29/07/2020
******* একটি জনসচেতনতা মূলক পোস্ট *****
হাঁচি, কাঁশি, গলা খুসখুস, জ্বর, শরীর ব্যাথা, পাতালা পায়খানা, স্বাদ ও গন্ধহীন এসবের যেকোন ১/২টা উপসর্গ দেখা দিলেই ভেবে নেবেন আপনি করোনা আক্রান্ত। এতে ভয়ের কোন কারণই নেই। একটু সর্তক হলে বিষয়টি একেবারেই স্বাভাবিক। মনে রাখবেন ঘরের একজন আক্রান্ত হলে অপরাপর সদস্যগণ (গৃহকর্মীসহ) একযোগে চিকিৎসা শুরু করবেন।
এক্ষেত্রে প্রথমত প্রথমত প্রথমত
সৃস্টিকর্তার উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।
দ্বিতীয়ত : মানসিক শক্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। মনে রাখবেন মানসিক বিপর্যয় ঘটলে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো নির্জীব হয়ে পড়ে। আর তখনই করোনা ভাইরাসের দেহ দখলের সুযোগ তৈরী হয়। কোনভাবেই মানসিক বিপর্যয় ঘটতে দেয়া যাবে না।
তৃতীয়ত : আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে পরিবারের অপরাপর সদস্যগণ এমন আচরণ করবেন না যাতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হন। আক্রান্ত ব্যাক্তিকে কখনও কক্ষ বা গৃহবন্দি করবেন না। সর্বচ্চ তাঁর প্লেট গ্লাস চায়ের কাপসহ ব্যবহার্য্য জিনিস ভিন্ন করুন। তাকে অতীতের তুলনায় বেশী করে সময় দিন। মানসিক শক্তি দিন। একই বৈঠকে খাওয়া দাওয়া করুন। আমি আমার পজেটিভ স্ত্রীর সাথে বিছানা পৃথক করিনি। আমাদের কন্যাকেও করিনি। পরিবারের সবাই এক সাথে আইসোলেশনে থেকেছি।খেয়েছি। এতে আমার ছেলে মেয়ে সংক্রমিত হয়নি। ভয়ের কিছু নেই।
চতুর্থত : ঘরে একজন সদস্যেরও যদি উপসর্গ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে অপর সকল সদস্য কমপক্ষে ১৪ দিন ২৪ ঘন্টা মাস্ক ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যাক্তি দুটি অন্যরা ১টি মাস্ক ব্যবহার করবেন। এতে অনেকেই সুরক্ষিত থাকবেন। মাস্কের রাবারে আমার কানে উপরে ঘা হওয়ার পরও মাস্ক খুলিনি। কানের উপর টিস্যু পেপার ও তুলা ব্যবহার করেছি।
পঞ্চমত : পানির সাথে জীবানু নাশক মিশিয়ে (সম্ভব হলে) প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার ঘরের মেঝে ও ডায়েনিং টেবিল মুছতে হবে।
ষষ্ঠত : খাওয়ার পর ব্যবহার্য প্রতিটি থালা বাটি গ্লাস সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে।
সপ্তমত : এক ঘন্টা পরপর ঘরের সবাই সাবান দিয়ে হাত ধুবেন। যে কোন জিনিস মুখে দেয়ার আগে তো এ কাজ অবশ্যই করবেন।মনে রাখবেন ভেজালের ভীড়ে স্যানিটাইজারের চেয়েও সাবান করোনা নিধনে অনেক গুন বেশী কার্যকর।
অষ্টমত : প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাওয়ার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ,ডাল জাতীয় খাবার খাবেন।সব সম্ভব না হলে কমপক্ষে সকালে ২টা বিকালে ২টা কুসুমসহ (যে ফরমেটে পছন্দ করেন) ডিম খাবেন। এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন লেবু, তেতুল, আনারস, জাম, লটকন, আমলকি, পেঁপে, আম, লিচুসহ এখনকার মওসুমি ফল খাবেন। এক্ষেত্রে লেবু বেশী খাওয়া সম্ভব। এতে কাজও বেশী হয়। আপনি সারাদিন সাধ্যমত লেবুর সরবত,লেবু চা,ভাতের সাথে লেবু খান। কমপক্ষে ১৪ দিন জীবনকে লেবুময় করে তুলুন।
