26/11/2024
আকাশে হারিয়ে যাওয়া: ফ্লাইট ৩৭০-এর রহস্যময় গল্প
২০১৪ সালের ৮ মার্চ। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। বোয়িং ৭৭৭ মডেলের এই বিমানটিতে ২৩৯ জন আরোহী ছিলেন—কেউ জানত না, এটি হবে তাদের জীবনের শেষ যাত্রা।
ফ্লাইটটি ঠিকঠাকভাবে উড্ডয়ন করেছিল। সবকিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। কিন্তু মাত্র ৪১ মিনিট পর, কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে বিমানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে আর কখনও ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর কোনো খোঁজ মেলেনি।
বিশাল আকাশের নিচে এমন নিখোঁজ হওয়া? অসম্ভব মনে হয়। তবে তদন্তকারীরা বললেন, বিমানটি তার পূর্ব নির্ধারিত পথ থেকে সরে গিয়ে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের গভীরে চলে যায়। কিন্তু কেন? প্রযুক্তির এই যুগেও, এত বড় একটি বিমান কীভাবে হারিয়ে গেল?
এমএইচ৩৭০-এর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব জন্ম নিয়েছে। কেউ বলেছে, এটি ছিল একটি সন্ত্রাসী হামলা। কেউ দাবি করেছে, পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটিকে ডুবিয়ে দিয়েছেন। আবার কারো মতে, এটি হয়তো ভিনগ্রহের প্রাণীদের কাজ।
২০১৫ সালে, ভারত মহাসাগরের রিউনিয়ন দ্বীপে বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এটি নিখোঁজের রহস্য উন্মোচনে সাহায্য করেনি। আজও, ফ্লাইট ৩৭০ এক চরম অমীমাংসিত রহস্য।
বিমানের প্রতিটি যাত্রী এবং ক্রুদের পরিবার এখনো অপেক্ষায় আছেন। তারা জানেন, তাদের প্রিয়জন আর ফিরবেন না, কিন্তু এই প্রশ্ন তাদের কুরে কুরে খায়—ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে?
এমএইচ৩৭০ শুধু একটি বিমান নয়; এটি একটি অধ্যায়, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আকাশ যতই বিশাল হোক না কেন, এর গভীরতায় হারিয়ে যাওয়ার রহস্য আরও গভীর।