Friends Travel

Friends Travel Friends Travel and package groups.

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি, ৩ জনের মৃত্যু। টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনায় দূর্গাপুর কলমাক...
05/10/2024

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি, ৩ জনের মৃত্যু। টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনায় দূর্গাপুর কলমাকান্দা, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর, হালুয়াঘাট,ধোবাউড়া ও শেরপুর জেলার নালিতা বাড়ি, জিনাইগাতীসহ,অনেক এলাকায় অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা অন্তত ৫০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি ...
05/10/2024

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উত্তরার মহিলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক হয়েছেন। মঙ্গলবার তাকে গুলশান থেকে আটক করা হয় বলে ডিএমপির একটি বিশেষ সূত্রে...
27/08/2024

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক হয়েছেন। মঙ্গলবার তাকে গুলশান থেকে আটক করা হয় বলে ডিএমপির একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

দাড়ি কেটে লুঙ্গি পরে পালাচ্ছিলেন সালমান এফ রহমান, সাথে ছিল আনিসুল হক | এতো টাকা থেকে লাভ কি যদি পালানোই লাগে।
14/08/2024

দাড়ি কেটে লুঙ্গি পরে পালাচ্ছিলেন সালমান এফ রহমান, সাথে ছিল আনিসুল হক | এতো টাকা থেকে লাভ কি যদি পালানোই লাগে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান উপদেষ্টা : ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা:১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমা...
08/08/2024

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
প্রধান উপদেষ্টা : ড. মুহাম্মদ ইউনূস
উপদেষ্টা:
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ড. আসিফ নজরুল
৩. আদিলুর রহমান খান
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
৭. মো. নাহিদ ইসলাম
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন-
১০. সুপ্রদিপ চাকমা
১১. ফরিদা আখতার
১২. বিধান রঞ্জন রায়
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১৪. নুরজাহান বেগম
১৫. শারমিন মুরশিদ
১৬. ফারুকী আযম
https://jamuna.tv/news/554268

02/08/2024

আবারও মোবাইল 📲 নেটওয়ার্কে বন্ধ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রাম

বেইলি রোডে আগুনে নিহত বেড়ে ৪৬
01/03/2024

বেইলি রোডে আগুনে নিহত বেড়ে ৪৬

লজ্জা লাগছে কেউ সাহায্য চাইলে আমরা ভাংতি খুঁজে পাই না.....চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার বাজারে একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছি...
09/08/2023

লজ্জা লাগছে কেউ সাহায্য চাইলে আমরা ভাংতি খুঁজে পাই না.....

চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার বাজারে একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছিলো সিংগাড়া খাবো। এই পদার্থটি আমার সহ্য হয় না। খাওয়ার সাথে সাথে এসিডিটি হয়। তবু লোভে পড়ে খাই। মাঝে মাঝে সিংগাড়া শেষ করেই ঔষধ খাই।

আমি সব সময় হোটেল-রেস্টুরেন্টের এক কোণায় গিয়ে বসি। একটু লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে আরকি। আমি অবশ্যই অন্তর্মুখী মানুষ।

গতকাল কোণার টেবিল ফাঁকা না থাকায় ম্যানাজারের খুব কাছের একটি টেবিলে বসলাম। তার সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম।

একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। কাতর কন্ঠে বললেন, "বাবা, খুব ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খেতে দিতে পারো?"

ম্যানেজার একটা টেবিল দেখিয়ে বললেন, "ঐ জায়গায় গিয়ে বসেন খালা।" তারপর চিৎকার দিয়ে বললেন, "খালাকে এক প্লেট খিচুড়ি দে।"

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। ছোট্ট হোটেল। তেমন বেচাকেনা হয় বলেও মনে হলো না।

দুই তিন মিনিটের মধ্যেই আরো একজন বৃদ্ধা ভিক্ষুক ভিক্ষা নিতে এলেন। ম্যানেজার বললেন, "খাওয়া দাওয়া হয়েছে খালা?"

খালাকে নিশ্চুপ দেখে আগের খালার পাশের চেয়ারে বসালেন এবং তাকেও এক প্লেট খিচুড়ি দেওয়া হলো। দুই জন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বয়োঃবৃদ্ধাকে খেতে দেখে কী যে ভালো লাগছিলো!

