দীন ইসলাম

দীন ইসলাম Visit Visa, Work Visa & Student Visa Processing.

20/11/2024

দোয়ার ভান্ডারঃ

(০১) কালিমায়ে তাইয়্যেবঃ

উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুহাম-মাদুর রসূ-লুল্ল-হ।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেহ উপাস্য নাই, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।

(০২) কালিমায়ে শাহাদাতঃ

উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কালাহু ওয়া আশহাদু আন্-না মুহাম্মাদান 'আবদূহু- ওয়া রসূ-লুহু-।

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেহই উপাস্য নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাঁহার কোন শরীক নেই, এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিতেছি। যে, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।

(০৩) কালিমায়ে তাওহীদঃ

উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লা- আং- তা ওয়া হিদাল্লা-ছা-নিআলাকা মুহাম্-মাদুর রসূ-লুল্ল-হি ইমা-মুল মুত্তাক্বী-না রস-লু রব্বিল 'আ-লামী --- ন।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য আর কেহই নেই, তুমি এক ও শরীকবিহীন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুত্তাক্বীগণের নেতা ও বিশ্বপ্রতিপালকের রাসুল।

(০৪) কালিমায়ে তামজীদঃ

উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লা- আং~~ তা নূ-রই- ইয়াহ দিয়াল্ল-হু লিনূ-রিহী। মাই-য়াশা-উ মুহাম্মাদুর রসূ-লুল্ল-হি ইমা-মুল মুরসালি-না খ-তামুন-না বিই --- ন।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য অন্য কেহই নেই। তুমি জ্যোতিময় আল্লাহ, তুমি যাহাকে ইচ্ছা তোমার স্বীয় জ্যোতি দ্বারা পথ প্রদর্শন করে থাক, হযরত মুহাম্মাদ (সা.) রাসূলগণের নেতা ও আখেরী নবী।

(০৫) বেহেশত লাভের দোয়াঃ

উচ্চারণঃ রব্বানা ওয়াদখিলহুম জান-নাতা আদনিনিল্লাতী-ওয়া আতাহুম ওয়ামাং ছালাহা মিন আ-বা- -- -ইহিম ওয়া আযওয়াজিহিম ওয়া যুররিয়‍্যাতিহিম ইন-নাকা আং~~তাল আযী-যুল্ হাকী- - -ম।

অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে বেহেশতের চিরস্থায়ী বাগিচায় প্রবেশ করাও। যার সম্পর্কে তুমি ওয়াদা করেছ এবং তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতি যারা নেক কাজ করে তাদের বেহেশত নছীব কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী। (সূরা আল মু'মিন, আয়াত: ৮)

(০৬) দুনিয়া ও আখিরাতের সকল পেরেশানী হতে বাঁচার দোয়াঃ

হযরত আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলে করীম বলেছেন, যে লোক সকাল ও সন্ধ্যায় সাতবার করে নিচের দোয়া পাঠ করবে আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের সকল পেরেশানী দূর করবেন। দোয়াটিঃ

উচ্চারণ: হাসবিয়াল্ল-হু লা---ইলা-হা ইল্লা- হুয়া আলাইহি তাওয়াক কালু ওয়া হুয়া রব্বুল্ আরশিল আযী---ম।

(০৭) দুনিয়ার কল্যাণ লাভের দোয়াঃ

হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল তাঁর চাচা আব্বাস (রা.)-কে বললেন, চাচা জান; আমি আপনাকে দ্বীন দুনিয়ার কল্যাণের জন্য একটি শ্রেষ্ঠ কথা বলে দিব কি? চাচা বললেন, বাবা বল আপনি সবসময় এ দোয়া পড়বেন:

উচ্চারণ: সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল্হামদু লিল্ল-হি ওয়া লা---ইলা-হা ইল্লা-ল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আব্বার।

(০৮) তাওবাহ কবুল হওয়ার আমলঃ

উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম মা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম-মা মাগফিরলী- ইন-না আং~~তা তাওয়‍্যাবুর রাহী---ম।

(০৯) ঈমান সঠিক রাখার আমলঃ

উচ্চারণ: ইয়া- মুকুল্লিবাল কুলু-বি কুল্লিব-'আলা- দ্বী-নিকা।

(১০) ঈমানের সাথে মৃত্যু হওয়ার আমলঃ

উচ্চারণ : রব্বানা- লা-তুযিগ্‌ কুলু-বানা- বা'দা ইম্ হাদাইতানা- ওয়া হাক্কানা- মিল্লা দুকা রহমাতান ইন-নাকা আং~~তাল ওয়াহ্হা---ব।

(১১) স্ত্রী-পুত্র ধার্মিক হওয়ার আমলঃ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে মুনাজাত করবে। আল্লাহর ইচ্ছায় স্ত্রী-পুত্র ও কন্যাগণ ধার্মিক হবে।

উচ্চারণ: রব্বানা- হাবলানা- মিন আযওয়া-জিনা- ওয়া যুরিয়া-তিনা- কুব্রতা 'আয়ুনিওঁ- ওয়াজ'আল্লা- লিল্ মুত্তাক্বী-না ইমা---মা-।

অর্থঃ হে আমাদের পালনেওয়ালা। আমাদের স্ত্রীগণের দ্বারা ও আমাদের সন্তানদের দ্বারা আমাদের চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদিগকে মুত্তাক্বীদের ইমাম বানাও। (সূরা ফুরকান, আয়াত: ৭৪)

(১২) তওবার দোয়াঃ

উচ্চারণ : আস্তাগফিরুল্ল-হা রব্বী- মিং- কুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আ-তৃ-বু ইলাইহি লা-হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্ল-হিল্ আলী-ইল আজী---ম।

(১৩) শবে ক্বদরের রাত্রে পড়ার দোয়াঃ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মা ইন-নাকা আফুয়্যুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু 'আন -নী- ইয়া- গফু-রু, ইয়া- গফু-রু, ইয়া- গফু---র।

অর্থ: আয় আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল ক্ষমাকে আপনি ভালবাসেন, তাই আমাকে মাফ করে দিন। আপনি ক্ষমাকারী। আপনি ক্ষমাকারী, আপনি ক্ষমাকারী।

(১৪) শয়নের পূর্বে ইস্তিগফারঃ

বিছানায় শোয়ার সময় এ দোয়াটি তিনবার পাঠ করলে অশেষ নেকী হাসিল হয়।

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্ল-হাল লাযী-লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়ুল্ কুইয়ু-মু ওয়া আ-তু-বু ইলাইহি।

অর্থ: আমি আল্লাহ তা'আলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী এবং আমি তাহার নিকট তওবা করিতেছি।

(১৫) ইলম বৃদ্ধির জন্য দোয়াঃ

ইলম বৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাসূল-কে এ দোয়া পাঠ করতে বললেন। তাই আমরাও ইলম বৃদ্ধির জন্য এ দোয়া পাঠ করতে পারি।উচ্চারণ: রব্বিগ্রহলী- ছদ্রী- ওয়া ইয়াসির লী আমরী- ওয়াহলুল 'উক্বদাতাম- মিল্লিল্লসা-নী- ইয়াক্বহু- কুওলী-।

অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার অন্তর খুলে দাও, আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও এবং আমার জবানের জড়তা দূর করে দাও, যেন মানুষেরা আমার কথা বুঝতে পারে। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ২৫-২৮)

(১৬) সন্তান লাভের দোয়াঃ

আমাদের সন্তান না হলে আমরা পীর, ফকিরের কাছে কেন যাই? মহান আল্লাহ পাকের কাছে নিম্নের দোয়া পাঠ করে তো চাইতে পারি-

উচ্চারণঃ রব্বি হাবলী- মিল্লাদুং-কা যুরিয়াতাং- তুই ইবাতান ইন্-নাকা সামী-'উদ দু'আ ---- য়ি।

অর্থঃ হে আমার রব! তোমার বিশেষ দয়ায় আমাকে সৎ সন্তান দান কর। প্রকৃতপক্ষে তুমিই দোয়া শ্রবণকারী। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত: ৩৮)

(১৭) কবরে মুনকার নাকীরের প্রশ্নের জবাব সহজ হওয়ার দোয়াঃ

কবরে মুনকার নাকীরের প্রশ্নের জবাব সহজ হওয়ার জন্য ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর নিম্নের দোয়া তিন বার পাঠ করবে:

উচ্চারণ: রদ্বী-তু বিল্লা-হি রব্বাওঁ- ওয়াবিল ইস্লা-মি দ্বী-নাওঁ ওয়াবি মুহাম-মাদিন নাবিয়্যাও ওয়া রসূ-লান।

অর্থ: আমি রাজি হয়েছি এ অবস্থার উপর যে, মহান আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং ইসলাম আমার ধর্ম, আর হযরত মুহাম্মাদ নবী বা রাসূল। আল্লাহর

(১৮) কবরের উপর মাটি দেবার সময় এ দোয়া পড়তে হয়ঃ

উচ্চারণ : মিনহা- খলাকুনা-কুম্ ওয়াফী-হা- নুয়্যি-দুকুম ওয়ামিনহা- নুখরিজুকুম তারতান উখর-।

অর্থ: এ মাটি হতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ মাটির মধ্যে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে আবার এ মাটি হতে তোমাদেরকে পুনরায় বের করা হবে।

(১৯) কোন বিপদে পড়লে এ দোয়া পড়বে কোন বিপদে পড়লে বা বিপদের আশংকা হলে তাহলে এই দোয়া পড়বে

