Bookingbangla.com, Plot No./327, Road-17, Block-E, Bashundhara Avenue Road, Dhaka (2025)

23/04/2025

📣 ভ্রমণপিপাসু, কল্পনাপ্রবণ, সৃজনশীল চিন্তাশীলদের জন্য এক দুর্দান্ত ঘোষণা! 🌍✨
আমরা খুঁজছি আমাদের অভিযাত্রী বহরের পরবর্তী যাত্রীকে—হয়তো সেটি আপনি!

Bookingbangla.com শুধু একটি ট্রাভেল ব্র্যান্ড নয়—এটা সেই মানুষদের দল,
যারা স্বপ্ন দেখে ভ্রমণ দিয়ে, গল্প বলে অভিজ্ঞতায়, আর ছুঁয়ে যায় মানুষের মন।
এবার আমরা চাই, সেই গল্পের পরবর্তী অধ্যায়ে থাকুক আপনার নাম।

🎨 আপনি কি জানেন কিভাবে এক টুকরো ছবি হয়ে উঠতে পারে সারা দিনের হাসির কারণ?
💡 মাথায় কি ঘুরে বেড়ায় অজস্র কনটেন্ট আইডিয়া, যেগুলো দুনিয়া না দেখলে চলেই না?
😄 মানুষের মুখে হাসি ফোটানো আর সমস্যার জট খুলে দেওয়াই যদি হয় আপনার সুপারপাওয়ার—

🛎️ তাহলে এই আহ্বান আপনার জন্যই!
আমরা খুঁজছি এমন একজন অলরাউন্ডারকে যিনি—

➤ সোশ্যাল মিডিয়াকে সৃজনশীলতায় রাঙাবেন।
➤ আর আন্তরিকতার সাথে কাস্টমারদের সমস্যা সমাধান করে ভালোবাসায় মোহাবিষ্ট করবেন।

🎯 আপনার দায়িত্ব:
📱 সোশ্যাল মিডিয়া অর্গানাইজার –
আমাদের ফেসবুক পেজে প্রাণ আনুন নতুন কনটেন্ট, মজার ক্যাপশন আর ক্রিয়েটিভ ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে।

🤝 কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি –
গ্রাহকের প্রশ্নে কণ্ঠে হাসি এনে দিন, দ্রুত সমস্যার সমাধান দিন আর গড়ে তুলুন বিশ্বাসের সম্পর্ক।

🧪 আপনাকে যাচাই করতে চাই একটু অন্যভাবে—
📌 𝐂𝐡𝐚𝐥𝐥𝐞𝐧𝐠𝐞 𝟎𝟏:
আমাদের ফেসবুক পেজের জন্য দিন একটি ফ্যান্টাস্টিক পোস্ট আইডিয়া!
➡️ ক্যাপশন, ভিজ্যুয়াল (ছবি/ভিডিও) কনসেপ্ট, আর কিছু ট্রেন্ডি হ্যাশট্যাগ!

📌 𝐂𝐡𝐚𝐥𝐥𝐞𝐧𝐠𝐞 𝟎𝟐:
একজন কাল্পনিক গ্রাহক সমস্যায় পড়েছেন:
“আমি বুকিং করেছি কিন্তু কনফার্মেশন ইমেইল পাইনি। এখন কী করবো?”
—এই সমস্যার আপনার সমাধান দিন ১৫০ শব্দে।

📌 𝐂𝐡𝐚𝐥𝐥𝐞𝐧𝐠𝐞 𝟎𝟑:
“আমি কেন এই দুই ভূমিকাতেই পারফেক্ট?”
—এই প্রশ্নের উত্তর দিন ১ মিনিটের একটি ভিডিও বা একটি ইনফোগ্রাফিক্সে।
পোস্ট করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে: [https://www.facebook.com/groups/bookingbanglatravelers]

📧 আপনার সৃজনশীল উত্তরগুলো পাঠান: [[email protected]]
📧 গুগল ফরমটি পূরণ করুন [https://forms.gle/QzkUU9risUVzcz4J9]

🗓️ শেষ সময়: ১৫ মে, ২০২৫ খ্রি.