এরপর আরো একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। ম্যানাজারের সামনে দাঁড়ালেন। বললেন, "বাবা, ভিক্ষা করতে এসেছিলাম। তেমন ভিক্ষা পাইনি আজ। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া নেই। ভাড়াটা দিতে পারো।"

ম্যানাজার বললো, "আমার তেমন বিক্রি হয়নি খালা। আপনি বরং একটু খেয়ে যান। দেখেন কেউ ভাড়াটা দিতে পারে কিনা।"

এতোক্ষণ যে বয়টি খাবার পরিবেশন করছিলো সে বললো, "খালা কয় টাকা ভাড়া লাগে বাড়ি যেতে?"
-১৫ টাকা বাবা।
হোটেল বয়টি পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে খালার হাতে দিয়ে বললেন, "নেন, এটা রাখেন। একটু খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি যান। আমি খিচুড়ি দিচ্ছি।"

হোটেল ম্যানাজার হাসতে হাসতে বললেন, "শালা যেমন ম্যানাজার, তেমন তার কর্মচারীরা! কেউ মানুষকে ফিরাতে জানে না।"

তারপর বললেন, "শোন, কোন ভিক্ষুক যেন খেতে এসে না ফিরে যায়। সবাইকে খাওয়াবি।"

আমি সব দেখছিলাম। মাথা নিচু করে বসে আছি। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। মনের ভেতর তোলপাড় চলছে।

ম্যানাজারকে এক সময় কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, "ভাই, আপনার ঐ কর্মচারী ছেলেটি সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন তো প্লিজ। কয় টাকা বেতন দেন ওকে।"

- ব্যবসা তো তেমন চলে না ভাই। সারাদিন হোটেল খোলা। রাত নয়টা পর্যন্ত। ওকে ১২০ টাকা দিই।

- বাড়িতে কে কে আছে ওর?

- কেউ নেই তেমন। মা মারা গেছে। বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। ওর নানা-নানি বয়স্ক হয়ে গেছে। কোন কাজ করতে পারে না। এই ছেলেটি কাজ করে নানা-নানিকে খাওয়ায়।

আমার কাছে এবার অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেল। সারাজীবন ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ বঞ্চিত বলেই, এই ছেলেটার হৃদয় ভালোবাসা আর মায়ায় পরিপূর্ণ।

ছোট্ট ছেলেটিকে কাছে ডাকলাম। বললাম, "লেখাপড়া করেছো?"
- না স্যার।
- ঢাকার দিকে কোন কাজ ম্যানেজ করে দিলে যাবা? একটু বেশি বেতনের?

- নানা-নানি চলতে পারে না। তাদের গোসল করার পানি তুলে দিতে হয়। টয়লেটের, অযুর। খাওয়ার রান্না করতে হয়। আমি এদের রেখে যেতে পারবো না স্যার।

আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে এসেছি। মনটা কেমন ভার হয়ে আছে। ছেলেটা সারাদিন কাজ করে একশত কুড়ি টাকা পায়। তিন জন মানুষের সংসার। কীভাবে চলে! এর থেকে সে আবার অসহায়দের দান করে!

মন খারাপ হলে আমি আল-কুরআন খুলে বসি। আজও কুরআনুল কারীম খুলতেই সূরা আল-বাকারার একটি আয়াতে চোখ আটকে গেল। "এরা নিজেদের রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে.. "

আমি আয়াতটির তাফসীর পড়া শুরু করলাম। সেখানে লেখা, "মানুষের এমন পরিমাণ দান করা উচিত, যাতে তার নিজের খাবারে টান পড়ে।"

মনের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। নিজের খাবারে টান পড়া মানে, গোশত খেতাম, দান করার কারণে এখন মাছ খেতে হচ্ছে। দুই প্লেট ভাত খেতাম এখন এক প্লেট খেতে হচ্ছে।

কী অদ্ভুতভাবে আয়াতটি আমার কাছে খুলে যাচ্ছে! তাবুক যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, "আজ কে বেশি দান করতে পারো দেখি?"
উসমান (রাঃ) একশত উট দিয়েছিলেন। উমর (রাঃ) তার সম্পদের অর্ধেক দিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) দিয়েছিলেন এক মুষ্টি খেজুর বা একটু যব জাতীয় কিছু আর তার বাড়িতে ঐটুকু সম্পদই ছিলো।