উচ্চারণ: হাসবুনা- লু-হু ওয়া নি'অমাল ওয়াকী-লু আলা- ল্ল-হি তাওয়াক্কালনা।

অর্থ: আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট তিনিই উত্তম কার্য নির্বাহক এবং তার উপরই আমাদের ভরসা।

(২০) কোন কাজ কঠিন বা মুশকিল হলে এ দোয়া পড়বেঃ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম-মা ইয়াসির লানা- উমু-রনা-।

অর্থঃ হে আল্লাহ আমাদের কাজগুলো সহজ করে দিন।

(২১) অস্থিরতায় পতিত হলে এ দোয়া পড়বেঃ

উচ্চারণ: ইয়া- হাইয়্যু ইয়া- ক্বাইয়্যুমু বিরহমাতিকা আস্তাগী-ছু।

(২২) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এ দোয়া পড়তে হয়ঃ

উচ্চারণ: বিসমিল্ল-হি তাওয়াক্কালতু আলা-ল্লা-হি, ওয়ালা- হাওয়ালা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্ল-হি।

অর্থ: আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। (আবু দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০, নং ৩৪২৬)

(২৩) লাশ কবরে রাখার সময় এ দোয়া পড়তে হয়ঃ

উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হি ওয়া আলা- মিল্লাতি রসূ-লিল্লা-হি।

অর্থ: মহান আল্লাহ পাকের নামে এবং মহান আল্লাহর রাসূল-এর দলভুক্ত হিসাবে অর্পণ করলাম। (আবু দাউদ ৩/৩১৪, নং ৩২১৫)

(২৪) মসজিদে প্রবেশ করার দোয়াঃ

মসজিদে প্রথম ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবে এবং এ দোয়াটি পড়বে।

উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মাফতাহ্ লী- আবওয়া-বা রহমাতিকা।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। (মুসলিম-১৫২৯, আবু দাউদ-৪৬৫, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী)

(২৫) মসজিদ হতে বের হওয়ার দো'আঃ

মসজিদ হতে বাম পা দিয়ে বের হতে হতে এই দোয়া পড়তে হবে-

উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মা ইন-নী-আআলুকা মিং- ফাদ্বলিকা।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ কামনা করছি। (মুসলিম-১৫২৯, আবু দাউদ-৪৬৫, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী)

(২৬) শৌচাগারে প্রবেশের আগে পড়ার দোয়াঃ

শৌচাগারে প্রবেশের আগে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়বে এবং বাম পা আগে দিয়ে ঢুকবে।

উচ্চারণ: আল্লা-হুম- মা ইন- নী- আ'উযুবিকা মিনা-ল খুবসি ওয়াল খবা-ইসি।

অর্থঃ (আল্লাহর নামে) হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্‌ থেকে আশ্রয় চাই। (বুখারী ১/৪৫, নং ১৪২; মুসলিম ১/২৮৩ নং ৩৭৫)

(২৭) শৌচাগার হতে বের হওয়ার পর এ দোয়া পড়তে হয় পায়খানা হতে ডান পা আগে দিয়ে বের হবে।

উচ্চারণ: গুফর-নাকা আল্হাম্দু লিল্ল-হিল্লাযী- আযহাবা 'আন-নী-ল আযা ওয়া আ-ফা-নী-।

অর্থঃ হে আল্লাহ আপনারই নিকট ক্ষমা চাই, সব প্রশংসা ঐ মহান আল্লাহর জন্য যিনি আমার হতে নাপাকী বের করেছেন এবং আমাকে সুস্থ করেছেন। (আবু দাউদ নং-৩০; তিরমিযী নং-৭; ইবন মাজাহ নং-৩০০)

(২৮) মন খারাপ হলে পড়ার দোয়াঃ

উচ্চারণ : আলহাম্দু লিল্লা-হি আলা- কুল্লি হা-লিন।

(২৯) অযু করার আগে পড়ার দোয়াঃ

অযু করার শুরুতে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করে অযু আরম্ভ করবে

উচ্চারণ: বিস্মিল্লা-হিল 'আলিয়্যিল আযী-ম আল্লহাম্দু লিল্লা-হি 'আলা- দ্বী-নি-ল ইস্লামি হাক্কুন ওয়া-ল কুফরু বা-ত্বিলুন আল ইস্লা-মু নূ-রুন ওয়াল কুফরু যুলমাতুন।

(৩০) মাথা ধরা দূর করার আমলঃ

মাথা বেদনার সময় নিম্নোক্ত আয়াত লিখে মাথায় বেঁধে রাখলে ইনশাআল্লাহ মাথা ধরা দূর হবে।

উচ্চারণ : বিস্মিল্লা-হিশ্ শা-ফী- বিস্মিল্লা-হিল্ কা-ফী- বিস্মিল্লা-হিল মাআ-ফী- বিস্মিল্লা-হি মাদ্রিহা- ওয়া মুসাহা- ইন-না রব্বী- 'আলা- ছির-তিম-মুস্তাক্বী-ম।

(৩১) নামাজের পরে মুনাজাতঃ

উচ্চারণ: রব্বানা- -আ-তিনা- ফিদ্দুনইয়া- হাসানাতাওঁ - ওয়া ফিল আ-খিরতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা- 'আযা-বান-না---র।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদিগকে ইহকালে ও পরকালে কল্যাণ দান কর। এবং জাহান্নামের আজাব হতে আমাদিগকে রক্ষা কর। ও (সূরা বাকারা, আয়াত: ২০১)

(৩২) সুখী জীবন লাভের দোয়াঃ

উচ্চারণ: রব্বানা- হাক্কানা- মিন আযওয়া-জিনা- ওয়া যুরিয়া-তিনা- কুরতা 'আয়ুনিও- ওয়াজ 'আল্লা- লিল্ মুত্তাক্বী-না ইমা-মা-।

অর্থঃ হে আমাদের পালনেওয়ালা। আমাদের স্ত্রীগণের দ্বারা ও আমাদের সন্তানদের দ্বারা আমাদের চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদিগকে মুত্তাক্বীদের ইমাম বানাও। (সূরা ফুরকান, আয়াত: ৭৪)

(৩৩) ইফতারের দোয়াঃ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মা ছুমতু লাকা ওয়া তা ওয়াক্কালতু আলা- রিজকিকা ওয়া আফতারতু বিরহমাতিকা ইয়া- আর হামার র-হিমী-ন।

(৩৪) বাজারে প্রবেশের সময় এ দোয়া দোয়া পড়বেঃ

(৩৫) যাবতীয় বালা মুছিবত থেকে বাঁচার দোয়াঃ

সকাল ও সন্ধ্যায় এ দোয়া তিনবার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ আসমান ও যমীনের কোন কিছুই তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

উচ্চারণ : বিস্মিল্লা-হিল্লাযী- লা- ইয়াদুরু মাআসমিহী- শাইউন ফী-ল আবৃদ্ধি ওয়ালা- ফী-স সামা----য়ি ওয়া হুয়াস- সামী-উল আলী-ম।

(৩৬) কবর যিয়ারতের দোয়াঃ

উচ্চারণ: আস্ সালা-মু'আলাইকুম ইয়া- আহ্হ্লাল কুবূ-রি মিনাল মু'মিনী-না ওয়াল মু'মিনা-তি ওয়াল মুস্লিমী-না ওয়াল মুস্লিমা-তি, ইয়াগফিরুল্লা-হু লানা- ওয়ালাকুম আং~~তুম সালাফুল লানা- ওয়া নাহনু বিলআছা-র।

অর্থ: আপনাদের প্রতি আমাদের সালাম হে কবরবাসী মুমিন নর-নারীগণ, হে মুসলিম নর-নারীগণ আল্লাহ ক্ষমা করে দিন আমাদের ও আপনাদের গুনাহসমূহ। আপনারা আমাদের আগে গমনকারী এবং আমরা আপনাদের অনুসরণকারী।

এই দোয়া পাঠ করিবার পরে সূরা ফাতিহা, সূরা কাফিরুন, আয়াতুল কুরসী একবার করিয়া পাঠ করিবে। অতঃপর ১১ বার দরূদ শরীফ পাঠ করিয়া ইহার সওয়াব কবরস্থানের মুর্দারগণের রূহের প্রতি পৌঁছাইবে।

উচ্চারণঃ সুবহা-নাকাল্লা-হুম-মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা--- ইলা-হা ইল্লা- আং--তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আ-তুবু ইলাইকা।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া হক্ক কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট তওবা করি। (আবু দাউদ নং ৪৮৫৮; তিরমিযী নং ৩৪৩৩; নাসাঈ, নং ১৩৪৪)

(৩৭) ঘুমাবার আগে এ দোয়া পড়তে হয়ঃ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম-মা বিস্মিকা আমু-তু ওয়া আহ্ইয়া-।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো। (বুখারী ১১/১১৩, নং ৬৩২৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১)

(৩৮) ঘুম হতে উঠে এ দোয়া পড়তে হয়ঃ

উচ্চারণ : আল্হাম্মদু লিল্লা-হিল্লাযী- আহইয়া-না- বা'দা মা-আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন-নুশূ-র।

অর্থঃ মহান আল্লাহর শুকর, যিনি মৃত্যুর নিকটবর্তী করার পর আমাকে জীবিত করছেন। শেষ পর্যন্ত আমরা তারই কাছে ফিরে যাব। (বুখারী ফাতহুল বারী ১১/১১৩, নং ৬৩১৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১)

