাতান ইন-নাকা আং~~তাল ওয়াহ্হা---ব।
(১১) স্ত্রী-পুত্র ধার্মিক হওয়ার আমলঃ
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে মুনাজাত করবে। আল্লাহর ইচ্ছায় স্ত্রী-পুত্র ও কন্যাগণ ধার্মিক হবে।
উচ্চারণ: রব্বানা- হাবলানা- মিন আযওয়া-জিনা- ওয়া যুরিয়া-তিনা- কুব্রতা 'আয়ুনিওঁ- ওয়াজ'আল্লা- লিল্ মুত্তাক্বী-না ইমা---মা-।
অর্থঃ হে আমাদের পালনেওয়ালা। আমাদের স্ত্রীগণের দ্বারা ও আমাদের সন্তানদের দ্বারা আমাদের চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদিগকে মুত্তাক্বীদের ইমাম বানাও। (সূরা ফুরকান, আয়াত: ৭৪)
(১২) তওবার দোয়াঃ
উচ্চারণ : আস্তাগফিরুল্ল-হা রব্বী- মিং- কুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আ-তৃ-বু ইলাইহি লা-হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্ল-হিল্ আলী-ইল আজী---ম।
(১৩) শবে ক্বদরের রাত্রে পড়ার দোয়াঃ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মা ইন-নাকা আফুয়্যুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু 'আন -নী- ইয়া- গফু-রু, ইয়া- গফু-রু, ইয়া- গফু---র।
অর্থ: আয় আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল ক্ষমাকে আপনি ভালবাসেন, তাই আমাকে মাফ করে দিন। আপনি ক্ষমাকারী। আপনি ক্ষমাকারী, আপনি ক্ষমাকারী।
(১৪) শয়নের পূর্বে ইস্তিগফারঃ
বিছানায় শোয়ার সময় এ দোয়াটি তিনবার পাঠ করলে অশেষ নেকী হাসিল হয়।
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্ল-হাল লাযী-লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়ুল্ কুইয়ু-মু ওয়া আ-তু-বু ইলাইহি।
অর্থ: আমি আল্লাহ তা'আলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী এবং আমি তাহার নিকট তওবা করিতেছি।
(১৫) ইলম বৃদ্ধির জন্য দোয়াঃ
ইলম বৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাসূল-কে এ দোয়া পাঠ করতে বললেন। তাই আমরাও ইলম বৃদ্ধির জন্য এ দোয়া পাঠ করতে পারি।উচ্চারণ: রব্বিগ্রহলী- ছদ্রী- ওয়া ইয়াসির লী আমরী- ওয়াহলুল 'উক্বদাতাম- মিল্লিল্লসা-নী- ইয়াক্বহু- কুওলী-।
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার অন্তর খুলে দাও, আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও এবং আমার জবানের জড়তা দূর করে দাও, যেন মানুষেরা আমার কথা বুঝতে পারে। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ২৫-২৮)
(১৬) সন্তান লাভের দোয়াঃ
আমাদের সন্তান না হলে আমরা পীর, ফকিরের কাছে কেন যাই? মহান আল্লাহ পাকের কাছে নিম্নের দোয়া পাঠ করে তো চাইতে পারি-
উচ্চারণঃ রব্বি হাবলী- মিল্লাদুং-কা যুরিয়াতাং- তুই ইবাতান ইন্-নাকা সামী-'উদ দু'আ ---- য়ি।
অর্থঃ হে আমার রব! তোমার বিশেষ দয়ায় আমাকে সৎ সন্তান দান কর। প্রকৃতপক্ষে তুমিই দোয়া শ্রবণকারী। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত: ৩৮)
(১৭) কবরে মুনকার নাকীরের প্রশ্নের জবাব সহজ হওয়ার দোয়াঃ
কবরে মুনকার নাকীরের প্রশ্নের জবাব সহজ হওয়ার জন্য ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর নিম্নের দোয়া তিন বার পাঠ করবে:
উচ্চারণ: রদ্বী-তু বিল্লা-হি রব্বাওঁ- ওয়াবিল ইস্লা-মি দ্বী-নাওঁ ওয়াবি মুহাম-মাদিন নাবিয়্যাও ওয়া রসূ-লান।
অর্থ: আমি রাজি হয়েছি এ অবস্থার উপর যে, মহান আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং ইসলাম আমার ধর্ম, আর হযরত মুহাম্মাদ নবী বা রাসূল। আল্লাহর
(১৮) কবরের উপর মাটি দেবার সময় এ দোয়া পড়তে হয়ঃ
উচ্চারণ : মিনহা- খলাকুনা-কুম্ ওয়াফী-হা- নুয়্যি-দুকুম ওয়ামিনহা- নুখরিজুকুম তারতান উখর-।
অর্থ: এ মাটি হতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ মাটির মধ্যে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে আবার এ মাটি হতে তোমাদেরকে পুনরায় বের করা হবে।
(১৯) কোন বিপদে পড়লে এ দোয়া পড়বে কোন বিপদে পড়লে বা বিপদের আশংকা হলে তাহলে এই দোয়া পড়বে
উচ্চারণ: হাসবুনা- লু-হু ওয়া নি'অমাল ওয়াকী-লু আলা- ল্ল-হি তাওয়াক্কালনা।
