Apollo Visa Service Limited

Apollo Visa Service Limited We provide best abroad Visa Service solution to the students and Worker their overall circumstances.

কানাডায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। আর প্রতি বছরই এই দেশটি ক্রমশ উন্নতির দিকে ধাবিত...
14/10/2024

কানাডায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। আর প্রতি বছরই এই দেশটি ক্রমশ উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। যদিও অন্যান্য উন্নত দেশের মতো কানাডার মার্কেট পরিধি তেমন বৃহৎ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ না। তবুও বিভিন্ন অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও কানাডার ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থিতিশীল ছিলো। বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম সেরা পাঁচটি শিল্পক্ষেত্র হলো,

কৃষি , শক্তি , প্রযুক্তি, পরিষেবা & ম্যানুফ্যাকচারিং

কানাডায় চাকুরিঃ

একটি দেশে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের চাকরির পদ ও কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু চাকরি রয়েছে যেগুলো অস্থায়ী, বিভিন্ন মৌসুমীকে কেন্দ্র করে, এ ধরনের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।

বিশেষ করে হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম ক্ষেত্রের চাকরিগুলো সাধারণত অস্থায়ী হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে কর্মজীবন শুরু করতে, তেমন কোনো বেগ পেতে হয় না। আপনি ইচ্ছা করলে, খুব সহজেই এসব চাকরিতে যোগদান করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি স্থায়ী চাকরি খোঁজ করেন এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় কাজ করতে ইচ্ছা পোষণ করেন, তবে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার যথার্থ পরিচয় দেওয়ার মাধ্যমেই শুধুমাত্র এসব স্থায়ী চাকরিগুলোতে নিয়োগ পেতে পারেন। কানাডার অধিবাসীদেরকে সাধারণত এসব স্থায়ী চাকরিতে যোগদান করতে উৎসাহিত করা হয়।

তবে বিদেশী নাগরিকদেরও এ ধরনের চাকরিক্ষেত্রে কাজ করার অপার সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে। ব্যাংকিং, ইন্সুরেন্স, রিটেইল ও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকলে খুব সহজেই, কানাডার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থায়ীভাবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

কাজের ভিসাঃ

ব্রিটিশ নাগরিকদের কানাডায় প্রবেশের জন্য সাধারণত ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি যদি বিমানযোগে কানাডায় প্রবেশ করতে চান। তবে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল ভিসার প্রয়োজন হবে। ১৮ থেকে ৩০ বছরর বয়সী যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য ওয়ার্কিং ট্রাভেল ভিসা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ভিসা পেতে হলে অবশ্যই ভিসার আবেদনের পূর্বেই একটি চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।

আর আপনি যদি ব্রিটিশ নাগরিক না হয়ে থাকেন, তবে আপনাকে কাজের জন্য অবশ্যই একটি ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা পেতে হলে পূর্বেই আপনাকে একটি চাকরির বন্দোবস্ত করতে হবে। আর আপনি যদি স্থায়ীভাবে থাকতে চান, তবে স্থায়ী স্থান নির্বাচন করে ভিসার জন্য আবেদন করুন। আপনি একটি চাকরি পেয়ে গেলে, কাজের জন্য ভিসা পেতে আপনাকে তেমন কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে না। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আপনি ভিসার জন্য আবেদন করলে, কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই আপনি কানাডায় কাজের জন্য ভিসা পেয়ে যাবেন।

উপার্জনঃ

কানাডায় পূর্ণ কর্মঘণ্টার একটি চাকরি করে গড়ে বছরে ৩০ হাজার পাউন্ড আয় করা সম্ভব, যা বাংলাদেশর মুদ্রার হিসাবে অনুযায়ী প্রায় ৩১ লাখ টাকা। আয় মূলত যোগ্যতা, দক্ষতা এবং কাজের ধরনের ওপরে নির্ভর করে। আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকলে কানাডায় বেশ উচ্চ বেতনের চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন।

সুযোগ-সুবিধাঃ

কানাডায় যদি আপনি কাজ ও বসবাস করেন। তবে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

যেমন: উন্নত মানের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন, নিরাপদভাবে বসবাস করতে পারবেন, উন্নতমানের জীবনযাপন করতে পারবেন, প্রথম শ্রেণির স্বাস্থ্য সেবা পাবেন, বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষদের সঙ্গে বসবাস করার সুযোগ পাবেন এবং বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

কীভাবে চাকরি পাবেনঃ

কানাডায় চাকরি পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। এছাড়াও সহজে চাকরি পেতে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।

গবেষণা করুনঃ

কানাডা একটি বৃহৎ দেশ এবং এ দেশের মধ্যে কাজ, আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তাই আপনাকে গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে, আপনার জন্য উপযুক্ত কাজ ও স্থান কোনটি।

এজন্য কানাডার বিভিন্ন স্থান ও কাজ সম্পর্কে পূর্বেই ধারণা অর্জন করতে হবে। যেমন: আপনি যদি প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করতে চান, তবে অটোয়া আপনার জন্য উপযুক্ত স্থান। আবার যদি তেল ও গ্যাস শিল্পে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতে চান, তবে টরেন্টো আপনার জন্য উপযুক্ত স্থান হতে পারে। তাই আপনি কোন কাজের জন্য উপযুক্ত, কানাডার কোথায় আপনি আপনার পছন্দের কাজ পাবেন এবং বসবাসের জন্য আপনার উপযুক্ত স্থান কোনটি হতে পারে, এগুলো গবেষণা ও চিন্তাভাবনার মাধ্যমে খুঁজে বের করুন।

নেটওয়ার্ক বাড়ানোঃ

চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আপনার শক্তি নেটওয়ার্ক থাকলে, খুব সহজেই ভালো চাকরি পেয়ে যেতে পারেন।

তাই আপনি কানাডায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করুন। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব।

পরিশেষেঃ
আশা করি আজকের পোস্ট থেকে কানাডা ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছেন। এর বাহিরেও যদি আরো প্রশ্ন আপনার থেকে থাকে তবে কমেন্টে জানান অথবা ম্যাসেজ করুন অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে-