(৩৯) জাহান্নামের অগ্নি হতে বাঁচার দোয়াঃ

উচ্চারণ: রব্বানা --ইন- না না- আ-মান-না- ফাক্লিানা- যুনূ- বানা- ওয়া ক্বিনা- 'আযা-বান-না---র।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, আমাদের গুনাহ সমূহ ক্ষমা
কর এবং আমাদিগকে দোযখের অগ্নি হতে বাঁচাও। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত: ১৬)

(৪০) আশি বৎসরের গুনাহ মাফীর দরূদঃ

ফযীলত : নুযহাতুল মাজালেছ কিতাবে উল্লেখ আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (স.) এরশাদ ফরমাইয়াছেন- যে ব্যক্তি জুমুআর দিবসে আছর নামাজের পরে এই দরূদ শরীফ ৮০ বার পাঠ করিবে, তাহার ৮০ বৎসরের গুনাহ মাফ হইয়া যাইবে।

উচ্চারণ: আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- মুহাম-মাদিনিন- নাবিয়িল উম- মিই ওয়া 'আলা- আ-লিহী- ওয়া আছহাঁ-বিহী- ওয়া বা-রিক ওয়া সাল্লিম।

(৪১) স্বপ্নের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.)কে দেখিবার দরূদ শরীফঃ

যেই ব্যক্তি এই দরূদ শরীফ নিয়মিত পাঠ করিবে, সে ব্যক্তি স্বপ্নের মধ্যে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে স্বপ্নে দর্শন লাভ করিবে। আর যেই মুমিন ব্যক্তি হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে স্বপ্নের মধ্যে দর্শন লাভ করিবে সে রোজ কেয়ামতে তাঁহার শাফায়াত লাভ করিবে এবং দোযখ তাহার জন্য হারাম হইয়া যাইবে।

উচ্চারণ: আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- মুহাম- মাদিং কামা- আমারতানা-

আন- নুছল্লিয়া 'আলাইহি, আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- মুহাম-মাদিং- কামা- হুওয়া- আহলুহু, আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- মুহাম-মাদিং~~কামা- তুহিব্বু ওয়া

তারদ্ব-, আল্ল-হুম-মা ছল্লি 'আলা- রু-হি মুহাম-মাদিং ফিল আরওয়া-হি, আল্ল-হুম-মা-ছল্লি 'আলা- জাসাদি মুহাম-মদিং- ফিল আজসা-দি আল্ল-হুম-
মা ছল্লি 'আলা- কুবরি মুহাম-মাদিং ফিল কুবু--- র।

(৪২) কিয়ামতের দিন পিতা মাতা ও সকল মুমিনের মাগফিরাত কামনার জন্য দোয়াঃ

উচ্চারণ: রব্বানা- গফিরলী- ওয়ালি ওয়া-লিদাইয়া ওয়ালিল মু'মিনী-না ইয়াওমা ইয়াকু-মুল হিসাব।

অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল মুমিনদিগকে সেই দিবসে ক্ষমা করে দিও, যে দিন হিসাব কার্যকরী হবে। (সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ৪১)

(৪৩) স্বীয় ভ্রাতা ও নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়াঃ

উচ্চারণ: রব্বিগফিরলী- ওয়ালিআখী- ওয়া আখিল্লা-ফী- রহমাতিকা ওয়া আং--তা আর হামুর্ র-হিমী- - - ন।

অর্থঃ হে আমার প্রভু! আমাকে ও আমার ভাইকে ক্ষমা কর এবং আমাদিগকে তোমার রহমতের মধ্যে দাখিল কর। তুমিই সবচেয়ে দয়াবান। (সূরা আরাফ, আয়াত ১৫১)

(৪৪) পিতা মাতার জন্য দোয়াঃ

উচ্চারণ: রব্বিরহামহুমা- কামা- রব্বাইয়া-নী- ছগী-র-।

অর্থঃ হে আমার প্রভু! তাদের (পিতা-মাতার) প্রতি রহমত কর, যেমনিভাবে তারা আমাকে বাল্যকালে লালন-পালন করেছেন। (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ২৪)

(৪৫) শয়নকালের দোয়াঃ

হাদীসে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (স.) ফরমাইয়াছেন, শয়নের পূর্বে অজু না থাকিলে অজু করতঃ শয়ন করিবে। শুইবার পূর্বে যেকোন কাপড় দ্বারা বিছানা তিনবার ঝাড়িয়া লইবে। অতঃপর এই দোয়া পাঠ করিয়া বিছানায় শয়ন করিবে।

উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লা-ল্ল-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া 'আলা- কুল্লি শাইইং~~ কুদী-র। লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ। সুবহাঁ-নাল্ল-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়া লা-ইলা-হা ইল্লা-ল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আব্বার।

(৪৬) ঋণ পরিশোধের দোয়াঃ

কোন লোক ঋণগ্রস্ত হইয়া আদায়ের ব্যবস্থা না থাকিলে এই দোয়া পড়িতে থাকিলে আল্লাহ তাআলা ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করিয়া দিবেন।

উচ্চারণ: আল্ল-হুম্-মাকফিনী- বিহাঁলা-লিকা 'আন হার-মিকা ওয়াআগ্নিনী- বিফালিকা 'আম-মাং-সিওয়া---কা।

(৪৭) মাল-সম্পদ বর্ধিত হইবার দোয়াঃ

উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ছল্লি 'আলা- মুহাম- মাদিন 'আবদিকা ওয়া রসূ-লিকা ওয়া 'আলা-ল মু'মিনী-না ওয়াল মু'মিনা-তি, ওয়াল মুসলিমী-না ওয়াল মুসলিমা-তি।

(৪৮) ঈমানের সহিত মৃত্যু হইবার দোয়াঃ

উচ্চারণ: বিস্মিল্লা-হি আল্ল-হুম-মা আস্লামতু নাফসী- ইলাইকা ওয়া ওয়াজজাহতু ওয়াজহী- ইলাইকা, ওয়া ফাওয়াদতু আমরী- ইলাইকা। ওয়া আজ্জা-তু যাহরী- ইলাইকা, রগবাতাওঁ ওয়া রহবাতীন ইলাইকা। লা-মালজা-য়া ওয়া লা-মাং-জা-য়া মিং-কা ইল্লা- ইলাইকা। আ-মাং-তু বিকিতা-বিকাল্লাযী- আং~~ ফালতা ওয়া নাবিয়িকাল্লাযী- আরসালতা।

(৪৯) রোগাক্রান্ত দেখিলে পড়িবার দোয়াঃ

উচ্চারণ: আল্হাম্মদু লিল্লা-হিল্লাযী- 'আ-ফা-নী- মিম্-মাব তালা-কা বিহী; ওয়া ফাদ্দালানী- 'আলা কাছী-রিম-মিম-মান খলাক্ব তাফদ্বী-লা-ন।

(৫০) বিশ লাখ নেকীর দোয়াঃ

উচ্চারণ: লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু- লা-শারী-কা লাহু-; আহাদাং ছমাদান লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউ-লাদ, ওয়ালাম ইয়াকুল লাহু কুফুওয়ান আহাদুন।

(৫১) শয়তান ও তার কুমন্ত্রণা দূর করার দোয়াঃ

তার থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে।

উচ্চারণ: আ'উ-যু বিল্লা-হি মিনাশ শাইতা-নির রাজী-ম।

অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। (আবু দাউদ ১/২০৩, ইবনে মাজাহ ১/২৬৫, নং ৮০৭)

(৫২) রোগী দেখতে গিয়ে তার জন্য দোয়াঃ

উচ্চারণ: লা-বা-সা তুহু-রুন ইনশা-আল্ল-হ।

অর্থ: কোনো ক্ষতি নেই, আল্লাহ যদি চান তো (রোগটি গুনাহ থেকে) পবিত্রকারী হবে। (বুখারী ১০/১১৮, নং ৩৬১৬)

(৫৩) কোনো মুসিবতে পতিত ব্যক্তির দোয়াঃ

উচ্চারণ: ইন-না লিল্লা-হি ওয়া ইন-না ইলাইহি রজিউ-না আল্লাহুম-মা

আজুরনী ফী-মুসী-বাতী- ওয়াউক্লিফ লী- খইরন মিনহা-।

অর্থ: আমরা তো আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। সওয়াব দিন এবং আমার জন্য তার চেয়েও উত্তম কিছু স্থলাভিষিক্ত করে দিন। (মুসলিম ২/৬৩২, নং ৯১৮)

(৫৪) ঘূর্ণিঝড়ে বা তুফানে পড়লে এ দোয়া পড়বেঃ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম মাজ আল্হা-, রহমাতান ওয়ালা- তাজ'আলহা- আযা-বান। আল্ল-হুম-মাজ আল্হা- রিয়া-হান ওয়ালা- তাজ'আলহা- রী-হান। অর্থঃ হে আল্লাহ! এ বায়ুকে রহমত বানিয়ে দিন, একে আযাবের কারণ বানাবেন না। হে আল্লাহ! এ বায়ুকে রহমতের ওসীলা বানান, ধ্বংসের বায়ু বানাবেন না।

(৫৫) ইফতারের সময় রোযাদারের দোয়াঃ

উচ্চারণ: যাহাবায-যামা- ওয়াবতাল্লাতি-ল উরূ-কু ওয়া সাবাতা-ল আজরু ইন্‌শা----আল্ল-হু।

অর্থ: পিপাসা মিটেছে, শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ চান তো সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে। (আবু দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯)

(৫৬) খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে এ দোয়াঃ

বিসমিল্লাহ বলে ডান হাত দিয়ে খাওয়া শুরু করতে হবে। নিম্নের দোয়াটিও পড়া যায়-

উচ্চারণ: বিস্মিল্ল-হি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি-।

অর্থঃ খাওয়ার শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে। (তিরমিজি)

আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে খাবার গ্রহণের শুরুতেই তাঁর নামে খাবার গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। খাবারের বরকত দান করুন। আমিন!!