🌈 আমাদের টিমে যোগ দিন!
এখানে কাজ মানে শুধু একটি দায়িত্ব নয়, বরং প্রতিদিন এক নতুন অভিযান।
ভ্রমণ, গল্প, আর মানুষের সঙ্গে সংযোগ—সব একসাথে শেখা ও উপভোগের সুযোগ।

#চাকরি #নিয়োগ #অলরাউন্ডারজব #সোশ্যালমিডিয়া #কাস্টমারসাপোর্ট

03/03/2025

সাজেক ভ্যালিতে অগ্নিকাণ্ড: বিপর্যয়, সমবেদনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক রিসোর্ট, কটেজ, এবং দোকান পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দা, যারা তাদের উপার্জনের প্রধান উৎস হারিয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ফলে সাজেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে আমরা গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি। যারা তাদের স্বপ্নের ব্যবসা হারিয়েছেন, যারা পরিবার নিয়ে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রইল। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে, যেন ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।

আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, রান্নাঘরের গ্যাস লিকেজ, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা অসতর্কতার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কাঠ ও বাঁশের তৈরি স্থাপনার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।

এই ধরনের বিপর্যয় প্রতিরোধে ভবিষ্যতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি:

নিরাপত্তা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
✅ ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা জোরদার করা – প্রতিটি রিসোর্ট ও কটেজে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
✅ নিয়মিত মনিটরিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা – বৈদ্যুতিক তার, গ্যাস সংযোগ ও অন্যান্য দাহ্য উপকরণের নিয়মিত পরিদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।
✅ জরুরি উদ্ধার ব্যবস্থার উন্নতি – সাজেক এলাকায় পর্যাপ্ত ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি উদ্ধারকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণ ও পুনর্গঠন
✅ পরিবেশ পুনরুদ্ধার – পোড়া এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত বৃক্ষরোপণ ও অন্যান্য সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
✅ স্থাপনা নির্মাণে কঠোর বিধিনিষেধ – অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের অনুমোদন দিতে হবে।

সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের পর্যটনের একটি গর্বিত অংশ। এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো, পর্যটনের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা এবং আগামীর জন্য নিরাপদ ও টেকসই পর্যটন নিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।

#সাজেক #সাজেকেআগুন

21/02/2025

বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান। নিম্নলিখিত এরকম আরও তথ্য জানতে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।

১. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত, যা প্রায় ১২০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি। এর প্রধান আকর্ষণ হলো সুবিস্তৃত বালুকাবেলা, নীল জলরাশি, এবং গর্জন করা ঢেউ। সৈকতের প্রধান অংশ হলো লাবণী পয়েন্ট, যেখানে অধিকাংশ পর্যটক ভিড় করেন। ইনানী ও হিমছড়ি সৈকত আরও নিরিবিলি ও মনোমুগ্ধকর। এখানে উঁচু পাহাড় থেকে সমুদ্রের ঢেউ দেখার অভিজ্ঞতা অসাধারণ।

কক্সবাজারের আশপাশে আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন মহেশখালী দ্বীপ, যেখানে রয়েছে আদিনাথ মন্দির ও মিষ্টি পানির লেক। রামুর বৌদ্ধবিহার বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন।

পর্যটকদের জন্য এখানে বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে সাশ্রয়ী রিসোর্ট ও কটেজের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজারের বিখ্যাত খাবারের মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার বিশেষ পদ।

শীতকাল হলো এখানে ভ্রমণের উপযুক্ত সময়, কারণ তখন বাতাস ঠাণ্ডা ও আবহাওয়া মনোরম থাকে। কক্সবাজার শুধু বাংলাদেশিদের নয়, বিদেশি পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয় স্থান।

২. সেন্টমার্টিন দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, যা বঙ্গোপসাগরের বুকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপকূল থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর স্বচ্ছ নীল জল, ধবধবে সাদা বালুর সৈকত ও প্রবাল প্রাচীর একে দেশের সবচেয়ে মনোরম দ্বীপে পরিণত করেছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের মূল আকর্ষণ হলো ছেঁড়াদ্বীপ, যেখানে যেতে হলে নৌকা বা ট্রলারে উঠতে হয়। প্রবালের বিভিন্ন রঙের স্তর, নারকেল গাছের সারি, এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