রাসূল (সাঃ) যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দানে প্রথম হয়েছে। সে তার সম্পদের শতভাগ দিয়েছে।

আমার চোখে ইসলামের ইতিহাসের সেই সোনালী দিন, আজকের ঐ হোটেল কর্মচারী আর আল-কুরআনের আয়াত "তারা রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে" এই বিষয়গুলো এক অসহ্য ভালোলাগার এবং পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠলো। কী করতে পারলাম জীবনে ভাবতে গিয়ে চোখ থেকে টপ টপ করে কয়েক ফোঁটা পানি পড়লো আল-কুরআনের পাতায়। আমি তাড়াতাড়ি কুরআনুল কারীম বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আরশে আজীম থেকে আল্লাহ তায়ালাও নিশ্চয় আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কোন কিছুই তো তার দৃষ্টির আড়ালে নয়।

#হোটেল

বাসর রাতে স্বামী জিজ্ঞেস করলো -তুমি আমার কাছে কি চাও বলো।-একটা কেঁচি।-কেঁচি!-হ্যাঁ কেঁচি। যাও নিয়ে আসো।ও আমার দিকে কতক্ষ...
05/08/2023

বাসর রাতে স্বামী জিজ্ঞেস করলো
-তুমি আমার কাছে কি চাও বলো।
-একটা কেঁচি।
-কেঁচি!
-হ্যাঁ কেঁচি। যাও নিয়ে আসো।

ও আমার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে তারপর টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা কেঁচি এনে এগিয়ে দিয়ে চুপ করে আমার পাশে বসলো। আমিও ওর দিকে তাকিয়ে মিটমিটিয়ে হেসে বললাম- পেছনে ফিরে বসো।

- মানে কি নেহা! পেছনে ফিরবো কেন?

- আমি বলছি যখন তখন কোনো কথা না বলে চুপচাপ পিছনে ফিরে বসো। মেয়েদের মতো চুলে ঝুঁটি করেছো কেন? ছেলেদের বড়ো চুল আমার পছন্দ না। তাই তোমার ঝুটিটা আমি এখন কাটবো।

-প্লিজ এরকম করো না, এক বছর ধরে কত্তো যত্ন করে চুলগুলো বড় করেছি।

আমি চোখ পাকিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম - তুমি কি পিছনে ফিরবে?

- ইয়ে মানে ই ইয়ে.........

-তুমি যদি না ফিরো তাহলে..

ও ভয়ে ভয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো - তাহলে কি হবে?

- তাহলে আমি আমার নিজের চুল কেটে ফলবো।

-মানে!

-হ্যাঁ, যদি তোমার চুল বড় থাকে তাহলে আমি আমার চুল কেটে ফেলবো। আর যদি আমার চুল বড় দেখতে চাও তাহলে তোমার ঝুঁটি কাটতে হবে।

অনিচ্ছা সত্ত্বেও জামাই আমার মুখ কালো করে পিছনে ফিরে বসলো। আমি চুলগুলো কুচকুচ করে কেঁচি দিয়ে কেটে ফেললাম। তারপর ওর দিকে তাকিয়ে বললাম
- ওলে আমার জামাইটা, রাগ করলা বুঝি। থাক শুনো, আমি তো আর নাপিত না যে অতো সুন্দর করে চুল কাটতে পারবো। কালকে সকালে সেলুনে গিয়ে সুন্দর করে চুলে একটা কাট দিয়ে আসবা।

সকালে ও রুম থকে বের হওয়ার পরে সবাই তো দেখে অবাক। আমার ছোট ননদটা ওর দিকে তাকিয়েই খিলখিল করে হাসতে লাগলো।

- কিরে ভাইয়া, তোর ঝুঁটি কই?
শাশুড়ী মা তো একবার ওর দিকে তাকাচ্ছে আর একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে। তারপর ওর দিকে তাকিয়ে বললো - কিরে রাশেদ, তোর মোরগঝুঁটি উধাও হলো কি করে।

ও আমার দিকে তাকিয়ে তারপর হনহন করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। শাশুড়ী মা তো হাসতে হাসতে শেষ। আমাকে জিজ্ঞেস করলো - কি করে করলে এই মহৎ কাজ? যেটা আমরা কেউ পারিনি সেটা করে দেখিয়েছো দেখি বৌমা।