(৫৭) আহার শেষ করার পর দো'আঃ

উচ্চারণ : আল্হাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী- আতআমানী- হাযা- ওয়া রাযাকানী-হি মিং- গাইরি হাউলিম মিন-নী- ওয়ালা- কুওয়াতিন।

অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ আহার করালেনএবং এ রিযিক দিলেন যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে কোনো উপায়, ছিল না কোনো শক্তি সামর্থ্য। (আবু দাউদ নং ৪০২৫; তিরমিযী, নং ৩৪৫৮; ইবনে মাজাহ, নং ৩২৮৫)

(৫৮) বৈঠকের কাফফারা (ক্ষতিপূরণ)

উচ্চারণ: সুবহা-নাকাল্লা-হুম-মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা- ইলাহা- ইল্লা আংতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতু-বু ইলাইকা।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া হক্ক কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট তওবা করি। (আবু দাউদ নং ৪৮৫৮; তিরমিযী নং ৩৪৩৩; নাসাঈ, নং ১৩৪৪)

(৫৯) কেউ ঋণ দিলে তা পরিশোধের সময় দোয়াঃ

উচ্চারণ: বা-রকাল্ল-হু লাকা ফী- আহলিকা ওয়া মা-লিকা, ইন-নামা- জাযা-উস-সালাফি আল হামদু ওয়াল আদা-উ)

অর্থ: আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। ঋণের প্রতিদান তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও (ঠিকভাবে) আদায়। (ইবন মাজাহ ২/৮০৯, নং ২৪২৪)

(৬০) বাজারে প্রবেশের দো'আঃ

উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারী-কালাহু লাহুল-মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহঈ- ওয়াইয়ুমী-তু ওয়াহুয়া হায়্যুল লা- ইয়ামূ-তু বিয়াদিহি-ল খইরু ওয়া হুওয়া 'আলা- কুল্লি শাই'ঈন কুদী---র।

অর্থ: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মারেন। আর তিনি চিরঞ্জীব, মারা যাবেন না। সকল প্রকার কল্যাণ তাঁর হাতে নিহিত। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (তিরমিযী নং ৩৪২৮; ইবন মাজাহ ৫/২৯১, নং ৩৮৬০)

(৬১) আয়াতুল কুরসীর ফযীলতঃ

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (স.) ফরমাইয়াছেন, যে ব্যক্তি সকালবেলা আয়াতুল কুরসী পাঠ করিবে, সেই ব্যক্তি ইহার বরকতে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাবতীয় বিপদাপদ ও অপ্রীতিকর অবস্থা হইতে মাহফুজ থাকিবে। এবং যে ব্যক্তি ইহা সন্ধ্যায় পাঠ করিবে, সেই ব্যক্তি সকাল পর্যন্ত নিরাপদে শান্তিতে থাকিবে। আয়াতুল কুরসী-

উচ্চারণ: আল্ল-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাঁইয়ু-ল কুইয়ু-ম; লা-তা'খুযুহু- সিনাতুও- ওয়ালা-নাউ-ম। লাহু- মা- ফিছমা-ওয়া-তি ওয়ামা- ফিআরদ্ব। মাং- যাল্লাযী- ইয়াশফা'উ 'ইং-দাহ্-ইল্লা- বিইন্নিহী-। ইয়া'লামু মা-বাইনা আইদী-হিম ওয়া মা-খলফাহুম; ওয়া লা-ইয়ুহী-তৃ-না বিশাইয়িম- মিন 'ইস্মিহী - ইল্লা- বিমা-শা- য়া। ওয়াসিয়া' কুসিয়ুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আরদ্ব। ওয়ালা- ইয়াউ-দুহ- হিফযুহুমা-, ওয়া হুওয়াল 'আলিয়ুল 'আযীম।

অর্থ: আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রা স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সব তারই। কে আছে, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? দৃষ্টির সামনে ও পশ্চাতে যা কিছু রয়েছে সবকিছু সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে কোন কিছুকেই তারা পরিবেষ্টিত করতে পারে না; কিন্তু তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর এতদুভয়কে সংরক্ষণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ ও সর্বমহান। (সূরা বাকারা, আয়াত: ২৫৫)

(৬২) সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতঃ

উচ্চারণঃ (২২) হুওয়া-ল লু-হু ল্লাযি- লা ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া, 'আ-লিমু-ল গইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, হুওয়ার রহমা-নুর রহী-- - ম। (২৩) হুওয়াল লু-হু ল্লাযি-লাইলা-হা ইল্লা- হুওয়া, আলমালিকুল কুদ্দু-সুস সালা-মুল মু'মিনুল মুহাইমিনুল 'আঝী-ঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বির; সুবহা-না ল্ল-হি 'আম-মা- ইয়ুশরিকুন। (২৪) হুওয়াল ল্ল-হুল খ-লিকুল বা-রিফুল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা; ইয়ুসাব্বিহু লাহু- মা- ফীস সামা-ওয়া-তি ওয়াল 'আরদ্ব; ওয়াহুওয়াল 'আঝি-ঝুল হাঁকি -- ম।

অর্থঃ (২২) তিনিই আল্লাহ্, যিনি ছাড়া কোন মা'বুদ নাই। (তিনি) গোপন ও প্রকাশ্য সব কিছুই তাঁর জানা। তিনিই রহমান ও রহীম। (২৩) তিনিই আল্লাহ যিনি ছাড়া কোন মা'বুদ নাই। তিনি মালিক- বাদশাহ; অতীব মহান ও পবিত্র। পুরোপুরি শান্তি, নিরাপত্তা দানকারী, সংরক্ষণকারী, সর্বজয়ী, নিজের নির্দেশাবলী শক্তি প্রয়োগে কার্যকরকারী এবং স্বয়ং বড়ত্ব গ্রহণকারী। পবিত্র ও মহান আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে যা লোকেরা করছে। (২৪) তিনি আল্লাহই, যিনি সৃষ্টি-পরিকল্পনা রচনাকারী ও এর বাস্তবায়নকারী এবং সে অনুযায়ী আকার-আকৃতি প্রদানকারী। তাঁরই জন্য অতীব উত্তম নামসমূহ। আকাশমণ্ডলী আর পৃথিবীর প্রতিটি জিনিস তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছে। আর তিনি প্রবল পরাক্রান্ত এবং সকল জ্ঞানে পূর্ণ।

(৬৩) প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকার দোয়াঃ

রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া ৩ বার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে- তিরমিজী শরীফ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১৭৩

উচ্চারণঃ বিস্মিল্লা-হিল লাযী-লা- ইয়াদুররু মা'আ-স মিহি শাইয়ুং- ফী-ল আদি ওয়ালা- ফীস সামা----য়ি‍্য ওয়াহুয়া-স সামী-ফুল 'আলী---ম।

(৬৪) ব্যাথা উপশমের দোয়াঃ

হযরত উসমান (রা.) একবার ব্যাথার যন্ত্রণায় কাতড়াচ্ছিলেন রাসূল (সা.) বললেন, আপনি ডান হাত দিয়ে ব্যাথার স্থান বুলানোর সময় এই দোয়া ৭ বার পড়ুন। ব্যাথা ধীরে ধীরে কমে যাবে। সুনান আবু দাউদ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৫৪৩

উচ্চারণ: আউ-যুবি ইজ্জাতিল্লা-হি ওয়া কুদরতিহি মিং-শাররি মা- আজিদু।

(৬৫) স্ত্রী সহবাসের দোয়াঃ

উচ্চারণ: বিস্মিল্লা-হি আল্ল-হুম-মা জান-নিবনা-শ শায়ত্বা-না ওয়া জান ~নিবি-শ শায়ত্বা-না মা- রযাক্বতানা-।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে, তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখ।

(৬৬) সম্পদ লাভের দোয়াঃ

উচ্চারণ: লা--- ইলা-হা ইল্লা-ল্ল-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কা লাহ্। লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া 'আলা- কুল্লি শাইইং- বন্দী---র।

আল্লাহুম- মা লা- মা-নিআ লিমা- আ-তাইতা। ওয়ালা- মুতিয়া লিমা- মানাতা। ওয়ালা- ইয়াং-ফাউ জাল জাদ্দা মিং--কা-ল জাদ্দু।

অর্থ: এক আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তার কোনো শরিক নেই। সকল সার্বভৌমত্বের মালিক তিনি। সকল প্রশংসা তার। তিনি সবকিছুর ওপর সামর্থবান।

হে আল্লাহ! আপনি যা দিবেন তা প্রতিরোধ করার কেউ নেই। আর আপনি যা বাঁধা দিবেন তা দেয়ার কেউ নেই। কোনো সম্পদশালীকে তার সম্পদ আপনার থেকে রক্ষা করতে পারবে না।

(৬৭) শয়তানের কু-মন্ত্রণা হতে বাঁচার দোয়াঃ

উচ্চারণ: রব্বি আ'উ-যুবিকা মিন হামাযা-তি-শ শাইয়া-ত্বী-নি ওয়া আ'উ-যুবিকা রব্বি আই-ইয়াহ দুরু- - - ন।

