Travels GIG

Travels GIG Travels GIG is country's leading tour operation and event management company. We provide international standard service with dignity & professionalism.

কিরীটী-জনক নীহাররঞ্জন গুপ্ত এর পৈত্রিক ভিটা, ইটনা গ্রাম, লোহাগড়া, নড়াইলডাঃ নীহাররঞ্জন গুপ্ত (১৯১১ - ১৯৮৬) একজন ভারতীয় ব...
11/09/2022

কিরীটী-জনক নীহাররঞ্জন গুপ্ত এর পৈত্রিক ভিটা, ইটনা গ্রাম, লোহাগড়া, নড়াইল

ডাঃ নীহাররঞ্জন গুপ্ত (১৯১১ - ১৯৮৬) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় রহস্য কাহিনীকার এবং চিকিৎসক। তিনি বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র কিরীটী রায়ের স্রষ্টা হিসেবে উপমহাদেশে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯১১ সালের ৬ই জুন তৎকালীন যশোরের (বর্তমান নড়াইল জেলার) লোহাগড়া উপজেলার ইটনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা-মাতার নাম সত্যরঞ্জন গুপ্ত এবং লবঙ্গলতা দেবী। তিনি শৈশবকাল অতিবাহিত করেন কলকাতায়।

পিতার স্থানান্তরিত চাকুরীর কারণে তিনি অনেক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তন্মধ্যে গাইবান্দা উচ্চ বিদ্যালয় অন্যতম। ১৯৩০ সালে কোন্নগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন অর্জন করেন। কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ থেকে আই.এসসি ডিগ্রী অর্জনের পর তিনি কলকাতায় কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ (তৎকালীন কারমাইকেল স্কুল) থেকে ডাক্তারি বিদ্যায় কৃতকার্য হন। এরপর তিনি লন্ডন থেকে চর্মরোগ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্রাবস্থায় তাঁর বড় বোন পোকার কামড়ে মারা যায়। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মহান পেশায় নিয়োজিত থেকে এই রোগ সারানোর জন্য স্বপ্ন দেখেন ও পরবর্তী জীবনে বাস্তবায়িত হয়।

নীহাররঞ্জনের স্ত্রী কনক এবং চার মেয়ে ছিল। তাঁর বাড়ির নাম ছিল উল্কা, তাঁরই এক কাহিনীর নামে। রবিবার ছাড়া বাকি দিনগুলো তিনি শ্যামবাজার স্ট্রিটের (পরে ধর্মতলা স্ট্রিটে) চিকিৎসকের চেম্বার, লেখালেখি, পূজা, পোষা প্রাণীর যত্ন নেওয়া আর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গল্পগুজব নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ। প্রায় প্রতি দিন খবর শুনছেন মন দিয়ে। যুদ্ধ শুরু হলে রোজ সাহিত্যিক বন্ধুবান্ধব, সাংবাদিকদের কাছে খবর নিচ্ছেন, কত দূর সফল হলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আদর্শ হয়ে ওঠেন শেখ মুজিবর রহমান। তাঁর ‘লালুভুলু’ উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে ছবি হল। পরিচালনায় অগ্রদূত। সেই ছবি দুই বাংলাতেই বেশ জনপ্রিয় হয়। এর অনেক পরে উপন্যাসটিকে সম্মান জানাতে ঢাকা থেকে সপরিবার নিমন্ত্রণ আসে তাঁর কাছে।
বাংলাদেশের জন্মস্থানের প্রতি তীব্র ভালোবাসা কাজ করতো। বাড়ির নাম ছিল ‘আনন্দ অন্নদা কুটির’। তিনটি ভবন রয়েছে সেখানে, যার মাঝেরটি দোতলা। নীচতলার বারান্দার ভিতরের কপাটহীন দরজার উপরে দেওয়ালে বাড়ির নাম লেখা ছিল।

সত্তর শতকের মতো জায়গার ওপর দোতলা বাড়ি, পুকুর, বাগান। প্রবেশপথ দুটি। বাড়িটি বর্তমানে সরকার এর প্রত্নতত্ব বিভাগের অধীনে। নীহাররঞ্জনের আত্মীয় কেউ সেখানে থাকেন না। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের খোঁজ-খবর নিয়মিত রাখতেন। বড়দের ও ছোটদের উপযোগী - উভয় ধরনের গোয়েন্দা উপন্যাস রচনায় সবিশেষ পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন নীহাররঞ্জন। মোট দুই শতাধিক গ্রন্থ তিনি রচনা করে গেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রকর এস এম সুলতান ইটনায় অবস্থিত নীহাররঞ্জন গুপ্তের বাসভবনে শিশুস্বর্গ-২ প্রতিষ্ঠা করেন।