আমি কি আর বলবো, লজ্জায় লাল হয়ে গেছি। ইতিহাসে আমিই একমাত্র বউ যে কিনা বাসর ঘরে জামাইয়ের ঝুঁটি কেটে দিয়েছি।

শাশুড়ী মা খুশি হয়ে বললেন - যাক, অবশেষে মাথার মোরগঝুঁটি টা কাটতে পারলে। আজকালকার ছেলেমেয়ের কখন যে কি ভূত মাথায় চাপে কে যানে! তবে কখনো যদি তোমাকে ও এই ব্যাপারে কিছু বলে তাহলে আমাকে বলবে।

শাশুড়ী মায়ের সাপোর্ট পেয়ে আমার সাহসটা যেনো আরো বেড়ে গেলো। ছোট ননদ মাইশা খুশিতে গদগদ হয়ে বললো - ভাবি এই খুশিতে বলো তুমি আমার কাছে কি চাও?

আমি হেসে উত্তর দিলাম - একটা নেইল কাটার চাই।

- ভাবি তুমি নেইলকাটার দিয়ে কি করবে?

-নখ কাটবো। যাও নিয়ে আসো।
ননদিনী আমার, রুমে গিয়ে সুন্দর একটা নেইল কাটার নিয়ে এসে আমার হাতে দিয়ে বললো - নাও, এটা আমি তোমাকে গিফট হিসেবে দিলাম।

- আচ্ছা ঠিক আছে, এবার আমার সামনে চুপটি করে বসো।
- কেনো!

- নখ কাটবো।

- ইয়ে ভাবি, কার নখ কাটবে?

- তোমার নখ। এতো বড় নখ রাখা ভালো না, নখ বড় রাখলে পেটে জীবাণু যাবে। তারপর অসুখ হবে।

মাইশা কি করবে বুঝতে না পেরে যেই রুমের দিকে দৌড় দিবে ওমনি রাশেদ এসে ওকে খপ করে ধরে আমার সমনে বসিয়ে দিলো। আমি ওর নখ কাটছি আর রাশেদ ওর দিকে তাকিয়ে মিটমিটিয়ে হাসছে। আমার শাশুড়ী মাও দেখছেন আর হাসছেন। আর আমি বলে যাচ্ছি - মাইশা, এতো নড়াচড়া করো না, হাত কেটে যাবে।

এমন সময় আমার দেবর আসলো। এই অবস্থা দেখে ও তো হেসেই গড়িয়ে পড়লো। ওর সাথে আমিও দাঁত কেলিয়ে বললাম - রাহাত, একটা সুই আর সুতা এনে দিতে পারবে?

-কেন ভাবি?

- তোমার ছেঁড়া প্যান্টগুলো সেলাই করবো।

- আরে ভাবি, এটা ছেঁড়া না। এটা হলো স্টাইল।

- হ্যাঁ স্টাইল। দেখছো না তোমার ভাইয়া আর মাইশার স্টাইল কেমন ফুসস হয়ে গেছে। এসব ফালতু স্টাইল বাদ দাও। আর যা বললাম নিয়ে এসো।

- আচ্ছা ঠিক আছে আনছি।
বলেই আমার দেবর প্রায় এক সপ্তাহ নিরুদ্দেশ। আর আমার স্বামী তো চুল এক ইঞ্চি লম্বা হলেই ভয়ে সেলুনে গিয়ে ছোট করে আসে। মাইশা যে নেইলকাটার টা আমাকে দিয়েছিলো ঐটা গোপনে আমার রুম থেকে লুকিয়ে ফেলেছে, যদিও আমি তা জানি।


বিয়ের প্রায় এক মাস পরে আমার বার্থডে তে ও আমাকে নিয়ে ঘুরতে যায়। সারাদিন ঘুরাফেরা করলাম তারপর শপিং করতে গেলাম। আমি তো খুশিতে গদগদ হয়ে ওকে বললাম