অর্থঃ হে আমার প্রভু! আমি তোমার নিকট শয়তানের কু-মন্ত্রণা হতে পানাহ প্রার্থনা করছি। আর আমার নিকট তাদের উপস্থিতি হতেও পানাহ চাচ্ছি।ও (সূরা মুমিনূন, আয়াত: ৯৭-৯৮)

(৬৮) খারাপ স্বপ্ন দেখিয়া পড়িবার দোয়াঃ

বর্ণিত আছে, খারাপ স্বপ্ন দেখিয়া বাম পার্শে তিনবার থু থু ফেলিবে এবং যেই পার্শ্বে শোয়া ছিলে ঐ পার্শ্ব পরিবর্তন করিয়া শুইবে আর এই দোয়া তিনবার পাঠ করিবে এবং কাহারো নিকট বলিবে না।

উচ্চারণ: আ'উযুবিল্ল-হি মিনা-শ শাইত্ব-নির রজী-মি ওয়া শাররি হা-যিহির রু-ইয়া-।

(৬৯) খারাপ স্বপ্ন দেখিয়া ভয় পাইলে পড়িবার দোয়াঃ

হাদীসে বর্নিত আছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আস (রা.) এর অভ্যাস ছিল তিনি এই দোয়াটি তাঁহার বয়স্ক সন্তানদিগকে শিখাইতেন এবং নাবালেগ সন্তানদের জন্য ইহা লিখিয়া গলায় বাঁধিয়া দিতেন।

উচ্চারণ: আ'উ-যু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম- মাতি মিন গদাবিহী ওয়া 'ইকু-বিহী ওয়া শাররি 'ইবা-দিহী ওয়ামিন হামাযা-তিশ শাইয়াত্বী-নি ওয়া আই-য়াহদুরু- - - -ন।

(৭০) জিহ্বার জড়তা দূর করার দোয়া (মূসা আঃ-এর দোয়া)

উচ্চারণ: রব্বিগ্রহী- ছদ্রী- ওয়া ইয়াসির লী আম্রী- ওয়াহলুল 'উকুদাতাম- মিল্লিল্লসা-নী- ইয়াক্বহু- কুওলী-।

অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার অন্তর খুলে দাও, আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও এবং আমার জবানের জড়তা দূর করে দাও, যেন মানুষেরা আমার কথা বুঝতে পারে। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ২৫-২৮)

(৭১) বিপদ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া (ইউনুস আঃ-এর দোয়া)

উচ্চারণ: লা--- ইলা-হা ইল্লা- আং~~তা সুবহা-নাকা ইন-নী- কুং-তু মিনা-জ জা-লিমী---ন।

অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ মহাপবিত্র, নিশ্চয়ই আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৮৭)

(৭২) যানবাহনে বসে পাঠ করার দোয়াঃ

উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লাযী- সাখখর লানা- হা-যা- ওয়া মা- কুন-না লাহু- মুকুরিনী-ন। ওয়া ইন-না- ইলা- রব্বিনা- লামুং- কুলিবু---ন।

অর্থ: পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি এদেরকে আমার বশীভূত করে দিয়েছেন। আমরা বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাবো। (সূরা যুখরুফ, আয়াত ১৩-১৪)

(৭৩) নৌকা ও জাহাজ ইত্যাদি জলযানে আরোহণের দোয়াঃ

উচ্চারণ: বিস্মিল্ল-হি মাজরি-হা- ওয়া মুরসা-হা- ইন-না রাব্বী- লাগাফু-রুর রহী-ম। অর্থ : আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি, আমার পালনকর্তা অতি ক্ষমাপরায়ণ মেহেরবান। (সূরা হুদ, আয়াত ৪১)

(৭৪) বিপদে ও মুছীবতে পড়লে দোয়াঃ

উচ্চারণ: ইন-না লিল্লা-হি ওয়া ইন-না ইলাইহি র-জি'উ---ন।

অর্থঃ নিশ্চয়ই আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁর সান্নিধ্যে। ফিরে যাব। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৫৬)

(৭৫) খাবার গ্রহণের সময় দোয়াঃ

বিসমিল্লাহ বলে ডান হাত দিয়ে খাওয়া শুরু করতে হবে। নিম্নের দোয়াটিও পড়া যায়-

উচ্চারণঃ আল্ল-হুম-মা বা-রিক্ লানা-ফী-হি ওয়া আত্ব'ইন্না- খইরন্ মিন্টু। অর্থঃ হে আল্লাহ। আমাদেরকে এতে বরকত দিন, ভবিষ্যতে আরো উত্তম খাদ্য দিন। (তিরমিযী আবু দাউদ, মিশকাত হা/৪০৯৮)

(৭৬) মহা প্রভু আল্লাহর রহমত কামনার দোয়াঃ

উচ্চারণ: রব্বানা- লা-তুআখিযনা না-, রব্বানা- ওয়ালা- তাহমিল 'আলাইনা ইন্না সী-না আও আখত্ব- ইছরং কামা- হামালতাহু- 'আলা-ল্লাযী-না মিং--কুবলিনা-, রব্বানা- ওয়ালা- তুহাম-মিল্লা- মা-লা- ত্বক্বতা লানা- বিহ্; ওয়া'ফু আন-না-, ওয়াগফিরলানা- ওয়ারহামনা- আং~~ তা মাওলা-না-, ফাং-ছুরনা- 'আলাল কুওমিল কা-ফিরী-ন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তি বশতঃ আমাদের যা কিছু ত্রুটি হয় তার জন্য আমাদিগকে শাস্তি দিয়ো না। হে আমাদের প্রভু! আমাদের প্রতি সেরূপ বোঝা চাপিয়েনা যেরূপ পূর্ববর্তী লোকদের প্রতি চাপিয়েছিলে। হে আমাদের রব! যে বোঝা বহন করার শক্তি আমাদের নেই, তা আমাদের উপর চাপিয়ো না। আমাদের প্রতি (তোমার) উদারতা দেখাও; আমাদের অপরাধ ক্ষমা কর; আমাদের প্রতি রহমত বর্ষন কর। তুমিই আমাদের মাওলা ও আশ্রয়দাতা, কাফেরদের বিরুদ্ধে তুমি আমাদিগকে সাহায্য কর। (সূরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬)

(৭৭) কিয়ামতের দিন লাঞ্ছনা হতে বাঁচার দোয়াঃ

উচ্চারণ: রব্বানা ইন- নাকা মাং- তুখিলিন- না-র ফাকুদ্ আখ্যাইতাহু- ওয়ামা- লিয্য-লিমী-না মিন্ আং-ছ-র। রব্বানা---ইন-না না-সামি'না-মুনা-দিয়াই-ইউনা-দী- লিল্ ইমা-নি আন্ আ-মিনু- বিব্বিকুম ফাআ-মান-না-; রব্বানা- ফাগফির লানা- যুনূ-বানা- ওয়া কাফির 'আন - না সাইয়িআ-তিনা- ওয়া তাওয়াফ্ফানা- মা'আল আবর-র। রব্বানা- ওয়া আ-তিনা- মা- ওয়া আত্তানা-'আলা- রুসুলিকা ওয়ালা- তুখঝিনা- ইয়াওমাল ক্বিয়া-মাতি ইন-নাকা লা-তুখলিফুল মী-'আ ---দ।

অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছ তাকে বাস্তবিকই বড়ই অপমান করেছ, আর এই যালেমদের কেউ সাহায্যকারী নেই। হে মাবুদ! আমরা একজন আহ্বানকারীর ঈমানের আহ্বান শুনেছি, যে, তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন। তাই আমরা ঈমান এনেছি। অতএব হে প্রভু! যে অপরাধ আমরা করেছি তা ক্ষমা করে দাও। আমাদের যা কিছু অন্যায় ও দোষ-ত্রুটি রয়েছে তা দূর করে দাও এবং নেক লোকদের সাথে আমাদেরকে মৃত্যু প্রদান কর। হে প্রভু! তুমি তোমার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যেই ওয়াদা করেছ তা পূর্ণ কর এবং কেয়ামতের দিন আমাদিগকে লাঞ্ছিত করিও না। নিশ্চয়ই তুমি ওয়াদা ভঙ্গকারী নও। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৯২-১৯৪)

আল-কুরআনে বর্ণিত নবী (আ.) গণের দোয়া

(৭৮) হযরত আদম (আ.)-এর দোয়াঃ

উচ্চারণ: রব্বানা- যলামনা আং-ফসানা ওয়া ইললাম তাগফিরলানা- ওয়া তাহামা- লানা কু-নান- না মিনাল খ-সিরী - - - ন।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি; এখন তুমি যদি আমাদিগকে ক্ষমা না ক

19/11/2024
18/11/2024

কোরআন থেকে নেওয়া ৮৩ টি দোয়াঃ-

০১. মজলুমের দোয়াঃ-০১

رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَـٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا

হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।
(রেফারেন্স সূরা নিসা আয়াতঃ-৭৫)

০২. মজলুমের দোয়াঃ-০২

عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا ۚ رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ

আল্লাহ্‌রই উপর আমরা তাওয়াক্কুল করি। হে আমাদের রব, আমাদের ও আমাদের কওমের মধ্যে যথার্থ ফয়সালা করে দিন। আর আপনি শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী।
(রেফারেন্স সূরা আরাফ আয়াতঃ-৮৯)

০৩. মজলুমের দোয়াঃ-০৩

عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ ﴿٨٥﴾ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ﴿٨٦﴾