মাদারীপুরের রাসবিহারি পর্বতের বাগানপ্রকৃতিকপ্রেমি, সৌন্দর্যপিপাসু রাস বিহারী পর্বত মাদারীপুরের মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড় বাড...
05/09/2022

মাদারীপুরের রাসবিহারি পর্বতের বাগান

প্রকৃতিকপ্রেমি, সৌন্দর্যপিপাসু রাস বিহারী পর্বত মাদারীপুরের মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড় বাড্ডা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। ময়মনসিংহ জমিদার সেরেস্তার নায়েবের চাকরি শেষে ১৯৩০ সালে দেশী-বিদেশী প্রায় ৫০০ প্রজাতির গাছের চারা রোপন করে প্রায় ২০একর জমির ওপর গড়ে তোলেন এ বাগান সেই থেকে তার নামানুসারে এ বাগানটি পর্বত বাগান নামে পরিচিত পায়।

বাগানের মধ্যে এখনো রাসবিহারি পবর্তের ১৪ কামরা বিশিষ্ট দোতালা বাস ভবন, একটি মন্দির এবং বাবা রাজকুমার পবর্ত ও মা বিধুমুখি পবর্তের দুইটি সমাধি সৌধ ঐতিহ্যের ধারক হয়ে আছে । ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় কিছু রাজকার ও পাকসেনাদের দ্বারা নিমর্মভাবে রাজবিহারি পবর্ত প্রয়াত হন। রাসবিহারি পবর্তের স্ত্রী শোভরানী পবর্ত পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে দির্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। ২ ছেলের মধ্যে বড়ছেলে রাজেন্দ্র বিহারি পবর্ত এখন বাগানের দেখাশোনা করেন এবং ছোট ছেলে রনজিৎ বিহারি পবর্ত স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

রূপসদী জমিদার বাড়ি, রূপসদী গ্রাম, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া১৯১৫ সালে ৫ একর জমির উপর জমিদার তীর্থবাসী চন্দ্র রায় এ বাড়...
16/08/2022

রূপসদী জমিদার বাড়ি, রূপসদী গ্রাম, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

১৯১৫ সালে ৫ একর জমির উপর জমিদার তীর্থবাসী চন্দ্র রায় এ বাড়িটি নির্মান করেন, বাড়িটির নকশা ও নিখুঁত কারুকার্য সবার দৃস্টি আকর্ষন করে। তার পুত্র জমিদার মহিষ চন্দ্র রায় এখানে এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে তার দাদার নামে সালে সাড়ে চার একর জমির উপর নির্মাণ করেন রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাবার স্মৃতিস্বরূপ একটি মঠ নির্মাণ করেন।

এ বাড়িতে তিনটি পুকুর। বড় বড় মাছ ছিল এসব পুকুরে। এই জমিদার বাড়ির আঙ্গিনায় আগে বিভিন্ন মেলা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতো। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে জমিদার বংশধররা এখানে আর বসবাস করেন না। জীবিকার তাগীদে একজন একএক জায়গায় বসবাস শুরু করেন।

বি কে দাস রোড পুরানো ঢাকার দক্ষিণভাগে বুড়িগঙ্গা নদীর সন্নিকটে অবস্থিত একটি রোড।এটি ফরাসগঞ্জের একটি ওয়ার্ডে অবস্থিত।১৯২...
24/07/2022

বি কে দাস রোড পুরানো ঢাকার দক্ষিণভাগে বুড়িগঙ্গা নদীর সন্নিকটে অবস্থিত একটি রোড।এটি ফরাসগঞ্জের একটি ওয়ার্ডে অবস্থিত।

১৯২৭ সালে বিখ্যাত ব্যবসায়ী বসন্ত কুমার দাসের নামে এই রোডের নামকরণ করা হয়। বসন্ত কুমার দাস ছিলেন বরিশাল এর অধিবাসী। ১২ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। পরে ফরাসগঞ্জে স্থায়ী হন এবং এখানেই ব্যবসায় উন্নতি লাভ করেন। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা, এখানে রয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন বহু স্থাপনা তার মাঝে রয়েছে বিবি কা রওজা, বড় বাড়ি, শ্রী শ্রী বঙ্কুবিহারী জিউ মন্দির, পুঁথিঘর, মঙ্গলালয় বাড়ি সহ কালের সাক্ষী বহু স্থাপনা।

বড় সর্দার বাড়ি, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ এ অবস্থিত একটি সুদৃশ্য ভবন। এটি বর্তমান শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশি...
23/07/2022