- ওলে আমার জামাইটা,,কত্তো ভালো। আচ্ছা বলো তুমি আমার কাছে কি চাও।

- একটা টিস্যু।

টিস্যু, এ আর এমন কি! আমি ব্যাগ থেকে একটা টিস্যু বের করে ওকে দিলাম। আর ওমনেই ও আমার সাজগোজ, লিপস্টিক, আইলাইনার, মাসকারা, আইশেডো সব টিস্যু দিয়ে পুরো মুখ লেপ্টে পেত্নীর মতো করে দিলো। আর বললো - এতো সেজেছো কেন? এতো স্টাইল করা মোটেও ভালো না।

আমি শপিংমলে থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। ও তাহলে আমার কাছ থেকে চুল কাটার প্রতিশোধ টা নিয়েই নিলো!
~~~~~~~~ সমাপ্ত ~~~~~~~~
Collect

- মারে তোকে অনেক দিন হলো দেখিনা। একটু আসবি এখানে ?- বাবা , তোমার জামাইয়ের অফিসে ছুটি নেই কিভাবে আসবো বলো ?- ও আচ্ছা ঠিক...
03/08/2023

- মারে তোকে অনেক দিন হলো দেখিনা। একটু আসবি এখানে ?
- বাবা , তোমার জামাইয়ের অফিসে ছুটি নেই কিভাবে আসবো বলো ?
- ও আচ্ছা ঠিক আছে । ছুটি হলে একটু এসে দেখে যাস। গাছে কিছু পেয়ারা পেকে আছে তোর জন্য রেখেছি, তুই তো খুব ভালোবাসিস। আর তোর মা সেই কবে থেকে মোরগ টা রেখে দিয়েছি তোর জন্য তুই আসলেই মোরগ পোলাও করবে । দিন দিন কেমন শুকিয়ে যাচ্ছে মোরগ টা তবু ও তোর মা ওটা জবাই করছে না ।বলছে আমার মেয়ে এলে ওর জন্য নিজের হাতে আমি রান্না করবো।
- বাবা তোমার শরীর ভাল তো ?
- হ্যা রে মা আমি ভাল আছি। কিন্তু তোর মা ভাল নেই। প্রেসারটা খুব বেড়েছে ।
- মাকে বলো আমি খুব তাড়াতাড়ি আসবো । চিন্তা না করতে এখন রাখি বাবা ।
- ঠিক আছে মা রাখ।
,,
বাবার ফোন রেখে খুব কান্না পেল। কতোদিন হলো বাবা মাকে দেখিনা। যখন ছোট ছিলাম বাবা রোজ আমাকে নিজের হাতে পেয়ারা পেরে খাওয়াতো। সব থেকে পাকা পেয়ারাটা আমি পেতাম । ভাইয়া মাঝে মাঝে বলতো - তোমাদের ওই মেয়ে সব । আমি কিছু না।
মা হেসে দিয়ে বলতো ,- ছি বাবা হিংসে করতে নেই। ও যখন পরের ঘরে চলে যাবে তখন তুই পাকা পেয়ারা গুলি খাস। এখন ওকে দে। ভাইয়া চোখের পানি আড়াল করে বলতো - আমি জানি তোমরা ওকে আমার থেকে বেশি ভালোবাসো। এই কথা শুনে বাবা মা মুখ টিপে হাসতো।
,,
ছোট বেলা থেকেই আমার মোরগ পোলাও ভিষন পছন্দ । বাবা বাজারে গেলেই সব সময় খোঁজ করতো কোথাও
মোটা তাজা মোরগ কোথায় আছে কিনা। কিনে এনেই আমাকে ডেকে বলতেন - এই দ্যাখ মা কি এনেছি ।
তারপর মাকে বলতেন - শোন আজ খুব ভাল করে মোরগ পোলাও করো আমার মেয়েকে আমি পাশে বসিয়ে খাওয়াবো। বাবা আমাকে আর ভাইয়াকে নিজের হাতে মুখে তুলে খাওয়াতো। তিন বেলা মোরগ পোলাও চলতো ,আমি ভাত খেতে চাইতাম না বলে বাবা বলতো - আমার পেটটা ভাল না। এ খাবার খেতে পারবো না। ওদের দাও আমার ভাগের টাও।
,
আজ কতোদিন হলো বাবা মাকে দেখিনা। বুকটা কষ্টে নীল হয়ে যাচ্ছে । পৃথিবীতে কেন এতো নিষ্ঠুর নিয়ম বাবা মাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে ।

,
আজ বাসায় মোরগ পোলাও রান্না হচ্ছে । আমার বর ইয়া বড়ো মোরগ এনে বললো এটা আজকে রান্না করো খুব সুন্দর করে আমার দুজন মেহমান আসবে ।
রাতে সবাই এক সাথে ডিনার করবো।
এই বলেই অফিসে চলে গেল ।