বুলগেরিয়ান ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। বিশেষ করে সকল বাংলাদেশি নাগরিকদের কে ভারতের নতুন দিল্লির বুলগেরিয়ান এম্ব...
07/10/2024

বুলগেরিয়ান ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। বিশেষ করে সকল বাংলাদেশি নাগরিকদের কে ভারতের নতুন দিল্লির বুলগেরিয়ান এম্বাসিতে আবেদন করতে হয়। এদেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোরঞ্জন সমুদ্র সৈকত যা হাজার পর্যটকদের কে আকর্ষণ করে।

তবে বুলগেরিয়া এরকম মহাদেশের একটি রাষ্ট্র হওয়ায় বাংলাদেশী নাগরিকেরা অনেক আগ্রহের সাথে এই দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা তৈরি করে থাকেন। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে বুলগেরিয়ার বিভিন্ন কাজের ভিসা পাওয়া যায়।

তবে বুলগেরিয়া এরকম মহাদেশের একটি রাষ্ট্র হওয়ায় বাংলাদেশী নাগরিকেরা অনেক আগ্রহের সাথে এই দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা তৈরি করে থাকেন। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে বুলগেরিয়ার বিভিন্ন কাজের ভিসা পাওয়া যায়।

আর বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় ন্যূনতম ৪৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৭৭ হাজার টাকা অথবা ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়। তবে বুলগেরিয়ার কাজের ভিসার খরচও অনেক বেশি হয়ে থাকে।

বুলগেরিয়া কাজের ভিসাঃ

বুলগেরিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। বুলগেরিয়ার জীবনযাত্রার মান বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। তাই উন্নত জীবন যাপন ও বেশি টাকা বেতনের আশায় অনেক বাংলাদেশী নাগরিক বুলগেরিয়ার কাজের ভিসা অনুসন্ধান করে থাকেন।

তবে বুলগেরিয়ার কাজের ভিসা পেতে হলে অবশ্যই ভারতের বিভিন্ন এম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অথবা বাংলাদেশে বসেই বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সির সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারেন।

আর বর্তমানে বুলগেরিয়া কাজের ভিসা দাম ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা। তবে সরকারি এবং বেসরকারি বুলগেরিয়া কাজের ভিসার দামের পার্থক্য হবে। বেসরকারিভাবে অর্থাৎ ভারতের এম্বাসির সাহায্য নিয়ে ভিসা তৈরি করলে খরচ হতে পারে ০৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।

বুলগেরিয়া বেতন কত 2024ঃ

কৃষিকাজ, কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং ও ও ডেলিভারি ম্যানসহ বিভিন্ন কাজের ভিসা পাওয়া যায়। আর এ সকল কাজের ভিসার আলাদা আলাদা ভিতর নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়াও ব্যক্তি স্বার্থে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেও কাজের বেতন আলাদা নির্ধারিত হয়। যেমন বুলগেরিয়া সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত হয় ৪৫-৫০ হাজার টাকা। এবং সর্বোচ্চ ৭০-৯০ হাজার টাকা।

কৃষি কাজের বেতন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
=> রেস্টুরেন্ট কাজের বেতন ৬০-৭০ হাজার টাকা।
=> কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন ৬০-৮০ হাজার টাকা।
=> ড্রাইভিং কাজের বেতন ৬০-৭০ হাজার টাকা।
=> ডেলিভারি বয়ের বেতন ৫০-৭০ হাজার টাকা।

বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ঃ

বুলগিরিয়া থেকে চাকরির অফার লেটারের মাধ্যমে খুব সহজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই ছয় মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

আর বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হিসেবে ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ওয়েল্ডিং শ্রমিক, ড্রাইভার, হাউস কিপার সহ বিভিন্ন ভিসায় আবেদন করতে পারেন।

আর বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম ন্যূনতম ৫ লক্ষ টাকা ৬ লক্ষ টাকা। তবে অপরিচিত দালাল বা এজেন্সির সাহায্য নিলে ৭ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা ২০২৪
বর্তমানে বুলগিরিয়াতে গার্মেন্টস শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে সেই দেশে শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম।

বুলগিরিয়ায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের অন্যতম বেতন ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা। তবে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এই বেতন ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা হতে পারে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মত বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করুন। আর বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসার খরচ ৪ লক্ষ ৫ লক্ষ টাকা। তবে বেসরকারী ভাবে বা কোনো দালালের সাহায্যে গেলে খরচ হবে ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।

বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে 2024
ভিসার ধরন, অনলাইনে আবেদন, বিমান ভাড়া সহ সবমিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যেতে ০৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগে।

তবে স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসায় বুলগেরিয়া যেতে ০৪ থেকে ০৫ লক্ষ টাকা লাগে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যাওয়ার সম্পূর্ণ খরচ ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করছে।

বুলগেরিয়া কাজের ভিসা কি কি লাগেঃ

বুলগেরিয়ায় কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই গুরুত্ব পূর্ণ অনেক ডকুমেন্টের প্র্রয়োজন হয়। শর্তাবলী যোগ্য কাগজ পত্র জমা না দিতে পারলে ভিসা তৈরি হতে সমস্যা হয়। যেমন বুলগেরিয়া কাজের ভিসা তৈরি করতে একটি

=> বৈধ পাসপোর্ট
=> কাজের চুক্তিপত্র
=> কাজের অফার লেটার
=> আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
=> পুলিশ ক্লিয়ারেন্স:
=> পাসপোর্ট সাইজের দুটি ছবি:
=> শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ:
=> স্বাস্থ্য সনদ
=> একটি বৈধ পাসপোর্ট
=> ভ্রমণ বীমা
=> থাকার জন্য আর্থিক মাধ্যমের প্রমাণ
=> কর্মসংস্থান চুক্তি
=> শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
=> পেনাল ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
=> ভিসা ফি