বড় সর্দার বাড়ি, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ

সোনারগাঁ এ অবস্থিত একটি সুদৃশ্য ভবন। এটি বর্তমান শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরের সীমানায় এবং পানাম নগর থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে দুটি বাঁধানো পুকুরের মাঝে অবস্থিত।

প্রাচীন মুসলিম শাসনামলে ১২৯৬ থেকে ১৬০৮ সাল পর্যন্ত সোনারগাঁ বাংলা প্রদেশের রাজধানী ছিল। এরপর রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করা হলে সোনারগাঁর প্রাধান্য কমে যায়। দুটি ভাগবিশিষ্ট সর্দারবাড়ির ছোট প্রবেশমুখের ভাগটিতে একটি দেয়াললিখন থেকে জানা যায় যে এই ভবনের পিছনে চারপাশের তিনটি ভবন মুঘল আমলের প্রথমদিকে নির্মিত। মধ্যভাগের লাল বর্গাকার ভবনটি বাংলার বারো ভূইয়ার সময় নির্মিত হয়েছে। সামনের অংশ ১৯০২ সালে নির্মাণ করা হয়। এর নিচতলায় ৪৭টি এবং দ্বিতীয় তলায় ৩৮টি কক্ষ বিদ্যমান।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় পর বাংলাদেশ সরকার এটি অধিগ্রহণ করে এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় রক্ষিত হয়। আশির দশকের প্রথমদিকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটি উদ্ধার এবং আংশিক সংস্কার সাধন করে। তখন এটিকে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর (ন্যাশনাল ফোক আর্ট এন্ড ক্রাফট মিউজিয়াম) হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

স্থাপত্যশৈলী:

পশ্চিম ও দক্ষিণদিকে এর দুটি সুসজ্জিত প্রবেশ রয়েছে। দক্ষিণের প্রবেশমুখের বারান্দাটি ২৫ ফুট দীর্ঘ এবং কাদামাটির ফুলপাতা ও চিনামাটির কাটা টুকরার নকশাসজ্জিত অর্ধবৃত্তাকার তোরণের সঙ্গে যুক্ত। বাঁকা তোরণটির নকশায় মোজাইকের মত বিভিন্ন লতাপাতা ও জ্যামিতিক আকৃতির ব্যবহার দেখা যায়। তোরণটির উভয়দিকে তিনটি ছোট গোলাকার স্তম্ভ ও দুটি বড় করিন্থিয়ান স্তম্ভ রয়েছে- যেগুলোর প্রত্যেকটি ক্রমান্বয়ে সাদা ও কালো মোজাইকের সর্পিল বলয় দ্বারা সজ্জিত। উভয়দিকের অর্ধবৃত্তাকার চূড়াযুক্ত জানালাগুলোও সরু করিন্থীয় স্তম্ভ দ্বারা স্থাপিত। বারান্দার উপরের প্যারাপেট মুক্ত লতাপাতার নকশায় সাজানো। উপরের দেয়ালের লিখনে এর নির্মাণকাল ১৩০৮ বঙ্গাব্দ লেখা আছে।

সম্পূর্ণ আয়তাকার ব্লকটি দ্বিতল বিশিষ্ট ভবন। এতে বিভিন্ন আয়তনের প্রায় ৭০টি কক্ষ আছে। পূর্বদিকে ৫০ ফুট * ৫০ ফুট আর পশ্চিম দিকে ৫০ ফুট* ২৫ ফুট খোলা আঙিনা রয়েছে। দক্ষিণের বারান্দাটির তিনদিকে কামরা এব পূর্বপার্শ্বে একটি কৃষ্ণমন্দির আছে। মন্দির বা নাটমণ্ডপের একটি বৃহদাকার বারান্দা আছে, যা চিনামাটির টুকরার মোজাইক শোভিত চারটি করিন্থিয়ান স্তম্ভ দ্বারা স্থাপিত। অন্য তিন পাশের কামরাগুলোতে অর্ধবৃত্তাকার তোরণ রয়েছে।

সুসজ্জিত পশ্চিম দুয়ারে ইটের তৈরী বাঁধানো ঘাটসহ একটি দিঘি বিদ্যমান, যার পাড়ে দুজন ইংরেজ অশ্বারোহীর মানবাকারপরিমিত মূর্তি রয়েছে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম ইউনিট—কিলো ফ্লাইট এ ব্যবহৃত অ্যালুয়েট৩ হেলিকপ্টারএটি ছিল ...
14/07/2022

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম ইউনিট—কিলো ফ্লাইট এ ব্যবহৃত অ্যালুয়েট৩ হেলিকপ্টার