আমি মোরগ টাকে কেটেকুটে সুন্দর করে রান্না চড়ালাম। কিন্তু আমার মন রয়েছে সেই পুরনো দিনে । বার বার বাবা মায়ের মুখটা মনে পড়ছে । মা আমার জন্য নিজের হাতে পোষা মোরগ নিয়ে অপেক্ষা করছে পথ চেয়ে ।
,
দুপুরে খেতে গিয়ে পারলাম না। চোখ ভিজে যাচ্ছে বারবার । ওভাবে রেখে উঠে গেলাম ।
রাতে আমার বর এলো বাসায় । এসে বললো খাবার রেডি করো আমি তাদের নিয়ে আসছি।
,
খাবার রেডি করে বারান্দায় গিয়ে দাড়ালাম। এখনও ওর ছুটি পেতে পঁচিশ দিন বাকি। বাবা মাকে কবে দেখতে পাবো। চোখ থেকে অজান্তে পানি গড়িয়ে পড়লো। এমন সময় পিছনে কেউ আমার মাথায় হাত দিলো। চমকে উঠে পিছনে ফিরে দেখলাম বাবা হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে । মা ও পাশে দাঁড়িয়ে হাসছে । আমি অবাক হয়ে গেলাম । মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম । বাবা বললো ,- জামাই আজ অফিস ছুটি দিয়ে আমাদের আনতে গিয়েছিল । তুই নাকি লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদিস? বোকা মেয়ে একটা আমরা ভাল আছি ।
,
দুরে দাড়িয়ে আমার বর হাসছে । ওর হাসি দেখে মনটা ভরে গেল । চোখের পানি মুছে বললাম - বাবা আমার ভিষন খিদে পেয়েছে চলো আমাকে খাইয়ে দিবে। তোমার হাতে কতোদিন খাইনা। বাবা চোখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে পানি মুছলো।
আমি হুহু করে কাঁদতে লাগলাম ।
এমন সময় আমার বর বললো - এখন খেতে দাও ভিষন খিদে পেয়েছে । আমি সবাই কে খেতে দিলাম । বাবা আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে ।মনে হচ্ছে সেই ছোট্ট আমি । আমার প্লেট থেকে এক টুকরো মাংস বাবার মুখে দিতেই বাবা বললো - জানিস মা আমি যখন ছোট্ট ছিলাম আমার মাও ঠিক এভাবে মাংসের টুকরো আমার মুখে তুলে দিতো। আমি আমার মায়ের চেহারা তোর মাঝে দেখতে পাই। তুই যে আমার মা আমার জননী ।

Copy

আর্জেন্টিনায় আজ একটি ফুটবল লীগ উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মান জানানো হয়। 👍❤
08/02/2023

আর্জেন্টিনায় আজ একটি ফুটবল লীগ উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মান জানানো হয়। 👍❤

শুভ জন্মদিন, "বাতিগোল"🎂নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সেরা এই ফরোয়ার্ড 🏆🏆 কোপা আমেরিকা (১৯৯১, ১৯৯৩)🏅🏅 কোপা আমেরিকা গোল্ডেন বুট (...
02/02/2023

শুভ জন্মদিন, "বাতিগোল"🎂
নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সেরা এই ফরোয়ার্ড

🏆🏆 কোপা আমেরিকা (১৯৯১, ১৯৯৩)
🏅🏅 কোপা আমেরিকা গোল্ডেন বুট (১৯৯১, ১৯৯৫)
🏅 আর্জেন্টিনার ২য় সর্বোচ্চ গোলদাতা।
🏆🏆 ইতালিয়ান সুপার কাপ
🏆 সিরি আ, সিরি বি, কোপা ইতালিয়া, আর্জেন্টাইন প্রিমেরা ডিভিশন
🏅 সিরি আ মৌসুম সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৯৯৪-৯৫)
🏅 সিরি আ'তে ফিওরেন্তিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

Address

Dhanmondi
Dhaka
1207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Friends Travel posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Friends Travel:

Share