Bangali manus- বাঙ্গালী মানুষ

Bangali manus- বাঙ্গালী মানুষ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Bangali manus- বাঙ্গালী মানুষ, Khulna.

25/11/2023

আমি শুনেছি সেদিন তুমি
সাগরের নীল জ্বলে 🖤🥀
GBV PROGRAMME AT CHUADANGA

১৩৩ বছরের পুরনো খুলনার ঐতিহ্যবাহী ইন্দ্রমোহন সুইটস!লোকেশান -খুলনা হেলাতলা,ডাকবাংলা
24/11/2023

১৩৩ বছরের পুরনো খুলনার ঐতিহ্যবাহী ইন্দ্রমোহন সুইটস!
লোকেশান -খুলনা হেলাতলা,ডাকবাংলা

🕌 ষাট গম্বুজ মসজিদ 🕌🇧🇩 বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি...
02/10/2022

🕌 ষাট গম্বুজ মসজিদ 🕌

🇧🇩 বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি নেই। তাই এটি কে নির্মাণ করেছিলেন বা কোন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্বন্ধে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী দেখলে এটি যে খান জাহান আলী নির্মাণ করেছিলেন সে সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ থাকে না। ধারণা করা হয় তিনি ১৫শ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ করেন। এ মসজিদটি বহু বছর ধরে ও বহু অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। পাথরগুলো আনা হয়েছিল রাজমহল থেকে। এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটির মধ্যে অবস্থিত; বাগেরহাট শহরটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো এই সম্মান প্রদান করে।

মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে বাইরের দিকে প্রায় ১৬০ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ১৪৩ ফুট লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে বাইরের দিকে প্রায় ১০৪ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ৮৮ ফুট চওড়া। দেয়ালগুলো প্রায় ৮·৫ ফুট পুরু। ষাট গম্বুজ মসজিদে গম্বুজের সংখ্যা মোট ৮১ টি, সাত লাইনে ১১ টি করে ৭৭ টি এবং চার কোনায় ৪ টি মোট ৮১ টি।

মসজিদের সমগ্র ছাদটি গম্বুজ দ্বারা নির্মাণ করা, অর্থাৎ ছাদ গম্বুজ মসজিদ। কালের বিবর্তনে লোকমুখে ছাদ গম্বুজ কে (বিকৃত উচ্চারণে ছাদকে সাদ / শাট / ষাট) বলতে বলতে ষাট গম্বুজ নামকরণ হয়ে যায়, সেই থেকে ষাট গম্বুজ নামে পরিচিত। প্রকৃত পক্ষে গম্বুজ সংখ্যা ষাট টি বা ৬০ টি নয়, গম্বুজ সংখ্যা মূলত ৮১ টি।

অনেকে বলার চেষ্টাা করে প্রথম নির্মাণের সময় গম্বুজ সংখ্যা ৬০টি ছিল, পরে ২১টি বর্ধিত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের মাথায় ঢোকে না যে বর্ধিত করতে হলে সামনে অথবা পিছনের বর্ধিত করতে হবে (অর্থাৎ মসজিদের পূর্বে অথবা পশ্চিমে বর্ধিত করতে হবে)। উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকের ১১টি করে এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকের সারিতে ৭টি করে গম্বুজ আছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকের সারিতে ১১টি গম্বুজের প্রথম ৫টি গোলাকার তারপর ১টি গম্বুজ চারচালা ঘরের আকার ও তারপরের ৫টি আবার গোলাকার। বর্ধিত করতে হলে নিশ্চয় পূর্ব দিকে অথবা পশ্চিম দিকে বর্ধিত করতে হবে, সে ক্ষেত্রে গম্বুজের সংখ্যাও ১১ টি করে বর্ধিত হবে।