এটি ছিল ফ্রান্সের তৈরি, ছোট আকৃতির এই হেলিকপ্টার ভারত একটি ৩০৩ ব্রাউনিং মেশিনগান, ১৪টি রকেটসহ দুটি রকেট নিক্ষেপক সংযুক্ত করে হেলিকপ্টারটিকে যুদ্ধাজাহাজে পরিণত করা হয়েছিল।

অব্যবহৃত এয়ারফিল্ড, পরিত্যক্ত রানওয়ে, জঙ্গলে ঘেরা বৈরি পরিবেশ! আর তারই মধ্যে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে চলেছে প্রশিক্ষণ, অঙ্কুরোদগম হয়েছে এক সশস্ত্র বাহিনীর। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর গোড়াপত্তনের এবং অদম্য সাহস ও সাহসিকতার। কঠিন প্রশিক্ষণের পর ঝুঁকি নিয়ে উড়াল দেয়ার গল্প, সাহসিকতার সাথে বিপদমুখে ঝাঁপিয়ে পড়ার উপাখ্যান আর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সূচনালগ্ন কেন্দ্রীভূত একটি বিন্দুতে- ইউনিট কিলো ফ্লাইট।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করতে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অনেক বাঙালি অফিসার, ক্যাডেট ও সেনা পালিয়ে চলে আসেন। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তারা নানা স্থল অপারেশনে অংশগ্রহণ করে বীরত্বের পরিচয় দেন।

বিমানসেনা ও বিমানবাহিনীর অফিসার পালিয়ে এসে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ এ ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটিতে অত্যন্ত গোপনভাবে গোড়াপত্তন হয় ক্ষুদ্র বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর, গোপনীয়তা রক্ষার্থে যার নাম দেয়া হয়েছিল ‘কিলো ফ্লাইট’।

স্বাধীন বিমানবাহিনী গঠনের জন্য তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পুরনো দুটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি বিমান ছিল যোধপুরের মহারাজার দেয়া আমেরিকায় প্রস্তুতকৃত ডিসি-৩ ডাকোটা এবং অন্যটি কানাডায় তৈরি ডিএইচথ্রি অটার বিমান। হেলিকপ্টারটি ছিল ফ্রান্সে তৈরি এলুয়েট থ্রি মডেলের। সদ্যজাত এই বিমানবাহিনীর লক্ষ্য ছিল মূলত এই আকাশযানগুলো নিয়ে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর রাত্রে আক্রমণ করার অপারগতাকে কাজে লাগিয়ে আকাশপথে আচমকা হামলা চালিয়ে পালিয়ে আসা। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করাও ছিলো এর উদ্দেশ্য।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন উপপ্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন বীর উত্তম এ. কে. খন্দকার বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন (তার নামের অক্ষর ‘কে’ থেকেই কিলো ফ্লাইটের নামকরণ করা হয়েছে)। বিভিন্ন সেক্টর থেকে ৫৮ জন বিমানসেনাকে কিলো ফ্লাইটের জন্য নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে কিছু পিআইএ এবং প্ল্যান্ট প্রোটেকশন পাইলটও ছিলেন। কিলো ফ্লাইট দলে ছিলেন ১০-১২ জন পাইলট (যাদের ৩ জন পাকিস্তান বিমানবাহিনী থেকে এবং ৬ জন পিআইএ-সহ অন্যস্থান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন) ও কিছু টেকনিশিয়ান। পালিয়ে আসা ৯ জন পাইলট হলেন- স্কোয়াড্রন লিডার (পরবর্তীতে এয়ার ভাইস মার্শাল ও চিফ অফ এয়ার স্টাফ) সুলতান মাহমুদ, ক্যাপ্টেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার, ক্যাপ্টেন খালেক, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহাম্মাদ শামসুল আলম, ক্যাপ্টেন মুকিত, ক্যাপ্টেন বদরুল আলম এবং ক্যাপ্টেন শরফুদ্দিন। বিমান ও হেলিকপ্টারের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র যেমন- মেশিনগান, রকেট, পড এবং জ্বালানী ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল।

তথ্য সূত্রঃ সংগ্রামের নোটবুক

সাতগ্রাম জমিদার বাড়ি, সাতগ্রাম আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ ছবি ও তথ্য: M Kaiser Hussain এ বাড়িতে পা রাখতেই কেমন যেন একটা অদ...
30/06/2022

সাতগ্রাম জমিদার বাড়ি, সাতগ্রাম আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ
ছবি ও তথ্য: M Kaiser Hussain

