মধুটিলা ইকোপার্ক_Modhutila Ecopark

মধুটিলা ইকোপার্ক_Modhutila Ecopark Modhutila Ecopark ( মধুটিলা ইকোপার্ক) , Nalitabari , Sherpur, Dhaka , Bangladesh.
(303)

ভ্রমণ পিয়াসীদের পদভারে মুখরিত মধুটিলা ইকোপার্ক


শেরপুর জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র নালিতাবাড়ী উপজেলায় স্থাপিত ‘মধুটিলা ইকোপার্ক এবারের শীত মৌসুমে ভ্রমনপিয়াসীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সীমান্তবর্তী এই পার্কের চারপাশে উচু-নিচু পাহাড়ীটিলা আর সবুজের সমারোহ দেখতে ইকোপার্কটিতে এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থী ও ভ্রমনপিয়াসীরা ভীড় জমাচ্ছেন।

নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমি

টার উত্তরে পোড়াগাঁও ইউনিয়নে ময়মনসিংহ বন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় মধুটিলা ফরেষ্ট রেঞ্জের সমেশ্চুড়া বন বীটের আওতায় ৩৮০ একর বনভূমিতে গারো পাহাড়ের মনোরম পরিবেশে সরকারীভাবে ২০০০ সালে নির্মিত হয় ‘মধুটিলা ইকোর্পাক’ তথা পিকনিক স্পট। স্থাপনকাল থেকেই শীত মৌসুমে এ পার্কে পর্যটকরা ভীড় জমিয়ে আসছেন।

এই পার্কটির প্রধান ফটক পেড়িয়ে ভেতরে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়বে সারি সারি গাছ। রাসতার ডান পাশে খোলা প্রানতর আর দু-পাশে রকমারি পণ্যের দোকান। সামনের ক্যান্টিন পার হলেই পাহাড়ী ঢালু রাসতা। এর পরই হাতি, হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, কুমির, ক্যাঙ্গারু, মৎস্য কন্যা, মাছ ও পাখির ভাষ্কর্য । পাশের আঁকাবাঁকা পথে ঘন গাছের সারি লেকের দিকে চলে গেছে। তারপর ষ্টার ব্রিজ পেরিয়ে পাহাড়ের চুড়ায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে আরোহণ করলেই নজর কেড়ে নেয় ভারতের উঁচু নিচু পাহাড় আর সবুজের সমারোহ। প্রকৃতির এই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন ভ্রমন পিয়াসীরা।

কর্তৃপক্ষ জানায়; ইকোপার্কে ঢুকতে জনপ্রতি পাঁচ টাকায় টিকেট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে আলাদা আলাদা ফি দিয়ে প্যাডেল বোট চালানো, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠা, শিশু পার্কে প্রবেশের সুযোগও রয়েছে। শুধু দিনের বেলায় ব্যবহারের জন্য ভ্যাটসহ চার হাজার ৭০২ টাকার বিনিময়ে পাহাড়ের চূড়ায় চার কক্ষ বিশিষ্ট শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) সুসজ্জিত মহুয়া নামের রেষ্ট হাউজ। এ রেষ্ট হাউজ ব্যবহার করতে চাইলে মধুটিলা রেঞ্জঅফিস, ময়মনসিংহ অথবা শেরপুর বন বিভাগ অফিসে বুকিং দিতে হয়।
এ ছাড়াও এখানে রয়েছে ডিসপ্লে মডেল, তথ্য কেন্দ্র, গাড়ী পার্কিং জোন, ক্যান্টিন, মিনি চিড়িয়াখানা, বন্য প্রাণীর বিরল প্রজাতি পশু-পাখির ভাষ্কর্য। আরো আছে ঔষধি ও সৌন্দর্য বর্ধক প্রজাতির বৃক্ষ এবং ফুলসহ বিভিন্ন রঙের গোলাপের বাগান।

সরকার প্রতি বছর এ পার্ক থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করলেও পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কোন প্রকার অর্থ ব্যয় করছে না। তিনানি টেংরা খালী থেকে নন্নী বাজার হয়ে পার্ক পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশসতকরণ, ১টি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনসহ পার্কটি পরিচ্ছন্ন ও নিরাপওা কর্মী রাখা জরুরী হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইকোপার্কটি জীববৈচিত্র ও বিভিন্ন প্রাণীর সমাহার ঘটিয়ে যেভাবে সাজানোর কথা ছিল এখনও তার কিছুই হয়নি। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির অভাবে সম্ভাবনাময় ইকোপার্কটির সম্ভাবনা মস্নান হতে বসেছে। ভ্রমণ পিপাসু মানুষ প্রকৃতির অপার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের টানে বারবার এ পার্কে ছুটে আসে। বিনোদন ও পাহাড়ী এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য পার্কটি বিশাল ভূমিকা রেখেছে। সম্ভাবনাময় এ পার্কটির প্রতি নজর দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মধুটিলা রেঞ্জকর্মকর্তা জিল্লুর রহমান আকন্দ বলেন, বিশাল এ পার্কটির নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে রয়েছে মাত্র ১ জন ফরেষ্টার, ২ জন গার্ড ও ২ জন মালি। রেষ্ট হাউজ থেকে দিন প্রতি সাড়ে ৪ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হলেও এর পরিচ্ছন্নতার জন্য কোন বরাদ্দ নেই।

ইকোপার্কটি সীমানতবর্তী হওয়ায় এখান থেকে ভারতের দুরত্ব ১ কিলোমিটার। যুগ যুগ ধরে সীমানতবর্তী এ পাহাড়ে গারো আদিবাসীরা বসবাস করে আসছেন। এখান থেকে খুব সহজে আদিবাসী গারোদের জীবনধারা ও সংস্কৃতি খুব কাছে থেকে দেখারও সুযোগ রয়েছে।

রাজধানী ঢাকা থেকে মধুটিলা ইকোপার্কের দুরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। ঢাকা বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুর আসতে হবে। শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজার পর্যনত লোকাল বাস সার্ভিস রয়েছে। এ ছাড়াও শেরপুর থেকে ভাড়ায় সিএনজি অথবা মটরসাইকেলযোগে মধুটিলা ইকোপার্কে আসা যায়। অথবা নিজস্ব গাড়ীতে সরাসরি ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুর পেঁৗছানোর আগে নকলা উপজেলা থেকে নালিতাবাড়ী সদর হয়ে ইকোপার্কে আসা সহজ হয়। সব মিলিয়ে শীত মৌসুম ছাড়াও সম্ভাবনাময় এই ইকোপার্কে প্রায় সাড়া বছরই দেশি-বিদেশি পর্যটক ও ভ্রমন পিয়াসীদের ভীড় লেগেই থাকে।

17/03/2025

বিটিভিতে বাম্পার ফলনের ভিডিও, জোস লাগছে

18/01/2025
21/10/2024

Don’t take revenge, just be successful

প্রসাশনে থাকা জয়বাংলার লোকেদের মুখ খুলতেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খেতে চাইছিলো। দুষ্ট ছাত্র-জনতা সেটা করতে দেয় নাই, তাই এখন...
07/10/2024

প্রসাশনে থাকা জয়বাংলার লোকেদের মুখ খুলতেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খেতে চাইছিলো। দুষ্ট ছাত্র-জনতা সেটা করতে দেয় নাই, তাই এখন আফসোস করছে

05/10/2024

আমরা গারো পাহাড়ের বাসিন্দা, তাই বাংলাদেশীরা আমাদের চিনেনা

দেশটা বিক্রি করলে কত টাকা পাওয়া যাবে? ভাগে কিছু পেলেও তো কিছুদিন চলতে পারতাম। এই টাকা দিয়ে পাওয়ারপ্লান্ট না করে ভারত থেক...
02/10/2024

দেশটা বিক্রি করলে কত টাকা পাওয়া যাবে? ভাগে কিছু পেলেও তো কিছুদিন চলতে পারতাম। এই টাকা দিয়ে পাওয়ারপ্লান্ট না করে ভারত থেকেই কেনো বিদ্যুৎ আনতে হলো ???

27/09/2024

এই দেশটা আর কোনদিন গণহত্যার দোসর, ভোট ডাকাত, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, ঘুষখোর এবং দুর্নীতিবাজদের জন্য নিরাপদ না হোক ✊

ঋণ করে সন্দেশ খেয়েছিল ওরা,,,,,একটা মেসের সদস্য সংখ্যা ৩০ । শৃঙ্খলার স্বার্থে একজনকে ম্যানেজার বানানো হবে, বানানো হবে বলল...
26/09/2024

ঋণ করে সন্দেশ খেয়েছিল ওরা,,,,,
একটা মেসের সদস্য সংখ্যা ৩০ । শৃঙ্খলার স্বার্থে একজনকে ম্যানেজার বানানো হবে, বানানো হবে বললে আসলে ভুল হবে উনি নিজেই ম্যানেজারের পদ সিস্টেমে দখল নিলেন । পদটা তো আর মাগনা না, বেতন আছে,আলাদা রুম আছে, সাথে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ।
মাসে মাসে সবাই যে টাকা পয়সা দেয়,সেই অনুপাতে বাজার সদাই করা হয়,ইন্টারনেট বিল,বিদ্যুৎ বিল,
বাবুর্চি বিল প্রভৃতি দেয়া হয়। ওমা কিছু দিন পর দেখি ম্যানেজার বলা শুরু করছে,আমি তোমাদের খাওয়াই, দাওয়াই। বেশী তেরি বেরি করলে খাওন বন্ধ করে দিবো, বিদ্যুৎ, পানি বন্ধ করে দিবো। যাই হোক শেষ মেশ বিক্ষুব্ধ মেসের সদস্যদের দৌড়ানি খেয়ে ম্যানেজার হোস্টেল ছেড়েই পালালো।
সবাই মিলে শলাপরামর্শ করে নতুন একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিলেন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক হোস্টেলের সদস্যদের জন্য বাজার করতে গিয়ে দেখে, দোকানদারের কাছে আগের ম্যানেজারের লাখ লাখ টাকা বাকী। তারা নতুন করে সদাই দিবেন না। পরদিন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন আসলো হোস্টেলে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার জন্য। বিদ্যুতের লোকজন জানালো, আগের বিল সব বকেয়া। সেসব শোধ না করলে বিদ্যুৎ মিলবে না৷
হোস্টেলের সদস্যরা এখন খেয়ে না খেয়ে আধা পেটে অন্ধকার জীবন যাপন করছেন। ওদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার থেকে সাবেক সুদানি ম্যানেজারের চ্যালা, চামুণ্ডা,চাটার গুষ্টি এই বলে,হুঁক্কা হুয়ো ডাক তুলছে
"আগেই ভালো ছিলাম,বলছিলাম না,উনার কোনও বিকল্প নাই"
(কালেক্টেড)