অর্থ: আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট তিনিই উত্তম কার্য নির্বাহক এবং তার উপরই আমাদের ভরসা।
(২০) কোন কাজ কঠিন বা মুশকিল হলে এ দোয়া পড়বেঃ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম-মা ইয়াসির লানা- উমু-রনা-।
অর্থঃ হে আল্লাহ আমাদের কাজগুলো সহজ করে দিন।
(২১) অস্থিরতায় পতিত হলে এ দোয়া পড়বেঃ
উচ্চারণ: ইয়া- হাইয়্যু ইয়া- ক্বাইয়্যুমু বিরহমাতিকা আস্তাগী-ছু।
(২২) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এ দোয়া পড়তে হয়ঃ
উচ্চারণ: বিসমিল্ল-হি তাওয়াক্কালতু আলা-ল্লা-হি, ওয়ালা- হাওয়ালা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্ল-হি।
অর্থ: আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। (আবু দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০, নং ৩৪২৬)
(২৩) লাশ কবরে রাখার সময় এ দোয়া পড়তে হয়ঃ
উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হি ওয়া আলা- মিল্লাতি রসূ-লিল্লা-হি।
অর্থ: মহান আল্লাহ পাকের নামে এবং মহান আল্লাহর রাসূল-এর দলভুক্ত হিসাবে অর্পণ করলাম। (আবু দাউদ ৩/৩১৪, নং ৩২১৫)
(২৪) মসজিদে প্রবেশ করার দোয়াঃ
মসজিদে প্রথম ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবে এবং এ দোয়াটি পড়বে।
উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মাফতাহ্ লী- আবওয়া-বা রহমাতিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। (মুসলিম-১৫২৯, আবু দাউদ-৪৬৫, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী)
(২৫) মসজিদ হতে বের হওয়ার দো'আঃ
মসজিদ হতে বাম পা দিয়ে বের হতে হতে এই দোয়া পড়তে হবে-
উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মা ইন-নী-আআলুকা মিং- ফাদ্বলিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ কামনা করছি। (মুসলিম-১৫২৯, আবু দাউদ-৪৬৫, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী)
(২৬) শৌচাগারে প্রবেশের আগে পড়ার দোয়াঃ
শৌচাগারে প্রবেশের আগে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়বে এবং বাম পা আগে দিয়ে ঢুকবে।
উচ্চারণ: আল্লা-হুম- মা ইন- নী- আ'উযুবিকা মিনা-ল খুবসি ওয়াল খবা-ইসি।
অর্থঃ (আল্লাহর নামে) হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই। (বুখারী ১/৪৫, নং ১৪২; মুসলিম ১/২৮৩ নং ৩৭৫)
(২৭) শৌচাগার হতে বের হওয়ার পর এ দোয়া পড়তে হয় পায়খানা হতে ডান পা আগে দিয়ে বের হবে।
উচ্চারণ: গুফর-নাকা আল্হাম্দু লিল্ল-হিল্লাযী- আযহাবা 'আন-নী-ল আযা ওয়া আ-ফা-নী-।
অর্থঃ হে আল্লাহ আপনারই নিকট ক্ষমা চাই, সব প্রশংসা ঐ মহান আল্লাহর জন্য যিনি আমার হতে নাপাকী বের করেছেন এবং আমাকে সুস্থ করেছেন। (আবু দাউদ নং-৩০; তিরমিযী নং-৭; ইবন মাজাহ নং-৩০০)
(২৮) মন খারাপ হলে পড়ার দোয়াঃ
উচ্চারণ : আলহাম্দু লিল্লা-হি আলা- কুল্লি হা-লিন।
(২৯) অযু করার আগে পড়ার দোয়াঃ
অযু করার শুরুতে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করে অযু আরম্ভ করবে
উচ্চারণ: বিস্মিল্লা-হিল 'আলিয়্যিল আযী-ম আল্লহাম্দু লিল্লা-হি 'আলা- দ্বী-নি-ল ইস্লামি হাক্কুন ওয়া-ল কুফরু বা-ত্বিলুন আল ইস্লা-মু নূ-রুন ওয়াল কুফরু যুলমাতুন।
(৩০) মাথা ধরা দূর করার আমলঃ
মাথা বেদনার সময় নিম্নোক্ত আয়াত লিখে মাথায় বেঁধে রাখলে ইনশাআল্লাহ মাথা ধরা দূর হবে।
উচ্চারণ : বিস্মিল্লা-হিশ্ শা-ফী- বিস্মিল্লা-হিল্ কা-ফী- বিস্মিল্লা-হিল মাআ-ফী- বিস্মিল্লা-হি মাদ্রিহা- ওয়া মুসাহা- ইন-না রব্বী- 'আলা- ছির-তিম-মুস্তাক্বী-ম।
(৩১) নামাজের পরে মুনাজাতঃ
উচ্চারণ: রব্বানা- -আ-তিনা- ফিদ্দুনইয়া- হাসানাতাওঁ - ওয়া ফিল আ-খিরতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা- 'আযা-বান-না---র।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদিগকে ইহকালে ও পরকালে কল্যাণ দান কর। এবং জাহান্নামের আজাব হতে আমাদিগকে রক্ষা কর। ও (সূরা বাকারা, আয়াত: ২০১)