মসজিদটির নাম ষাট গম্বুজ (৬০ গম্বুজ) মসজিদ হলেও এখানে গম্বুজ মোটেও ৬০টি নয়, বরং গম্বুজ সংখ্যা ৭৭টি। ৭৭টি গম্বুজের মধ্যে ৭০ টির উপরিভাগ গোলাকার এবং পূর্ব দেয়ালের মাঝের দরজা ও পশ্চিম দেয়ালের মাঝের মিহরাবের মধ্যবর্তী সারিতে যে সাতটি গম্বুজ সেগুলো দেখতে অনেকটা বাংলাদেশের চৌচালা ঘরের চালের মতো। মিনারে গম্বুজের সংখ্যা ৪ টি-এ হিসেবে গম্বুজের সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ৮১ তে । তবুও এর নাম হয়েছে ষাটগম্বুজ। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, মসজিদের ছাদটি যেহেতু গম্বুজ দ্বারা নির্মাণ করা, তাই ছাদ গম্বুজ থেকে ষাট গম্বুজ মসজিদ নাম করণ হয়েছে। আবার কিছু ঐতিহাসিকরা এমন মতও প্রকাশ করেন যে, যেহেতু- সাতটি সারিবদ্ধ গম্বুজ সারি আছে বলে এ মসজিদের সাত সারি গম্বুজ এবং তা থেকে ষাটগম্বুজ নাম হয়েছে। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, গম্বুজগুলো ৬০ টি প্রস্তরনির্মিত স্তম্ভের ওপর অবস্থিত বলেই নাম ষাটগম্বুজ হয়েছে।

সুলতান নসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫-৫৯) আমলে খান আল-আজম উলুগ খানজাহান সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে খলিফাবাদ রাজ্য গড়ে তোলেন। খানজাহান বৈঠক করার জন্য একটি দরবার হল গড়ে তোলেন, যা পরে ষাট গম্বুজ মসজিদ হয়।[৪] এ মসজিদটি বহু বছর ধরে ও বহু অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। পাথরগুলো আনা হয়েছিল রাজমহল থেকে। তুঘলকি ও জৌনপুরী নির্মাণশৈলী এতে সুস্পষ্ট।

মসজিদটির পূর্ব দেয়ালে ১১টি বিরাট আকারের খিলানযুক্ত দরজা আছে। মাঝের দরজাটি অন্যগুলোর চেয়ে বড়। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে আছে ৭টি করে দরজা। মসজিদের ৪ কোণে ৪টি মিনার আছে। এগুলোর নকশা গোলাকার এবং এরা উপরের দিকে সরু হয়ে গেছে। এদের কার্ণিশের কাছে বলয়াকার ব্যান্ড ও চূঁড়ায় গোলাকার গম্বুজ আছে। মিনারগুলোর উচ্চতা, ছাদের কার্নিশের চেয়ে বেশি। সামনের দুটি মিনারে প্যাঁচানো সিঁড়ি আছে এবং এখান থেকে আজান দেবার ব্যবস্থা ছিল। এদের একটির নাম রওশন কোঠা, অপরটির নাম আন্ধার কোঠা। মসজিদের ভেতরে ৬০টি স্তম্ভ বা পিলার আছে। এগুলো উত্তর থেকে দক্ষিণে ৬ সারিতে অবস্থিত এবং প্রত্যেক সারিতে ১০টি করে স্তম্ভ আছে। প্রতিটি স্তম্ভই পাথর কেটে বানানো, শুধু ৫টি স্তম্ভ বাইরে থেকে ইট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই ৬০টি স্তম্ভ ও চারপাশের দেয়ালের ওপর তৈরি করা হয়েছে গম্বুজ।

মসজিদের ভেতরে পশ্চিম দেয়ালে ১০টি মিহরাব আছে। মাঝের মিহরাবটি আকারে বড় এবং কারুকার্যমন্ডিত। এ মিহরাবের দক্ষিণে ৫টি ও উত্তরে ৪টি মিহরাব আছে। শুধু মাঝের মিহরাবের ঠিক পরের জায়গাটিতে উত্তর পাশে যেখানে ১টি মিহরাব থাকার কথা সেখানে আছে ১টি ছোট দরজা। কারো কারো মতে, খান-ই-জাহান এই মসজিদটিকে নামাজের কাজ ছাড়াও দরবার ঘর হিসেবে ব্যবহার করতেন, আর এই দরজাটি ছিল দরবার ঘরের প্রবেশ পথ। আবার কেউ কেউ বলেন, মসজিদটি মাদরাসা হিসেবেও ব্যবহৃত হত।ইমাম সাহেবের বসার জায়গা হিসেবে রয়েছে মিম্বার।
ছবি ঃ vai

#সাতগম্ভুজ

Address

Khulna
9201

Telephone

+8801991609951

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangali manus- বাঙ্গালী মানুষ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangali manus- বাঙ্গালী মানুষ:

Share