এ বাড়িতে পা রাখতেই কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি গা ছম ছমে ব্যাপার, মেঘনা নদীর কূল ঘেষা এই উপজেলার স্থানীয়দের কাছে নানান গল্প শোনা যায় এ বাড়িটি ঘিরে। স্থানীয়রা এ বাড়িটিকে মনোরোমা বাস বা বাবুর বাড়ি নামে চিনে। ধ্বংশপ্রাপ্ত এ বাড়িটি ঠিক কবে তৈরী হয়েছিল সে বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য নেই তবে স্থানীয়দের মতে এটি ব্রিটিশ শাসনামলের শুরুর দিকের বলে ধারনা করা হয়, এ বাড়িটির দোতলার সম্মুখ অংশে টানা কাঠের বারান্দা, পাশে ও বাড়ির ভিতরে পুকুর।

ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি মেয়র ছিলেন শ্রী শরৎ গুপ্ত, তার নামে পুরান ঢাকায় অবস্থিত লক্ষ্মীবাজার এ শরৎ গুপ্ত রোড রয়েছে, তারই বড় ছেলে শ্রী যোগেশ গুপ্ত এর এই সাতগ্রামের বাড়িটি, তার বংশধররা এলাকায় কাপড়, সুতা ও পাট এর ব্যাবসা করে বিশাল সম্পত্তির মালিক হন, তারই এক উত্তরসুরী ছিলেন অত্যাচারী বাড়িতে রয়েছে কুয়ো, পুকুর, প্রচুর গাছ ও সুরঙ, যদিও এটি কালের বিবর্তনে চাপা পরে গেছে, কথিত আছে কর না দিতে পারলে জমিদার এর পেয়াদারা নিরীহ প্রজাদের ধরে এনে এখানে ফেলে রাখা হত. এক আমাবস্যার রাতে জমিদার বাবুর স্ত্রী, পর পর দুই সন্তান অজানা কারনে এ বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুবরণ করে, আর সে থেকে তারা এ বাড়িটি অপয়া মনে করতেন, এরপর থেকে বাড়িটিতে বিভিন্ন ধরনের দু:ঘটনা হতে থাকে হয়ত পরিবারের কারো কারসাজি থাকতে পারে, রাত এর বেলা অদ্ভুত ধরনের আওয়াজ পাওয়া যেত. ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময় এ বাড়ির পরিবারের সদস্যরা কলকাতা চলে যান আর কিছু পরিবার নারায়ণগঞ্জ সহ পুরান ঢাকা বসবাস করেন, সেদিন থেকে এ বাড়িটি পরিত্যাক্ত হয়ে রয়েছে।

কিছুদিন এ বাড়িটির কিছু অংশে বিদ্যালয় হিসেবে ব্যাবহার করা হয় কিন্তু এক দু:ঘটনার কারনে বাড়িটির পশ্চিম পাশে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত করা হয়, ১৯৭১ সালে বাড়িটির মাঠে মুক্তি যোদ্ধাদের ক্যাম্প হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছিল, বর্তমানে সাতগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জমিদার বাড়ির জমির উপর স্থাপন করা হয়।

গ্রামবাসীরা এখনো নাকি এ পরিত্যাক্ত বাড়িটি থেকে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ শুনতে পান বিশেষ আমাবস্যার রাতে আরো বেশি, এ নিয়ে লোক মুখে ভূত প্রেত এর গল্পগুলোতো রয়েছেই, এ জন্য রাতের বেলা এ বাড়িটির আশে পাশেও কেউ যান না।

পতিসর রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি, পতিসর, আত্রাই, নওগাঁ পূর্ব বঙ্গে ঠাকুরবাড়ির যে তিনটি জমিদারি ছিল; তার একটি হলো কালীগ্রাম পরগ...
23/06/2022

পতিসর রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি, পতিসর, আত্রাই, নওগাঁ

পূর্ব বঙ্গে ঠাকুরবাড়ির যে তিনটি জমিদারি ছিল; তার একটি হলো কালীগ্রাম পরগণা। যার সদর ছিল নাগর নদীর পাড়ে আত্রাই এর পতিসর।