এরে কেউ আবেগে পিডায়া মেরে ফেলে না কেন ??
19/09/2024

এরে কেউ আবেগে পিডায়া মেরে ফেলে না কেন ??

ঢাবির হ-ত্যার অভিযুক্তকারী বললেন 'আবেগের বশে পিটাইছি | Students |...

আন্দোলনে সাড়া দিয়েছিলাম তারমানে এই না যে প্রতিবারই তোমাকে লিডার ভেবে বসে থাকবো। স্বৈরাচার থেকে মুক্তির জন্য আম-জনতা তোমা...
15/09/2024

আন্দোলনে সাড়া দিয়েছিলাম তারমানে এই না যে প্রতিবারই তোমাকে লিডার ভেবে বসে থাকবো। স্বৈরাচার থেকে মুক্তির জন্য আম-জনতা তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছিলো, সরকার পতনের পর ছাত্রদের ঘরে ফেরা উচিৎ ছিলো। একজন লিডারের জন্ম হুট করে হয়না। তাদের আন্দোলন যৌক্তিক ছিলো। কিন্তু দলগঠন নিয়ে যে রঙ্গতামাসা শুরু হয়েছে এতে ভবিষ্যতে ছাত্রদের আন্দোলনে আম-জনতার সম্পৃক্ততা কমবে। কমবে গ্রহনযোগ্যতাও।

As sunnah Foundation এর সকল দানের সুষ্ঠ বন্টনের জন্য দক্ষ নেতৃত্ব ছিলো। কিন্তু সমন্বয়কগণের নেতৃত্ব এখনো বিকশিত হয়নি। অভিজ্ঞতাও বড় একটা ফ্যাক্ট।
টিএসসিতে দেয়া টাকা বন্যার্তদের জন্য ব্যবহার না হলে দাতাদের আস্থার জায়গাটা আর রইলো কোথায় ???

07/09/2024

আর যাই হোক “আমার সোনার বাংলা” দিয়ে কোন বিপ্লব সম্ভব না

05/09/2024

আগে শুনতাম শিবির হিপনোটাইজ করে, বাস্তবে দেখলাম আওয়ামীলীগই এই কাজ করে

আবার মানুষ সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা ভুলে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে কিছু মানুষ অপরাধকারীকে অপরাধি আর ...
31/08/2024

আবার মানুষ সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা ভুলে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে কিছু মানুষ অপরাধকারীকে অপরাধি আর স্বৈরাচারকে স্বৈরাচার বলতে পেরেছে। কিন্তু ইদানিং দেখছি সুশীলদের আবেগ যত্রতত্র উপচে পড়ছে।

👉 অপরাধ যে করে সে অপরাধীই, তার অন্য কোন ব্যাখ্যা দরকার নাই।
👉 অবৈধ কাজ অবৈধই, এটাতেও ধর্মকর্ম মিলানোর দরকার নাই।

অপরাধী তার অপরাধের শাস্তি পাবে এটাই স্বাভাবিক, কারো অতীত না জেনে শুধু লাফাচ্ছেন কেনো? সে এতদিন সুখ করেছে এখন নাহয় তার অপরাধের জন্য একটু শাস্তি ভোগ করুক।

আগে ঘুষ খেয়ে ক্ষমতা দেখিয়ে দাপটে চলেছে এখন নাহয় একটু কষ্ট করুক। সুদ্ধি হোক

আপনারা যে তার দোসর ছিলেন এটা তো সবাই জানে। ছাড় পেয়ে এতো দালালী শুরু করার কি আছে ?
ভাই, সাদাকে সাদা বলার সৎসাহস রাখুন, আর কালোকে কালো।

29/08/2024

রিযিক আপনাকে সারপ্রাইজ দিবে সবসময়। আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না কিভাবে, কোথা থেকে আপনার রিযিক চলে এসেছে। আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী

25/08/2024

এই মুহুর্তে আনছারলীগ দমনের সময় এসেছে

Address

Poragao Union, Nalitabari
Sherpur
2110

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মধুটিলা ইকোপার্ক_Modhutila Ecopark posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share