01/04/2025
এই ব্যাক্তিকে অনেকেরই চেনার কথা না। 🙂
তবে যারা আমরা ট্রাভেলার তারা উনার গল্পটা শুনতে পারেন। আসেন পরিচয় করাই দিই এবং কিছু গল্প কই। ব্যাক্তিটির নাম #মুন্না , উনি আজ ৮/৯ বছর ধরে নিখোঁজ।
আমাদের ট্রাভেল সেক্টরে বান্দরবান এ ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় ঘটনা হচ্ছে মুন্না ও জুবায়ের এর হারিয়ে যাওয়া।এই ট্রাজেডি তে আমরা হারিয়েছি বান্দরবান এর রুমা ও থানচি রুটের বেশ কিছু স্থানে ভ্রমনের অনুমতি।২০১৫ সালে এরা হারিয়ে যাওয়ার পূর্বে প্রচুর ট্রাভেলারদের আনাগোনা ছিলো বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর ওই জায়গা গুলো তে।
একসময় রাইক্ষ্যাং,জাদিপাই, ডাবল ফলস,বাক্তলাই, জিনসিয়াম, তুইকুতুমু, রাইক্ষ্যাং জলপ্রপাত,সুনসান পাড়া,
রুমা হয়ে সাকা হাফং,কপিতাল,থিনদলতে,লুংফের ভা সাইতার,ফাইপি,তারতে,তার পি সহ,
ঝিরিপথে বগালেক ভ্রমনপিয়াসু দের ছিলো অভয়ারণ্য। মোটামুটি নিজেস্ব প্লান সাজিয়ে স্থানীয় গাইড নিয়ে অথবা না নিয়ে অনেকেই সে সময় বান্দরবান এর এসব গহীন অঞ্চল থেকে ঘুরে এসেছেন।
কিন্তু ২০১৫ তে ঘটে যাওয়া সেই অপহরন পালটে দেয় অনেক কিছুই। কেওক্রাডাং পার হয়েই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গ্রাম,পাসিং পাড়া।
কিছু দুঃসাহসী ট্রেকার খুব বেশী পছন্দ করতেন এই অঞ্চল টা,প্রতি মাসে এখানকার মানুষের সাবলীল আচরন তাদের খুব বেশী আপন মনে হতো।
তাই হয়তো দিনের পর দিন,শহুরে ক্লান্তি আর ব্যস্ততার ফাঁকে দু দন্ড প্রশান্তির খোজে ছুটে আসতেন।
কিন্তু,২০১৫ সালে হঠাৎ এএলপি (আরাকান লিবারেশন পার্টি, গুগল করলে এদের সম্পর্কে জানতে পারবেন) মুন্না- জুবায়ের, পাসিং কারবারির ভাই মাংসাই ম্রো কে সহ অজ্ঞাত কারনে রাইক্ষ্যাং খালের পাশের এক গ্রাম (শেপ্রু পাড়া) থেকে অপহরন করে নিয়ে যায়।এই নিরীহ মানুষ গুল এএলপি দের কোন উদ্দেশ্যের স্বীকার হয়, আমাদের নিজেদের বাংলাদেশের সীমারেখায়।আমরা হারাই মুন্না ভাই ও জুবায়ের ভাই কে। জুবায়ের ভাই যার কিনা এ অভিযান থেকে ফিরেই অস্ট্রেলিয়া পিএইচডি করতে যাবার কথা ছিলো।
তাদের খুজতে আর্মি-বিজিবি-পুলিশ তিন বাহিনীর যৌথ অভিযান চলে।
কিন্তু ফিরে পাওয়া যায় নি মুন্না-জুবায়ের দের।
ফলাফল হিসেবে, আমরা পেয়েছি পার্বত্য অঞ্চলে ভ্রমনে অনিশ্চিত নিষেধাজ্ঞা।
কিন্তু কয়েকটা পরিবার হারিয়েছে তাদের প্রিয়জন।
যদিও বর্তমানে এই রুট গুলো স্বাভাবিক হচ্ছে ট্রাভেলাররা যাচ্ছে, কিন্তু মুন্না ভাইরা আর ফিরে আসবে না কখনই 🙂🙂
©(সংগৃহীত)