(৮৫) আমরা আল্লাহ্‌র উপরই তাওয়াক্কুল করলাম। হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে যালিম কওমের ফিতনার পাত্র বানাবেন না’। (৮৬) ‘আর আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহে কাফির কওম থেকে নাজাত দিন’।
(রেফারেন্স সূরা ইউনুস আয়াতঃ-৮৫-৮৬)

০৪. মজলুমের দোয়াঃ-০৪

رَبِّ انصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ

হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন ফাসাদ সৃষ্টিকারী কওমের বিরুদ্ধে
(রেফারেন্স সূরা আনকাবূত আয়াতঃ-৩০)

মজলুমের দোয়াঃ-০৫

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

হে আমাদের রব, আমাদেরকে যালিম কওমের অন্তর্ভুক্ত করবেন না
(রেফারেন্স সূরা আ’রাফ আয়াতঃ-৪৭)

০৫. মজলুমের দোয়াঃ-০৬

رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

হে আমার রব, আপনি যালিম কওম থেকে আমাকে রক্ষা করুন
(রেফারেন্স সূরা আল-কাসাস আয়াতঃ-২১)

০৬. মজলুমের দোয়াঃ-০৭

رَبِّ ٱلسِّجْنُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا يَدْعُونَنِىٓ إِلَيْهِ ۖ وَإِلَّا تَصْرِفْ عَنِّى كَيْدَهُنَّ أَصْبُ إِلَيْهِنَّ وَأَكُن مِّنَ ٱلْجَٰهِلِينَ

হে আমার রব, তারা আমাকে যে কাজের প্রতি আহ্বান করছে তা থেকে কারাগারই আমার নিকট অধিক প্রিয়। আর যদি আপনি আমার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত না করেন তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং আমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হব
(রেফারেন্স সূরা ইউসুফ আয়াতঃ-৩৩)

০৭. মজলুমের দোয়াঃ-০৮

أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ

আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।
(রেফারেন্স সূরা আল-আম্বিয়া আয়াতঃ-৮৩)

০৮. মজলুমের দোয়াঃ-০৯

رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ

হে আমার রব, তারা যা করছে, তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে তুমি রক্ষা কর
(রেফারেন্স সূরা আশ্-শু'আরা আয়াতঃ-১৬৯)

০৯. মজলুমের দোয়াঃ-১০

أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانتَصِرْ

‘নিশ্চয় আমি পরাজিত, অতএব তুমিই প্রতিশোধ গ্রহণ কর’
(রেফারেন্স সূরা ক্বামার আয়াতঃ-১০)

১০. মজলুমের দোয়াঃ-১১

رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَن يَطْغَىٰ ‎﴿٤٥﴾‏

‘হে আমাদের রব, আমরা তো আশংকা করছি যে, সে আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করবে অথবা সীমালঙ্ঘন করবে’।
(রেফারেন্স সূরা ত্বাহা আয়াতঃ-৪৫)

১১. ক্ষমা প্রার্থনার দোয়াঃ-০১

رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي

হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফসের প্রতি যুলম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন
(রেফারেন্স সূরা কাসাস আয়াতঃ-১৬)

১২. ক্ষমা প্রার্থনার দোয়াঃ-০২

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ ﴿٤٠﴾ رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ ﴿٤١﴾

(৪০) ‘হে আমার রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব, আর আমার দোয়া কবূল করুন’। (৪১) ‘হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন’।
(রেফারেন্স সূরা ইবরাহীম আয়াতঃ-৪০-৪১)

১৩. ক্ষমা প্রার্থনার দোয়াঃ-০৩

رَبِّ ٱغْفِرْ لِى

হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন
(রেফারেন্স সূরা ছোয়াদ আয়াতঃ-৩৫)

১৪. ক্ষমা প্রার্থনার দোয়াঃ-০৪

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ

‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত জাতি বানান। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
(রেফারেন্স সূরা আল-বাকারা আয়াতঃ-১২৮)

১৫. ক্ষমা ও রহমত প্রার্থনার দোয়াঃ-১

رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া করুন, আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু
(রেফারেন্স সূরা মুমিনূন আয়াতঃ-১০৯)

১৬. ক্ষমা ও রহমত প্রার্থনার দোয়াঃ-২

رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

হে আমাদের রব, আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু
(রেফারেন্স সূরা মুমিনূন আয়াতঃ-১১৮)

১৭. ক্ষমা এবং রহমত প্রার্থনার দোয়াঃ-৩

رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِأَخِي وَأَدْخِلْنَا فِي رَحْمَتِكَ ۖ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ

আমার রব, ক্ষমা করুন আমাকে ও আমার ভাইকে এবং আপনার রহমতে আমাদের প্রবেশ করান। আর আপনিই রহমকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
(রেফারেন্স সূরা আল-আরাফ আয়াতঃ-১৫১)

১৮. ঈমানের স্বীকৃতি ও ক্ষমা প্রার্থনার দোয়াঃ-

سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।
(রেফারেন্স সূরা বাকারা আয়াতঃ-২৮৫)

১৯. ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়াঃ-

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা ঈমান আনলাম। অতএব, আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
(রেফারেন্স সূরা আল-ইমরান আয়াতঃ-১৬)

২০. ক্ষমা, একনিষ্ঠতা এবং বিজয় প্রার্থনার দোয়াঃ-

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কর্মে আমাদের সীমালঙঘন ক্ষমা করুন এবং অবিচল রাখুন আমাদের পা-সমূহকে, আর কাফির কওমের উপর আমাদেরকে সাহায্য করুন।
(রেফারেন্স সূরা আল-ইমরান আয়াতঃ-১৪৭)

২১. পাপ করার পর ক্ষমা চাওয়ার দোয়ঃ-

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুলম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।
(রেফারেন্স সূরা আরাফ আয়াতঃ-২৩)

২২. ক্ষমা প্রার্থনা ও অজ্ঞতা থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোয়ঃ-

رَبِّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُن مِّنَ الْخَاسِرِينَ

হে আমার রব, যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই তা চাওয়া থেকে আমি অবশ্যই আপনার আশ্রয় চাই। আর যদি আপনি আমাকে মাফ না করেন এবং আমার প্রতি দয়া না করেন, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।
(রেফারেন্স সূরা হৃদঃ আয়াতঃ-৪৭)

২৩. পূর্ববর্তীদের জন্য ক্ষমা ও বিদ্বেষ মুক্তির দোয়াঃ-

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ

হে আমাদের রব, আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু।
(রেফারেন্স সূরা হাশর আয়াতঃ-১০)

২৪. ক্ষমা ও জালিমদের ধ্বংস প্রার্থনার দোয়াঃ-

رَّبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا

হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।
(রেফারেন্স সূরা নূহ আয়াতঃ-২৮)

২৫. সাধারণ দোয়াঃ-১

رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَـٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿١٩١﴾ رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ ﴿١٩٢﴾ رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ ﴿١٩٣﴾ رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ ﴿١٩٤﴾

(১৯১) হে আমাদের রব, তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি। তুমি পবিত্র মহান। সুতরাং তুমি আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা কর’। (১৯২) ‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় তুমি যাকে আগুনে প্রবেশ করাবে, অবশ্যই তাকে তুমি অপমান করবে। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই’। (১৯৩) ‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা শুনেছিলাম একজন আহবানকারীকে, যে ঈমানের দিকে আহবান করে যে, ‘তোমরা তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন’। তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং বিদূরিত করুন আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি, আর আমাদেরকে মৃত্যু দিন নেককারদের সাথে’। (১৯৪) ‘হে আমাদের রব, আর আপনি আমাদেরকে তা প্রদান করুন যার ওয়াদা আপনি আমাদেরকে দিয়েছেন আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে। আর কিয়ামতের দিনে আপনি আমাদেরকে অপমান করবেন না। নিশ্চয় আপনি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না’।
(রেফারেন্স সূরা আল-ইমরান আয়াতঃ-১৯১-১৯৪)

২৬. সাধারণ দোয়াঃ-২

رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ ﴿٨٣﴾ وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ ﴿٨٤﴾ وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ ﴿٨٥﴾

(৮৩) ‘হে আমার রব, আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সাথে শামিল করে দিন’। (৮৪) ‘এবং পরবর্তীদের মধ্যে আমার সুনাম-সুখ্যাতি অব্যাহত রাখুন’, (৮৫) ‘আর আপনি আমাকে সুখময় জান্নাতের ওয়ারিসদের অন্তর্ভুক্ত করুন’।
(রেফারেন্স সূরা শুআরা আয়াতঃ-৮৩-৮৫)

২৭. সাধারণ দোয়াঃ-৩

وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ ﴿٨٧﴾ يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ ﴿٨٨﴾ إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّـهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ ﴿٨٩﴾

(৮৭) আর যেদিন পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না (৮৮) ‘যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন উপকারে আসবে না (৮৯) তবে যে আল্লাহ্‌র কাছে আসবে সুস্থ অন্তরে।
(রেফারেন্স সূরা শুআরা আয়াতঃ-৮৭-৮৯)

২৮. সাধারণ দোয়াঃ-৪

رَّبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ ﴿٤﴾ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ﴿٥﴾

(৪) হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা আপনার ওপরই ভরসা করি, আপনারই অভিমুখী হই আর প্রত্যাবর্তন তো আপনারই কাছে। (৫) হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে কাফিরদের উৎপীড়নের পাত্র বানাবেন না। হে আমাদের রব, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
(রেফারেন্স সূরা মুমতাহিনা আয়াতঃ-৪-৫)