(৩২) সুখী জীবন লাভের দোয়াঃ
উচ্চারণ: রব্বানা- হাক্কানা- মিন আযওয়া-জিনা- ওয়া যুরিয়া-তিনা- কুরতা 'আয়ুনিও- ওয়াজ 'আল্লা- লিল্ মুত্তাক্বী-না ইমা-মা-।
অর্থঃ হে আমাদের পালনেওয়ালা। আমাদের স্ত্রীগণের দ্বারা ও আমাদের সন্তানদের দ্বারা আমাদের চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদিগকে মুত্তাক্বীদের ইমাম বানাও। (সূরা ফুরকান, আয়াত: ৭৪)
(৩৩) ইফতারের দোয়াঃ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মা ছুমতু লাকা ওয়া তা ওয়াক্কালতু আলা- রিজকিকা ওয়া আফতারতু বিরহমাতিকা ইয়া- আর হামার র-হিমী-ন।
(৩৪) বাজারে প্রবেশের সময় এ দোয়া দোয়া পড়বেঃ
(৩৫) যাবতীয় বালা মুছিবত থেকে বাঁচার দোয়াঃ
সকাল ও সন্ধ্যায় এ দোয়া তিনবার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ আসমান ও যমীনের কোন কিছুই তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
উচ্চারণ : বিস্মিল্লা-হিল্লাযী- লা- ইয়াদুরু মাআসমিহী- শাইউন ফী-ল আবৃদ্ধি ওয়ালা- ফী-স সামা----য়ি ওয়া হুয়াস- সামী-উল আলী-ম।
(৩৬) কবর যিয়ারতের দোয়াঃ
উচ্চারণ: আস্ সালা-মু'আলাইকুম ইয়া- আহ্হ্লাল কুবূ-রি মিনাল মু'মিনী-না ওয়াল মু'মিনা-তি ওয়াল মুস্লিমী-না ওয়াল মুস্লিমা-তি, ইয়াগফিরুল্লা-হু লানা- ওয়ালাকুম আং~~তুম সালাফুল লানা- ওয়া নাহনু বিলআছা-র।
অর্থ: আপনাদের প্রতি আমাদের সালাম হে কবরবাসী মুমিন নর-নারীগণ, হে মুসলিম নর-নারীগণ আল্লাহ ক্ষমা করে দিন আমাদের ও আপনাদের গুনাহসমূহ। আপনারা আমাদের আগে গমনকারী এবং আমরা আপনাদের অনুসরণকারী।
এই দোয়া পাঠ করিবার পরে সূরা ফাতিহা, সূরা কাফিরুন, আয়াতুল কুরসী একবার করিয়া পাঠ করিবে। অতঃপর ১১ বার দরূদ শরীফ পাঠ করিয়া ইহার সওয়াব কবরস্থানের মুর্দারগণের রূহের প্রতি পৌঁছাইবে।
উচ্চারণঃ সুবহা-নাকাল্লা-হুম-মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা--- ইলা-হা ইল্লা- আং--তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আ-তুবু ইলাইকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া হক্ক কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট তওবা করি। (আবু দাউদ নং ৪৮৫৮; তিরমিযী নং ৩৪৩৩; নাসাঈ, নং ১৩৪৪)
(৩৭) ঘুমাবার আগে এ দোয়া পড়তে হয়ঃ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মা বিস্মিকা আমু-তু ওয়া আহ্ইয়া-।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো। (বুখারী ১১/১১৩, নং ৬৩২৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১)
(৩৮) ঘুম হতে উঠে এ দোয়া পড়তে হয়ঃ
উচ্চারণ : আল্হাম্মদু লিল্লা-হিল্লাযী- আহইয়া-না- বা'দা মা-আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন-নুশূ-র।
অর্থঃ মহান আল্লাহর শুকর, যিনি মৃত্যুর নিকটবর্তী করার পর আমাকে জীবিত করছেন। শেষ পর্যন্ত আমরা তারই কাছে ফিরে যাব। (বুখারী ফাতহুল বারী ১১/১১৩, নং ৬৩১৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১)
(৩৯) জাহান্নামের অগ্নি হতে বাঁচার দোয়াঃ
উচ্চারণ: রব্বানা --ইন- না না- আ-মান-না- ফাক্লিানা- যুনূ- বানা- ওয়া ক্বিনা- 'আযা-বান-না---র।
অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, আমাদের গুনাহ সমূহ ক্ষমা
কর এবং আমাদিগকে দোযখের অগ্নি হতে বাঁচাও। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত: ১৬)
(৪০) আশি বৎসরের গুনাহ মাফীর দরূদঃ
ফযীলত : নুযহাতুল মাজালেছ কিতাবে উল্লেখ আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (স.) এরশাদ ফরমাইয়াছেন- যে ব্যক্তি জুমুআর দিবসে আছর নামাজের পরে এই দরূদ শরীফ ৮০ বার পাঠ করিবে, তাহার ৮০ বৎসরের গুনাহ মাফ হইয়া যাইবে।
উচ্চারণ: আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- মুহাম-মাদিনিন- নাবিয়িল উম- মিই ওয়া 'আলা- আ-লিহী- ওয়া আছহাঁ-বিহী- ওয়া বা-রিক ওয়া সাল্লিম।
(৪১) স্বপ্নের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.)কে দেখিবার দরূদ শরীফঃ
যেই ব্যক্তি এই দরূদ শরীফ নিয়মিত পাঠ করিবে, সে ব্যক্তি স্বপ্নের মধ্যে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে স্বপ্নে দর্শন লাভ করিবে। আর যেই মুমিন ব্যক্তি হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে স্বপ্নের মধ্যে দর্শন লাভ করিবে সে রোজ কেয়ামতে তাঁহার শাফায়াত লাভ করিবে এবং দোযখ তাহার জন্য হারাম হইয়া যাইবে।
উচ্চারণ: আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- মুহাম- মাদিং কামা- আমারতানা-
আন- নুছল্লিয়া 'আলাইহি, আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- মুহাম-মাদিং- কামা- হুওয়া- আহলুহু, আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- মুহাম-মাদিং~~কামা- তুহিব্বু ওয়া
তারদ্ব-, আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- রু-হি মুহাম-মাদিং ফিল আরওয়া-হি, আল্ল-হুম-মা-ছল্লি 'আলা- জাসাদি মুহাম-মদিং- ফিল আজসা-দি আল্ল-হুম-
মা ছল্লি 'আলা- কুবরি মুহাম-মাদিং ফিল কুবু--- র।
(৪২) কিয়ামতের দিন পিতা মাতা ও সকল মুমিনের মাগফিরাত কামনার জন্য দোয়াঃ
উচ্চারণ: রব্বানা- গফিরলী- ওয়ালি ওয়া-লিদাইয়া ওয়ালিল মু'মিনী-না ইয়াওমা ইয়াকু-মুল হিসাব।
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল মুমিনদিগকে সেই দিবসে ক্ষমা করে দিও, যে দিন হিসাব কার্যকরী হবে। (সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ৪১)
(৪৩) স্বীয় ভ্রাতা ও নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়াঃ
উচ্চারণ: রব্বিগফিরলী- ওয়ালিআখী- ওয়া আখিল্লা-ফী- রহমাতিকা ওয়া আং--তা আর হামুর্ র-হিমী- - - ন।
অর্থঃ হে আমার প্রভু! আমাকে ও আমার ভাইকে ক্ষমা কর এবং আমাদিগকে তোমার রহমতের মধ্যে দাখিল কর। তুমিই সবচেয়ে দয়াবান। (সূরা আরাফ, আয়াত ১৫১)
(৪৪) পিতা মাতার জন্য দোয়াঃ
উচ্চারণ: রব্বিরহামহুমা- কামা- রব্বাইয়া-নী- ছগী-র-।
অর্থঃ হে আমার প্রভু! তাদের (পিতা-মাতার) প্রতি রহমত কর, যেমনিভাবে তারা আমাকে বাল্যকালে লালন-পালন করেছেন। (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ২৪)
(৪৫) শয়নকালের দোয়াঃ
হাদীসে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (স.) ফরমাইয়াছেন, শয়নের পূর্বে অজু না থাকিলে অজু করতঃ শয়ন করিবে। শুইবার পূর্বে যেকোন কাপড় দ্বারা বিছানা তিনবার ঝাড়িয়া লইবে। অতঃপর এই দোয়া পাঠ করিয়া বিছানায় শয়ন করিবে।
উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লা-ল্ল-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া 'আলা- কুল্লি শাইইং~~ কুদী-র। লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ। সুবহাঁ-নাল্ল-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়া লা-ইলা-হা ইল্লা-ল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আব্বার।
(৪৬) ঋণ পরিশোধের দোয়াঃ
কোন লোক ঋণগ্রস্ত হইয়া আদায়ের ব্যবস্থা না থাকিলে এই দোয়া পড়িতে থাকিলে আল্লাহ তাআলা ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করিয়া দিবেন।
উচ্চারণ: আল্ল-হুম্-মাকফিনী- বিহাঁলা-লিকা 'আন হার-মিকা ওয়াআগ্নিনী- বিফালিকা 'আম-মাং-সিওয়া---কা।
(৪৭) মাল-সম্পদ বর্ধিত হইবার দোয়াঃ
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ছল্লি 'আলা- মুহাম- মাদিন 'আবদিকা ওয়া রসূ-লিকা ওয়া 'আলা-ল মু'মিনী-না ওয়াল মু'মিনা-তি, ওয়াল মুসলিমী-না ওয়াল মুসলিমা-তি।
(৪৮) ঈমানের সহিত মৃত্যু হইবার দোয়াঃ
উচ্চারণ: বিস্মিল্লা-হি আল্ল-হুম-মা আস্লামতু নাফসী- ইলাইকা ওয়া ওয়াজজাহতু ওয়াজহী- ইলাইকা, ওয়া ফাওয়াদতু আমরী- ইলাইকা। ওয়া আজ্জা-তু যাহরী- ইলাইকা, রগবাতাওঁ ওয়া রহবাতীন ইলাইকা। লা-মালজা-য়া ওয়া লা-মাং-জা-য়া মিং-কা ইল্লা- ইলাইকা। আ-মাং-তু বিকিতা-বিকাল্লাযী- আং~~ ফালতা ওয়া নাবিয়িকাল্লাযী- আরসালতা।
(৪৯) রোগাক্রান্ত দেখিলে পড়িবার দোয়াঃ
উচ্চারণ: আল্হাম্মদু লিল্লা-হিল্লাযী- 'আ-ফা-নী- মিম্-মাব তালা-কা বিহী; ওয়া ফাদ্দালানী- 'আলা কাছী-রিম-মিম-মান খলাক্ব তাফদ্বী-লা-ন।