নবমত : মনে রাখবেন করোনা সংক্রমণ থেকে ফুসফুস রক্ষা করতে পারা মানে আপনি নিজেকে মৃত্য ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা করা। এজন্য গরম পানির ভাঁপ ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে টুইন কাজ করবেন। দেড় লিটার পানিতে ৭/৮টি এলাচি, ৭/৮টা লবঙ্গ (লং), ২/৩ টুকরা দারুচিনি, ২/৩টা তেজপাতা, ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদার কুঁচি, চা চামুচের ১ চামুচ কালোজিরা, আধা চামুচ হলুদ গুড়া ও ১ চামুচ চা পাতা ১টি বড় লেবুর রস দিয়ে ভালো করে জাল দিবেন। সেই উৎরানো গরম পানি থেকে নাক দিয়ে ভাঁপ নিবেন। মুখ দিয়ে ছাড়বেন। এতে ফুসফুস গরম হয়। আর গরমে ভাইরাসের মৃত্য ঘটে। ফুসফুস সুরক্ষায় এটি হচ্ছে এখন একমাত্র ব্যবস্থা। এক পর্যায় গরম বাস্প শেষ হলে সেই মসলা চা এক মগ পান করবেন। সম্ভব হলে মধু মিশিয়ে না হয় যে যার যার পছন্দ মত পান করবেন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ বার করে ১৪ দিন ভাঁপ ও মসলা চা পান করবেন।
দশমত : ফুসফুসের ব্যায়াম করুন। নাক দিয়ে লম্বা নিঃশ্বাস নিয়ে কমপক্ষে ১০ সেকেন্ড (সম্ভব হলে আরও বেশী) দম আটকে রেখে পরে মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়ুন। এভাবে ৫ বার। ৬ বারের সময় দম ছাড়তে কাঁশি দিয়ে ছাড়ুন। এসময় অবশ্যই হাতে একটি টিস্যু পেপার অথবা রুমাল মুখের সামনে রাখবেন। খেয়াল রাখবেন যাতে কাঁশির সাথে থুথু বাতাসে মিশতে ও মাটিতে পড়তে না পারে। এভাবে দিনে কমপক্ষে ৪ বার ১৪ দিন করবেন।
এগারোতম : এই মহুর্তে সবার ঘরে একটা অক্সি মিটার থাকা প্রয়োজন।থাকলে ২ ঘন্টা পরপর অক্সিজেন ও পালস্ রেট
জানতে পারবেন। মনে রাখবেন অক্সিজেন লেভেল ৯২ এর নিচে গেলে দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দিতে হবে।
ঘরে অক্সি মিটার না থাকলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে উপর হয়ে বুকের নিচে বালিস দিয়ে হাত পা ছড়িয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস টানুন ছাড়ুন। এভাবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট করুন। এতে অক্সিজেন লেভেল বাড়ে। এরপরও শ্বাসকষ্ট থাকলে অথবা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে হাসপাতালে অক্সিজেন দেয়ার দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া দৈহিক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ট্যাবলয়েড ও ক্যাপসুল খেতে হবে।
***ভিটামিন
১। ট্যাবলয়েড জিংক ২০
প্রতি রাতে ১টা ১৪ দিন
২। ট্যাবলয়েড সিভিট ডিএস
প্রতি সকালে ১টা রাতে ১টা চুষে
খাবেন ১৪ দিন
৩। ক্যাসুল ডি রাইস ৪০,০০০
প্রতি সাপ্তাহে ১টি ৬ সাপ্তাহ
***কাঁশি থাকলে
৪। এম কাস্ট ১০/মোনাস।
প্রতি রাতে ১টি ১৪ দিন
বেশী কাঁশি হলে ও সাথে কফ থাকলে
৫। ট্যাবলয়েড জিম্যাক্স
প্রতি রাতে ১টি ৭ দিন
৬। স্যাক্লো ২০/সারজেল ২০/ওমিপ্রাজল ২০ ট্রুপেন ২০ প্রতি সকালে ১টা রাতে ১টা
***জ্বর ও শরীরে ব্যাথা থাকলে
৬।নাপা এক্সটেইন্ড/এইচ প্লাস/নাপা র্যাপিড/প্যারাসিটামল
১টি ৮ ঘন্টা পরপর।
সবাইকে মনে রাখতে হবে করোনা ভাইরাস দেহে সংক্রামিত হয়ে ফুসফুস বিকল করে। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্য ঘটে। এ ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক নেই।
আতংক নয়, আমরা একটু সর্তক ও সচেতন হলে করোনাকে দেহের ভিতর মৃত্য ঘটাতে পারি।
তবে যাঁরা পূর্ব থেকে বিভিন্ন স্থায়ী রোগে ভুগছেন তাঁরা দয়া করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফুসফুস আক্রান্ত হলে কষ্ট হলেও হাসপাতালে চিকিৎসা নিন।
উপরে উল্লেখিত চিকিৎসা, সর্তকতা, সচেতনতায় আল্লাহ্’র অশেষ রহমতের কৃপায় এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় আমরা করোনা মুক্ত।
Collected.