শাহজাদপুর কাচারি বাড়ি বা শিলাইদহের কুঠিবাড়ি আমাদের কাছে যতটা জনপ্রিয়; পতিসর কাছারি বাড়ি ততোটাই অপরিচিত। অনেকের কাছে এই তথ্য নতুন লাগতে পারে যে, পতিসর জমিদারি হলো, রবীন্দ্রনাথ এর নিজস্ব জমিদারি। যার অর্থ হলো, ভাইদের সাথে জমিদারি ভাগাভাগিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পতিসর জমিদারি পেয়েছিলেন। অন্য দু'টি জমিদারি অঞ্চলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন গান, পদ্য, নাটক, উপন্যাস রচনা করার কথা আমরা জানি। কিন্তু, এই অবহেলিত পতিসরেই শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজ হাতে স্থাপন করা একটি বিদ্যালয় রয়েছে।
" কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইন্সটিটিউশন " স্থাপনের সময় আশীর্বাদ বাণীতে লিখেন,
" রথীন্দ্রনাথ নাম চিহ্নিত কালীগ্রামের এই বিদ্যালয়ের আমি উন্নতি কামনা করি। এখানে ছাত্র এবং শিক্ষকদের সম্বন্ধ যেন অকৃত্রিম স্নেহের এবং ধৈর্যের দ্বারা সত্য ও মধুর হয়..."।

এখানে দাতব্যচিকিৎসালয়, কৃষি সমবায় ব্যাংক অবৈতনিক পাঠশালা সহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
জানা যায়, নোবেল পুরষ্কার থেকে ১ লক্ষ টাকা তিনি এই কৃষি সমবায় ব্যাংকে দান করেছিলেন, প্রজাদের কল্যাণার্থে।

জমিদারি দেখাশোনার জন্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ১৮৯১ সালের জুন মাসে প্রথম পতিসর আসেন৷ ১৯২১ সালে পতিসরের জমিদারি নিজ নামে গ্রহণ করেন। প্রজাদের অনুরোধে পুন্যাহ উপলক্ষে ১৯৩৭ সালের ২৭ জুলাই শেষবার পতিসর আসেন।
বলেন, " সংসার থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্বে তোমাদের দেখার ইচ্ছা ছিল, তা আজ পূর্ণ হলো। তোমরা এগিয়ে চলো। জনসাধারণের জন্য সবার আগে চাই শিক্ষা"...
যতদূর জানা যায়, রেলস্টেশনে নেমে কবিগুরু নৌকো (তাঁর নিজস্ব বজরা, পদ্মা) যোগে পতিসর গ্রামে আসতেন। সারাদিন দাপ্তরিক কাজ শেষ করে তিনি রাতে বজরাতেই ঘুমাতেন।

কার্টেসী: Sonia Rahman, STHB

শ্রীপুর জমিদার বাড়ি মাগুরাশ্রীপুর উপজেলা সদরের ১ কি.মি. এর মধ্যে এই পাল বাড়ির জমিদার ধ্বংশাবশেষ, ১৫০০ শতাব্দী পর্যন্ত মূ...
22/06/2022

শ্রীপুর জমিদার বাড়ি মাগুরা

শ্রীপুর উপজেলা সদরের ১ কি.মি. এর মধ্যে এই পাল বাড়ির জমিদার ধ্বংশাবশেষ, ১৫০০ শতাব্দী পর্যন্ত মূলত এখানের জমিদারী ছিল নবাব আলী বর্দী খাঁর আওতাধীন, মোগল আমলের শুরুর দিকে শ্রীপুর জমিদারের পূর্ব পুরুষ সারদা রঞ্জন পাল নবাব আলী বর্দী খা’র কাছ থেকে কিনে নেন শ্রীপুরের জমিদারি ও এখানে নিজের জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। তবে গবেষকদের মতে, এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করার পূর্বে জমিদার সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরী তার মেয়ে বিভা রানী পালের সাথে তৎকালীন বাংলার বারো ভূইয়ার অন্যতম যশোরের প্রভাবশালী রাজা প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যের বিয়ে দেন, রাজা প্রতাপাদিত্যের সহযোগিতায় এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন, প্রতাপাদিত্য ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজা, আর সারদা রঞ্জন ছিলেন তাঁর তুলনায় উদার মনের মানুষ। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হয়, এর প্রভাব পড়ে বিভার সংসারে, এই কাহিনীকে উপজীব্য করেই রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন "বৌ-ঠাকুরাণীর হাট"।

জীর্ন শীর্ণ বাড়িটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে, সিংহ দরজা এবং ভেতর বাড়ির কিছু ঘর এখনও বর্তমান, এ ঘরগুলোতে এখন কিছু পরিবার বসবাস করেন আর বেশিরভাগই বেহাত হয়ে গেছে।
সরকার এর প্রত্নতত্ব বিভাগ এই স্মৃতিবিজড়িত জায়গাটি অধিগ্রহন করে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য উপযোগী করে দিতে পারে নতুবা যতটুকু ছিটেফোটা রয়েছে তা অচীরেই হারিয়ে যাবে।

