
27/02/2025
ধ্রুবতারা হজ্জ কাফেলা > পর্ব :-১
আমি Mohammad Azim ধ্রুবতারা হজ্জ কাফেলায় নামকা ওয়াস্তে জুলাই ২৪ থেকে নভেম্বর ২৪ পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে দৈনিক ৫ ঘন্টার (২টা -৭টা) জন্য দায়িত্তরত ছিলাম (যদি ও ৫ ঘন্টা কিন্তু প্রায় সময় রাত ১ ১ / ১ ২ টা পর্যন্ত থাকতে হয়েছিল - বক বক করার জন্য )
এ পেজটি যেহেতু আমার নিজের আইডি থেকে খুলেছিলাম তাই এটি একান্তই আমার পেজ -
ধ্রুবতারা হজ্জ কাফেলার চেয়ারম্যান এটিএম তৈয়ব উল্লাহর সাথে আমার কথা শুরু হয় গত রমজান মাসে (উনি আমার কাছে উমরাহ কাফেলার গ্রুপ টিকেট চেয়েছিলো , যখন টিকেট পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল , যাই হোক ঢাকার এক বড় ভাইয়ের সাথে কথা হলে ইন্ডিয়ান ভিস্তারা এয়ারলাইন্স এ সিট আছে বলে আমাকে জানায়, কিন্তু তিনি আমার থেকে পরবর্তীতে আর টিকেট নেয় নাই, )
আমি জানতাম ধ্রুবতারা হজ্জ কাফেলা ঢাকায় অবস্থিত , কারন চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে বলতেন তিনি ৩ দিন ঢাকায় এবং ৩ দিন কুমিল্লা অফিস করেন।
কুরবানীর আগে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে কুমিল্লা ছাতিপট্টি অফিসে দেখা করতে বললেন, আমি অফিসে দেখা করতে আসলে আমার থেকে আমার এজেন্সী নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চান, আমি বললাম এ লাইনে কাজ করা অনেক কঠিন, ঠিকমতো টিকেট পাওয়া যায়না -মাসে ৪/৫ জন হাজি নিয়ে এজেন্সী চালানো কঠিন হয়ে যায়, এ কথা বলার পর চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে বললেন আমি যেন ওনার কুমিল্লা ছাতিপট্টি অফিসে বসি নিজের অফিস মনে করে, { আলোচনার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে বলে মক্কা (আব্দুল্লাহ গাম্মাস ) -মদিনায় উনার হোটেলে শেয়ার আছে - যেটা পুরোটায় আজগুবি, টিকেটিং এ কুটি কুটি টাকা ইনভেস্ট আছে }
আমি ও সরল মনে নিজের এজেন্সি বন্ধ করে উনার অফিস কাজ করা শুরু করলাম কোনো ধরণের নিয়োগ ব্যাতিত - পরবর্তীতে উনি আমাকে বলল, আমাকে মাস শেষে খুব ভালো সম্মানী দেওয়া হবে, অনন্যা অফিসের পরিচালক দের মতো , কিন্তু ২ মাস পর জুলাই এবং আগস্ট মাসের বেতন এক সাথে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে ম্যানেজারের মাধ্যমে উক্ত টাকা পাওয়ার পর আমি রাশিদ কাগজে লিখেছি - "২ মাসের টাকা পেয়েছি কিন্তু সেটা আমার গাড়ি ভাড়া ও না " সেদিন ই আমি জানিয়েছিলাম আপনার সাথে আমার কাজ করা হবে না.
এখানে উল্লেখ্য আমি একজন আইটি ফ্রীলান্সার দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ আমি অনলাইন থেকেই টাকা ইনকাম করি, যেহেতু আমি মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করছি এবং উমরাহ ও করেছিলাম তাই চেয়েছি হজ এজেন্সির মাধ্যমে যাতে প্রতিবছর মক্কা-মদিনা জিয়ারত করতে পারি। এ অফিসে কাজ করা অবস্থায় আমি ৪/৫ জন ক্লায়েন্ট হারিয়েছি, ক্লায়েন্ট রা যেহেতু রাতে মিটিং করে তাদের সাথে মিটিং করতে না পারায় ,
ক্লায়েন্ট এর সাথে মিটিং আছে এ কথা বলে চলে আসতে চাইলে চেয়ারম্যান সাহেব বলতো -আজিম সাহেব বসেন ১০ মিনিট কথা বলে চলে যাবেন.. এ ১০ মিনিট শেষ হতে ৪/৫ ঘন্টা লেগে যেত, আর ক্লায়েন্ট আমাকে সালাম দিয়ে চলে যেতো
("২ মাসের টাকা পেয়েছি কিন্তু সেটা আমার গাড়ি ভাড়া ও না " সেদিন ই আমি জানিয়েছিলাম আপনার সাথে আমার কাজ করা হবে না.) এরপর ২ দিন অফিসে যাওয়া বন্ধ রাখলে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে কল দিয়ে বলে আজিম সাহেব আপনি অফিসে আসেন আপনার সকল চাহিদা পূরণ করা হবে
তার পর আবার ৩ মাস কন্টিনিউ করি - এ সময়ে অনেক কিছু দেখা হয় এবং আমি আবারও নভেম্বর মাসে অফিস ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ………চলমান
আরো অনেক কথা আছে - এ এজেন্সী লাইনে কাজ করতে হলে পিঠকে গন্ডারের চামড়া বানাতে হবে, কান বন্ধ রাখতে হবে এবং বামন হয়ে চাঁদ ধরার কাহিনী শোনাতে হবে