বুলগেরিয়া কাজের ভিসায় অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই ভারতের কোনো এম্বাসির সাহায্যে ভিসার জন্য আবেদন করুন। তবে পরিচিত এবং জনপ্রিয় দালালদের সাহায্যে ভিসা আবেদন করুন। না হলে প্রতারকেরা আপনার সমস্ত টাকা ভিসার নাম করে হাতিয়ে দিবে।

শেনজেন ভিসা কিভাবে পাবেন? কি কি লাগবে? শেনজেন আসলে কি? এই সব প্রশ্নের সহজ সমাধান নিয়ে আজকের পোস্ট টা সাজানো হয়েছে। আশাকর...
06/10/2024

শেনজেন ভিসা কিভাবে পাবেন? কি কি লাগবে? শেনজেন আসলে কি? এই সব প্রশ্নের সহজ সমাধান নিয়ে আজকের পোস্ট টা সাজানো হয়েছে। আশাকরি আজকের এই পোস্ট থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।

যারা দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করেন তাদের কাছে ‘শেনজন’ শব্দটি পরিচিত। অন্যরাও হয়তো শেনজেন ভিসার নাম শুনে থাকবেন। ‘শেনজেন ভিসা’ অন্যসব দেশের ভিসা থেকে আলাদা। এই ভিসার মাধ্যমে ইউরোপের ২৭টি দেশ ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। শেনজেনভুক্ত যেকোনো একটি দেশের ভিসা সংগ্রহ করে বাকি ২৬টি দেশ অনায়াসে ভ্রমণ করা যায়। এজন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয় না।

শেনজেনভুক্ত দেশের নামঃ

অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, ইতালি, এস্তোনিয়া, গ্রিস, চেক রিপাবলিক, জার্মানি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, মাল্টা, লুক্সেমবার্গ, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্পেন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, হাঙ্গেরি এবং ক্রোয়েশিয়া-এই দেশগুলো শেনজেন দেশ।

শেনজেন চুক্তিঃ

১৯৮৫ সালে লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে ইউরোপীয় দেশগুলো নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। দেশগুলোকে একীভূত করে নানা উন্নয়ন কার্য সম্পাদন করার উদ্দেশে এই চুক্তি হয়। এই চুক্তির ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয় ‘শেনজেন ভিসা’।

শেনজেন অঞ্চলঃ

শেনজেন অঞ্চল বা শেনজেন এলাকা হলো ২৭টি ইউরোপীয় দেশ নিয়ে গঠিত একটি এলাকা, যেখানে পারস্পরিক সীমান্তে সবধরনের পাসপোর্ট এবং অন্যান্য সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্ত দেশসমূহ স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং বিচার নীতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একই রকম হওয়ায়, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইউভুক্ত দেশসমূহ একটি সাধারণ ভিসা নীতি মেনে চলে।

১৯৮৫ সালের শেনজেন চুক্তিতে এবং ১৯৯০ সালের শেনজেন কনভেনশনে অঞ্চলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নামকরণ করা হয়। উভয় চুক্তি লুক্সেমবার্গের শেনজেনে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

শেনজেন অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় ৪২ কোটি। আয়তন ৪৩,১২,০৯৯ বর্গকিলোমিটার । প্রায় ১৭ লাখ মানুষ প্রতিদিন একটি অভ্যন্তরীণ ইউরোপীয় সীমান্ত পেরিয়ে কাজ করার জন্য অন্য দেশে যাতায়াত করে এবং কিছু অঞ্চলে এরা কর্মশক্তির এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত গঠন করে।

প্রতি বছর শেনজেন এলাকায় মোট ১৩০ কোটি সীমান্ত পারাপার ঘটে থাকে। প্রতি বছর সড়কপথে ২ লাক ৮০ হাজার কোটি ইউরো মূল্যের ৫.৭ কোটি আমদানি-রফতানি সংগঠিত হয়।

ভৌগলিক অবস্থা, বাণিজ্য অংশীদার এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে শেনজেন অঞ্চলের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যের ব্যয় ০.৪২% থেকে ১.৫৯% পর্যন্ত হ্রাস পায়। সেনজেন এলাকার বাইরের দেশগুলোও এ কারণে উপকৃত হয়।
শেনজেন অঞ্চলের রাজ্যগুলি শেনজেনভুক্ত নয় এমন দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে।

শেনজেন ভিসাঃ

ইউরোপ তথা শেনজেন দেশগুলোতে পর্যটন কিংবা যেকোনও কাজে প্রত্যেক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৯০ দিন অবস্থান করতে পারেন। এজন্য পেতে হয় শেনজেন ভিসা। এক ভিসাতেই ২৭টি দেশে বেড়ানো যায়। তাই এটি ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে আরাধ্য।

শেনজেন ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের। অর্থাৎ এ কয়দিনের মধ্যে বেড়ানো বা ব্যবসা সংক্রান্ত প্রয়োজনে ইউরোপ ঘুরে আসা যায়। শেনজেনভুক্ত যেকোনো একটি দেশের ভিসা নিয়ে অন্যান্য দেশগুলোতেও ভ্রমণ করা যায়।

শেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায়ঃ

শেনজেন ভিসা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন ফর্ম আছে। গুগলে ইংরেজিতে শেনজেন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম লিখে সার্চ দিলে এই ভিসার আবেদনের লিংক পাবেন। ভিসার জন্য আবেদন করুন এই লিংকে।

আবেদন ফর্মটি সতর্কতার সঙ্গে পূরন করতে হবে। দুই পাশের প্রতিটি ঘর পূরণ করতে হবে। এই ফর্মে কোনো ঘর ফাঁকা থাকলে অথবা তথ্যে ভুল থাকা যাবে না। এমন হলে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করা হবে না। আবেদন ফরমের একটি কপি জমা দিতে হবে। আর ফর্মে অবশ্যই তারিখ ও স্বাক্ষর থাকতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে শেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায়ঃ

