22/11/2023
সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান সমূহ:
সময় : ২রাত ৩ দিন খুলনা – সুন্দরবন – খুলানা ।
আগামী 23-24-25 তারিখ
১. হাড়বাড়িয়া ২.কটকা অফিস ৩.জামতলা ওয়াচ টাওয়ার ৪.বাদাম তলা সী বীচ ৫.হিরোন পযেন্ট ৬.দুবলার চর ৭. করমজল
ভ্রমনের সময়সূচী : ঢাকা/ দেশের যে কোন জায়গা থেকে সকালে রওনা দিয়ে আসতে হবে ।
১ম দিন
দুপুররে ২:০০ ৪নং ঘাট থেকে আমাদের গাইড আপনাকে রিসিভ করে শীপে নিয়ে যাবে। রুপসা এবং পশুর নদী ধরে খুলনা শিপইয়ার্ড,রুপসা ব্রিজ,রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মংলা বন্দর পাশে
রেখে আমাদের শীপ চলবে "কটকা অভয়ারণ্যে। উদ্দেশ্যে।
২য়দিন:
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশী নৌকায় ক্যানেল ক্রুজিং এবং চুপ থেকে বনের নিস্তব্ধতা উপভোগ করবো৷ সেখান থেকে টাইগার ট্রি'র ঝোপ,হরিণের বিচরণের জামতলা ওয়াচ টাওয়ার এবং গভীর বন পেরিয়ে আড়াই কিলো দূরের বাদামতলা সী বীচে যাবো। উপভোগ করবো বাংলাদেশর দুই গর্ব "সুন্দরবন" এবং 'বঙ্গপোসাগর " এর মিলন স্থান।
এরপর যাবো টাইগার টিলার (অফিস পাড়) উদ্দেশ্যে। কাঁদা,শ্বাস মূল আর ভয়ংকর গড়ান বন পেরিয়ে টাইগার টিলার অবস্থান।যাওয়ার পথে খুব কাছ থেকে হরিণের পাল দেখা যাবে।
এরপর ফিরবো শীপে সকালের নাস্তা করবো ৷ শীপ যাবে হিরণ পয়েন্ট " উদ্দেশ্যে।
হিরণ পয়েন্ট গা,ছমছমে ছন বনের ভিতর দিয়ে হাটবো। হরিণের পাল মাথা উচু করে আপনাকে দেখেই ছুটে পালাবে এবং আপনি বুঝবেন কেনো এখানকে বাঘের ডাইনিং বলা হয়। ছমছমে ভাব নিয়েই ফিরবো শীপে। শীপে করে যাবো দুবলার চর,মনরম সুন্দর সী বীচে থাকবো সন্ধার পর পর্যন্ত। তারপর ফিরবো শীপে। শীপ চলবে হাড়বাড়িয়ার উদ্দেশ্যে।
৩য় দিনঃ
সকালে হাড়বাড়িয়া আগে গান ম্যান রেখে সারিবদ্ধ ভাবে যাবো নির্ধারিত ফুট ট্রেইল ধরে। মিষ্টি পানির পুকুর পার হয়ে ঢুকবো গভীর বনে৷ দু,পাশে থাকবে ঘন শ্বাসমূল যুক্ত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। সুন্দরী, গোলপাতা,গেওয়া গাছ এই বনে বেশী। প্রচুর হরিণের পায়েরছাপ এবং নিশ্চুপ থাকলে হরিণের পাল দেখা যাবে। কাকড়ার পাল ছুটে লুকাবে আপনার চলার শব্দে।প্রায় ১ মাইল ট্রেইল ঘুরে পুকুরের উপর নির্মিত কাঠের রেষ্ট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে শীপে ফিরে আসবো ও করমজলে নোনা পানির বাংলাদেশের একমাত্র কুমির প্রজনন কেন্দ্র। ছোট বড় কুমির,বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির কচ্ছপ,বানরের পালের বাদরামি এবং হরিণকে হাত থেকে ঘাস খাইয়ে শীপে ফিরে খুলনা/মংলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো।
খাবার বিবরণ
প্রথম দিন
দুপুরের খাবার : সাদা ভাত, ভর্তা, সবজি, ফাইসা মাছ দোপেয়াজা , চুই ঝালের খাসির রেজালা, টমেটো ডাল, গ্রীন সালাত ও সরপুরিয়া মিষ্টি।
বিকালের স্নাক্স : এগ নুডুলস, সস, চা ও কফি।
রাতের খাবার : পোলাও , বেগুন ভাজি, মাছ দোপিয়াজা , চিকেন রোষ্ট, ডাল ভুনা, সালাদ, দধি ও কোমল পানীয় কোক ও স্প্রাইট ।
দ্বিতীয় দিন
সকালের নাস্তা: ভুনা খিচুড়ি, ডিম মালাই কারি, বেগুন ভাজি, আমের আচার ও গ্রীন সালাত।
সকালের স্নাক্স : ভোরে,৫.৩০ :, লেক্সাস বিস্কুট চা ও কফি।
আপেল, বীচ থেকে ফিরে এসে ডাবের পানি ।
দুপুরের খাবার : সাদা ভাত, বেগুন ভর্তা, লাউ+চিংড়ি, গলদা চিংড়ি মাছ , মুরগি কারি, টক ডাল ও গ্রীন সালাত।
বিকালের স্নাক্স: সান ড্রাই কেক, কমলা চা ও কফি।
স্পেশাল বারবিকিউ ডিনার : স্পেশাল পরোটা, চাইনিজ ভেজিটবেল, মুরগির বারবিকিউ, কোরাল মাছের বারবিকিউ, ,রাজাঁ হাসের মাংসের রেজালা ,রশিয়ান সালাত, চমচম মিষ্টি ও কোমল পানীয় কোক ও স্প্রাইট।
তৃতীয় দিন
সকালের নাস্তা:পরোটা, মিক্স ভেজিটেবল, ডাল ভুনা, ডিম মামলেট /ফ্রাই, সুজির মিল্ক হালুয়া চা ও কফি।
সকালের স্নাক্স : পেয়ারা,চকলেট কুকিজ, চা ও কফি।
দুপুরের খাবার : সাদা ভাত, আলু ভর্তা, মিক্স ভেজিটেবল, ভেটকি মাছ, মুরগির ম্যাসালা কারি, টমেটো ডাল ও গ্রীন সালাদ