২৯. সাধারণ দোয়াঃ-৫

رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের নূর পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।
(রেফারেন্স সূরা তাহরীম আয়াতঃ-৮)

৩০. সাধারণ দোয়াঃ-৬

رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ

হে আমার রব! আমাকে একা রেখো না, তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী
(রেফারেন্স সূরা আম্বিয়া আয়াতঃ-৮৯)

৩১. সাধারণ দোয়াঃ-৭

رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ

হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছো তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ করো। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করো।
(রেফারেন্স সূরা আন-নামল আয়াতঃ-১৯)

৩২. সাধারণ দোয়াঃ-৮

لَّا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

আপনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয় আমি ছিলাম যালিম।
(রেফারেন্স সূরা আল-আম্বিয়া আয়াতঃ-৮৭)

৩৩. সাধারণ দোয়াঃ-৯

رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।
(রেফারেন্স সূরা আল-বাকারা আয়াতঃ-২৮৬)

৩৪. সাধারণ দোয়াঃ-১০

رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي ۖ إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ

হে আমার রব, আমাকে সামর্থ্য দাও, তুমি আমার উপর ও আমার মাতা-পিতার উপর যে নিয়ামত দান করেছ, তোমার সে নিয়ামতের যেন আমি শোকর আদায় করতে পারি এবং আমি যেন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ করো। আর আমার জন্য তুমি আমার বংশধরদের মধ্যে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।
(রেফারেন্স সূরা আল-আহকাফ আয়াতঃ-১৫)

৩৫. সাধারণ দোয়াঃ-১১

رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আপনি আমাদেরকে সাক্ষ্য দানকারীদের সঙ্গে লিপিবদ্ধ করুন।
(রেফারেন্স সূরা আল-মাইদাহ্ আয়াতঃ-৮৩)

৩৬. সাধারণ দোয়াঃ-১২

حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ

আমার জন্য আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব।
(রেফারেন্স সূরা আত-তাওবাহ আয়াতঃ-১২৯)

৩৭. সাধারণ দোয়াঃ-১৩

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ

হে আমাদের রব, আমাদেরকে পরিপূর্ণ ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন
(রেফারেন্স সূরা আল-আরাফ আয়াতঃ-১২৬)

৩৮. সাধারণ দোয়াঃ-১৪

رَبِّ لَوْ شِئْتَ أَهْلَكْتَهُم مِّن قَبْلُ وَإِيَّايَ ۖ أَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ السُّفَهَاءُ مِنَّا ۖ إِنْ هِيَ إِلَّا فِتْنَتُكَ تُضِلُّ بِهَا مَن تَشَاءُ وَتَهْدِي مَن تَشَاءُ ۖ أَنتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۖ وَأَنتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ ﴿١٥٥﴾ وَاكْتُبْ لَنَا فِي هَـٰذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ إِنَّا هُدْنَا إِلَيْكَ ۚ ﴿١٥٦﴾

(১৫৫) ‘হে আমার রব, আপনি চাইলে ইতঃপূর্বে এদের ধ্বংস করতে পারতেন এবং আমাকেও। আমাদের মধ্যে নির্বোধরা যা করেছে তার কারণে কি আমাদেরকে ধ্বংস করবেন? এটাতো আপনার পরীক্ষা ছাড়া কিছু না। এর মাধ্যমে যাকে চান আপনি পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান হিদায়াত দান করেন। আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদের ক্ষমা করে দিন এবং আপনি উত্তম ক্ষমাশীল। (১৫৬) আর আমাদের জন্য এ দুনিয়াতে ও আখিরাতে কল্যাণ লিখে দিন। নিশ্চয় আমরা আপনার দিকে প্রত্যাবর্তন করেছি।’
(রেফারেন্স সূরা আল-আরাফ আয়াতঃ-১৫৫-১৫৬)

৩৯. সাধারণ দোয়াঃ-১৫

رَبِّ إِنِّى وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّى وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُنۢ بِدُعَآئِكَ رَبِّ شَقِيًّا

হে আমার রব! আমার হাড়গুলো দূর্বল হয়ে গেছে এবং বার্ধক্যবশতঃ আমার মাথার চুলগুলো সাদা হয়ে গেছে। হে আমার রব, আপনার নিকট দোয়া করে আমি কখনো ব্যর্থ হইনি’।
(রেফারেন্স সূরা মারিয়াম আয়াতঃ-৪)

৪০. সাধারণ দোয়াঃ-১৬

رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَّحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ

হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তাওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
(রেফারেন্স সূরা গাফির আয়াতঃ-৭)

৪১. সাধারণ দোয়াঃ-১৭

رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِّلْمُجْرِمِينَ

হে আমার রব, আপনি যেহেতু আমার প্রতি নি’আমত দান করেন, তাই আমি কখনো আর অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না।
(রেফারেন্স সূরা আল-কাসাস আয়াতঃ-১৭)

৪২. সূরা ফাতিহা মানব জীবনের শ্রেষ্ঠতম দোয়াঃ-

بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ﴿١﴾ الْحَمْدُ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿٢﴾ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ﴿٣﴾ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ﴿٤﴾ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ﴿٥﴾ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ ﴿٦﴾ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ ﴿٧﴾

(১) পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে। (২) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের রব। (৩) দয়াময়, পরম দয়ালু, পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। (৪) বিচার দিবসের মালিক। (৫) আপনারই আমরা ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট আমরা সাহায্য চাই। (৬) আমাদেরকে সরল পথ দেখান। পথের হিদায়াত দিন। (৭) তাদের পথ, যাদের উপর আপনি অনুগ্রহ করেছেন। যাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন।যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।
(রেফারেন্স সূরা ফাতিহা আয়াতঃ-১-৭)

৪৩. দুনিয়াতে ও আখিরাতে কল্যাণ চাওয়ার দোয়াঃ-

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
(রেফারেন্স সূরা বাকারা আয়াতঃ-২০১)

৪৪. হেদায়তের পর অন্তরের বক্রতা হতে মুক্তি চাওয়ার দোয়াঃ-

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ

হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।
(রেফারেন্স সূরা আল-ইমরান আয়াতঃ-৮)

৪৫. ক্ষমতা ও সম্মান প্রার্থনার দোয়াঃ-

اللَّـهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاءُ وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَاءُ ۖ بِيَدِكَ الْخَيْرُ ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

হে আল্লাহ্‌, রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আর যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন এবং আপনি যাকে চান সম্মান দান করেন। আর যাকে চান অপমানিত করেন, আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
(রেফারেন্স সূরা আল-ইমরান আয়াতঃ-২৬)

৪৬. ঈমানের উসিলায় প্রার্থনা করার জন্য দোয়াঃ-

رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

হে আমাদের রব, আপনি যা নাযিল করেছেন তার প্রতি আমরা ঈমান এনেছি এবং আমরা রাসূলের অনুসরণ করেছি। অতএব, আমাদেরকে সাক্ষ্যদাতাদের তালিকাভুক্ত করুন।
(রেফারেন্স সূরা আল-ইমরান আয়াতঃ-৫৩)

৪৭. নিরাপত্তা ও শির্ক থেকে বেচে থাকার দোয়াঃ-

رَبِّ اجْعَلْ هَـٰذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعْبُدَ الْأَصْنَامَ

হে আমার রব, আপনি এ শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন।
(রেফারেন্স সূরা ইবরাহীম আয়াতঃ-৩৫)

৪৮. সাহায্য প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

رَّبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلْطَانًا نَّصِيرًا

হে আমার রব, আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের করো উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান করো।
(রেফারেন্স সূরা ইসরা আয়াতঃ-৮০)

৪৯. মুখের জড়তা দূর ও কর্মে সহজতা কামনার জন্য দোয়াঃ-

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي ﴿٢٥﴾ وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي ﴿٢٦﴾ وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي ﴿٢٧﴾ يَفْقَهُوا قَوْلِي ﴿٢٨﴾

(২৫) সে বলল, ‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন’ (২৬) ‘এবং আমার কাজ সহজ করে দিন, (২৭) ‘আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন- (২৮) যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে’।
(রেফারেন্স সূরা তা'হা আয়াতঃ-২৫-২৮)

৫০. জ্ঞান বৃদ্ধি চাওয়ার জন্য দোয়াঃ-

رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا

হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।
(রেফারেন্স সূরা তা'হা আয়াতঃ-১১৪)

৫১. সাহায্য প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

رَبِّ احْكُم بِالْحَقِّ ۗ وَرَبُّنَا الرَّحْمَـٰنُ الْمُسْتَعَانُ عَلَىٰ مَا تَصِفُونَ

হে আমার রব, আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করে দিন। আর আমাদের রব তো পরম করুণাময়। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে তিনিই একমাত্র সহায়স্থল।
(রেফারেন্স সূরা আম্বিয়া আয়াতঃ-১১২)

৫২. শয়তান হতে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাওয়ার জন্য দোয়াঃ-

رَّبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ ﴿٩٧﴾ وَأَعُوْذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ ﴿٩٨﴾

(৯৭) আর বল, ‘হে আমার রব, আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই’। (৯৮) আর হে আমার রব, আমার কাছে তাদের উপস্থিতি হতে আপনার কাছে পানাহ চাই।’
(রেফারেন্স সূরা মুমিনূন আয়াতঃ-৯৭-৯৮)

৫৩. জাহান্নামের আজাব হতে আশ্রয় চাওয়ার জন্য দোয়াঃ-

رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا ﴿٦٥﴾ إِنَّهَا سَاءَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا ﴿٦٦﴾