২৭টি শেনজেনভু্ক্ত দেশের যে কয়টির দূতাবাস বাংলাদেশে আছে সেখানে যোগাযোগ করে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। মনে রাখতে হবে শেনজেনভুক্ত যেকোনো দেশের দূতাবাস থেকেই এই ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে।

শেনজেন ভিসা ফিঃ

শেনজেন ভিসা পাওয়ার স্ট্যান্ডার্ড ফি ৮০ ইউরো ডলার। এই ফি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। ছয় থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য ভিসা ফি ৪০ ইউরো। ছয় বছরের নিচের শিশুদের ভিসা ফি লাগে না।

ইউরোপের অন্যতম দেশ সুইডেন বছরের পর বছর ধরে নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত আর্থসামাজিক অবস্থা নিশ্চিত করে আসছে। বিশ্বখ্যাত সব ব্যবসা...
05/10/2024

ইউরোপের অন্যতম দেশ সুইডেন বছরের পর বছর ধরে নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত আর্থসামাজিক অবস্থা নিশ্চিত করে আসছে। বিশ্বখ্যাত সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এ আশ্রয়স্থলে ক্যারিয়ার গঠন হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্নতুল্য। চলুন, শেনজেনভুক্ত দেশ সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, অধ্যয়ন খরচ এবং স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক—

কেন সুইডেন অন্যতম সেরা গন্তব্য—

সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রম শেনজেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) বিশ্বে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। প্রধান ভাষা সুইডিশ হলেও স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের প্রতি ১০ জনের ৯ জনই সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলেন। পড়াশোনাসহ নিত্য জীবনযাত্রা এবং চাকরি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের পছন্দের অন্যতম গন্তব্য সুইডেন।

সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী পরিবেশগত দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশ সুইডেন। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দূষণমুক্ত দেশগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা এই দেশটির দূষণ সূচক মাত্র ১৭ দশমিক ৭। এ ছাড়া বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভ্রমণবান্ধব দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রয়েছে এই নর্ডিক দেশটি।

পড়াশোনার জন্য সুইডেন যাত্রার আরও একটি প্রধান কারণ হচ্ছে স্টুডেন্ট নোবেল নাইটক্যাপ। এ অনুষ্ঠানে বিশ্বের একাডেমিক সুপারস্টারদের সন্নিবেশ ঘটে। এই ভূখণ্ডে নোবেল পুরস্কারকে কেন্দ্র করে চলে নানা আয়োজন। বিশেষ করে স্টকহোমে পুরো একটি সপ্তাহ উদ্‌যাপন করা হয় নোবেলকে ঘিরে।

শত শত স্টার্টআপ কোম্পানির স্বর্গরাজ্য সুইডেনকে বলা হয় ইউরোপের সিলিকন ভ্যালি। ক্যালিফোর্নিয়ার পর স্টকহোমই হচ্ছে দ্বিতীয় শহর, যেখানে সর্বাধিক সফল কোম্পানিগুলোর গোড়াপত্তন হয়েছে।

ইউরোপীয় দেশটির আরও যে বিষয়টি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে, তা হলো, কর্ম ও জীবনের মধ্যে এক আশ্চর্য ভারসাম্য। এখানে প্রতিটি চাকরিতেই রয়েছে যথেষ্ট শিথিলতা। প্রয়োজন অনুযায়ী শিফটিং এবং প্যাটার্নিটি বা ম্যাটার্নিটি লিভসহ বিভিন্ন উপলক্ষে সাময়িক ছুটির নীতি। এখানে মূলত কর্মীদের সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা পাওয়ার জন্য তাদের চাপমুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পুরো দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ কর্মচারী খুব দীর্ঘ সময় ধরে বা ওভারটাইম কাজ করে।

সেরা বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো: কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, লুন্ড ইউনিভার্সিটি, উপসালা ইউনিভার্সিটি, স্টকহোম ইউনিভার্সিটি, চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব গোথেনবার্গ, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, লিনকোপিং ইউনিভার্সিটি, উমিয়া ইউনিভার্সিটি ও হাল্মস্ট্যাড ইউনিভার্সিটি।

সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো: প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ব্যবসা ও অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, যোগাযোগ ও তথ্য, লাইফ সায়েন্সেস অ্যান্ড মেডিসিন, ডিজাইন অ্যান্ড আর্কিটেকচার।

আবেদনের উপায়—
সাধারণত ফল ও স্প্রিং সেমিস্টারে ভর্তির কার্যক্রম চালু করে সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ফল সেমিস্টার আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হয়। এই মৌসুমে আবেদনের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রোগ্রাম চালু থাকে। আবেদন গ্রহণ অব্যাহত থাকে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে যে প্রোগ্রামগুলো বাদ পড়ে যায়, সেগুলোয় ভর্তির আবেদন নেওয়া হয় স্প্রিং সেমিস্টারে। এ মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলে পরের বছরের আগস্ট পর্যন্ত।

কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামার সেমিস্টারেও ভর্তি নেওয়া হয়। তাই উত্তম হচ্ছে প্রথমে বিষয় পছন্দ করে তার জন্য উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করে তার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা। তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদনের ব্যাপারে ফল সেমিস্টারকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কেননা আবেদনের জন্য যথেষ্ট বিকল্প কোর্স পাওয়ার সুযোগ তো আছেই! তা ছাড়া এ সময়ে আবেদন করা হলে অধ্যয়ন ফি প্রদান, প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রেরণ, রেসিডেন্স পার্মিটের আবেদন এবং আবাসন খোঁজার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে যেকোনো প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য একটি সাধারণ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (universityadmissions.se) মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হয়। এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাঙ্ক্ষিত প্রোগ্রামগুলোকে নির্বাচন করে সেগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করে রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত আবেদনপ্রক্রিয়া শুরুর পূর্বে প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো জেনে নেওয়া উচিত।

আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র—

=> স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদন করলে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার সনদ
=> স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ৪ বা অনার্সসহ ৩ বছরের স্নাতক ডিগ্রির সনদ
=> ইংরেজি ভাষা দক্ষতার স্কোর: আইইএলটিএস (একাডেমিক) মোট স্কোর ৬ দশমিক ৫ (কোনো বিভাগে ৫ দশমিক ৫–এর কম পাওয়া যাবে না) টোয়েফল ইন্টারনেটভিত্তিক স্কোর ২০ (০ থেকে ৩০ স্কেলে) এবং মোট => স্কোর ৯০। শিক্ষার্থীর স্নাতকের ৪ বছর ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করলে অথবা উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে থাকলে => আলাদা করে আইইএলটিএস বা টোয়েফলের দরকার হবে না। এ ক্ষেত্রে মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন বা এমওআই প্রদর্শন করতে হবে।
=> একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
=> সিভি বা পোর্টফোলিও
=> স্টেটমেন্ট অব পার্পাস
=> লেটার অব মোটিভেশন
=> লেটার অব রিকমেন্ডেশন

দীর্ঘকালীন পড়াশোনার জন্য যেতে হলে অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। এ পারমিটে অধ্যয়নের জন্য ৩ মাস বা ৯০ দিনের বেশি সুইডেনে বসবাস করার অনুমতি লাভ করা যায়। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরি, এই পারমিট নিয়ে শেনজেনভুক্ত অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করা যাবে না। তার জন্য আলাদাভাবে স্বল্পমেয়াদি (৩ মাসের কম সময়ের জন্য) ভিসার আবেদন করতে হবে।

ভিসার জন্য দরকারি নথিপত্র—
=> পাসপোর্টের ডাটা পৃষ্ঠা (পাসপোর্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অন্তত ৩ মাস পর্যন্ত বৈধ থাকতে হবে এবং যেখানে কমপক্ষে দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকবে)
=> সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যুকৃত ভর্তির অফার লেটার (এখানে পূর্ণকালীন অধ্যয়নের সময়সীমা ন্যূনতম ৯০ দিন বা ৩ মাসের অধিক হতে হবে)
=> সুইডেনে বসবাসের জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ: প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার ৩১৪ ক্রোনা (১ লাখ ২০ হাজার ৯৮৮ টাকা)। নথি হিসেবে প্রার্থীর নিজের নামে থাকা সাম্প্রতিক ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে, যার ইস্যুর তারিখ ৪ মাসের খুব বেশি হওয়া যাবে না।
=> শিক্ষার্থী যদি নিজে তার ব্যয়ভার বহন করেন তবে তার সপক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণস্বরূপ প্রাসঙ্গিক নথি লাগবে। কর্মচারী হলে কর্মসংস্থানের প্রশংসাপত্র প্রয়োজন হবে। স্বনিযুক্ত হলে সুইডিশ কোম্পানির নিবন্ধন অফিস থেকে নিবন্ধন প্রশংসাপত্র এবং এফ-ট্যাক্স কার্ডের অনুলিপি জমা দিতে হবে।

কর্মসংস্থানের যে যের তথ্য থাকতে হবে, তা হলো:------

=> নিয়োগকর্তার নাম, যোগাযোগের বিবরণ ও কোম্পানির নিবন্ধন নম্বর
=> বেতন
=> চাকরির সময়কাল
=> অন্য কেউ স্পন্সর করে থাকলে তার পক্ষ থেকে একটি স্পন্সরশিপ লেটার দিতে হবে। স্পন্সর বা গ্যারান্টরের নিকট থেকে তহবিল শিক্ষার্থীর => ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে। স্পন্সর লেটারে থাকত হবে—
=> স্পন্সর বা গ্যারান্টরের নাম
=> তহবিলের প্রাপক তথা শিক্ষার্থীর নাম
=> তহবিলের মোট পরিমাণ এবং প্রাপ্তির সময়। তহবিল কিস্তিতে স্থানান্তর করা হলে সেই কিস্তি সংখ্যা।
=> স্পন্সরশিপের সুনির্দিষ্ট সময়কাল
=> তহবিলের কোনো অংশ শিক্ষার্থীর জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ
স্পন্সর আয়ের উৎস ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত তথ্যাবলি
=> স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে তার একটি প্রশংসাপত্র। এখানে উল্লেখ থাকবে—স্কলারশিপ প্রদানকারীর (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান) নাম, স্কলারশিপ অর্জনকারী তথা শিক্ষার্থীর নাম, স্কলারশিপের সময়সীমা এবং সুইডেনে পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে তার স্বীকারক্তি, অর্থের মোট পরিমাণ, কখন এবং কি পদ্ধতিতে প্রদান করা হবে তার বিস্তারিত, স্কলারশিপের কোন অংশটি শিক্ষার্থীর জীবনযাত্রার ব্যয় বহনে খরচ হবে।

স্টুডেন্ট লোন পেলে, তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং একটি প্রশংসাপত্র। এখানে উল্লেখ থাকবে—

=> ঋণ প্রদানকারী বা প্রদানকারীদের নাম
=> ঋণগ্রহীতা তথা ছাত্রছাত্রীর নাম
=> ঋণের সময়সীমা
=> শিক্ষার্থী কখন তা পরিশোধ করবেন
=> ঋণের অর্থ অধ্যয়নের জন্য কীভাবে ব্যবহৃত হবে (মাসিক বা মোট পরিমাণ)
=> ঋণের কোনো পরিমাণটি দিয়ে ছাত্রছাত্রীর জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করা হবে
=> পিএইচডির ক্ষেত্রে সুপারভাইজার অধ্যাপকের একটি প্রশংসাপত্র, যেখানে অধ্যয়নের পুরো সময় উল্লেখ থাকবে
পুরো অধ্যয়নের সময়জুড়ে সুইডেনে যাতায়াত ও বসবাসের জন্য স্বাস্থ্যবিমা: কমপক্ষে ৩০ হাজার ইউরো বা ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার ৩৫১ টাকা (১ ইউরো = ১৩৩ দশমিক ২৮ টাকা), যা যেকোনো শেনজেনভুক্ত দেশের জন্য প্রযোজ্য

ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় ও রেসিডেন্স পারমিট কার্ড সংগ্রহ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকরণের কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ ৩ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে অতিরিক্ত তথ্য বা নথির প্রয়োজন হলে আরও সময় লাগতে পারে। তাই সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর অধ্যয়ন ফি পরিশোধের পরে যত দ্রুত সম্ভব রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করা উচিত। এতে ভিসার প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়, যার ফলাফল সেমিস্টারের ক্লাস শুরুর বেশ আগেই চলে আসতে পারে।

আবেদন যাচাই-বাছাই করে সুইডিশ অভিবাসন অধিদপ্তর কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত ই-মেইলের মাধ্যমে প্রার্থীকে জানাবে। অতঃপর সে অনুযায়ী পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।

সুইডেনে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ—
অধ্যয়ন এবং জীবনযাত্রার যাবতীয় খরচ মিলে সুইডেনের উচ্চশিক্ষায় যে বাজেট রাখতে হয় তা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। বিষয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষে অধ্যয়ন ফি বাবদ খরচ হতে পারে প্রতিবছর ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩৬ থেকে ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৪ টাকার সমতুল্য। তন্মধ্যে ব্যবসা ও স্থাপত্যের কোর্সে খরচ সবচেয়ে বেশি। অপর দিকে, সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক কোর্স ফি সর্বনিম্ন। এ দুয়ের মধ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রোগ্রাম ও ন্যাচারাল সায়েন্স কোর্সের মূল্য বছরে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ক্রোনা। এই পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৭ হাজার ৬৫৫ থেকে ১৭ লাখ ৯১৬ টাকার সমান।

নিত্যদিনের থাকা-খাওয়া ও চলাফেরার খরচ বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন রকম। বিশেষ করে স্টকহোম ও গোথেনবার্গের মতো বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয়ভার সর্বাধিক। অন্যদিকে লুন্ড ও উপসালার মতো শহরগুলো মোটামুটি শিক্ষার্থীবান্ধব।

সব মিলিয়ে গড়পড়তায় যে বাজেট থাকে সেখানে বিপুল অংশজুড়ে থাকে আবাসন। মাসে প্রায় ২ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ ক্রোনা (২৯ হাজার ৩২৬ থেকে ৭৬ হাজার ২৪৮ টাকা)। ইউটিলিটির জন্য রাখতে হবে মাসে ১ হাজার ৩০০ ক্রোনা (১৫ হাজার ২৫০ টাকা)। খাবার ও প্রতি মাসের মুদির জন্য ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ ক্রোনা (১৭ হাজার ৫৯৬ থেকে ২৯ হাজার ৩২৬ টাকা)। পরিবহনে ব্যয় হবে ১ হাজার ক্রোনা বা ১১ হাজার ৭৩০ টাকা।

সুইডেনে স্কলারশিপ—
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে রয়েছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের সুবিধা। এগুলোর মধ্যে কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১ লাখ ৪১ হাজার থেকে ৩ লাখ ৭২ হাজার ক্রোনা পর্যন্ত।

=> চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি স্কলারশিপের মূল্য ২৩ হাজার থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার ক্রোনা
=> লুন্ড ইউনিভার্সিটি গ্লোবাল প্রতিবছর ৮৫ হাজার থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ক্রোনার স্কলারশিপ দিয়ে থাকে
=> লিনকোপিং ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়া যায় বছরে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ২ হাজার ক্রোনা।
=> সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ ফর গ্লোবাল প্রফেশনাল কার্যক্রম থেকে বরাদ্দ থাকে প্রতি মাসে ১২ হাজার ক্রোনা।
=> উপসালা ইউনিভার্সিটি গ্লোবাল স্কলারশিপের আওতায় থাকে

সেমিস্টারপ্রতি ৫০ হাজার থেকে ৭২ হাজার ৫০০ ক্রোনা।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ মাসে ১৩ হাজার ক্রোনা দেয়। জনপ্রিয় স্কলারশিপ প্রকল্প ইরাস্মাস মুন্ডাস জয়েন্ট মাস্টার ডিগ্রি থেকে প্রতি সেমিস্টারে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৫২ হাজার ক্রোনা।

খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ কেমন
সুইডেনে পড়াশোনার জন্য রেসিডেন্স পারমিট লাভের মাধ্যমে অধ্যয়নের পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের অনুমতিও পাওয়া যায়। আলাদা করে আর ওয়ার্ক পারমিটের দরকার পড়ে না। এমনকি অন্য দেশগুলোর মতো এখানে কাজের জন্য কোনো ধরাবাঁধা সময়সীমা নেই।

সুইডেনে খণ্ডকালীন চাকরি করে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০০ ক্রোনা (৪ হাজার ৬৯২ টাকা) পর্যন্ত আয় করা যায়। এই হারে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করে মাসিক ৩২ হাজার ক্রোনা পর্যন্ত উপার্জন করা যেতে পারে। শুধু নিত্যদিনের জীবনযাত্রার ব্যয়ভার সামলানো নয়, এর মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়, তা ছাড়া ভবিষ্যতে পূর্ণকালীন চাকরির জন্য নেটওয়ার্কিং-এও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই স্বল্পকালীন কাজগুলো।

ঘণ্টাপ্রতি গড় রেটের একটি তালিকা—
=> লাইব্রেরি সহকারী: ১৬৫ ক্রোনা
=> গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি: ২০০ ক্রোনা
=> গবেষণা সহকারী: ২০০ ক্রোনা
=> ল্যাব টেকনিশিয়ান: ২৩৬ ক্রোনা
=> রিসেপশনিস্ট: ১৬০ ক্রোনা
=> ওয়েটার বা ওয়েট্রেস: ১৩০ ক্রোনা
=> বিক্রয় সহকারী: ১৪৪ ক্রোনা
=> আইটি সাপোর্ট: ২৫৩ ক্রোনা
=> ফ্রিল্যান্স রাইটিং বা অনুবাদক: ২৪২ ক্রোনা