দ্বীপে থাকার জন্য কটেজ ও রিসোর্টের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সীমিত সময়ের জন্য থাকে। তাই পর্যটকদের হাতে টর্চলাইট ও পর্যাপ্ত চার্জ দেওয়া পাওয়ার ব্যাংক রাখা উচিত।

সেন্টমার্টিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো টাটকা সামুদ্রিক মাছ ও লবস্টার। তবে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে দ্বীপে পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকে।

৩. সুন্দরবন
সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল। এটি খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে বিস্তৃত। সুন্দরবন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত একটি বন, যা বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র।

এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো করমজল, কটকা, দুবলার চর, এবং হিরণ পয়েন্ট। করমজল হলো বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে কুমির, হরিণ, এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। কটকা বনভ্রমণের জন্য বিখ্যাত, যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মিলতে পারে।

সুন্দরবনের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হলো দুবলার চরের রাসমেলা, যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। এছাড়া, সুন্দরবনের গহীন অরণ্য ও জলাভূমিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নৌকাভ্রমণ অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা।

পর্যটকদের অবশ্যই প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বনভ্রমণে যেতে হবে। বর্ষাকালে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি থাকায় শীতকালে ভ্রমণের জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

৪. সোনারগাঁও – বাংলার প্রাচীন রাজধানী
সোনারগাঁও একসময় বাংলার রাজধানী ছিল এবং এটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।

সোনারগাঁওয়ের প্রধান আকর্ষণ হলো পানাম নগর, যেখানে ১৫০-২০০ বছর পুরোনো দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যসমৃদ্ধ ভবনগুলো ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এই শহর একসময় বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল, বিশেষ করে মসলিন কাপড় উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।

এছাড়া, এখানে রয়েছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, যেখানে দেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, পোশাক, এবং গ্রামীণ জীবনের বিভিন্ন নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। আরও রয়েছে দরগাবাড়ি মসজিদ, গোয়ালদি মসজিদ, এবং ঈশা খাঁর দুর্গ, যা সোনারগাঁওয়ের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এটি খুব সহজেই দিনে গিয়ে দেখে আসা যায়। শীতকালে এখানে ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময়।

৫. বান্দরবান – বাংলাদেশের পাহাড়ের রানি
বান্দরবান বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সবচেয়ে সুন্দর জেলা, যা প্রকৃতি প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। এটি বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল এবং এখানকার পাহাড়, ঝরনা ও মেঘের রাজত্ব পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

বান্দরবানের প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে নীলগিরি, বগা লেক, নাফাখুম জলপ্রপাত, এবং থানচি। নীলগিরি থেকে মেঘ ছোঁয়ার অনুভূতি পাওয়া যায়, আর বগা লেক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক হ্রদ। নাফাখুম জলপ্রপাত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জলপ্রপাত এবং থানচি থেকে রেমাক্রি হয়ে নাফাখুম পর্যন্ত ট্রেকিং একটি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।

বান্দরবানে বেড়ানোর জন্য অক্টোবর থেকে মার্চ মাস সবচেয়ে ভালো সময়। এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য গাইড নিয়ে চলাফেরা করাই উত্তম।

৬. রাঙামাটি – লেক ও পাহাড়ের মিলনস্থল
রাঙামাটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক স্বর্গরাজ্য। এটি কাপ্তাই লেকের কারণে সবচেয়ে বেশি পরিচিত, যা বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ।

রাঙামাটির দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে কাপ্তাই লেক, সাজেক ভ্যালি, শুভলং ঝরনা, এবং পাহাড়ি আদিবাসী সংস্কৃতি। কাপ্তাই লেকে নৌকা ভ্রমণ পর্যটকদের জন্য অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। সাজেক ভ্যালি হলো মেঘ, পাহাড় এবং সূর্যাস্তের অসাধারণ এক মিলনস্থল, যা পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে। শুভলং ঝরনায় বর্ষাকালে প্রচুর পানি প্রবাহিত হয়, যা দেখার মতো দৃশ্য।