ঢাকা শহরের নিকটে তুরাগ নদীর পাড়ে সাভার উপজেলার প্রাচীন জনপদ ও ছোট্ট একটি গ্রাম নাম বিরুলিয়া। জমিদার/বনিক রজনীকান্তের সুদ...
20/06/2022

ঢাকা শহরের নিকটে তুরাগ নদীর পাড়ে সাভার উপজেলার প্রাচীন জনপদ ও ছোট্ট একটি গ্রাম নাম বিরুলিয়া। জমিদার/বনিক রজনীকান্তের সুদৃশ্য বাড়ি, তার মূলত পাট, কাপড় ও কাপড়ের রং এর ব্যাবসা ছিল, কলকাতায়ও ছিল তার কাপড় ও কাপড় এর রং এর ব্যাবসা। প্রায় ১১টি প্রাচীন স্থাপনার জন্য বিরুলিয়া বিখ্যাত। তা ছাড়া এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি মন্দির।

গ্রামের শেষ ঠিক মাথায় নদীর তীর ঘেঁষে বাড়িটি জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের। সেখানে এখন বাস করছেন রজনীকান্ত ঘোষের কথিত বংশধররা। স্থানীয় অধিবাসী এবং জমিদারের উত্তরসূরিদের কাছ থেকে জানা, সেই সময়ের জমিদার নলিনী মোহন সাহার কাছ থেকে রজনীকান্ত ঘোষ ৮৯৬০ টাকা ৪ আনি দিয়ে বাড়িটি কেনেন। পুরানো ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় জমিদার/বনিক রজনীকান্ত ঘোষের কয়েকটি বাড়ি থাকলেও পরিত্যাক্ত বাড়িগুলো এখন প্রায় গুলো অন্যদের দখলে। বাড়িগুলোতে আছে সদরঘর, বিশ্রামঘর, বিচারঘর, পেয়াদাঘর, ঘোড়াশালাসহ উল্ল্যেখযোগ্য আরও কিছু ঘর।

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরুলিয়ার মিরচিনি মুরালির খুব কদর। তাই তো সারা দেশের বিভিন্ন মেলায় সোনারগাঁয়ের পাশাপাশি বিরুলিয়ার এসব পণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। আর বিরুলিয়া বিখ্যাত ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জন্য। বিরুলিয়া গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে নদের পারে অবস্থিত জমিদার রজনীকান্তের সুদৃশ্য বাড়িটি আর বাড়ির ভিতর অংশে তৎকালীন নদে নেমে গেছে পুরানো একটি ঘাট, এ ঘাটেই এক সময় ভিড়তো জমিদার বাবুদের বড় বড় বজরা নৌকো।
(*ছবিগুলো সাইকেলে ইতিহাসের খোঁজের সময় তোলা)

ঢাকার অদূরে নরসিংদীর বালাপুর গ্রামে জমিদার বাড়িছবি: M Kaiser Hussainনরসিংদীর জেলা সদর থেকে সোজা দক্ষিণে পাইকারচর ইউনিয়ন...
16/06/2022

ঢাকার অদূরে নরসিংদীর বালাপুর গ্রামে জমিদার বাড়ি
ছবি: M Kaiser Hussain

নরসিংদীর জেলা সদর থেকে সোজা দক্ষিণে পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুর গ্রাম। মেঘনা নদীর তীরঘেঁষে বালাপুরের জমিদার কালীমোহন সাহা (কালীবাবু) পিতামহ নবীন চন্দ্র সাহার বাড়ি। নবীন সাহার পুত্র কালীমোহন সাহা (জমিদার বাবু), আশুতোষ সাহা, মনোরঞ্জন সাহা, এদের মধ্যে জমিদার কালীমোহন সাহা ছিল পরিবারের প্রধান। বংশধর হিসেবে অনিল চন্দ্র সাহার দু’ ছেলে অজিত সাহা , অমিত সাহা (কালীবাবুর ভাতিজা) এবং অপর ভাতিজা বীরেন চন্দ্র সাহার ছেলে দেবাশীষ চন্দ্র সাহা। তাদের ৩শ’ ২০বিঘা জমির ওপর নির্মিত একটি বিশাল আকারের ভবন রয়েছে এবাড়িতে। ১শ’৩ কক্ষ বিশিষ্ট দালানটির পূর্বদিকে তৃতীয় তলা ,উত্তর দিকে এক তলা ,দক্ষিনে দু’তলা এবং পশ্চিম দিকে একটি বিশাল আকারে গেটসহ দু’তলা রয়েছে। বাড়িটির নানা কারুকার্যপূর্ণ একটি দালান। যার প্রতিটি কক্ষেই রয়েছে মোজাইক, টাইলস লাগানো ও কারুকার্যে খচিত দরজা জানালা। এই জমিদার বাড়ির জমিদাররা ছিলেন সংস্কৃতিমান। সন্ধ্যা নামলেই জমিদার বাড়িতে প্রতিদিন ঢাক ঢোলের বাজনা বাজা শুরু হত। বিভিন্ন ধরনের নাটক, পালা গানসহ আরো অনেক ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো।

