The Country Tour

The Country Tour ভ্রমণের পাশাপাশি ইতিহাস-ঐতিহ্য জীবন জীবিকা সহ চারপাশের সবকিছু তুলে আনার চেষ্টা করি মাত্র।

19/05/2025

চলেন নারী কমিশনের ভন্ডামি নিয়া একটা সিরিয়াস আলাপ দেই। জ্বর ছাড়সে তাই মস্তিষ্ক একটু গরম।

- বাংলাদেশের গার্মেন্টসগুলো দেশের পিলার। এই গার্মেন্টসগুলোতে ৮০% কর্মী হলো নারী। এটা জানেন৷ যেটা জানেন না সেটা নিয়া বলি।

মাত্র ১০% এক্সিকিউটিভ হলো নারী। মানে ম্যানেজার। নারীরা ঐখানে শ্রমিক হিসেবে থেকে যায়, তাদের পদন্নোতি দিয়ে ম্যানেজমেন্টে জায়গা দেয়া হয় না।

নারী কমিশনে এটা উঠে আসছে?

-প্রশ্ন হচ্ছে, সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্ট গার্মেন্টসগুলোতে কেমন?

প্রতিনিয়ত মেয়েরা হ্যারাজের শিকার হচ্ছে। ভালো পরিবেশ নাই৷ থাকলেও ঠিকমতো বেতন দেয়া হচ্ছে না। প্রোডাক্টিভিটি কমতেসে। এটা নিয়া নারী কমিশন কিছু বলসে?

-আলুর সিজনে উত্তরবঙ্গে আলুক্ষেতে নারীরাও কাজ করে। পুরুষদের থেকে বেশি আলু তুলেও তারা কম টাকা পায়। নারী কমিশন কথা বলসে?

-এইযে আয়েশ করে চা খান না? চায়ের বাগানগুলোতে ৫০-৭০ শতাংশ নারী কর্মী। এদের বেতন কত জানেন?

একটু জানেন ভাই।

লবণ দিয়ে ভাত খায়।

নারী কমিশন কিছু বলসে?

-বাংলাদেশে এত নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা হয় যে আসল মামলাগুলো বছরের পর বছর ধরে চলে। এটা নিয়া নারী কমিশন কিছু বলসে?

নারীরা ইসলামে সমান মর্যাদার অধিকারী না। বরং বেশি। তাদের রাব্বাতুল বাইত বলা হয়।

কী দরকার আসলে?

সেপেরেট মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নারীদের জন্য। এইগুলো কমিশনে উঠসে?

নারী কমিশনের কোন মহিলা গার্মেন্টসে ঘুরসে? চা বাগানে ঘুরসে? আলু ক্ষেতে মুখে কাপড় টেনে আলু তোলা মহিয়সীর কথা শুনছে?

নারীর সমতা কীভাবে রক্ষা করবে?

ম্যারিটাইল রেইপের মত ফালতু জিনিসের পরিচয় করিয়ে? রক্ষা হবে?

পশ্চিমে হচ্ছে?

ম্যাস একটা নারীসমাজ পতিতা হবে আসলে। যেমন পশ্চিমে of এ জড়িয়ে যাচ্ছে মেয়েরা।

মোরালিটি হলো সব। উদাহরণ একজন পিএইচডি করা গবেষক অনলি ফ্যান করা মেয়ের ১০ ভাগের ১ ভাগ ও কামাতে পারে না। সে কি তাহলে পি এইচডি ছেড়ে অনলি ফ্যান করবে?

করতেসে ভাই৷ জারা ডার উত্তম উদাহরণ এটা। কারণ মোরালিটি নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে।

তারপর যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে মর্যাদা দেয়ার কথা উঠসে।

ভালো কথা?

প্রশ্ন হলো মেয়েদের জোর করে নিয়ে যে যৌনপল্লীতে বিক্রি করা হয় সেটার কথা কই? বিক্রির সাথে জড়িত যে মহিলারায় সেটার কথা কই?

নারী উন্নয়নের আসল জায়গায় তারা কাজ করবে না। এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে। আলুক্ষেতে গেলে ট্রাস্ট মি আলুক্ষেতে দিনমজুর খাটা মহিলা জুতো দিয়ে এদের পিটাতো এদের প্রস্তাবের কথা শুনে।

সকালে আজকের দিনের সবচেয়ে দু:খজনক রোগী ছিলেন উনি।বয়স ৩১ বছর। স্ত্রীর বয়স ১৮ বছর। ২ বছর আগে বিয়ে হয়।কিন্তু বাচ্চা হচ্ছেনা।...
18/05/2025

সকালে আজকের দিনের সবচেয়ে দু:খজনক রোগী ছিলেন উনি।
বয়স ৩১ বছর। স্ত্রীর বয়স ১৮ বছর। ২ বছর আগে বিয়ে হয়।
কিন্তু বাচ্চা হচ্ছেনা। স্ত্রীকে আগে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে কিন্তু স্বামীর কোন ডাক্তার আগে দেখানো হয় নাই।
তাছাড়া আরো কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা আছে।

কিছুদিন আগে আমাকে দেখায়। আজকে রিপোর্ট দেখাতে আসেন।
রিপোর্ট দেখে আমার মন খারাপ হয়ে গিয়েছে।
উনার বী^র্যে কোন শু^ক্রাণু নাই। সাধারনত প্রতি মিলি সিমেনে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন শু^ক্রা^ণু থাকে। কিন্তু উনার একটাও নাই।
আই রিপিট নট আ সিংগেল ওয়ান।

উনি কখনো বাবা হতে পারবেন না।

এই কথা বলার পর ভদ্রলোক কান্নায় ভেংগে পড়লেন।
আমার নিজের খুব খারাপ লাগছিলো। কত মানুষ বাচ্চা ন^ষ্ট করে ফেলে, কত মানুষ বাচ্চা নিতে চায় না।
আর এদিকে উনি বাচ্চা চান কিন্তু আল্লাহ উনার কপালে রাখেন নাই।

লেখা- ডা: মো: আরিফুল আলম

-Collected.

কে লিখেছেন জানি না, কিন্তু অসাধারণ👌১.  মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছ...
17/05/2025

কে লিখেছেন জানি না, কিন্তু অসাধারণ👌
১. মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।
২। মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।
৩. মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।
৪. ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না? ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।
৫. আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।
৬. মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।
৭. বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।
৮. মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি। দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।
৯. বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।
১০. বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...!!!!
*জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া।
সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি *
সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবাকে ❤️❤️

বস্তুটির নাম— ভ্যানভেরা (vanvera). ১৯-শতকের ইতালিতে তুমুল জনপ্রিয় মেশিন ছিল এটি, বিশেষ করে ভেনিস শহরের সম্ভ্রান্ত পরিবার...
17/05/2025

বস্তুটির নাম— ভ্যানভেরা (vanvera). ১৯-শতকের ইতালিতে তুমুল জনপ্রিয় মেশিন ছিল এটি, বিশেষ করে ভেনিস শহরের সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলোয়।

ভ্যানভেরা ব্যবহৃত হতো একটি সভ্য-উদ্দেশ্যে— জৈব-বায়ুত্যাগ, খাঁটি বাংলায় 'পাদ'-এর সুললিত শব্দ ও বিমোহিত ঘ্রাণ থেকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে মুক্ত রাখতে।

এই বস্তুর উৎপত্তি মূলত প্রাচীন মিশর এবং রোমে, প্রায় একইসাথে, সুপ্রাচীন কালে। তখন এর নাম ছিল— প্রাল্লো (prallo). ফেরাউন ও সম্রাটদের দীর্ঘসময় ধরে চলমান উৎসবগুলোয় প্রাল্লো ব্যবহৃত হতো পাদের ধ্বনি ও গন্ধ লুকিয়ে পরিবেশকে স্বচ্ছন্দ রাখার দায়িত্বে।

প্রাল্লোর গঠন ছিল এরকম— ডিম্বাকৃতির সিরামিক বা কাঠের ফাঁপা গোলক, একপ্রান্তে মাউথপিসের মতো অংশ যেটা নিতম্বগুহার মুখে চাপা থাকতো, অপরপ্রান্ত উন্মুক্ত যেখানটা দিয়ে শব্দ ও ঘ্রাণ বেরিয়ে যেতো 'প্রক্রিয়াজাত' হয়ে। প্রক্রিয়াজাত বলতে— বিকট শব্দটি বেরুতো পথপরিক্রমার ফলস্বরূপ দুর্বল-ধ্বনি হয়ে, এবং দুর্গন্ধ বেরুতো সুঘ্রাণ হয়ে, কারণ গোলকটির ভিতরে রাখা হতো সুঘ্রাণযুক্ত ভেষজ লতাপাতা।

মিশর ও রোমের বাইরে প্রাল্লো জনপ্রিয় হতে পারেনি, ফলে একসময় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো বস্তুটি। কিন্তু ১৬-শতকের দিকে এসে, এটি ভ্যানভেরা নাম নিয়ে ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় হতে শুরু করলো ভেনিসের সম্ভ্রান্তশ্রেণিতে। ২-ধরণের ভ্যানভেরা ছিল ভেনিসেঃ

একটির নাম— ভ্যানভেরা দা পাসেজ্জিয়ো, যেটা তৈরি হতো লেদার দিয়ে। এটি বহনযোগ্য ভ্যানভেরা। এর একপ্রান্ত নিতম্বদেশের সাথে আরামসে আটকে থাকতো, এবং এটায় একটি নাতিদীর্ঘ টিউব লাগানো ছিল যেটির শেষপ্রান্তে একটি ব্লাডার যুক্ত ছিল পাদবায়ু সংরক্ষিত হওয়ার জন্য। ব্লাডারটায় একটি ছোট্ট ছিদ্র থাকতো, ছিদ্রটিকে খোলা-বাঁধার জন্য ছিল একটি সুতা। সুতায় টান দিয়ে ছিদ্রটি উন্মুক্ত করে পাদটুকু দূরে গিয়ে ফেলে আসা হতো সুযোগ এলেই। এই ভ্যানভেরা স্কার্ট বা প্যান্টের ভিতরে পরা হতো, থিয়েটার বা সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে যাওয়ার সময়।

দ্বিতীয় বায়ুত্যাগী-মেশিনটার নাম ছিল— ভ্যানভেরা দা অ্যালকোভা। অ্যালকোভার টিউবটি ছিল লম্বা এবং এর প্রান্তে ব্লাডার থাকতো না। এটি ঘরে ব্যবহার করা হতো, বহনযোগ্য ছিল না। দীর্ঘ টিউবটির শেষপ্রান্ত জানালা দিয়ে বাইরের দিকে বের করে রাখা হতো ঘ্রাণ চলে যাওয়ার জন্য। এই ভার্সনটি প্রধানত পুরুষেরা ব্যবহার করতেন, বিয়ের প্রথম রাতে টেনশনে-অস্থিরতায় পেদেটেদে দেওয়ার পরে অস্বস্তিকর ঘ্রাণ-শব্দ এড়িয়ে চলার জন্য।

২০-শতকের শুরুর দিক থেকে ভ্যানভেরার ব্যবহার কমে গেলো, সম্ভ্রান্ত-শ্রেণির পোশাকের ধরণ পাল্টে যাওয়ার ফলস্বরূপ; এবং পারফিউমের উন্নতির ফলে। কিন্তু, পাদ-শিল্পের মোহময়তাকে আমরা ছেড়ে থাকতে পারলাম কই!

Najmul ( পেইজটি লাইক বা ফলো করে পাশে থাকুন। গল্প, কবিতা আর ইতিহাস বিষয়ক পোস্ট দিতে উৎসাহিত করুন)

তথ্যসূত্রঃ উইয়ার্ড, স্ট্রেঞ্জ, এণ্ড ইন্টারেস্টিং থিংস।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক যুদ্ধবিমান সাহারা মরুভূমিতে ভেঙে পড়ে। পাইলট প্রাণে বেঁচে যায়, কিন্তু চারদিকে শুধু ধু-ধু বালি...
17/05/2025

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক যুদ্ধবিমান সাহারা মরুভূমিতে ভেঙে পড়ে। পাইলট প্রাণে বেঁচে যায়, কিন্তু চারদিকে শুধু ধু-ধু বালির সমুদ্র আর ঝলসানো রোদ। খাবার নেই, পানি নেই — কেবল এক বোতল পানি আর কিছু শুকনো বিস্কুট।

তিনদিনের মাথায় তার পানি ফুরিয়ে যায়। প্রচণ্ড রোদ, পানির অভাব আর একাকীত্বের ভারে সে প্রায় মৃত্যুর মুখে। ঠিক তখনই মনে পড়ে — পাইলট হওয়ার আগে সে ছিল একজন শিল্পী। পকেটে ছিল একটি পেন্সিল আর ভাঙা একটা চশমা। মরুভূমির বালুর ওপর সে আঁকতে শুরু করে — তার পরিবার, শহর, রাস্তা আর টলমলে পানি!

জানি সে বাঁচবে না, তবু শেষ মুহূর্তগুলোতে সে তার স্মৃতি ধরে রাখতে চায়। অবাক করা বিষয়, ছবি আঁকতে আঁকতে তার তৃষ্ণা কিছুটা কমে যায়, মন শান্ত হয়ে আসে। সে ভাবল, "আমি এখনো বেঁচে আছি। স্বপ্ন দেখতে পারি মানে এখনো হার মানিনি।"

অষ্টম দিনে এক ফরাসি উদ্ধারকারী দল তাকে খুঁজে পায়। তারা দেখে — কঙ্কালসার দেহ, ফেটে যাওয়া ঠোঁট, ক্লান্ত চোখ — কিন্তু সেই পাইলট তখনো বালিতে ছবি আঁকছে, যেন কোনো মন্ত্রমুগ্ধ শিল্পী!

উদ্ধারের পরে পাইলট বলেছিল, "আমি টিকে ছিলাম, কারণ আমি বিশ্বাস হারাইনি। আমার ভাঙা চশমা আর এক টুকরো পেন্সিলও আমাকে মরুভূমিতে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।”

শিক্ষা: জীবন অনেক কিছু কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু আপনার বিশ্বাস কেড়ে নিতে পারে না। যদি আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখেন, কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না।

তোমার টাকা নেই, সমাজে তোমার কোন সন্মান নেই। তোমাকে টাকার পিছনে ছুটতেই হবে। টাকা কেই ভালোবাসতে হবে। নইলে...নিজের পরিবার, ...
17/05/2025

তোমার টাকা নেই, সমাজে তোমার কোন সন্মান নেই। তোমাকে টাকার পিছনে ছুটতেই হবে। টাকা কেই ভালোবাসতে হবে। নইলে...

নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজন, ও বন্ধু মহলে তোমার কোন মূল্য নেই। যতই তুমি সুদর্শন হও না কেন? তোমার আসল সৌন্দর্য তোমার ইনকাম। যতই তুমি উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি গলায় ঝুলিয়ে রাখো। তোমার আসল ডিগ্রি তোমার রোজগার।

যতই তুমি মহান প্রেমিক হও, টাকা না থাকলে তোমার বেলা বোস অন্যের ঘরণী। যতই তুমি গন্ধহীন ফুল হও, তোমার পকেট ভর্তি থাকলে, অনেক ভ্রমর তোমার চারদিকে ঘুরবে।

তোমার টাকাই বলে দেবে তুমি কোন আত্মীয়র বাড়িতে নিমন্ত্রণ পাবে। তোমার টাকাই ঠিক কবরে, কোন বংশের কেমন সুন্দরী তোমার জীবন সঙ্গী। তোমার টাকাই ঠিক করবে, তোমার ছেলে মেয়ে কোথায় কতটা আদর পাবে।

মৃ*ত্যুর পরে তোমার উত্তরসূরি তোমাকে কতটা গালাগালি দেবে, সেটা নির্ভর করছে তোমার জমানো টাকার পরিমানের উপর। তুমি জন্মেছ টাকা রোজগারের জন্য। পরিবারের সবার সুখ ও হাসি কেনার জন্য, তাই তোমার টাকার প্রয়োজন, অনেক অনেক টাকা।

তোমার পরিশ্রম, তোমার ঘাম, তোমার রক্তর হিসাব কেউ রাখবে না। শুধু তোমার টাকার হিসেব রাখা হবে। তোমার আবেগ, তোমার ক্ষিদে, তোমার চাহিদা কেউ বুঝবে না। বুঝবে শুধুই তোমার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স।

টাকা থাকলে তুমি সবার নজরে মহা পুরুষ, আর না থাকলে কাপুরুষ। টাকা থাকলে তোমার সব কথাই বাণী। আর না থাকলে নর্দমার পানি।

তাই তোমাকে টাকা জোগাড় করতে হবে। কারণ তুমি পুরুষ। তুমি মানুষ নও তুমি শুধুই একটা র*ক্ত মাংসে গড়া টাকা উৎপাদনের মেশিন।
বুঝলে বন্ধু এটাই বাস্তবতা।

#সংগৃহীত

||@|| নিজের পায়ে কুড়াল মারা ২টি আর্থিক স্বিদ্ধান্ত ||@||সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষের কিছু ভুল শেয়ার করছি। অনে...
16/05/2025

||@|| নিজের পায়ে কুড়াল মারা ২টি আর্থিক স্বিদ্ধান্ত ||@||
সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষের কিছু ভুল শেয়ার করছি। অনেকেই নিজের জীবনের সাথে রিলেট করতে পারবেন।
বিশেষ করে যারা নিয়মিত গ্রামের বাড়িতে যাতায়াত করেন, তারা ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
বিদেশি লেখকদের বই বা ভিডিওতে এসব জিনিস পাবেন না। 😊
A. ভুল স্বিদ্ধান্ত ১: পারিবারিক জমিতে বাড়ি করা
জমিটা বাবার/ মায়ের/ দাদার নামে। কিন্তু কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি করলেন আপনি।
কোন লাভ নাই। জমির মত বাড়িটাও ভাগ হবে।
কারণ জমির দলিল থাকে, বিল্ডিং এর কোন দলিল নাই।
বাড়ি করার খরচ যে আপনি দিছেন, তার কোন ডকুমেন্ট নাই। বেশি ক্যাঁচাল করলে বলবে, "যা তোর বাড়ি তুই ইট খুলে নিয়ে যা"।
- জরুরী প্রয়োজনে টাকার দরকার হলে, বাড়ি বেঁচতে পারবেন না।
- কপাল খারাপ হলে, ভাই-বোনেরা সবাই এক হয়ে আপনাকে বাড়ি থেকে বের করেও দিতে পারে।
--> ভুল স্বিদ্ধান্তের কারণ:
হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন সমান হয়না, তেমনি সব ভাই-বোনের আর্থিক অবস্থাও সমান হয়না। যার টাকা বেশি, তার উপর প্রেশার আসে।
অনেক সময় সমাজে নিজেদের অবস্থান দেখানোর জন্য মানুষ প্রয়োজন না থাকলেও বাড়ি বানায়।
অনেক সময় বাবা-মা (বিশেষ করে মা) স্বচ্ছল সন্তানের উপর প্রেশার ক্রিয়েট করেন যাতে সে নিজের টাকা খরচ করে পারিবারিক জমিতে বাড়ি বানায় এবং সেই বাড়িতে সব সন্তান একসাথে থাকতে করতে পারে।
--> সমাধান কি?
যাদের আনলিমিটেড টাকা আছে, তাদের সমাধানের দরকার নাই। বাড়ি করেন। কিছু মানুষের উপকার হোক।
যাদের লিমিটেড টাকা, তারা জমিটা নিজের নামে করে নিয়ে বাড়ি বানানোর চিন্তা করতে পারেন।
(যদিও আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাড়ি করার পেছনে মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করার পক্ষপাতি না। কারণ বিনিয়োগের অনুপাতে রিটার্ন খুব কম পাওয়া যায়। গ্রামের বাড়িতে হলে তো কোন রিটার্নই পাওয়া যায়না)
পারিবারিক জমিতে বাড়ি যদি করতেই হয়, তবে সবার কাছ থেকে সমান টাকা নিয়ে বাড়ি করেন। এতে যদি টিনশেড বাড়ি করতে হয়, তাই করেন।
B. ভুল স্বিদ্ধান্ত ২: ভাইবোন বা ঘনিষ্ঠ আত্নীয়কে বিপুল পরিমাণ টাকা ধার দেওয়া
আবার সেই আগের কথা। হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান হয়না।
যার টাকা বেশি থাকে, তার কাছে প্রত্যাশাও বেশি থাকে।
বিভিন্ন কারণে মানুষ ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্নীয়-স্বজনকে বিশাল অংকের টাকা ধার দিয়ে থাকে।
- ব্যবসার মূলধন যোগান দেয়া
- বিদেশ যাওয়ার খরচ
- সরকারি চাকরির জন্য ঘুষ
বিপুল পরিমাণ টাকা ধার দিয়ে, আশা থাকে একসময় টাকা ফেরত দিবে।
ফেরত যদি না-ও দেয়, অন্তত: কৃতজ্ঞ থাকবে।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় টাকাও ফেরত দেয়না এবং কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেনা। উল্টো শত্রুতা করে।
--> সমাধান কি?
যা দিবেন, ফি সাবিলিল্লাহ দিয়ে দেন। এমন অংকের টাকা দিবেন যাতে খুব বেশি গায়ে না লাগে।
দেয়ার সময়ই বলে দিতে পারেন, "দিতে পারলে দিবি, না দিতে পারলে নাই"।
মনেও শান্তি থাকবে, সম্পর্কও ঠিক থাকবে।

বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা।নিউমার্কেট থেকে ছবি বাঁধাই করে ফিরছি বাসায়। পথে শুকনা লম্বা ফর্সামতন একটি ছেলে বাসে উঠল। তার পিঠে...
16/05/2025

বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা।
নিউমার্কেট থেকে ছবি বাঁধাই করে ফিরছি বাসায়। পথে শুকনা লম্বা ফর্সামতন একটি ছেলে বাসে উঠল। তার পিঠে স্কুল ব্যাগ। পরনে পাঞ্জাবি আর ফুলপ্যান্ট। একটু পর দেখলাম ভালো মানের কিছু টুথব্রাশ বের করল ব্যাগথেকে। বাসে বিক্রি করতে লাগল। মনেহল গাতানুগতিক কোনো হকার সে নয়।

অনতিদূরে একটি সিট খালি পেয়ে বসেছে সে। এতো ভদ্রটাইপ হকার কখনও দেখিনি ঢাকা শহরে। সুযোগ পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম পড়ালেখা করে কি না। ছেলেটি বলল, জি ক্লাশ টেনে পড়ি।

- তো তুমি ফেরি করছো যে?

- আসলে আমার আব্বু স্কুল টিচার। বেসরকারি স্কুল। টিউশানিও বন্ধ, বেতনও বন্ধ। বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচার ইনকামের সামর্থ্য নেই আব্বুর। শিক্ষক মানুষ অন্য কিছু করতেও লজ্জার ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি পথে নেমেছি।

- এটা তোমার স্কুলব্যাগ?

- জি।

- কত থাকে দৈনিক?

- তা প্রায় ৬শ টাকার মত থাকে।

এরই মধ্যে আরেকটি স্টপেজ চলে এলে ছেলেটি নেমেগেল। আমি পিতৃত্বের চোখ দিয়ে চেয়ে রইলাম যতদূর দেখাযায়।

এখান থেকে শিক্ষা: আমরা অনেক সময় হকারদের অবজ্ঞার চোখে দেখি। কিন্তু এই ঘটনা দেখায়, একজন হকারও হতে পারে শিক্ষার্থী, ভদ্র, এবং দায়িত্ববান। বাইরের পোশাক নয়, মানুষের মূল্য মাপা উচিত তার মন ও আচরণ দিয়ে।

সারাংশে শিক্ষা:
সম্মানের সাথে পরিশ্রম করা লজ্জার নয় বরং গর্বের। পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব নেওয়া সাহসের কাজ। এবং সমাজ হিসেবে আমাদের উচিত এমন সংগ্রামী মানুষদের পাশে দাঁড়ানো।💗

~সংগৃহীত।

যেখানে টয়লেট আপনার ল্যাপটপের চেয়েও স্মার্ট !আপনি যদি কখনও জাপানে ভ্রমণ করে থাকেন, তাহলে হয়তো একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা আপন...
12/05/2025

যেখানে টয়লেট আপনার ল্যাপটপের চেয়েও স্মার্ট !আপনি যদি কখনও জাপানে ভ্রমণ করে থাকেন, তাহলে হয়তো একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা আপনাকে চমকে দিয়েছে—টয়লেট। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। জাপানে টয়লেট শুধু প্রয়োজন মেটানোর জায়গা নয়, বরং একটি প্রযুক্তিনির্ভর আরামদায়ক অভিজ্ঞতার কেন্দ্রবিন্দু। অনেকেই মজা করে বলেন, “Japan, where the toilets are more high-tech than my laptop!”—মানে, জাপানের টয়লেট এমন প্রযুক্তিতে ভরপুর, যা অনেকের ল্যাপটপেও নেই

টেকনোলোজি আর কমফোর্টের অদ্ভুত মিশেল:

জাপানের আধুনিক টয়লেটগুলোকে সাধারণত বলা হয় “ওয়াশলেট” (Washlet) বা “বিডেট ফাংশন টয়লেট”। এগুলো তৈরি করে টোটো (TOTO), ইনাক্স (INAX) সহ আরও কিছু নামী কোম্পানি। নিচে জাপানি টয়লেটের কিছু আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:

১. অটো ফ্লাশ ও সেন্সর সিস্টেম:

অনেক টয়লেটে সেন্সর থাকে যা আপনার ওঠা-নামার ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাশ করে দেয়। কোনো বাটন চাপার দরকার নেই।

২. বিডেট ও ওয়াটার স্প্রে ফিচার:

পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদা আলাদা স্প্রে অপশন থাকে। পানি গরম-ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা থাকে, এবং স্প্রের গতি বা দিকও আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

৩. গরম আসন (Heated seat):

শীতে ঠান্ডা টয়লেট সিটে বসা এক ভোগান্তি। কিন্তু জাপানি টয়লেটে সিট হিটিং ব্যবস্থা থাকে যা আরামদায়ক ও আরামদায়ক।

৪. সাউন্ড মিউট ও ‘ফ্লাশ সাউন্ড’ বাটন:

অনেক টয়লেটে “sound princess” নামে একটি ফিচার থাকে, যা ফ্লাশের মতো শব্দ তৈরি করে, যাতে ব্যবহারকারী লজ্জা না পান।

৫. ডিওডোরাইজার ও বায়ু বিশুদ্ধিকরণ:

অটোমেটিক ফ্যান ও ফিল্টার দিয়ে দুর্গন্ধ দূর করার ব্যবস্থা থাকে, যা পরিবেশ রাখে পরিচ্ছন্ন ও সতেজ।

৬. অটোমেটিক ঢাকনা (Lid) খোলা-বন্ধ:

কিছু প্রিমিয়াম মডেলে আপনি কাছে এলেই ঢাকনা খুলে যায় এবং চলে গেলে বন্ধ হয়ে যায়।

৭. রিমোট কন্ট্রোল প্যানেল:

সব ফিচার নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি রিমোট বা বাটন প্যানেল থাকে, যেখানে জাপানি ও ইংরেজি ভাষার অপশনও থাকে।

কেন এই টয়লেট এত জনপ্রিয় ?

জাপানি সংস্কৃতিতে পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই টয়লেটের মতো একটি ব্যক্তিগত ও গোপন স্থানেও তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ পরিষ্কার ও আরাম নিশ্চিত করে। এছাড়া, অনেক জাপানি বয়স্ক ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধীদের জন্য এসব টয়লেট জীবনকে সহজ করে তোলে।

জাপানি টয়লেট শুধুই বিলাসিতা নয়—এটি পরিচ্ছন্নতা, সম্মান ও প্রযুক্তির মানবিক ব্যবহারের এক অনন্য উদাহরণ।

সংগৃহীত এবং পরিমার্জিত অন্তর্জাল

প্রিয় কোনো মানুষের সাথে সাক্ষাতের সময় আমরা কীভাবে যাই? নিশ্চয় নিজেকে খুব গুছিয়ে তারপর আমরা প্রিয়জনের সামনে উপস্থিত হই৷ স...
10/05/2025

প্রিয় কোনো মানুষের সাথে সাক্ষাতের সময় আমরা কীভাবে যাই? নিশ্চয় নিজেকে খুব গুছিয়ে তারপর আমরা প্রিয়জনের সামনে উপস্থিত হই৷ সুন্দর জামাকাপড়, চকচকে জুতো, খুব পরিপাটি করে মাথার চুল আঁচড়ানো, গায়ে প্রিয় সুগন্ধী।

আমরা চাই আমাদের উপস্থিতি যেন সেই প্রিয়জনকে মুগ্ধ করে। তিনি যেন অনুভব করেন যে—তিনি আমার কাছে ‘বিশেষ’ কেউ বলেই আমি আলাদা সাজে, আলাদা আয়োজনে তার সামনে এসেছি। তিনি যেন বুঝতে পারেন—তাকে আমি কতোখানি কদর করি, তার উপস্থিতি, তার সংস্পর্শ আর সংস্রব আমার কাছে কতোখানি দামি!

যদি এমন হয়, আমাদের সেই প্রিয়জন যদি খুব গণ্যমান্য কেউ হোন, যার ডাকে হেলে পড়ে জনতার স্রোত, যার কথায় মুগ্ধ আর মাতোয়ারা হয়ে থাকে শ্রোতার মন, তার সামনে যেতে হলে আমরা কীভাবে যাব?

যদি এমন হয়, সেই প্রিয়জন বা প্রিয়মুখ যদি হয় খুব ক্ষমতাধর, চোখের পলকে যিনি ঘটাতে পারেন অবিশ্বাস্য সব রদবদল, যার আঙুলের ইশারায় দেশ কিংবা মহাদেশে পড়ে যায় শোরগোল, তার সামনে দণ্ডায়মান হতে হলে আমাদের বেশভূষা কেমন হবে?

চলুন, এবার চিত্রটাকে একটু ভিন্নভাবে ভাবি।

দুনিয়ার সমস্ত প্রিয়জন, প্রিয়মুখ, গণ্যমান্য আর ক্ষমতাধরের তুলনায়, বিশ্ব জাহানের অধিপতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কি অধিকতর প্রিয়মুখ, প্রিয়জন, গণ্যমান্য আর ক্ষমতাধর নন? দুনিয়ার সমস্ত রাজা আর বাদশাহ, সমস্ত ক্ষমতাবান আর দাপটওয়ালা, সমস্ত মহামানব আর মহা-কুতুবের কারও সাথে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার শান আর মর্যাদার একবিন্দু কণারও কি তুলনা করা যাবে?

তাহলে দেখুন, দুনিয়ার প্রিয়জন আর প্রিয়মুখ, গণ্যমান্য, আর কুতুবদের সামনে যেতে হলে আমরা যে পরিমাণ সাজগোছ করি, দুনিয়ার একজন ক্ষমতাধরের পাশে ঘেঁষার জন্য আমরা নিজেকে যেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে সাজাই, সেই সজ্জা, সেই সাজবার রুচি কোথায় হারায় যখন আমরা প্রতিদিন পাঁচবার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার সামনে দাঁড়াতে যাই?

মসজিদগুলোতে দেখবেন, অনেক মানুষ এমন কাপড়চোপড় পরেও মসজিদে আসে যেটা পরে মহল্লার বাইরে যেতে বলা হলে তিনি লজ্জায় পড়ে যাবেন। অনেকসময় মুখের দুর্গন্ধে পাশের মানুষটার সালাত আদায় করাই কঠিন হয়ে পড়ে।

না, আমি এটা বলছি না যে মসজিদে খুব ভিআইপি সাজসজ্জায় আসতে হবে। কিন্তু, আমরা এটা কেন ভুলে যাই যে—আমরা যার সামনে দাঁড়াতে যাচ্ছি তিনি বিশ্ব জাহানের অধিপতি। তিনি রাজাদের রাজা, বাদশাহদের বাদশাহ। সমস্ত আসমান আর যমিনের তিনিই একচ্ছত্র অধিপতি। দুনিয়ার একজন ঠুনকো নেতার পাশেও নির্দিষ্ট ড্রেস-কোড ছাড়া অনেকসময় দাঁড়ানো যায় না, সেখানে বিশ্ব জাহানের অধিপতির সামনে দাঁড়াতে এলে, একটু পরিপাটি করে আসা, একটু সুন্দর প্রস্তুতি, পরিচ্ছন্ন পোশাক আর সার্বিক পরিচ্ছন্নতার দিকে একটু যদি আমরা খেয়াল না দিতে পারি, তাহলে কীভাবে আমরা এটা দাবি করব যে—আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলাকে আমরা ‘প্রিয়’ হিশেবে গ্রহণ করেছি?

এখনকার বাচ্চারা জানেই না আগে আমাদের কী কী কারণে পেটানো হতো - 🙂১. মাইর খাবার পরে কাঁদলে। ২. মাইর খাবার পর না কাঁদলে। ৩. ন...
29/04/2025

এখনকার বাচ্চারা জানেই না আগে আমাদের কী কী কারণে পেটানো হতো - 🙂

১. মাইর খাবার পরে কাঁদলে।
২. মাইর খাবার পর না কাঁদলে।
৩. না-মারা সত্ত্বেও কান্নাকাটি করলে।
৪. খেলা নিয়ে বেশি মেতে থাকলে।
৫. খেলতে গিয়ে মাইর খেয়ে আসলে বা কাউকে মারার নালিশ আসলে।
৬. বড়দের আড্ডায় ঢুকলে।
৭. বড়দের কথার উত্তর না-দিলে।
৮. বড়দের কথায় ত্যাড়া উত্তর দিলে।
৯. অনেকদিন মাইর না-খেয়ে থাকলে।
১০. কেউ উপদেশ দেওয়ার সময় গুনগুন করে গান করলে।
১১. বাড়িতে অতিথি এলে বা কারও বাড়ি গিয়ে সালাম না করলে।
১২. অতিথি এলে তাকে খাবারের প্লেট দিতে যাওয়ার সময় প্লেট থেকে খাবার মুখে দিয়ে ধরা পড়লে।
১৩. অতিথিরা খাওয়ার সময় খাবারের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকলে।
১৪. অতিথি বাড়ি চলে যাওয়ার সময় তার সাথে যাওয়ার বায়না ধরলে।
১৫. খেতে না-চাইলে।
১৬. সন্ধ্যা নামার আগে বাড়ি না-ফিরলে।
১৭. প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে খেয়ে চলে এলে।
১৮. জেদ দেখালে।
১৯. কারও সাথে মারামারি করে হেরে এলে।
২০. কাউকে বেশ করে পিটিয়ে এলে।
২১. স্লো মোশনে খেলে।
২২. ফাস্ট ফরোয়ার্ড স্কেলে খেলে।
২৩. সকালে ঘুম থেকে উঠতে না চাইলে।
২৪. রাতে ঘুমোতে না-চাইলে।
২৫. শীতকালে গোসল করতে না চাইলে।
২৬. গ্রীষ্মকালে বেশিক্ষন গোসল করলে।
২৭. অন্যের গাছ থেকে আম, পেয়ারা পেড়ে খেলে।
২৮. স্কুলে টিচারদের কাছে মার খেয়েছি খবর পেলে।
২৯. জোরে উচ্চারণ করে না পড়ে চুপচাপ বসে পড়ার ভান ধরলে বা বিড়বিড় করে পড়লে।
৩০. পড়ার বইয়ের মধ্যে গল্পের বই রেখে পড়ছি ধরা পড়ে গেলে।
৩১. পরীক্ষার আগে টিভি দেখলে।
৩২. দুধ খেতে না চাইলে।
৩৩. আচার চুরি করে খেলে।
৩৪. উষ্ঠা খেয়ে পড়ে গেলে উঠিয়ে আবার মারা হতো।
৩৫. কারও বাসায় বেড়াতে গিয়ে নিজের বাসা মনে করে লন্ডভন্ড করলে।
৩৬. স্কুলের সামনের কোনো দোকান থেকে বাকিতে কিছু খেলে বা খেলনা কিনলে।
৩৭. দুপুরে না ঘুমালে।
৩৮. পাশের বাসার কেউ পরীক্ষায় বেশি নাম্বার পাইলে।
৩৯. খাতার পৃষ্ঠা নষ্ট করলে।
৪০. বই দাগাদাগি করলে।
৪১. শোকেস থেকে নতুন প্লেট, গ্লাস বের করলে।
৪২. পুকুরে ডুবাইতে ডুবাইতে চোখ লাল করে ফেললে।

আল্লাহ তা'আলা যাকে অপছন্দ করেন তাকেও অঢেল ধন সম্পদ দান করেন। আর যাকে পছন্দ করেন তাকে দান করেন হিকমাহ।যাকে হিকমাহ দান করা...
25/04/2025

আল্লাহ তা'আলা যাকে অপছন্দ করেন তাকেও অঢেল ধন সম্পদ দান করেন। আর যাকে পছন্দ করেন তাকে দান করেন হিকমাহ।

যাকে হিকমাহ দান করা হয় তার ভিতরে থাকে সাকিনা। আরবি সাকিনা শব্দের অর্থ শান্ত, প্রশান্ত, ধীর, স্থির।

টেবিল ভর্তি খাবার অথচ প্রত্যেকটা খাবারে আপনি দোষ খুঁজে পাচ্ছেন, পেট ভরে খেতে পারছেন না। কেননা আপনাকে সম্পদ দান করা হয়েছে, হিকমাহ দেয়া হয়নি যে কারণে আপনার ভিতর সাকিনা নেই।

আপনাকে হিকমাহ দেয়া হয়েছে যে জন্যে আলু ভর্তা আর ডাল দিয়েও পরম প্রশান্তি নিয়ে পেট ভরে খেয়ে উঠে বলে উঠবেন আলহামদুলিল্লাহ।

উচ্চশিক্ষিতা সুন্দরী স্ত্রী পেয়েও আপনি তাকে নিয়ে সুখী নন, কারণ আপনাকে হিকমা দেয়া হয়নি।

টয়োটা এলিয়নে চড়েও আপনি সুখী নন, আপনার কেন পাজেরো নাই? এর কারণ আপনার মাঝে হিকমাহ নাই, সাকিনা উঠে গেছে। আপনি আপনার অবস্থানে সুখী নন।

আরবি হিকমা শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা। যাকে আল্লাহ তা'আলা হিকমা দান করেন সে সর্ব অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকে, শান্তিতে থাকে। এর অর্থ নিজেকে মানিয়ে চলা এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকা।

রিজিক শব্দের অর্থ অনেক ব্যাপক।
■▪রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।
■▪রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।
■▪রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং
■▪রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।

■■ রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি।

■■ আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নির্দিষ্ট।

■■ আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না এবং একটিও বেশি না।

■■ ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্‌ তা'আলা নিয়েছেন।

■■ কিন্তু, আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার।

■■ যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!

■■ আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে তখনই নির্ধারিত হয়েছে যে, সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি বা কিনেনি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিযিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না! রিযিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।

■■ রিযিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!

■■ কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিযিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ তা'ইলা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!

■■ কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিযিকের ভাগই খাচ্ছেন।

■■ আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি, সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্‌ তা'আলার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি। কেননা,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
-------"দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।"
-----(সুরা হুদ : আয়াত ৬)

■■ আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ
-------"যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিযিক দেবেন, যা সে ধারণাও করতে পারবে না।"
-----(সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)

■▪মহান আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদের সঠিক পথ এবং হালাল ও প্রশস্ত কামাই রোজগার ও রিযিক এর ব্যবস্থা করে দিন এবং সকল প্রকার হারাম কামাই রোজগার ও রিযিক থেকে হিফাযত করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, এবং হিফাযত করুন(আমীন)

Address

Satkhira
1000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Country Tour posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share