রাঙামাটিতে হস্তশিল্প, বোনা কাপড় এবং পাহাড়ি খাবার পাওয়া যায়, যা স্থানীয় সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে। বছরের যেকোনো সময় রাঙামাটি ভ্রমণ করা গেলেও, শীতকালে লেকের সৌন্দর্য আরও বেশি উপভোগ্য হয়।

৭. পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার – প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান। এটি নওগাঁ জেলায় অবস্থিত এবং প্রাচীন সোমপুর মহাবিহারের অংশ, যা পাল রাজাদের আমলে নির্মিত হয়েছিল।

এই বিহারটি ছিল একটি শিক্ষাকেন্দ্র, যেখানে ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও সাধক বৌদ্ধ ধর্মচর্চা করতেন। এর বিশাল চত্বর, নকশা করা ইটের কাঠামো এবং ভাস্কর্যগুলো প্রাচীন বাংলার স্থাপত্য ও সংস্কৃতির উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

প্রত্নতত্ত্বপ্রেমীদের জন্য এটি অন্যতম সেরা গন্তব্য। এখানে গেলে পাশের মহাস্থানগড় এবং মোহনজোড়ো ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখা যায়। শীতকাল হলো পাহাড়পুর ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

৮. মহাস্থানগড় – বাংলার প্রাচীনতম শহর
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো নগরী, যা বগুড়া জেলায় অবস্থিত। এটি প্রাচীন ‘পুণ্ড্রনগর’ রাজ্যের অংশ ছিল এবং ৩য় শতাব্দীতে মগধ সাম্রাজ্যের শাসনাধীন ছিল।

এখানে প্রধান আকর্ষণ হলো প্রাচীন দুর্গ, মাটির নিচে থাকা ঐতিহাসিক স্থাপত্য, এবং গোকুল মেধ, যা মহাভারতের কাহিনির সঙ্গে যুক্ত। এখানে আরও আছে মহাস্থান মিউজিয়াম, যেখানে ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষিত আছে।

মহাস্থানগড় ভ্রমণ করে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে গভীর ধারণা পাওয়া যায়। শীতকালে এখানে ভ্রমণ করা সবচেয়ে ভালো।

৯. কুয়াকাটা – বাংলাদেশের ‘সাগরকন্যা’
কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমুদ্র সৈকত, যা বরগুনা জেলার কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত, যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উভয়ই দেখা যায়।

কুয়াকাটার প্রধান আকর্ষণ হলো লম্বা বালুকাবেলা, গঙ্গামাটি চর, ফাতরার বন, এবং রাখাইন জনগোষ্ঠীর গ্রাম। রাখাইন সংস্কৃতি ও তাদের হাতে তৈরি হস্তশিল্প পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।

কুয়াকাটা ভ্রমণের জন্য নভেম্বর থেকে মার্চ মাস সবচেয়ে উপযুক্ত। এখানে থাকার জন্য অনেক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।

১০. জাফলং – প্রকৃতির এক অনন্য রূপ
সিলেটের জাফলং এক অসম্ভব সুন্দর স্থান, যা মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এটি মূলত পিয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত এবং স্বচ্ছ জলরাশি ও পাথরের জন্য বিখ্যাত।

জাফলংয়ের প্রধান আকর্ষণ হলো পিয়াইন নদী, পাহাড়ের চূড়ায় মেঘের খেলা, চা বাগান, এবং খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রাম। বর্ষাকালে এখানকার সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায়, কারণ তখন পাহাড় থেকে ছোট ছোট ঝরনা নামে।

সিলেট শহর থেকে জাফলং সহজেই যাওয়া যায় এবং এটি বছরের যেকোনো সময় ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।

এই স্থানগুলো বাংলাদেশের পর্যটন মানচিত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যগুলোর মধ্যে পড়ে। প্রতিটি জায়গার ভিন্ন সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য রয়েছে, যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