আয়ের ক্ষেত্রে কর দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। কেননা মাসিক আয়ের প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়।

বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী দেশ কানাডা। এছাড়া ভ্রমন প্রিয় মানুষের কাছে কানাডা খুবই জনপ্রিয় একটি দেশ। শুধু বাংলাদেশ নয়,...
30/09/2024

বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী দেশ কানাডা। এছাড়া ভ্রমন প্রিয় মানুষের কাছে কানাডা খুবই জনপ্রিয় একটি দেশ। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের মানুষ কানাডা ভ্রমণ করার জন্য যাচ্ছে। কিন্তু অবশ্যই কানাডা ভিজিট করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ভিজিট ভিসা পেতে হবে। এজন্য আপনি নিশ্চই কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম অবগত হতে বা জানতে চাচ্ছেন।
তবে আমরা অনেকেই কানাডা ভ্রমণ ভিসা বিস্তারিত জানি না। তাই আজকের এই পোস্টে কানাডা ভিজিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আপনি যদি ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে সঠিকভাবে আপনার ভিসা আবেদন করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই আপনার কানাডা ভিজিট ভিসা পেয়ে যেতে পারেন। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত-

উন্নত ধরনের জীবনযাপন, পড়াশোনা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে কানাডা অনেক বেশি এগিয়ে। এছাড়া ভ্রমণ প্রিয় মানুষের জন্য কানাডায় রয়েছে বিশেষ করে টরন্টো, কুইবেক, ভ্যানকুভার ইত্যাদি শহরের মতো অনেক পর্যটন কেন্দ্র।

তবে কানাডা ভ্রমণ করা সহজ হলেও কানাডা ভ্রমণ ভিসা পাওয়া একটু কঠিন। তাই বলে আপনি যে কানাডা ভ্রমণ করতে পারবেন না তা কিন্তু নয়।

আপনার যদি কানাডা ভিজিট ভিসার যোগ্যতা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ভ্রমন ভিসা পাবেন। চলুন কানাডা ভিজিট ভিসার প্রসেস সমূহ জেনে নেই।

কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়মঃ

আপনি যদি ভ্রমন ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। অথবা আপনার যদি পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সর্বনিম্ন ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। এরপর আপনার সকল বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত কানাডিয়ান এমবাসিতে যেতে হবে।

সেখান থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কর্তৃপক্ষ আপনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার পর আপনার ভিসা আবেদন গ্রহণ করবে। কিছু ঠিকঠাক থাকলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মত হতে পারে।

কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য কী কী যোগ্যতা লাগে?

কানাডা ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদনকারীর বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর পাশাপাশি আবেদনকারী প্রার্থীকে আর্থিকভাবে সচ্ছল প্রমাণ করতে হবে।

এজন্য ব্যাংক একাউন্টে নিয়মিত লেনদেন করতে হবে। এছাড়াও আবেদনকারীর বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ থাকা যাবে না।

কানাডা ভিজিট ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে?
কানাডা ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এজন্য কি কি প্রয়োজন ডকুমেন্টস লাগে তা জানতে হবে।

১. কানাডা ভিসা জন্য বায়োমেট্রিক জমা দেওয়া অপরিহার্য। অর্থাৎ, ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে।
২. ৬ মাস মেয়াদি বৈধ পাসপোর্ট
৩. কানাডা ভিজিট ভিসা আবেদন ফরম
৪. আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
৫. সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
৭. মেডিকেল সার্টিফিকেট
৮. ব্যাংক স্টেটমেন্ট ( ব্যাংকে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা দেখাতে হবে )
৯. বিবাহিতদের জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট
১০. করোনা ভ্যাকসিনের টিকা কার্ড

উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে নিকটস্থ কানাডা ভিসা এজেন্সিতে যোগাযোগ করবেন। এছাড়াও যদি অন্যান্য কোন কাগজপত্র লাগে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।

কানাডা ভিজিট ভিসা খরচ কত?

আপনি যদি কানাডা যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডা ভিজিট ভিসার খরচ অনেক বেশি।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় ভিজিট ভিসা নিয়ে গেলে সর্বনিম্ন ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হবে।

কানাডা ভিজিট ভিসা আবেদনের নিয়মঃ

কানাডা ভ্রমণ ভিসার জন্য আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য সরকারি কানাডিয়ান ওয়েবসাইট canada.ca সাইটে ভিজিট করুন।

তারপর পর্যায়ক্রমে আপনার যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে আপলোড করার পর Pay your fees এ ক্লিক করে আবেদন ফি পরিশোধ করুন।

প্রথম অবস্থায় অনলাইনে ভিসার আবেদন করা আপনার জন্য কঠিন হবে। এ কারণে YouTube এ সম্পর্কে ভিডিও দেখে নিতে পারেন।

কানাডা ভ্রমণ ভিসা আবেদন কেন্দ্র কোথায়?

আমাদের দেশে মোট ৩টি কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্র রয়েছে। আপনার যদি এই আবেদন কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে জানা থাকে তাহলে কানাডা ভিসা নিয়ে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা থাকবে না।

কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম

কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম ১/২ মাস। অর্থাৎ আবেদন করার ১/২ মাসের মধ্যে ভিসা হাতে পাওয়া যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এর থেকেও বেশি সময় লাগে। আপনার ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আশা করা যায় যে, সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে ভিসা .পেয়ে যেতে পারেন।

কমন কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ

কানাডা ভিজিট ভিসায় দিয়ে কাজ করা যায়?
বর্তমানে কানাডা ভিজিট ভিসায় কাজ করার সুযোগ আছে। তবে ভিসার আবেদন করার সময় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে।

কানাডা ভিজিট ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে?
কানাডা ভিজিট ভিসা পেতে সর্বনিম্ন ৩০/৬০ দিন সময় লাগে।

কানাডায় ভিজিট ভিসার মেয়াদ কতদিন বাড়ানো যায়?
কানাডিয়ান ভিজিট ভিসার মেয়াদ ১৮০ দিন বাড়ানো যায় তবে এর জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ থাকতে হবে। সুনির্দিষ্ট কোন কারণ ছাড়া ভিজিট ভিসার মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব না।

বাংলাদেশে কানাডার এম্বাসি কোথায়?
বাংলাদেশে কানাডার এম্বাসি ঢাকায় অবস্থিত। বিস্তারিত ঠিকানাঃ- হাউজ নং ১৬ এ, রোড নং ৪৮, গুলশান-২, ঢাকা।

শেষ কথা
আশা করি, কানাডা ভিজিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। অবশ্যই ভিসা আবেদন করার পূর্বে আপনার সকল ধরনের বৈধ কাগজপত্র গুলো ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে নিবেন। আপনি যদি নিজের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই কোন এজেন্সির সহযোগিতা নিবেন।

ধন্যবাদ!

কানাডা ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম হল সেই সব কর্মীদের জন্য কানাডায় বসতি স্থাপনের সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়া যাদের পে...
26/09/2024

কানাডা ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম হল সেই সব কর্মীদের জন্য কানাডায় বসতি স্থাপনের সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়া যাদের পেশা দক্ষ পেশার তালিকার অধীনে পড়ে। কানাডা প্রতিভাবান কর্মীদের অভাবের সম্মুখীন এবং এটি আপনার জন্য উপযুক্ত সময় কানাডিয়ান পিআর-এর জন্য আবেদন করার। ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম একটি পয়েন্ট-ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করে যা অভিবাসন প্রক্রিয়াকে স্ট্রিমলাইন করে। আপনার ন্যূনতম 67/100 পয়েন্ট প্রয়োজন এবং তারপরে আপনার অভিবাসন যাত্রার পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে পারেন। Y-Axis-এর কাছে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে যাতে আপনি প্রতিটি পদক্ষেপে সঠিক কল করেন। একটি মসৃণ, চাপমুক্ত অভিবাসন যাত্রা নিশ্চিত করতে আমাদের দলগুলি আপনার সাথে কাজ করবে।

কানাডা ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রামের বিশদ বিবরণঃ

ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম আপনাকে ক্যুবেক ব্যতীত কানাডায় যেকোন জায়গায় বসবাস করতে, কাজ করতে এবং বসতি স্থাপন করতে দেয়।

=> এটি একটি অনলাইন প্রোগ্রাম যাতে সফল আবেদনকারীদের সংখ্যার কোন ক্যাপ নেই
=> আপনাকে অবশ্যই একটি এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট জমা দিতে হবে এবং যেকোনো ধরনের পেশার অধীনে একজন আবেদনকারী হিসেবে আবেদন করতে হবে কানাডার বেশিরভাগ ওয়েবপেজে TEER 0, 1, 2, 3-এ তালিকাভুক্ত হতে হবে।
=> আপনার প্রোফাইল পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে এবং আবেদনকারী পুলে স্থাপন করা হবে
=> কানাডিয়ান প্রদেশ এবং নিয়োগকর্তারা এই পুল অ্যাক্সেস করবে এবং তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিভা খুঁজে পাবে
=> সর্বোচ্চ পয়েন্টধারীদের পিআর-এর জন্য আবেদন করার জন্য একটি আমন্ত্রণ পাঠানো হয়
=> বার্ষিক অভিবাসন স্তরের উপর ভিত্তি করে জারি করা ITA-এর সংখ্যা

ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রামের জন্য যোগ্যতা:

কানাডা ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রামটি কানাডায় কাজ করতে এবং বসতি স্থাপনের জন্য চাহিদাযুক্ত পেশাদারদের আকৃষ্ট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। একজন আবেদনকারী হিসাবে, আপনাকে পয়েন্ট-ভিত্তিক স্কেলে মূল্যায়ন করা হবে এবং আপনাকে অবশ্যই ন্যূনতম 67 পয়েন্ট স্কোর করতে হবে। মূল্যায়ন নিম্নলিখিত পরামিতিগুলির উপর হবে:

=> বয়স
=> শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর
=> ভাষা দক্ষতা
=> কর্মদক্ষতা
=> অন্যান্য কারণের

অতিরিক্তভাবে, আপনাকে অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে:

=> আপনার ইংরেজি বা ফরাসি ভাষায় পর্যাপ্ত ভাষা দক্ষতা আছে
তালিকায় একটি পেশায় গত 1 বছরে আপনার কমপক্ষে 10 বছরের
অবিচ্ছিন্ন পূর্ণ-সময় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে
=> আপনি একটি বৈধ কানাডিয়ান সমতুল্য একটি শিক্ষা আছে
কিভাবে Y-Axis আপনাকে সাহায্য করতে পারে?

কানাডিয়ান ইমিগ্রেশনে আমাদের বিশাল অভিজ্ঞতার সাথে, Y-Axis সাফল্যের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা সহ একটি আবেদন ফাইল করার জন্য আপনার সেরা বাজি। আমাদের দল আপনাকে সাহায্য করবে:

=> ইমিগ্রেশন ডকুমেন্ট চেকলিস্ট
=> সম্পূর্ণ আবেদন প্রক্রিয়াকরণ
=> ফর্ম, ডকুমেন্টেশন এবং পিটিশন ফাইলিং
=> আপডেট এবং ফলো-আপ
=> চাকরির সন্ধান পরিষেবা

কানাডায় স্থানান্তর এবং সেটেল ডাউন সমর্থন
কানাডা ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম দক্ষ ব্যক্তিদের বিদেশে নতুন জীবন গড়ার জন্য একটি আশ্চর্যজনক বিকল্প। আপনি আবেদন করার যোগ্য কিনা তা মূল্যায়ন করতে আপনার Y-Axis পরামর্শদাতার সাথে কথা বলুন।

ধন্যবাদ!

Address

Ga-99/5. Rahima Tower. Middle Badda. Dhaka 1212
Dhaka

Telephone

+8801641149408

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Apollo Visa Service Limited posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Apollo Visa Service Limited:

Share