27/12/2024
🟢 পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য মুর্শিদাবাদ
এই শীতে মুর্শিদাবাদ জেলায় ভ্রমণে আসা সকল পর্যটককে স্বাগত জানাই। তাঁদের সুবিধার জন্য মুর্শিদাবাদ জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটনস্থলগুলির একটি তালিকা -
🔘 মুর্শিদাবাদ তথা লালবাগ শহর:
১. কাটরা মসজিদ (এখানেই সমাহিত মুর্শিদকুলি খাঁ)
২. জাহানকোষা তোপ / কামান (তোপখানা)
৩. কাঠগোলা বাগান (প্রাসাদ ও জৈনমন্দির)
৪. জগৎশেঠের প্রাসাদ (মিউজিয়াম)
৫. নশিপুর রাজবাড়ি (মিউজিয়াম)
৬. নশিপুর বৈষ্ণব আখড়া (মিউজিয়াম)
৭. নিমকহারাম দেউড়ি (জাফরাগঞ্জ, সিরাজ হত্যাস্থল)
৮. আজিমুন্নিশার সমাধি
৯. হাজার দুয়ারী প্রাসাদ মিউজিয়াম {আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসাই) রক্ষিত ভারতের সবচেয়ে বড় সাইট মিউজিয়াম, সর্বমোট দ্রষ্টব্যের সংখ্যা ১২ হাজারের অধিক}
১০. বাচ্চাওয়ালি তোপ (বিপুলাকৃতি কামান)
১১. ইমামবাড়া (সম্ভাব্য অখণ্ড বাংলার সর্ববৃহৎ ইমামবাড়ি)
১২. ওয়াসিফ মঞ্জিল (প্রাসাদ বা নবাববাড়ি)
১৩. মতিঝিল পার্ক (প্রাকৃতিক অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ)
১৪. ঘসেটি বেগমের প্রাসাদ/মসজিদ (মতিঝিল)
🔘 লালবাগে গঙ্গার অপর পাড়:
১. খোসবাগ (সিরাজউদদৌলা সহ নবাব পরিবারের সদস্যদের সমাধিস্থল)
২. রোশনীবাগ (বাংলার দ্বিতীয় নবাব সুজাউদ্দিনের সমাধি)
৩. ডাহাপাড়া ধাম বা জগৎবন্ধু ধাম
৪. কিরিটেশ্বর (ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম এই অভিধায় ভূষিত হয়েছে, ২০২৪)
৫. আজিমগঞ্জ (জৈন মন্দিররাজি)
৬. বড়নগর (নাটোরের রানী রানী ভবানী নির্মিত ১০৭ শিব মন্দিরের মধ্যে পাঁচটি রয়েছে বর্তমানে, অবশ্যই দেখা উচিত, ভারতের সেরা পর্যটন গ্রামের শিরোপা পেয়েছে, ২০২৪)
🔘 জিয়াগঞ্জ:
১. জৈন মন্দিররাজি
২. মুর্শিদাবাদ জেলা মিউজিয়াম (অতীত মুর্শিদাবাকে জানতে অবশ্যই দেখতে হবে)
৩. গাম্ভীলা শ্রীপাট
🔘 বহরমপুর:
১. কাশিমবাজার বড়রাজবাড়ি (রাজা কৃষ্ণনাথ রায়, মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী'র প্রাসাদ, তবে ভিতরে প্রবেশ নিষেধ)
২. কাশিমবাজার ছোটোরাজবাড়ি (ভেতরে মিউজিয়াম, সুগার এন্ড স্পাইস কেক শপ, রেস্টুরেন্ট ও রাত্রিবাসের জন্য হোটেল আছে)
৩. ব্যাসপুর শিবমন্দির (সুন্দর টেরাকোটা অলংকরণ সমৃদ্ধ, দেউল আকৃতির মন্দির)
৪. ডাচ সিমেট্রি (দৃষ্টিনন্দন, অবশ্যই দেখুন)
৫. ব্রিটিশ সিমেট্রি (এখানে রয়েছে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিং-এর স্ত্রী ও কন্যার সমাধি)
৬. রামব্রহ্ম সান্যাল জীববৈচিত্র্য মিউজিয়াম
৭. রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্নতত্ত্ব মিউজিয়াম
( দুটি মিউজিয়াম একই জায়গায়, বহরমপুর পঞ্চাননতলা জেলা পরিষদ ভবনের পাশে। এখানে একটি ভালো রেস্তোরা রয়েছে। )
৮. বাবুলবোনা ব্রিটিশ সিমেট্রি
৯. সিপাহী বিদ্রোহের মাঠ (স্কোয়ার ফিল্ড)
১০. কৃষ্ণনাথ কলেজ (অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য অনুসরণে নির্মিত কলেজবাড়ি)
১১. আর্মেনিয়ান চার্চ (সৈদাবাদ)
১২. শ্যামসুন্দর মন্দির (খাগড়া, নতুনবাজার)
১৩. কারবালা মসজিদ (মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বপ্রাচীন মসজিদ; তবে বর্তমানে নবায়ন ঘটেছে)
🔘 কর্ণসুবর্ণ:
১. তৃতীয় শতকে নির্মিত রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষ।
২. রাজা শশাঙ্কের তথা প্রাচীন গৌড়ের রাজধানী; ইতিউতি রয়েছে ধ্বংসাবশেষের অবশিষ্টাংশ।
🔘 লালগোলা:
১. লালগোলা রাজবাড়ি।
২. কালীমন্দির (শোনা যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই কালীমন্দির থেকেই তার আনন্দমাঠের কালী মন্দিরের ধারণা পেয়েছিলেন, আনন্দমঠ লেখার প্লট সংগৃহীত হয়েছিল)।
৩. রাজবাড়ীর অতিথি নিবাস।
৪. মুক্ত কারাগার বা ওপেন এয়ার জেল।
৫. 'পদ্মানদী' - অনির্বচনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত।
৬. এম এন একাডেমি আর্ট গ্যালারি।
🔘 আর:
ভট্টবাটি, মহিপাল-সাগরদিঘী, কান্দি, পাঁচথুপি, নিমতিতা, ভরতপুর, সোনারুন্দি বনোয়ারিবাদ রাজবাড়ী ইত্যাদি।
তথ্য: অরূপ চন্দ্র রচিত "মুর্শিদাবাদ ইতিহাসের কালপঞ্জি"।
মুর্শিদাবাদ ভ্রমনের জন্য যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন:
১. প্রসেনজিৎ স্বর্ণ শীল: 7602943436
২. দেবাশিস দাশ: 9134447820
৩. Standard Tourism, বহরমপুর: 9046833504
(সংগ্রীহিত)