05/06/2025
🏵️🏵️তাকবীরে তাশরীক একবার পড়া ওয়াজিব, তিনবার পড়া মুস্তাহাব এবং এটাই স্বীকৃত মত।🥰
নিচের লেখাটি পড়লে এ নিয়ে আর কোনো দ্বন্দ্ব ও সংশয় থাকবেনা, আশা করি।
__________________________________
এ ব্যাপারে বিখ্যাত ফিকহের কিতাব আদ্দুররুল মুখতার-এ লিখিত আছে-
(وَيَجِبُ تَكْبِيرُ التَّشْرِيقِ) فِي الْأَصَحِّ لِلْأَمْرِ بِهِ (مَرَّةً) وَإِنْ زَادَ عَلَيْهَا يَكُونُ فَضْلًا قَالَهُ الْعَيْنِيُّ.
অর্থ: বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী এ বিষয়ে নির্দেশ থাকায় তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তবে যদি কেউ একাধিকবার বলে, তাহলে তা ফজিলতের কারণ হবে। এ কথা ইমাম আইনী রহ. বলেছেন।
তবে ইমাম ইবন আবিদীন শামী রহ. রদ্দুল মুহতারে ইমাম হামাভী রহ.-এর কওল এনে বলেছেন যে, ইমাম হামাভী রহ. ইমাম কারাহাছারি রহ. থেকে উদ্ধৃতি নকল করে বলেছেন, তাকবীরে তাশরীক দু’বার পাঠ করা খেলাফে সুন্নাহ (সুন্নাহ বিরোধী)।
এই এক ব্যক্তির কওল টেনে কিছু কওমী ভাইয়েরা বলে থাকেন, তাকবীরে তাশরীক তিনবার পড়া বিদআত। অথচ অন্যান্য ইমামগণ যে একাধিকবার পড়া মুস্তাহাব বা ফজিলতের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন, তা তাদের নজরে পড়ল না।
‘হাশিয়ায়ে তাহতাবী’ কিতাবে ‘একাধিকবার পড়া সুন্নাহবিরোধী’ এ কথার জবাবে বলা হয়েছে, কেউ যদি সুন্নাহ মনে করে একাধিকবার পাঠ করে, তবে খেলাফে সুন্নাহ হবে। আর সাধারণ জিকর হিসেবে কেউ একাধিকবার পাঠ করে, তবে তা মুস্তাহাব হবে। মূল কিতাবের ভাষ্য নিম্নে পেশ করা হল-
( ويأتي به مرة ) وما زاد فهو مستحب قال البدر العيني في شرح التحفة وأقره في الدر وفي الحموي عن القراحصاري الإتيان به مرتين خلاف السنة وفي مجمع الأنهر أن زاد فقد خالف السنة اه ولعل محله ما إذا أتى به على أنه سنة وأما إذا أتى به على أنه ذكر مطلق فلا
অর্থ: তাকবীরে তাশরীক একবার পাঠ করবে, তবে এর চেয়ে বেশি পড়া মুস্তাহাব, যা ইমাম আইনী রহ. ‘শরহে তুহফা’ কিতাবে বলেছেন। ‘আদ্দুররুল মুখতার’ প্রণেতা (একাধিকবার পড়া মুস্তাহাব) এ ব্যাপারটি স্বীয় কিতাবে আরো সুদৃঢ়ভাবে সাব্যস্ত করেছেন। আর ‘হামাভী’ কিতাবে ইমাম কারাহাছারি রহ. থেকে বর্ণিত আছে, একাধিকবার পড়া খেলাফে সুন্নাহ। তবে ‘মাজমাউল আনহার’ কিতাবে (খেলাফে সুন্নাহ কথার জবাব দিয়ে) বর্ণিত আছে, যদি সুন্নাহ মনে করে কেউ একাধিকবার পাঠ করে, তাহলে তা খেলাফে সুন্নাহ হবে। আর সাধারণ জিকর হিসেবে কেউ যদি একাধিকবার পাঠ করে, তাহলে তা সুন্নাহবিরোধী হবেনা।
উপরোক্ত নির্ভরযোগ্য কিতাবের বর্ণনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব এবং তিনবার বা একাধিকবার বলা মুস্তাহাব। এসব বর্ণনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়, বরং সর্বনিম্ন হল একবার; আর সর্বোচ্চ যে যতবার পড়তে চায় পড়তে পারবে, কোনো অসুবিধা নেই। সর্বনিম্ন একবার পাঠ করাকে ফুকাহায়ে কেরাম ওয়াজিব বলেছেন।