(৬৫) ‘হে আমাদের রব, তুমি আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাব ফিরিয়ে নাও। নিশ্চয় এর আযাব হলো অবিচ্ছিন্ন’। (৬৬) ‘নিশ্চয় তা অবস্থানস্থল ও আবাসস্থল হিসেবে অত্যন্ত নিকৃষ্ট’।
(রেফারেন্স সূরা ফুরকান আয়াতঃ-৬৫-৬৬)

৫৪. আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ

হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী
(রেফারেন্স সূরা কাসাস আয়াতঃ-২৪)

৫৫. আমল কবুলের জন্য দোয়াঃ-

رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
(রেফারেন্স সূরা আল-বাকারা আয়াতঃ-১২৭)

৫৬. সালাত কায়েমকারী হওয়ার জন্য দোয়াঃ-

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ

হে আমার রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব, আর আমার দোয়া কবূল করুন।
(রেফারেন্স সূরা ইবরাহীম আয়াতঃ-৪০)

৫৭. নেককার সন্তান লাভের জন্য দোয়াঃ-১

رَبِّ هَبْ لِى مِنَ الصّٰلِحِينَ

হে আমার রব, আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন
(রেফারেন্স সূরা আস-সাফফাত আয়াতঃ-১০০)

৫৮. নেককার সন্তান লাভের জন্য দোয়াঃ-২

رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ

হে আমর রব, আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।
(রেফারেন্স সূরা আল ইমরান আয়াতঃ-৩৮)

৫৯. রহমত প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا

হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকান্ড সঠিক করে দিন।
(রেফারেন্স সূরা আল-কাহফ আয়াতঃ-১০)

৬০. নেককার স্ত্রী ও সন্তান প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন।
(রেফারেন্স সূরা আল-ফুরকান আয়াতঃ-৭৪)

৬১. সঠিক পথ লাভের জন্য দোয়াঃ-

عَسَىٰ رَبِّي أَن يَهْدِيَنِي سَوَاءَ السَّبِيلِ

আশা করি আমার রব আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন
(রেফারেন্স সূরা আল-কাসাস আয়াতঃ-২২)

৬২. মূর্খতা থেকে মুক্তি চাওয়ার জন্য দোয়াঃ-

أَعُوْذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْجَاهِلِينَ

আমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয় চাচ্ছি
(রেফারেন্স সূরা আল বাকারা আয়াতঃ-৬৭)

৬৩. নিরাপত্তা ও রিজিক চাওয়ার জন্য দোয়াঃ-

رَبِّ ٱجْعَلْ هَٰذَا بَلَدًا ءَامِنًا وَٱرْزُقْ أَهْلَهُۥ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ مَنْ ءَامَنَ مِنْهُم بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ ۖ

হে আমার রব, আপনি একে নিরাপদ নগরী বানান এবং এর অধিবাসীদেরকে ফল-মুলের রিযিক দিন যারা আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান এনেছে।
(রেফারেন্স সূরা আল-বাকারা আয়াতঃ-১২৬)

৬৪. ধৈর্য, একনিষ্ঠতা এবং বিজয় প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى القَوْمِ الكَافِرِينَ

হে আমাদের রব, আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দিন, আমাদের পা স্থির রাখুন এবং আমাদেরকে কাফের জাতির বিরুদ্ধে সাহায্য করুন।
(রেফারেন্স সূরা আল-বাকারা আয়াতঃ-২৫০)

৬৫. ফাসেক কওম থেকে মুক্তি প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

فَافْرُقْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ

আপনি আমাদের ও ফাসিক কওমের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিন।
(রেফারেন্স সূরা আল-মায়েদাহ আয়াতঃ-২৫)

৬৬. রিজিক প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ

আমাদেরকে রিযিক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।
(রেফারেন্স সূরা আল-মায়েদাহ আয়াতঃ-১১৪)

৬৭. সু-সন্তান প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحًا لَّنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ

যদি আপনি আমাদেরকে সুসন্তান দান করেন তবে অবশ্যই আমরা কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব
(রেফারেন্স: সূরা আল-আরাফঃ ৭:১৮৯)

৬৮. নাজাত প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

لَئِنْ أَنجَيْتَنَا مِنْ هَٰذِهِ لَنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ

যদি আপনি এ থেকে আমাদেরকে নাজাত দেন, তাহলে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব
(রেফারেন্স সূরা ইউনুস আয়াতঃ-২২)

৬৯. নৌযানে আরোহণের দোয়াঃ-

بِسْمِ ٱللَّهِ مَجْر۪ىٰهَا وَمُرْسَىٰهَآۚ إِنَّ رَبِّى لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ

এর চলা ও থামা হবে আল্লাহ্‌র নামে। নিশ্চয় আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(রেফারেন্স সূরা হুদ আয়াতঃ-৪১)

৭০. আশ্রয় প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

مَعَاذَ اللَّهِ ۖ إِنَّهُ رَبِّي أَحْسَنَ مَثْوَايَ ۖ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ

আল্লাহ্‌র আশ্রয় (চাই)। নিশ্চয় তিনি আমার মনিব, তিনি আমার থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয় যালিমগণ সফল হয় না।
(রেফারেন্স সূরা ইউসুফ আয়াতঃ-২৩)

৭১. মুসলমান হিসেবে মৃত্যু এবং নেককারদের অন্তর্ভুক্তির জন্য দোয়াঃ-

فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ

হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন এবং নেককারদের সাথে আমাকে যুক্ত করুন।
(রেফারেন্স সূরা ইউসুফ আয়াতঃ-১০১)

৭২. বন্ধ্যা ব্যক্তির সন্তান প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

وَإِنِّي خِفْتُ الْمَوَالِيَ مِن وَرَائِي وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا فَهَبْ لِي مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا

আর আমার পরে স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে আমি আশংকাবোধ করছি। আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা, অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ থেকে একজন উত্তরাধিকারী দান করুন।
(রেফারেন্স সূরা মারিয়াম আয়াতঃ-৫)

৭৩. পিতামাতার নাজাতের জন্য দোয়াঃ-

رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন
(রেফারেন্স সূরা আল-ইসরা আয়াতঃ-২৪)

৭৪. সাহায্য প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

رَبِّ انصُرْنِي

হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন।
(রেফারেন্স সূরা আল-মু'মিনূন আয়াতঃ-২৬)

৭৫. বরকত প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

رَّبِّ أَنزِلْنِي مُنزَلًا مُّبَارَكًا وَأَنتَ خَيْرُ الْمُنزِلِينَ

হে আমার রব, আমাকে বরকতময় অবতরণস্থলে অবতরণ করান। আর আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ অবতরণকারী।
(রেফারেন্স সূরা আল-মু'মিনূন আয়াতঃ-২৯)

৭৬. যালিমদের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার জন্য দোয়াঃ-

رَبِّ فَلَا تَجْعَلْنِي فِي الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

হে আমার রব, তাহলে আমাকে যালিম সম্প্রদায়ভুক্ত করবেন না
(রেফারেন্স সূরা আল-মু'মিনূন আয়াতঃ-৯৪)

৭৭. ফায়সালা প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

فَافْتَحْ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ فَتْحًا وَنَجِّنِي وَمَن مَّعِيَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ

সুতরাং আপনি আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন আর আমাকে ও আমার সাথে যেসব মুমিন, আছে তাদেরকে রক্ষা করুন
(রেফারেন্স সূরা আশ্-শু'আরা আয়াতঃ-১১৮)

৭৮. জান্নাত প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدتَّهُمْ وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
(রেফারেন্স সূরা গাফির আয়াতঃ-৮)

৭৯. অমঙ্গল থেকে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ ۚ وَمَن تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

এবং আপনি তাদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন। আপনি যাকে সেদিন অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবেন, তার প্রতি অনুগ্রহই করবেন। এটাই মহাসাফল্য।
(রেফারেন্স সূরা গাফির আয়াতঃ-৯)

৮০. আশ্রয় প্রার্থনার জন্য দোয়াঃ-

إِنِّي عُذْتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُم مِّن كُلِّ مُتَكَبِّرٍ لَّا يُؤْمِنُ بِيَوْمِ الْحِسَابِ

আমি আমার রব ও তোমাদের রবের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রত্যেক অহঙ্কারী থেকে, যে বিচার দিনের প্রতি ঈমান রাখে না।
(রেফারেন্স সূরা গাফির আয়াতঃ-২৭)

৮১. আল্লাহ্‌র কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য দোয়াঃ-

وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ

আমি আমার ব্যাপার আল্লাহ্‌র কাছে সমর্পণ করছি। নিশ্চয় বান্দারা আল্লাহ্‌র দৃষ্টিতে রয়েছে।
(রেফারেন্স সূরা গাফির আয়াতঃ-৪৪)

৮২. জান্নাতে ঘর নির্মাণের জন্য দোয়াঃ-

رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ

হে আমার রব, আপনার কাছে আমার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করুন
(রেফারেন্স সূরা আত-তাহরীম আয়াতঃ-১১)

৮৩. কাফেরদের বিরুদ্ধে বদ-দোয়াঃ-

رَّبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا

হে আমার পালনকর্তা, আপনি পৃথিবীতে কোন কাফের গৃহবাসীকে রেহাই দিবেন না
(রেফারেন্স সূরা নূহ আয়াতঃ-২৬)

Address

Kalirbazar
Cumilla
3501

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দীন ইসলাম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category