https://www.facebook.com/111452818145511/

𝗛𝗼𝗹𝗶𝗱𝗮𝘆 𝗢𝘂𝘁𝗶𝗻𝗴, 24 Purana Paltan, Dhaka (2025)

29/05/2022

সম্মানীত ভারত গমনেচ্ছু যাত্রী দের সুবিধার্থে জানানো যাইতেছে যে, দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯/০৫/২০২২ ইং তারিখ হইতে ঢাকা ক্যান্টমেন্ট স্টেশন থেকে কলকাতা গামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন আবার চালু হবে। যাদের ভিসায় শুধুমাত্র বাই রেল (রুট) লিখা আছে তারা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন এর টিকেট ক্রয় করে ভারত গমণ করিতে পারিবেন।

23/05/2022

বরেন্দ্র জাদুঘর, রাজশাহী

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী শহরে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এই প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহশালাটি ১৯১০ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে।

বরেন্দ্র জাদুঘর প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

১৯১০ সালে তাঁরা বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ঐ বছরে তাঁরা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করার জন্য শরৎ কুমার রায়ের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৩ সালে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেল জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।

১৯১১ সালে কলকাতা জাদুঘর অকস্মাৎ এতে সংরক্ষিত সকল নিদর্শন তাদের বলে দাবি করে বসে। তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেলের প্রচেষ্টায় ১৯১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জারীকৃত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরেন্দ্র জাদুঘরকে এর নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যাপারে স্বাধিকার প্রদান করা হয়।

১৯২৩ সালে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের সাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের খনন কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির একক প্রচেষ্টায় পাহাড়পুর থেকে ২৫৬টি নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। ১৯৪৭ সালের পর জাদুঘরটি অস্তিত্ত্ব সংকট পড়ে। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬১ সাল পযর্ন্ত জাদুঘর ভবনটির অর্ধেকাংশ মেডিকেল স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ১৯৬৪ সালে জাদুঘরটি বন্ধ হবার উপক্রম হলে ঐ বছরের ১০ অক্টোবর এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিগ্রহণ করে।

19/05/2022

স্বপ্নপুরী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরশহর থেকে ৫২ কিমি দক্ষিণে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১৫০ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে নান্দনিক সৌন্দর্যের এক স্বপ্নীল বিনোদনজগৎ স্বপ্নপুরী। স্বপ্নপুরীর প্রবেশমুখে স্থাপিত প্রস্তরনির্মিত ধবধবে সাদা ডানাবিশিষ্ট দুটি সুবিশালপরী যেন মোহনীয় ভঙ্গীতে পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। স্বপ্নপুরী হচ্ছে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিনোদনকেন্দ্র। এখানে রয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পশু-পাখির অবিকল ভাস্কর্য, কৃত্রিম পাহাড়, কৃত্রিম ঝর্ণা এবং ইট-সিমেন্টে নির্মিত বাংলাদেশের এক সুবিশাল মানচিত্রের সমন্বয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, জীবন্ত পশুপাখীর চিড়িয়াখানা, শিশুদের জন্য পার্ক, দোলনা, বায়োস্কোপ ইত্যাদি। স্বপ্নপুরীর আরও আকর্ষণ সারি সারি সবুজ দেবদারুগাছের মনোলোভা সৌন্দর্য আর বিস্তীর্ণ ঝিলের তীরে ফুটন্ত গোলাপ বাগানের মাঝখানে স্থাপিত অপরূপ সুন্দর “নিশিপদ্ম”। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য আরও রয়েছে বিশাল দিঘিতে স্পিডবোট ও ময়ূরপঙ্ক্ষীনাও, দুইটি ঘোড়াচালিত টমটম, স্বচ্ছ পানির ফোয়ারাবিশিষ্ট কয়েকটি ফুল বাগান। পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য আকর্ষণীয় রেস্ট হাউস ও ডাক বাংলোসহ বিনোদনের আরও অনেক উপকরণ।

18/05/2022

সুন্দরবন (ম্যানগ্রোভ বন)