19/02/2025

সদরঘাট থেকে দক্ষিণবঙ্গ লঞ্চ যাত্রাকে আরও সহজ করতে বুকিং বাংলা কাজ করছে। শীঘ্রই আসছে সহজ থেকে সহজতর লঞ্চ টিকেটিং সুবিধা।
#বুকিং #বুকিংবাংলা

18/02/2025

স্বল্প খরচে স্মরণীয় ভ্রমণ: সহজ কিছু কৌশল
ভ্রমণের পরিকল্পনা তো হলো, কিন্তু বাজেট? পকেটের টানাটানিতে শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বাতিল করতে হয় অনেককে। কিন্তু কিছু সহজ কৌশল মেনে চললে কম খরচে দুর্দান্ত ভ্রমণ সম্ভব—দেশে তো বটেই, বিদেশেও!

1️⃣ ভ্রমণের সঠিক সময় নির্বাচন করুন
পিক সিজনে ভ্রমণের খরচ সবচেয়ে বেশি থাকে। টিকিট, হোটেল, সবকিছুর দাম তখন আকাশছোঁয়া! অফ-সিজনে গেলে একই অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় কম খরচে। তাই মানুষের চাপ কম থাকে এমন সময় বেছে নিন।

2️⃣ আগেভাগে টিকিট বুকিং করুন
বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে অন্তত ৪-৫ মাস আগে টিকিট কিনলে অনেক কম খরচে পাওয়া যায়। আর ট্রেন বা বাসের ক্ষেত্রেও ছাড়ের সুযোগ পাওয়া যায় আগাম বুকিংয়ে।

3️⃣ লোকাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন
নানান শহরে ঘুরতে হলে প্রাইভেট গাড়ির বদলে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিন। এতে বাজেটের বড় অংশ বেঁচে যাবে।

4️⃣ দলবদ্ধভাবে ঘুরতে যান
কয়েকজন মিলে ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে হোটেল, খাবার ও পরিবহন খরচ ভাগ হয়ে যাবে, ফলে মাথাপিছু খরচ কমবে।

5️⃣ হোস্টেল বা বাজেট হোটেল বেছে নিন
একা ভ্রমণ করলে মূল শহর থেকে একটু দূরের হোস্টেল বা গেস্টহাউস খুঁজুন। এসব জায়গায় থাকার খরচ অনেক কম হয়।

6️⃣ অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান
নামি-দামি রেস্তোরাঁর বদলে স্থানীয় খাবারের দোকানে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে কম খরচে ভ্রমণের স্বাদ নেওয়া যাবে।

7️⃣ সস্তায় বিমান ভ্রমণ কৌশল
ভোরের দিকে ফ্লাইট নিলে টিকিটের দাম কম হয়। দিনের বেলা বা সন্ধ্যার ফ্লাইটের তুলনায় এসব টিকিট অনেক সাশ্রয়ী হতে পারে।

সঠিক পরিকল্পনা ও কিছু কৌশল মেনে চললে কম খরচে দারুণ অভিজ্ঞতা পাওয়া সম্ভব। তাই এখনই পরিকল্পনা করুন, ব্যাগ গুছান, আর বেরিয়ে পড়ুন নতুন গন্তব্যের পথে! ✈️🌍

16/02/2025

🚌 ঢাকা থেকে দেবতাখুম যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে দেবতাখুম যেতে হলে প্রথমে আপনাকে বান্দরবান যেতে হবে।

বাসে যাত্রা: ঢাকার কলাবাগান, সায়েদাবাদ বা ফকিরাপুল থেকে সরাসরি বান্দরবানের বাস পাওয়া যায়। রাতের বাসে গেলে সকালে বান্দরবান পৌঁছানো যাবে।

বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি: বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি বা লোকাল বাসে করে রোয়াংছড়ি যেতে হবে।

রোয়াংছড়ি থেকে রেমাক্রি বাজার: এখান থেকে নৌকায় বা হাঁটাপথে রেমাক্রি বাজারে যেতে হবে।