জমিদার বাড়ি ঘিরে পশ্চিমে রয়েছে একটি বিশাল পুকুর। উত্তরে বিশাল আকারে দুর্গাপূজা মন্ডপ, অতিথিদের থাকা-খাওয়া ও ঘুমানোর জন্য আরও রয়েছে বহুকাজ বিশিষ্ট দালান, দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে জমিদার কালিবাবু সপরিবারে কলকাতা চলে যান। জমিদার বাবু ভারতে চলে যাবার সময় পূর্ব হতে তাদের জমিদারী দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিতদের এ বিশাল সম্পত্তি ও জমিদারীর ভিটে তত্ত্বাবধানের জন্য নির্দেশ দিয়ে যান ও সহায় সম্পত্তি মন্দিরের নামে উইল করে যান, তাঁর দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে তত্ত্বাবধায়কগণ তাদের তৈরি কাগজপত্রের মাধ্যমে এসব সম্পত্তি ভোগ দখল করতে থাকেন। প্রায় ৩২০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বালাপুরের জমিদার বাড়ি।

এ বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে (ভাঙ্গারচর/ চরবালাপুর) মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত কারুকার্য খচিত একতলা একটি বিশাল দালান ছিল। লোকমুখে শোনাযায়, কলকাতা থেকে ষ্টিমার এসে এখানে মালামাল খালাস করত। এটাকে এখনও বলা হয় স্টিমারঘাট তবে কালিবাবুর এই ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি আজও তাঁর স্মৃতি বহন করছে।

**এটিতে বহু পরিবার বসবাস করেন, কয়েকটি বাড়ি রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে প্রায় বিলুপ্তির পথে, সরকার ও সবার মিলিত প্রচেস্টায় এটি হতে পারে ভ্রমন পিপাসুদের কাছে বিশেষ স্থান, আর বাড়ির স্থাপত্যকলা, কারুকাজ গুলো দারুন। আর বিশাল এলাকা জুড়ে বাড়িগুলো দেখার মত।

Old photos of Dacca/Dhaka, Bangladesh
12/06/2022

Old photos of Dacca/Dhaka, Bangladesh

Dhaka formerly known as Dacca, is the capital and the largest city of Bangladesh.

As part of the Bengal plain, the city is bounded by the Buriganga River, Turag River, Dhaleshwari River and Sh*talakshya River.

The city rose to prominence in the 17th century as a provincial capital and commercial center of the Mughal Empire.

Dhaka was the capital of the proto-industrialized Mughal Bengal for 75 years (1608–39 and 1660–1704). As the center of the muslin trade in Bengal, it was one of the most prosperous cities on the Indian subcontinent.

The medieval city was named Jahangirabad in honor of the Mughal Emperor Jahangir and hosted the seat of the Mughal Subahdar, Naib Nazims and Dewans. Medieval Dhaka's glory peaked in the 17th and 18th centuries, when it was home to merchants from across Eurasia. It was the centre of a flourishing sea trade attracting European traders. The Mughals decorated the city with well-laid out gardens, tombs, mosques, palaces and forts. The city was once called the Venice of the East.

Under British rule, the city saw the introduction of electricity, railways, cinemas, Western-style universities and colleges and a modern water supply. It became an important administrative and educational center in Eastern Bengal and Assam after 1905.

In 1947, after the end of British rule, the city became the administrative capital of East Pakistan. It was declared as the legislative capital of Pakistan in 1962. In 1971, after the Liberation War, it became the capital of an independent Bangladesh.

Dhaka is the financial, commercial and the entertainment capital of Bangladesh, Since its establishment as a modern capital city the population, area, social and economic diversity of Dhaka have grown tremendously, the city is now one of the most densely industrialized regions in Bangladesh. Dhaka is a major beta-global city,

The city's culture is known for its cycle-rickshaws, cuisine, art festivals and religious diversity. The old city is home to around 2000+ buildings from the Mughal and British periods, including notable structures such as the Bara Katra and Choto Katra caravansaries.

Address

6A, 1077, DOHS Mirpur, BD
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Travels GIG posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Travels GIG:

Share

Category