
08/05/2025
৩৫ হাজার টাকার চায়না বিজনেস (M) ভিসা – যেভাবে নিজে নিজে মাত্র ৬,৮২০ টাকায় করবেন
অনেকেই চীনের বিজনেস ভিসা নিতে জানতে চাচ্ছেন তবে সবার আলাদা আলাদা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সময়সাপেক্ষ হয়ে যাচ্ছে। তাই ভাবলাম, পুরো প্রসেসটা একটা পোস্টে আবার তুলে ধরি—যাতে আপনি নিজেই সব করতে পারেন। এতে করে অনেক টাকা ও সময় বাঁচবে।
১. সবার আগে আপনাকে Canton Fair থেকে একটি অফিসিয়াল ইনভাইটেশন নিতে হবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে “Overseas Buyer” হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন।
রেজিস্ট্রেশন শেষে ইনভাইটেশন ডাউনলোড করে রাখুন।
🔗 https://www.cantonfair.org.cn/en-US
এই মাসের ক্যান্টন ফেয়ার শেষ হয়ে গেছে তবে আগামী ক্যান্টন ফেয়ারের (অক্টোবর-নভেম্বর) জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।
ফেয়ার ছাড়াও আপনি আপনার সাপ্লাইয়ার থেকে ইনভিটেশন নিতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে চাইনিজ সাপ্লাইয়ার কিভাবে পাওয়া সেটা নিয়ে আরেকটি পোস্ট করবো।
২. এবার অনলাইনে চায়না ভিসার পোর্টালে গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে।
ফর্মের একদম শেষে ইনভাইটেশন লেটার আপলোড করার অপশন আসবে—সেখানে Canton Fair থেকে পাওয়া ইনভাইটেশনটি দিন।
🔗 https://bio.visaforchina.cn/DAC3_EN/qianzhengyewu
ফর্ম সাবমিট করার ১–২ দিনের মধ্যেই ইমেইলে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয়। ইন্টারভিউ দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
৩. ইন্টারভিউ লাগলেও চিন্তার কিছু নেই। সবাইকে ডাকে না, তবে কেউ কেউ ইন্টারভিউর জন্য ডাক পেতে পারেন।
অনেকে ভাবেন এটা হয়তো ভিডিও ইন্টারভিউ—আসলে না। সরাসরি ঢাকার বারিধারায় এমবাসিতে যেতে হয়।
প্রশ্নগুলো খুবই সাধারণ হয়ঃ
আপনি কী করেন, কেন যাচ্ছেন, আগে কোথাও গেছেন কি না—এই ধরণের।
শুধু আত্মবিশ্বাস নিয়ে উত্তর দিলেই যথেষ্ট।
ইন্টারভিউয়ে আপনার আবেদন ফর্ম, ইনভাইটেশন আর পাসপোর্ট নিলেই হয়।
ইন্টারভিউ দেওয়ার পর মাত্র ৫–১৫ মিনিটের মধ্যেই ইমেইলে ভিসা এপ্রুভালের খবর চলে আসে।
৪. যদি ভিসা এপ্রুভাল আসে, তাহলে ইনভাইটেশন লেটার, আবেদন ফর্ম, পাসপোর্টসহ সবকিছু বনানিতে গিয়ে জমা দিতে হবে।
ফি: ৬,৮২০ টাকা (ক্যাশে)
সাধারণত ৪ কার্যদিবসের মধ্যেই পাসপোর্টে ভিসা লাগানো অবস্থায় হাতে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
বিজনেস ভিসার ঝামেলা না চাইলে টুরিস্ট ভিসা এখন সহজেই করতে পারবেন এজেন্সির মাধ্যমে। ৮২০০ থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আপনার সুবিধামতো লোকেশন এবং রিভিউ দেখে এজেন্সী বেছে নিন।
বিজনেস ভিসা করার এই প্রসেসটি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য হুসেইন আহমেদ ভাইকে ধন্যবাদ। ভাইয়ের গাইডলাইনগুলোকে আমি একটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি।