27/11/2024
হজ্জে গিয়ে আমরা কি কি খেয়াল রাখতে পারি!!!
১/ আমরা যে কোন ছোট বড় কাজ বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহরকে খুশি করার উদ্দেশ্যে করবো।আপনার নিয়ত যদি ভালো থাকে এবং ভালো কাজ করার প্রবল ইচ্ছা থাকে সেই কাজ যদি সম্পন্ন না ও করতে পারেন তাও আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা সেই সোয়াব লিখে দিবেন আপনার আমলনামায়।সুবহানাল্লাহ।
২/ ধর্য্য ধরতে হবে,কম কথা বলতে হবে,হজ্জে যাওয়ার আগেই অভ্যাস করতে হবে।
৩/ আপনি যদি রুমমেটের সাথে থাকেন তাহলে তাদের কাজের সহযোগিতা করবেন।কিছু খাবার বাইরে থেকে আনলে তাদের দিয়ে খাবেন।নামাজের টাইমে বলে যাবেন।অনেকেই মোবাইলে এ্যালার্ম দিতে পারেনা।ভোর রাতে তাহাজ্দুদ নামাজে উঠার জন্য সহযোগিতা করবেন।ডাইনিং এ খাবার খেতে গেলে বলে যাবেন।যদি কোন বুযুর্গ থাকে যদি বলে,খাবার তার জন্য রুমে নিয়ে আসতে পারেন।বয়স্কদের বাথরুমে আগে যেতে দিবেন।
৪/ আপনি যে সহি আমল গুলি শিখে গিয়েছেন তা রুমমেটদের সাথে শেয়ার করবেন।এবং ওনারা ও কি কি আমল করছেন তাও জানবেন।নিজে জানবেন এবং ওনাদের ভুলত্রুটি থাকলে সুন্দর করে ভুল গুলি ঠিক করে দিবেন।যদি ওনারা আমল করেন তাহলে আপনার সাদাকায় জারিয়া হয়ে যাবে।
৫/ হারাম শরিফে ও অনেক বাংগালী ও অন্য দেশের মানুষের সাথে পরিচয় হবে তখন আমল নিয়ে কথা বলবেন।( খুবই সংক্ষেপে অল্প সময়ের জন্য)ওনারা ও যদি আমল করেন তাহলে আপনার সাদকায়ে জারিয়া হয়ে যাবে।
৬/ হারাম শরিফে ও মদিনা শরিফে অনেক সময় চোখের সামনে টিসু , খেজুরের বিচি, প্লাস্টিকের গ্লাস পরে থাকতে দেখবেন।এগুলি একসাথে করে ফেলে দিবেন।এর মানে আপনি আল্লাহর ঘর পরিস্কার পরিছন্ন করার সুযোগ পেলেন।এই সৌভাগ্য কয়জনের হয়।
৭/ মক্কা ও মদিনা শরিফে অনেক সময় আপনি খেজুর,রুটি,জমজম পানি,চকলেট,লাবাং,দই ইত্যাদি হাদিয়া পাবেন।আপনার পাশের জন যদি না পায় তাহলে আপনি তাকে কিছু হাদিয়া দিবেন।আর সবসময় কিছু ছোটখাটো পেকেট করা খাবার নিয়ে যাবেন বেগে করে। নিজেও খেতে পারবেন আর অন্য কে ও হাদিয়া ও দিতে পারবেন।
৮/ কেউ যদি আপনাকে কথা দিয়ে কষ্ট দেয় বা ব্যাথা দেয় চুপ থাকবেন।কিছু বলবেন না। মাফ করে দিবেন।আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
৯/ নামাজে দাড়ানোর সময় যদি কেউ পাশে দাড়াতে চায় তাকে সুযোগ করে দিবেন।
১০/ মক্কা ও মদিনা শরিফে অনেক আওয়াজ করে কথা বলবেন না। যদি প্রয়োজন হয় আস্তে ও সংক্ষেপে কথা বলবেন।জুমার নামাজের খুদবার সময় তো কোন কথাই বলা যাবে না।
১১/ দয়াকরে মার্কেটে কম যাওয়ার চেষ্টা করবেন।এটা এমন একটা নেশা যে আপনার দৈনন্দিন আমল সব কিছু ওলোট পালোট করে দিবে।মদিনায় গিয়ে আপনারা কিছুটা সময় বের করতে পারবেন।
১২/ হোটেলের খাবার এর সময় গুলি জেনে নিবেন।দেরি করে গেলে খাবার ভালো পাবেন না।শেষ হয়ে যায়।সবকিছু ক্লিন করে ফেলে।খাবার না পেলে কিনে খেতে হবে,আর না খেতে চাইলে আপনি দুর্বল হয়ে পরবেন।ঐ খানে প্রচুর হাটতে হয়।তাই খেয়ে শরীর ঠিক রাখতে হয়।
১৩/ অবশ্যই অবশ্যই প্রচুর পানি খেতে হবে,জুস তো কিনে খেতে হয়।জমজমের পানি হারাম শরীফ এ খেয়েও আসবেন আসার সময় নিয়ে ও আসবেন।ব্যাক পেকে খালি ছোট বোতল নিয়ে যাবেন।আসার সময় ভরে নিয়ে আসবেন।
১৪/ মক্কা ও মদিনা শরিফে প্রতি ওয়াক্তে জানাজার নামাজ হয়।তাই জেনে শিখে যাবেন।
১৫/ প্রয়োজনীয় ঔষুধ সব নিয়ে যাবেন। অবস্যই প্রেসক্রিপশন নিয়ে যাবেন।ঔষুধ এক্সট্রা ১০/১৫ দিনেরটা নিয়ে যাবেন।মহিলাদের গাইনি ডঃ দেখিয়ে পিল নিয়ে যেতে হবে। যেহেতু মক্কা মদিনায় অনেক হাটা হয় তাই লিক হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এজন্য ডঃ কাছ থেকে আরো এমন একটি ঔষুধ নিয়ে যাবেন যেনো লিক হওয়ার আগেই খেয়ে ফেলতে পারেন।বেশী করে রেনডম ঔষুধ গুলো নিয়ে যাবেন।কেউ চাইলে যেনো আপনি দিতে পারেন।বেশী করে ওরসেলাইন নিয়ে যাবেন।
১৬/ যদি আপনি বা আপনার সঙ্গী কোন কারনে অসুস্থ হন তাহলে খুব দ্রুত মোয়াল্লেম কে নিয়ে ডঃ এর কাছে যাবেন।বাংলাদেশী ডঃ এর টিম আছে আপনিদের সেবা দেয়ার জন্য।অবস্যই সেটা ফ্রীতে দিবে।১০/১৫ দিনের ঔষুধ বিনামূল্যে পাবেন।অবস্থা খারাপ হওয়ার আগেই ডঃ কাছে যাবেন।হজ্জে যাতে সুন্দর ভাবে করতে পারেন।
১৭/ পঁচা সাবান গন্ধহীন এটা নিয়ে যেতে পারেন।হজ্জের সময় আপনি একটি সাবান কয়েকটি টুকরো করে নিয়ে যাবেন।বাথরুমে একটি রেখে আসবেন।যারা যারা ব্যবহার করবে আপনার সাদাকায়ে জারিয়া হয়ে যাবে।বালটি মগ যদি থাকে সবাইকে ব্যবহার করতে দিবেন। এটাতেও সাদাকায় জারিয়া হয়ে যাবে।
১৮/ অনেক সময় মোয়াল্লেমরা খাবার দিয়ে যায়।সবাইকে নিজ হাতে বিলি করে দিবেন যেনো সবাই পায়।
১৯/ কেউ কোন কিছু জানতে চাইলে বা কাজ করে দিতে বল্লে হাসি মুখে করার চেষ্টা করবেন।এমন ও হতে পারে হজ্জ করার আগেই আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আপনার উপর খুশি হয়ে হজ্জ কবুল করে নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ।
২০/ আপনারা একটা রুটিন করে নিতে পারেন।যেমন হারাম শরীফে এশার এর নামাজ পরে রাতের আমল করে হোটেলে এসে সময় মতো খাওয়া দাওয়া করে ঘুম দিতে হবে।রাত ২/২:৩০ মধ্যে তাহাজ্জুদের নামজ এর জন্য বেরিয়ে যাবেন। একে বারে ফজর নামাজ পরে জিকির ও তাওয়াফ করে হোটেলে এসে পরবেন।নাস্তা করে ঘুমিয়ে যাবেন।আবার সকাল ১১ মধ্যে হারাম শরীফে জোহরের নামাজের জন্য চলে যাবেন।দুপুরে খাবারের জন্য আবার হেটেলে চলে আসবেন।আবার আসরের সময় গিয়ে একে বারে মাগরিব ও এশার নামাজ পরে হোটেলে আসবেন।আসর থেকে মাগরিব এ অনেকটা সময় পাবেন তখন বাইরে গিয়ে টয়লেট সেরে আসতে পারেন।হারাম শরীফে ওজুখানা আছে।ভিতরে কোন টয়লেট নেই।আপনাকে এজন্য বাইরে যেতেই হবে।
২১/ সব সময় আল্লাহর কাছে বলতে হবে, আল্লাহ আমার হজ্জ সহজ করে দিন।আমার হজ্জ কবুল করুন।আমিন।