সুন্দরবন বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি, যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম। পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর অববাহিকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি। বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাজুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে গড়ে উঠা সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার (৬২%) রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ (৩৮%) রয়েছে ভারতের মধ্যে। সুন্দরবন ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ বস্তুত একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিখণ্ডের সন্নিহিত অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে; যথাক্রমে 'সুন্দরবন' ও 'সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান' নামে। সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১ হাজার ৮৭৪ বর্গকিলোমিটারজুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। এই বন বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানা ধরনের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির, সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। জরিপ মোতাবেক ১০৬টি বাঘ ও এক লাখ থেকে দেড় লাখ চিত্রা হরিণ রয়েছে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে। ১৯৯২ সালের ২১ মে সুন্দরবন রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসেন। প্রতিবছর দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করার মাধ্যমে প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করেন। এই বনে অনেক সুন্দরীগাছ জন্মে, যার নামানুসারে এই বনের নাম হয় সুন্দরবন। এ বনে ২৯০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৮ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাসস্থান রয়েছে।

15/05/2022

ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট

ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি নেই। তাই এটি কে নির্মাণ করেছিলেন বা কোন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্বন্ধে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী দেখলে এটি যে খান জাহান আলী নির্মাণ করেছিলেন সে সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ থাকে না। ধারণা করা হয় তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি বহু বছর ও বহু অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। পাথরগুলো আনা হয়েছিল রাজমহল থেকে। এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মধ্যে অন্যতম। ষাট গম্বুজ মসজিদকে ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।

মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে বাইরের দিকে প্রায় ১৬০ ফুট ও ভেতরের দিকে প্রায় ১৪৩ ফুট লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে বাইরের দিকে প্রায় ১০৪ ফুট ও ভেতরের দিকে প্রায় ৮৮ ফুট চওড়া। দেয়ালগুলো প্রায় ৮·৫ ফুট পুরু। ষাট গম্বুজ মসজিদে গম্বুজের সংখ্যা মোট ৮১টি, চার লাইনে ১১টি করে ৭৭টি এবং চার কোনায় ৪টি মোট ৮১টি। কালের বিবর্তনে লোকমুখে ৬০ গম্বুজ বলতে বলতে ষাট গম্বুজ নামকরণ হয়ে যায়, সেই থেকে ষাট গম্বুজ নামে পরিচিত।

14/05/2022

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত (সাগরকন্যা)

কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি সমুদ্রসৈকত, যা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত। এই সমুদ্রসৈকত দৈর্ঘ্যে ১৮ কিলোমিটার। এই সৈকতের বিশেষত্ব হলো ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখান থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। এই সৈকতের আরেক নাম সাগরকন্যা। শীতকালে বিভিন্ন অতিথি পাখি দেখা যায় এই সমুদ্রসৈকতে। সৈকতের পূর্ব দিকে গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন অবস্থিত। এই বন আগে বৃহত্তর সুন্দরবনের অংশ ছিল। এই সংরক্ষিত বন এখন ঢাল হয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের ক্ষতির হাত থেকে কুয়াকাটাকে রক্ষা করে।

11/05/2022

সাদা পাথর, সিলেট

যতদূর চোখ যায় দুই দিকে কেবল পাথর আর পাথর। মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। যেন অপরূপ এক স্বর্গরাজ্য। সব মিলিয়ে অদ্ভুত এক সৌন্দর্যের ক্যানভাস। বলা হচ্ছে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের কথা। সিলেট থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ।

সিলেটে পাথরের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির জিরো পয়েন্টসংলগ্ন নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে ‘সাদা পাথর’ নামক স্থানটি। এখানে বর্ষণস্নাত প্রকৃতি যেন সেজে উঠে সবুজের আচ্ছাদনে। অবশ্য সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রাস্তার বেহাল অবস্থার মধ্যেও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠে সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র।

ভোলাগঞ্জ কোয়ারির জিরো পয়েন্টের ওপারে উঁচু পাহাড়ে ঘেরা সবুজের মায়াজাল। সেখান থেকে নেমে আসা ঝরনার অশান্ত শীতল পানির অস্থির বেগে বয়ে চলা, গন্তব্য ধলাই নদীর বুক, প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে।

সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র ছবিতে অনেকটা বিছানাকান্দির মতো দেখতে মনে হলেও সামনাসামনি দেখলে পার্থক্যটা ধরা পড়বে। পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ হওয়ায় এখনো পুরোটাই প্রাকৃতিক স্থানটি। পাথরের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে চলা ধলাইর কলকল শব্দে পাগল করা ছন্দ। সিলেট থেকে সাদা পাথর পর্যন্ত পুরোটা পথই প্রকৃতি তার সৌন্দর্যে বিমোহিত করবে যে কাউকে।

সিলেট শহরের সীমানা ছাড়ালেই লাক্কাতুরা চা বাগান। সারি সারি চায়ের গাছ দেখতে দেখতেই যাবেন অনেকটা পথ। বাংলাদেশের প্রথম চা বাগান এটি। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকাটি দেখতে প্রতিদিনই পর্যটকেরা সেখানে ভিড় করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে নেমে আসা ধলাই নদীর পানির সঙ্গে প্রতিবছর বর্ষাকালে নেমে আসে প্রচুর পাথর। ধলাই নদীর তলদেশেও রয়েছে পাথরের বিপুল মজুত।

10/05/2022

রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি (শিলাইদহ)

শিলাইদহ গ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নে অবস্থিত একটি পর্যটন এলাকা। এখানে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ি অবস্থিত। এ ছাড়া বিরাহিমপুর জমিদারির সদর কাচারিও এখানে অবস্থিত। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীর উপারে পাবনা জেলা। এ ছাড়া এখানে শিলাইদহ নৌকাঘাট, শিলাইদহ কাঠের বাড়ি প্রভৃতি দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
শিলাইদহ গ্রামের পূর্ব নাম খোরশেদপুর। ১৯৫০ সালের দিকে জোঁড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার গ্রামটি কিনে নেওয়ার আগে এখানে একটি নীলকুঠি ছিল। শেলী নামের একজন নীলকর এটি নির্মাণ করেছিলেন বলে প্রচলিত আছে। গ্রাম ঘেঁষে চলা গড়াই ও পদ্মা নদীর মিলিত প্রবাহের ফলে সৃষ্ট গভীর একটি ‘দহ’ (ঘূর্ণিস্রোত) থেকে গ্রামটি শেলী-দহ নামে পরিচিতি লাভ করে। এরপর কালের বিবর্তনে শিলাইদহ নামকরণ হয়। ১৮০৭ সালে রামলোচন ঠাকুরের থেকে রবীন্দ্রনাথের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর এই অঞ্চলের জমিদারির মালিক হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৮৯ সালের নভেম্বরে প্রথম এই গ্রামে আসেন।

10/05/2022

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি হাওর। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ হাওর বাংলাদেশর দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি । স্থানীয় লোকজনের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার স্থান, প্রথমটি সুন্দরবন।

অবস্থান ও পরিচিতি:
টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝরা (ঝরনা) এসে মিশেছে এই হাওরে। দুই উপজেলার ১৮টি মৌজায় ৫১টি হাওরের সমন্বয়ে ৯,৭২৭ হেক্টর এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর জেলার সবচেয়ে বড় জলাভূমি। পানিবহুল মূল হাওর ২৮ বর্গকিলোমিটার এবং বাকি অংশ বসতি ও কৃষিজমি। একসময় গাছ-মাছ-পাখি আর প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের আধার ছিল এই হাওর। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে টাঙ্গুয়ার হাওরকে 'প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা' হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তখনই অবসান হয় দীর্ঘ ৬০ বছরের ইজারাদারির। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে 'রামসার স্থান' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আইসিইউএন এই হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করছে। হাওর এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের মধ্যে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে ১২ ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ নভেম্বর থেকে হাওরের নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন। সুইস অ্যাজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) এবং আইসিইউএন ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে 'টাঙ্গুয়ার হাওর সমাজভিত্তিক টেকসই ব্যবস্থাপনা' প্রকল্প পরিচালনা করছে।

শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে কমে গেলে এখানকার প্রায় ২৪টি বিলের পাড় (স্থানীয় ভাষায় কান্দা) জেগে উঠলে শুধু কান্দার ভিতরের অংশেই আদি বিল থাকে, আর শুকিয়ে যাওয়া অংশে স্থানীয় কৃষকেরা রবিশস্য ও বোরো ধানের আবাদ করেন। এ সময় এলাকাটি গোচারণভূমি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে নিমগ্ন হাওরের জেগে থাকা উঁচু কান্দাগুলোতে আশ্রয় নেয় পরিযায়ী পাখিরা —রোদ পোহায়, জিরিয়ে নেয়। কান্দাগুলো এখন (২০১২) আর দেখা যায় না বলে স্থানীয় এনজিও ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় সেখানে পুঁতে দেয়া হয়েছে বাঁশ বা কাঠের ছোট ছোট বিশ্রাম-দণ্ড।

জীববৈচিত্র্য:
পাখি‌- টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্যের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। স্থানীয় জাতের পাখি ছাড়াও শীতকালে, সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিযায়ী পাখিরও আবাস এই হাওর। ২০১৯ সালের পাখিশুমারি অনুযায়ী হাওর ও এর আশপাশের এলাকায় ২০৮ প্রজাতির পাখি দেখা গেছে। পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে বিরল প্রজাতির প্যালাসেস ঈগল, বড় আকারের গ্রে কিংস্টর্ক রয়েছে এই হাওরে। স্থানীয় জাতের মধ্যে শকুন, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস, কাক, শঙ্খ চিল, পাতি কুট (এই হাওরের ২৮-২৯%) ইত্যাদি পাখির নিয়মিত বিচরণ এই হাওরে। এছাড়া আছে বিপন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি কুড়ুল (বাংলাদেশে এর নমুনাসংখ্যা ১০০টির মতো)। ২০১১-র পাখিশুমারিতে এই হাওরে চটাইন্নার বিল ও তার খাল, রোয়া বিল, লেচুয়ামারা বিল, রুপাবই বিল, হাতির গাতা বিল, বেরবেরিয়া বিল, বাইল্লার ডুবি, তেকুন্না ও আন্না বিলে প্রায় ৪৭ প্রজাতির জলচর পাখি বা ওয়াটারফাউলের মোট ২৮,৮৭৬টি পাখি গণনা করা হয়। এই শুমারিতে অন্যান্য পাখির পাশাপাশি নজরে আসে কুট, মরচেরং ভুতিহাঁস, পিয়ংহাস; সাধারণ ভুতিহাঁস, পান্তামুখী বা শোভেলার, লালচে মাথা ভুতিহাঁস, লালশির, নীলশির, পাতিহাঁস, লেনজা, ডুবুরি, পানকৌড়ি ইত্যাদি পাখিও। প্রতি বছরই টাঙ্গুয়ায় সমগ্র দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিরল কয়েক জাতের পাখি দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে বৈকাল তিলিহাঁস, বেয়ারের ভুঁতিহাস এবং কালোলেজ জৌরালি। বাংলাদেশে দৃশ্যমান আটটি বেয়ারের ভুঁতিহাসের পাঁচটিই পাওয়া গেছে টাঙ্গুয়ায়। বিরল প্রজাতির পাখিদের মধ্যে আরো আছে কালোপাখা টেঙ্গি, মোটাঠুঁটি ফাটানো, ইয়ার, মেটে রাজহাঁস, মাছমুরাল, লালবুক গুরগুরি, পাতি লালপা, গেওয়াল বাটান, লম্বা আঙুল চা পাখি, বড় গুটি ঈগল, বড় খোঁপা ডুবুরি, কালো গির্দি প্রভৃতি।