(৫০) বিশ লাখ নেকীর দোয়াঃ
উচ্চারণ: লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু- লা-শারী-কা লাহু-; আহাদাং ছমাদান লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউ-লাদ, ওয়ালাম ইয়াকুল লাহু কুফুওয়ান আহাদুন।
(৫১) শয়তান ও তার কুমন্ত্রণা দূর করার দোয়াঃ
তার থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে।
উচ্চারণ: আ'উ-যু বিল্লা-হি মিনাশ শাইতা-নির রাজী-ম।
অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। (আবু দাউদ ১/২০৩, ইবনে মাজাহ ১/২৬৫, নং ৮০৭)
(৫২) রোগী দেখতে গিয়ে তার জন্য দোয়াঃ
উচ্চারণ: লা-বা-সা তুহু-রুন ইনশা-আল্ল-হ।
অর্থ: কোনো ক্ষতি নেই, আল্লাহ যদি চান তো (রোগটি গুনাহ থেকে) পবিত্রকারী হবে। (বুখারী ১০/১১৮, নং ৩৬১৬)
(৫৩) কোনো মুসিবতে পতিত ব্যক্তির দোয়াঃ
উচ্চারণ: ইন-না লিল্লা-হি ওয়া ইন-না ইলাইহি রজিউ-না আল্লাহুম-মা
আজুরনী ফী-মুসী-বাতী- ওয়াউক্লিফ লী- খইরন মিনহা-।
অর্থ: আমরা তো আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। সওয়াব দিন এবং আমার জন্য তার চেয়েও উত্তম কিছু স্থলাভিষিক্ত করে দিন। (মুসলিম ২/৬৩২, নং ৯১৮)
(৫৪) ঘূর্ণিঝড়ে বা তুফানে পড়লে এ দোয়া পড়বেঃ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম মাজ আল্হা-, রহমাতান ওয়ালা- তাজ'আলহা- আযা-বান। আল্ল-হুম-মাজ আল্হা- রিয়া-হান ওয়ালা- তাজ'আলহা- রী-হান। অর্থঃ হে আল্লাহ! এ বায়ুকে রহমত বানিয়ে দিন, একে আযাবের কারণ বানাবেন না। হে আল্লাহ! এ বায়ুকে রহমতের ওসীলা বানান, ধ্বংসের বায়ু বানাবেন না।
(৫৫) ইফতারের সময় রোযাদারের দোয়াঃ
উচ্চারণ: যাহাবায-যামা- ওয়াবতাল্লাতি-ল উরূ-কু ওয়া সাবাতা-ল আজরু ইন্শা----আল্ল-হু।
অর্থ: পিপাসা মিটেছে, শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ চান তো সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে। (আবু দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯)
(৫৬) খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে এ দোয়াঃ
বিসমিল্লাহ বলে ডান হাত দিয়ে খাওয়া শুরু করতে হবে। নিম্নের দোয়াটিও পড়া যায়-
উচ্চারণ: বিস্মিল্ল-হি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি-।
অর্থঃ খাওয়ার শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে। (তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে খাবার গ্রহণের শুরুতেই তাঁর নামে খাবার গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। খাবারের বরকত দান করুন। আমিন!!
(৫৭) আহার শেষ করার পর দো'আঃ
উচ্চারণ : আল্হাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী- আতআমানী- হাযা- ওয়া রাযাকানী-হি মিং- গাইরি হাউলিম মিন-নী- ওয়ালা- কুওয়াতিন।
অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ আহার করালেনএবং এ রিযিক দিলেন যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে কোনো উপায়, ছিল না কোনো শক্তি সামর্থ্য। (আবু দাউদ নং ৪০২৫; তিরমিযী, নং ৩৪৫৮; ইবনে মাজাহ, নং ৩২৮৫)
(৫৮) বৈঠকের কাফফারা (ক্ষতিপূরণ)
উচ্চারণ: সুবহা-নাকাল্লা-হুম-মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা- ইলাহা- ইল্লা আংতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতু-বু ইলাইকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া হক্ক কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট তওবা করি। (আবু দাউদ নং ৪৮৫৮; তিরমিযী নং ৩৪৩৩; নাসাঈ, নং ১৩৪৪)
(৫৯) কেউ ঋণ দিলে তা পরিশোধের সময় দোয়াঃ
উচ্চারণ: বা-রকাল্ল-হু লাকা ফী- আহলিকা ওয়া মা-লিকা, ইন-নামা- জাযা-উস-সালাফি আল হামদু ওয়াল আদা-উ)
অর্থ: আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। ঋণের প্রতিদান তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও (ঠিকভাবে) আদায়। (ইবন মাজাহ ২/৮০৯, নং ২৪২৪)
(৬০) বাজারে প্রবেশের দো'আঃ
উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারী-কালাহু লাহুল-মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহঈ- ওয়াইয়ুমী-তু ওয়াহুয়া হায়্যুল লা- ইয়ামূ-তু বিয়াদিহি-ল খইরু ওয়া হুওয়া 'আলা- কুল্লি শাই'ঈন কুদী---র।
অর্থ: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মারেন। আর তিনি চিরঞ্জীব, মারা যাবেন না। সকল প্রকার কল্যাণ তাঁর হাতে নিহিত। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (তিরমিযী নং ৩৪২৮; ইবন মাজাহ ৫/২৯১, নং ৩৮৬০)
(৬১) আয়াতুল কুরসীর ফযীলতঃ
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (স.) ফরমাইয়াছেন, যে ব্যক্তি সকালবেলা আয়াতুল কুরসী পাঠ করিবে, সেই ব্যক্তি ইহার বরকতে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাবতীয় বিপদাপদ ও অপ্রীতিকর অবস্থা হইতে মাহফুজ থাকিবে। এবং যে ব্যক্তি ইহা সন্ধ্যায় পাঠ করিবে, সেই ব্যক্তি সকাল পর্যন্ত নিরাপদে শান্তিতে থাকিবে। আয়াতুল কুরসী-
উচ্চারণ: আল্ল-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাঁইয়ু-ল কুইয়ু-ম; লা-তা'খুযুহু- সিনাতুও- ওয়ালা-নাউ-ম। লাহু- মা- ফিছমা-ওয়া-তি ওয়ামা- ফিআরদ্ব। মাং- যাল্লাযী- ইয়াশফা'উ 'ইং-দাহ্-ইল্লা- বিইন্নিহী-। ইয়া'লামু মা-বাইনা আইদী-হিম ওয়া মা-খলফাহুম; ওয়া লা-ইয়ুহী-তৃ-না বিশাইয়িম- মিন 'ইস্মিহী - ইল্লা- বিমা-শা- য়া। ওয়াসিয়া' কুসিয়ুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আরদ্ব। ওয়ালা- ইয়াউ-দুহ- হিফযুহুমা-, ওয়া হুওয়াল 'আলিয়ুল 'আযীম।
অর্থ: আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রা স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সব তারই। কে আছে, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? দৃষ্টির সামনে ও পশ্চাতে যা কিছু রয়েছে সবকিছু সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে কোন কিছুকেই তারা পরিবেষ্টিত করতে পারে না; কিন্তু তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর এতদুভয়কে সংরক্ষণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ ও সর্বমহান। (সূরা বাকারা, আয়াত: ২৫৫)
(৬২) সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতঃ
উচ্চারণঃ (২২) হুওয়া-ল লু-হু ল্লাযি- লা ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া, 'আ-লিমু-ল গইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, হুওয়ার রহমা-নুর রহী-- - ম। (২৩) হুওয়াল লু-হু ল্লাযি-লাইলা-হা ইল্লা- হুওয়া, আলমালিকুল কুদ্দু-সুস সালা-মুল মু'মিনুল মুহাইমিনুল 'আঝী-ঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বির; সুবহা-না ল্ল-হি 'আম-মা- ইয়ুশরিকুন। (২৪) হুওয়াল ল্ল-হুল খ-লিকুল বা-রিফুল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা; ইয়ুসাব্বিহু লাহু- মা- ফীস সামা-ওয়া-তি ওয়াল 'আরদ্ব; ওয়াহুওয়াল 'আঝি-ঝুল হাঁকি -- ম।
অর্থঃ (২২) তিনিই আল্লাহ্, যিনি ছাড়া কোন মা'বুদ নাই। (তিনি) গোপন ও প্রকাশ্য সব কিছুই তাঁর জানা। তিনিই রহমান ও রহীম। (২৩) তিনিই আল্লাহ যিনি ছাড়া কোন মা'বুদ নাই। তিনি মালিক- বাদশাহ; অতীব মহান ও পবিত্র। পুরোপুরি শান্তি, নিরাপত্তা দানকারী, সংরক্ষণকারী, সর্বজয়ী, নিজের নির্দেশাবলী শক্তি প্রয়োগে কার্যকরকারী এবং স্বয়ং বড়ত্ব গ্রহণকারী। পবিত্র ও মহান আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে যা লোকেরা করছে। (২৪) তিনি আল্লাহই, যিনি সৃষ্টি-পরিকল্পনা রচনাকারী ও এর বাস্তবায়নকারী এবং সে অনুযায়ী আকার-আকৃতি প্রদানকারী। তাঁরই জন্য অতীব উত্তম নামসমূহ। আকাশমণ্ডলী আর পৃথিবীর প্রতিটি জিনিস তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছে। আর তিনি প্রবল পরাক্রান্ত এবং সকল জ্ঞানে পূর্ণ।
(৬৩) প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকার দোয়াঃ
রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া ৩ বার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে- তিরমিজী শরীফ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১৭৩
