14/11/2024
বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণ ইতিহাস সমৃদ্ধ করার জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা-অন-অ্যারাইভাল এবং ফ্রি-ভিসা প্রবেশাধিকার তুলনামূলক কম হলেও, কিছু কৌশল অবলম্বন করলে আপনার ভ্রমণ ইতিহাস ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হবে। নিচে কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হলো:
1. ভিসা-অন-অ্যারাইভাল সুবিধার দেশগুলি ভ্রমণ: প্রথমে এমন দেশগুলি ভ্রমণ করুন যেখানে বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা-অন-অ্যারাইভাল বা ফ্রি-ভিসা সুবিধা রয়েছে, যেমন: মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, সেশেলস, এবং ফিজি। এসব দেশে ভ্রমণ করা সহজ এবং ভ্রমণ ইতিহাসে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
2. দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভিসা পেতে সহজ দেশ ভ্রমণ: কিছু দেশ যেমন সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য তুলনামূলক সহজে ভিসা পাওয়া যায়। প্রথম পর্যায়ে এসব দেশে ভ্রমণ আপনার পাসপোর্টে নিয়মিত স্ট্যাম্প যোগ করবে।
3. ভ্রমণের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ান: ছোট ছোট ট্রিপ বা ভ্রমণ গন্তব্য বেছে নিন। যেমন, ২-৩ দিনের জন্য কাছাকাছি কোনো দেশে ঘুরে আসা। এতে করে পাসপোর্টে স্ট্যাম্পের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে এবং ভ্রমণ ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে।
4. কনফারেন্স বা ইভেন্টে অংশগ্রহণ: আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, সেমিনার, বা কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করুন। এতে বিভিন্ন দেশের ভিসা পাওয়ার সুযোগ বাড়বে, এবং সেই সাথে আপনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
5. ভ্রমণ এজেন্টদের সাহায্য নিন: ভ্রমণ এজেন্ট বা ট্র্যাভেল কনসালট্যান্টদের সহায়তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের ট্যুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে জানুন। তারা আপনাকে ভিসা প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে সহায়তা করতে পারবে।
6. ট্রাভেল ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার: যদি আপনি নিয়মিত ভ্রমণ করেন, তবে আপনার অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ব্লগে শেয়ার করতে পারেন। এতে আপনার প্রোফাইল এবং ট্রাভেল হিস্টোরির ওপর একটা পজিটিভ ইমপ্রেশন পড়ে।
এভাবে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যুক্ত করে আপনার ভ্রমণ ইতিহাস সমৃদ্ধ করতে পারেন। এটি ভবিষ্যতে উন্নত দেশগুলোর ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়াবে।