সরীসৃপ ও উভচর:
এছাড়াও ৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২০ প্রজাতির সাপ, বিরল প্রজাতির উভচর, ৪ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটিসহ নানাবিধ প্রাণীর আবাস এই হাওরের জীববৈচিত্র্যকে করেছে ভরপুর। বিলুপ্ত কাছিমের মধ্যে রয়েছে হলুদ কাছিম, কড়ি কাইট্টা ও পুরা কাইট্টা। তবে বর্তমানে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে জাত কাছিম ও ধুম কাছিম। মার্বেল টোড ব্যাং (বৈজ্ঞানিক নাম Duttaphrynus stomaticus) বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে বিরল হলেও টাঙ্গুয়ায় সহজপ্রাপ্য। এছাড়া রয়েছে ঝিঁঝিঁ ব্যাং ও সারসারি ব্যাং। সাপের মধ্যে আছে জালবোরা, কোবরার দুটি জাত ও দাঁড়াশ সাপ।

মৎস্যসম্পদ:
টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। এ হাওরের বিখ্যাত মাছের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করা যায় মহাশোলের কথা। মাছটির দুটো প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে Tortor এবং Torputitora, টাঙ্গুয়ার হাওরে দুই প্রজাতিই পাওয়া যেত।

উদ্ভিদবৈচিত্র্য:
টাঙ্গুয়ার হাওরের উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে আছে হিজল, করচ, বরুণ, পানিফল, হেলেঞ্চা, বনতুলসী, নলখাগড়া, বল্লুয়া, চাল্লিয়া, সিংড়া, শালুক, শাপলা, গুইজ্জাকাঁটা, উকল ইত্যাদি।

হাওর ঘিরে অপরাধ
২০০৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরটি জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকে। সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তবে স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণির অসাধু লোক চুরি করে মাছ ও পাখি শিকার করে এবং তারা মাঝে মাঝে ধরাও পড়ে। রাতের বেলায় টর্চ জ্বালিয়ে পাখি শিকার করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

17/03/2022

নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৩ সালে দ্বীপটি জাহাজমারা ইউনিয়ন থেকে পৃথক হয়ে স্বতন্ত্র ইউনিয়নের মর্যাদা লাভ করে। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিল চর ওসমান। আবার কেউ কেউ একে ইছামতীর চরও বলতো। এ চরে প্রচুর পরিমাণে ইছা মাছ (চিংড়ির স্থানীয় নাম) পাওয়া যেত বলে একে ইছামতীর চরও বলা হতো।

ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসতি গড়েন। তখন এই নামেই এর নামকরণ হয়েছিল। পরে হাতিয়ার সাংসদ আমিরুল ইসলাম কালাম এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করেন। মূলত বাল্লার চর, চর ওসমান, কামলার চর ও মৌলভির চর--এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ১৪,০৫০ একরের দ্বীপটি ১৯৪০ সালের দিকে জেগে ওঠে। ১৯৫০ সালের দিকে জন বসতি গড়ে উঠে এ দ্বীপে। ১৯৭০-এর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপটিতে কোন প্রাণের অস্তিত্ব ছিল না। ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন হাতিয়ার জননন্দিত নেতা আমিরুল ইসলাম কালাম দ্বীপটিতে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন যে কোন প্রাণের অস্তিত্ব নেই, তাই তিনি আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন হায় নিঝুম! সেখান থেকে দ্বীপটির নতুন নাম নিঝুম দ্বীপ।

এ দ্বীপের মাটি চিকচিকে বালুময়, তাই জেলেরা নিজ থেকে নামকরণ করেন বালুর চর। এই দ্বীপটির মাঝে বালুর ঢিবি বা টিলার মতো ছিল বিধায় স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লার চর বলেও ডাকতেন। বর্তমানে নিঝুম দ্বীপ নাম হলেও স্থানীয় লোকেরা এখনো এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেই সম্বোধন করেন।

বাংলাদেশ বনবিভাগ ১৯৭০ সালের দিকে এখানে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর এখানে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়া হয়। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ সালের হরিণশুমারি অনুযায়ী এখানে হরিণের সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। নোনা পানিবেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছেরও অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পর নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবী করেন।

𝗛𝗼𝗹𝗶𝗱𝗮𝘆 𝗢𝘂𝘁𝗶𝗻𝗴

29/05/2022

23/05/2022

19/05/2022

18/05/2022

15/05/2022

14/05/2022

11/05/2022

10/05/2022

10/05/2022

17/03/2022

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category