উচ্চারণঃ বিস্মিল্লা-হিল লাযী-লা- ইয়াদুররু মা'আ-স মিহি শাইয়ুং- ফী-ল আদি ওয়ালা- ফীস সামা----য়ি্য ওয়াহুয়া-স সামী-ফুল 'আলী---ম।
(৬৪) ব্যাথা উপশমের দোয়াঃ
হযরত উসমান (রা.) একবার ব্যাথার যন্ত্রণায় কাতড়াচ্ছিলেন রাসূল (সা.) বললেন, আপনি ডান হাত দিয়ে ব্যাথার স্থান বুলানোর সময় এই দোয়া ৭ বার পড়ুন। ব্যাথা ধীরে ধীরে কমে যাবে। সুনান আবু দাউদ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৫৪৩
উচ্চারণ: আউ-যুবি ইজ্জাতিল্লা-হি ওয়া কুদরতিহি মিং-শাররি মা- আজিদু।
(৬৫) স্ত্রী সহবাসের দোয়াঃ
উচ্চারণ: বিস্মিল্লা-হি আল্ল-হুম-মা জান-নিবনা-শ শায়ত্বা-না ওয়া জান ~নিবি-শ শায়ত্বা-না মা- রযাক্বতানা-।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে, তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখ।
(৬৬) সম্পদ লাভের দোয়াঃ
উচ্চারণ: লা--- ইলা-হা ইল্লা-ল্ল-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কা লাহ্। লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া 'আলা- কুল্লি শাইইং- বন্দী---র।
আল্লাহুম- মা লা- মা-নিআ লিমা- আ-তাইতা। ওয়ালা- মুতিয়া লিমা- মানাতা। ওয়ালা- ইয়াং-ফাউ জাল জাদ্দা মিং--কা-ল জাদ্দু।
অর্থ: এক আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তার কোনো শরিক নেই। সকল সার্বভৌমত্বের মালিক তিনি। সকল প্রশংসা তার। তিনি সবকিছুর ওপর সামর্থবান।
হে আল্লাহ! আপনি যা দিবেন তা প্রতিরোধ করার কেউ নেই। আর আপনি যা বাঁধা দিবেন তা দেয়ার কেউ নেই। কোনো সম্পদশালীকে তার সম্পদ আপনার থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
(৬৭) শয়তানের কু-মন্ত্রণা হতে বাঁচার দোয়াঃ
উচ্চারণ: রব্বি আ'উ-যুবিকা মিন হামাযা-তি-শ শাইয়া-ত্বী-নি ওয়া আ'উ-যুবিকা রব্বি আই-ইয়াহ দুরু- - - ন।
অর্থঃ হে আমার প্রভু! আমি তোমার নিকট শয়তানের কু-মন্ত্রণা হতে পানাহ প্রার্থনা করছি। আর আমার নিকট তাদের উপস্থিতি হতেও পানাহ চাচ্ছি।ও (সূরা মুমিনূন, আয়াত: ৯৭-৯৮)
(৬৮) খারাপ স্বপ্ন দেখিয়া পড়িবার দোয়াঃ
বর্ণিত আছে, খারাপ স্বপ্ন দেখিয়া বাম পার্শে তিনবার থু থু ফেলিবে এবং যেই পার্শ্বে শোয়া ছিলে ঐ পার্শ্ব পরিবর্তন করিয়া শুইবে আর এই দোয়া তিনবার পাঠ করিবে এবং কাহারো নিকট বলিবে না।
উচ্চারণ: আ'উযুবিল্ল-হি মিনা-শ শাইত্ব-নির রজী-মি ওয়া শাররি হা-যিহির রু-ইয়া-।
(৬৯) খারাপ স্বপ্ন দেখিয়া ভয় পাইলে পড়িবার দোয়াঃ
হাদীসে বর্নিত আছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আস (রা.) এর অভ্যাস ছিল তিনি এই দোয়াটি তাঁহার বয়স্ক সন্তানদিগকে শিখাইতেন এবং নাবালেগ সন্তানদের জন্য ইহা লিখিয়া গলায় বাঁধিয়া দিতেন।
উচ্চারণ: আ'উ-যু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম- মাতি মিন গদাবিহী ওয়া 'ইকু-বিহী ওয়া শাররি 'ইবা-দিহী ওয়ামিন হামাযা-তিশ শাইয়াত্বী-নি ওয়া আই-য়াহদুরু- - - -ন।
(৭০) জিহ্বার জড়তা দূর করার দোয়া (মূসা আঃ-এর দোয়া)
উচ্চারণ: রব্বিগ্রহী- ছদ্রী- ওয়া ইয়াসির লী আম্রী- ওয়াহলুল 'উকুদাতাম- মিল্লিল্লসা-নী- ইয়াক্বহু- কুওলী-।
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার অন্তর খুলে দাও, আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও এবং আমার জবানের জড়তা দূর করে দাও, যেন মানুষেরা আমার কথা বুঝতে পারে। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ২৫-২৮)
(৭১) বিপদ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া (ইউনুস আঃ-এর দোয়া)
উচ্চারণ: লা--- ইলা-হা ইল্লা- আং~~তা সুবহা-নাকা ইন-নী- কুং-তু মিনা-জ জা-লিমী---ন।
অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ মহাপবিত্র, নিশ্চয়ই আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৮৭)
(৭২) যানবাহনে বসে পাঠ করার দোয়াঃ
উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লাযী- সাখখর লানা- হা-যা- ওয়া মা- কুন-না লাহু- মুকুরিনী-ন। ওয়া ইন-না- ইলা- রব্বিনা- লামুং- কুলিবু---ন।
অর্থ: পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি এদেরকে আমার বশীভূত করে দিয়েছেন। আমরা বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাবো। (সূরা যুখরুফ, আয়াত ১৩-১৪)
(৭৩) নৌকা ও জাহাজ ইত্যাদি জলযানে আরোহণের দোয়াঃ
উচ্চারণ: বিস্মিল্ল-হি মাজরি-হা- ওয়া মুরসা-হা- ইন-না রাব্বী- লাগাফু-রুর রহী-ম। অর্থ : আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি, আমার পালনকর্তা অতি ক্ষমাপরায়ণ মেহেরবান। (সূরা হুদ, আয়াত ৪১)
(৭৪) বিপদে ও মুছীবতে পড়লে দোয়াঃ
উচ্চারণ: ইন-না লিল্লা-হি ওয়া ইন-না ইলাইহি র-জি'উ---ন।
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁর সান্নিধ্যে। ফিরে যাব। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৫৬)
(৭৫) খাবার গ্রহণের সময় দোয়াঃ
বিসমিল্লাহ বলে ডান হাত দিয়ে খাওয়া শুরু করতে হবে। নিম্নের দোয়াটিও পড়া যায়-
উচ্চারণঃ আল্ল-হুম-মা বা-রিক্ লানা-ফী-হি ওয়া আত্ব'ইন্না- খইরন্ মিন্টু। অর্থঃ হে আল্লাহ। আমাদেরকে এতে বরকত দিন, ভবিষ্যতে আরো উত্তম খাদ্য দিন। (তিরমিযী আবু দাউদ, মিশকাত হা/৪০৯৮)
(৭৬) মহা প্রভু আল্লাহর রহমত কামনার দোয়াঃ
উচ্চারণ: রব্বানা- লা-তুআখিযনা না-, রব্বানা- ওয়ালা- তাহমিল 'আলাইনা ইন্না সী-না আও আখত্ব- ইছরং কামা- হামালতাহু- 'আলা-ল্লাযী-না মিং--কুবলিনা-, রব্বানা- ওয়ালা- তুহাম-মিল্লা- মা-লা- ত্বক্বতা লানা- বিহ্; ওয়া'ফু আন-না-, ওয়াগফিরলানা- ওয়ারহামনা- আং~~ তা মাওলা-না-, ফাং-ছুরনা- 'আলাল কুওমিল কা-ফিরী-ন।
অর্থঃ হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তি বশতঃ আমাদের যা কিছু ত্রুটি হয় তার জন্য আমাদিগকে শাস্তি দিয়ো না। হে আমাদের প্রভু! আমাদের প্রতি সেরূপ বোঝা চাপিয়েনা যেরূপ পূর্ববর্তী লোকদের প্রতি চাপিয়েছিলে। হে আমাদের রব! যে বোঝা বহন করার শক্তি আমাদের নেই, তা আমাদের উপর চাপিয়ো না। আমাদের প্রতি (তোমার) উদারতা দেখাও; আমাদের অপরাধ ক্ষমা কর; আমাদের প্রতি রহমত বর্ষন কর। তুমিই আমাদের মাওলা ও আশ্রয়দাতা, কাফেরদের বিরুদ্ধে তুমি আমাদিগকে সাহায্য কর। (সূরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬)
(৭৭) কিয়ামতের দিন লাঞ্ছনা হতে বাঁচার দোয়াঃ
উচ্চারণ: রব্বানা ইন- নাকা মাং- তুখিলিন- না-র ফাকুদ্ আখ্যাইতাহু- ওয়ামা- লিয্য-লিমী-না মিন্ আং-ছ-র। রব্বানা---ইন-না না-সামি'না-মুনা-দিয়াই-ইউনা-দী- লিল্ ইমা-নি আন্ আ-মিনু- বিব্বিকুম ফাআ-মান-না-; রব্বানা- ফাগফির লানা- যুনূ-বানা- ওয়া কাফির 'আন - না সাইয়িআ-তিনা- ওয়া তাওয়াফ্ফানা- মা'আল আবর-র। রব্বানা- ওয়া আ-তিনা- মা- ওয়া আত্তানা-'আলা- রুসুলিকা ওয়ালা- তুখঝিনা- ইয়াওমাল ক্বিয়া-মাতি ইন-নাকা লা-তুখলিফুল মী-'আ ---দ।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছ তাকে বাস্তবিকই বড়ই অপমান করেছ, আর এই যালেমদের কেউ সাহায্যকারী নেই। হে মাবুদ! আমরা একজন আহ্বানকারীর ঈমানের আহ্বান শুনেছি, যে, তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন। তাই আমরা ঈমান এনেছি। অতএব হে প্রভু! যে অপরাধ আমরা করেছি তা ক্ষমা করে দাও। আমাদের যা কিছু অন্যায় ও দোষ-ত্রুটি রয়েছে তা দূর করে দাও এবং নেক লোকদের সাথে আমাদেরকে মৃত্যু প্রদান কর। হে প্রভু! তুমি তোমার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যেই ওয়াদা করেছ তা পূর্ণ কর এবং কেয়ামতের দিন আমাদিগকে লাঞ্ছিত করিও না। নিশ্চয়ই তুমি ওয়াদা ভঙ্গকারী নও। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৯২-১৯৪)
আল-কুরআনে বর্ণিত নবী (আ.) গণের দোয়া
(৭৮) হযরত আদম (আ.)-এর দোয়াঃ
উচ্চারণ: রব্বানা- যলামনা আং-ফসানা ওয়া ইললাম তাগফিরলানা- ওয়া তাহামা- লানা কু-নান- না মিনাল খ-সিরী - - - ন।
অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি; এখন তুমি যদি আমাদিগকে ক্ষমা না ক