রেমাক্রি থেকে দেবতাখুম: গাইডের সহায়তায় দেবতাখুমের প্রবেশপথে পৌঁছানো যাবে, যা মূলত ট্রেকিং ও নৌপথে সম্পন্ন করতে হয়।

দেবতাখুম ভ্রমণ এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে, যদি আপনি নিরাপদ ও সচেতনভাবে ভ্রমণ করেন। প্রকৃতিকে ভালোবাসুন, নিয়ম মেনে চলুন, আর মুগ্ধকর এই জলখাতের সৌন্দর্য উপভোগ করুন! ✨
#দেবতাখুম #বান্দরবান #চট্টগ্রাম #ভ্রমণ #ঝরনা #ভ্রমণগাইড

15/02/2025

দেবতাখুম: এক রহস্যময় জলধারা

সম্প্রতি খুলে দেয়া হয়েছে খুমের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত বান্দরবানের দুর্গম সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ দেবতাখুম। এটি একটি গভীর জলখাত, যেখানে সরু পানিপথ ধরে নৌকা বা লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করে ভ্রমণ করতে হয়। সবুজ পাহাড়, শীতল জল ও রহস্যময় পরিবেশ একে দারুণ অ্যাডভেঞ্চারাস গন্তব্যে পরিণত করেছে। তবে, নিরাপদ ভ্রমণের জন্য কিছু নির্দেশনা অবশ্যই মানতে হবে।

✅ যা করবেন (করণীয়)

✔ ভ্রমণের অনুমতি নিন: বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া দেবতাখুমে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ।
✔ গাইড সঙ্গে নিন: পাথুরে ও সংকীর্ণ পথে গাইড ছাড়া যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
✔ লাইফ জ্যাকেট পরুন: পুরো ভ্রমণে নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক।
✔ সামান্য ব্যাগ নিন: শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস নিন, কারণ ভারী ব্যাগ নিলে চলাচলে সমস্যা হবে।
✔ পর্যাপ্ত পানি ও খাবার নিন: দীর্ঘ পথচলার জন্য হালকা খাবার ও পানি সঙ্গে রাখুন।
✔ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন: কোনো কিছু নষ্ট না করে প্রকৃতিকে তার স্বাভাবিক রূপে রাখুন।

❌ যা করবেন না (বর্জনীয়)

✖ প্লাস্টিক বা ময়লা ফেলবেন না: পরিবেশ সুরক্ষায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
✖ একাই বের হবেন না: নিরাপত্তার জন্য দলবদ্ধ হয়ে চলুন।
✖ খুমে লাফ দিবেন না: পানি কখনো কখনো গভীর হতে পারে, তাই ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়।
✖ অতিরিক্ত জিনিস বহন করবেন না: ভারী জিনিসপত্র নিলে চলাফেরায় অসুবিধা হতে পারে।
✖ অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পিং করবেন না: প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া রাতে থাকা নিষিদ্ধ।

ℹ ভ্রমণের উপদেশ

🔹 সঠিক মৌসুম নির্বাচন করুন: বর্ষার পরপরই (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়।
🔹 আরামদায়ক পোশাক পরুন: হালকা, শুকনো পোশাক ও ট্র্যাকিং উপযোগী জুতা পরা ভালো।
🔹 ক্যামেরা ও পাওয়ার ব্যাংক নিন: মনোমুগ্ধকর মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করতে ভুলবেন না।
🔹 স্থানীয়দের সম্মান করুন: স্থানীয়দের সঙ্গে ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলুন ও তাদের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন।
#দেবতাখুম #বান্দরবান #চট্টগ্রাম #ভ্রমণ #ঝরনা #ভ্রমণগাইড

15/01/2025

গত ৯-১১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সাজেক ভ্যালী ট্রিপটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য সকল ভ্রমণসঙ্গীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এভাবেই সকলের জীবন আনন্দে ভরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই আগামীর দিকে। উপহার দিতে চাই সীমাহীন আনন্দ।
আপনাদের ট্রিপ বুক করতে যোগাযোগ করতে পারেন 01511-173766

Bookingbangla.com

23/04/2025

03/03/2025

21/02/2025

19/02/2025

18/02/2025

16/02/2025

15/02/2025

15/01/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category