05/06/2025
আজ ৯ই জিলহজ্জ আরাফার দিন ।
"লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফার ময়দান "।
আরাফাহ (৯ই জিলহজ্জ) দিনের ফজিলত ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত মহান ও বরকতময়। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত তুলে ধরা হলো:
এক হাদীসে আছে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এরশাদ করিলেন, 'নেকীওয়ালা হজ্বের বিনিময় জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আরাফার দিন ব্যতীত আর কোন দিন নাই যেদিন আল্লাহ তায়ালা অধিক পরিমাণে বান্দাদিগকে জাহান্নাম হইতে নাজাত দান করেন। অর্থাৎ যেরূপ অধিক পরিমাণে আরাফার দিন নাজাত ও মুক্তি দান করা হয় এরূপ অধিক পরিমাণে আর কোন দিন হয় না। আল্লাহ তায়ালা (দুনিয়ার) নিকটবর্তী হন, অতঃপর গর্ব করিয়া বলেন, এই সকল বান্দাগণ কি চায়?
এক হাদীসে আছে, যখন আরাফার দিন হয় তখন আল্লাহ তায়ালা সর্বনিম্ন আসমানে অবতরণ করিয়া ফেরেশতাদের সহিত গর্ব করিয়া বলেন, আমার বান্দাগণকে দেখ, আমার নিকট এমন অবস্থায় আসিয়াছে যে, তাহাদের মাথার চুল এলোমেলো, শরীরে এবং কাপড়-চোপড়ে সফরের কারণে ধুলাবালি লাগিয়া আছে, উচ্চস্বরে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক বলিতেছে। দূর-দূরান্ত হইতে আগমন করিয়াছে, আমি তোমাদিগকে সাক্ষী রাখিতেছি যে, আমি তাহাদের গুনাহ ক্ষমা করিয়া দিয়াছি। ফেরেশতাগণ আরজ করেন, ইয়া আল্লাহ! অমুক তো গুনাহগার হিসাবে পরিচিত আর অমুক পুরুষ, অমুক মহিলা (তো বলার অপেক্ষা রাখে না।) আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তাহাদের সকলকে মাফ করিয়া দিয়াছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সেইদিন অপেক্ষা আর কোন দিন এত অধিক পরিমাণে মানুষ জাহান্নাম হইতে মুক্তি লাভ করে না। (মেশকাত)
এক হাদীসে আছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার এই সকল বান্দাগণ এলোমেলো চুল লইয়া আমার দরবারে আসিয়াছে, আমার রহমতের আশা করে। (অতঃপর বান্দাগণকে সম্বোধন করিয়া বলেন,) যদি তোমাদের গুনাহ বালুকণা পরিমাণ হয় এবং আসমানের বৃষ্টির ফোটা পরিমাণও হয় অথবা সমগ্র দুনিয়ার বৃক্ষ পরিমাণও হয় তবুও মাফ করিয়া দিয়াছি। যাও, তোমরা নিষ্পাপ হইয়া ঘরে ফিরিয়া যাও। (কান্য)
এক হাদীসে আছে, আল্লাহ তায়ালা গর্ব করিয়া ফেরেশতাদিগকে বলেন, দেখ, আমি এই বান্দাদের নিকট আপন রাসূল পাঠাইয়াছি। তাহারা সেই রাসূলের উপর ঈমান আনয়ন করিয়াছে। আমি তাহার উপর কিতাব নাযিল করিয়াছি, তাহারা উহার উপর ঈমান আনয়ন করিয়াছে, তোমরা সাক্ষী থাক, আমি তাহাদের সকল গুনাহ মাফ করিয়া দিয়াছি।
🌿 *আরাফাহ দিনের ফজিলত:*
1. *হজের মূল দিন:*
যারা হজ করছেন, তাদের জন্য আরাফার ময়দানে অবস্থান (ওকুফ) হজের মূল স্তম্ভ।
2. *গুনাহ মাফের দিন:*
রাসুল (সা.) বলেন:
*“আরাফাহ দিবসের রোযা আগের এক বছর এবং পরের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়।”*
– (মুসলিম)
3. *দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ দিন:*
রাসুল (সা.) বলেছেন:
*“আরাফার দিনে আল্লাহর কাছে করা দোয়া সবচেয়ে বেশি কবুল হয়।”*
– (তিরমিজি)
4. *শপথ করা দিন (সূরা আল-ফজর):*
*“শপথ সুপ্রভাতের, শপথ দশ রাতের...”* (সূরা আল-ফজর ১-২)
মুফাসসিরদের মতে, এই ‘দশ রাত’ হলো জিলহজ্জের প্রথম দশ দিন, যার মধ্যে আরাফার দিন অন্যতম।
5. *শয়তান সবচেয়ে অপমানিত হয়:*
এই দিনে যত মানুষ গুনাহ মাফ পায়, তাতে শয়তান অত্যন্ত লাঞ্ছিত ও ক্ষুব্ধ হয়।
---
✅ *আমল যা করা উত্তম:*
- রোযা রাখা (যদি হজে না থাকেন)
- অধিক পরিমাণ দোয়া করা
- “তাকবির, তাহমিদ, তাসবিহ” পড়া
- কুরআন তিলাওয়াত
- তওবা ও ইস্তেগফার
---
এই দিনটিকে ইবাদত ও তওবার মাধ্যমে যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত।
২০২৬ সালে আরাফার ময়দানে হাজির হতে চাইলে আজই আপনার হজের জন্য রেজিস্ট্রেশন করুন ।
মুলতাযাম-Tours & Travels
01877-311917