01/06/2025
ভুটান ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয়তা----
🛂 ভিসা ও পারমিট
বাংলাদেশি নাগরিকদের ভুটানে প্রবেশের জন্য পূর্বে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে, ভুটানে প্রবেশের সময় পারমিট নিতে হবে, যা অনলাইনে বা প্রবেশ পয়েন্টে (যেমন পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) গ্রহণ করা যায়। পারমিট গ্রহণের সময় নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে:
কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদসহ বৈধ পাসপোর্ট
২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
হোটেল বুকিং কনফার্মেশন
ইমিগ্রেশন ফর্ম (যা অনলাইনে পূরণ করা যায়) ( যেহেতু প্যাকেজ, আমরা সব ধরনের সাপোর্ট দিবো ইনশা আল্লাহ)
ভুটানের সরকার ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে টেকসই উন্নয়ন ফি (Sustainable Development Fee - SDF) প্রবর্তন করেছে, যা প্রতিদিন প্রতি প্রাপ্তবয়স্কের জন্য ১০০ মার্কিন ডলার। এই ফি অনলাইনে পারমিট আবেদন করার সময় পরিশোধ করতে হয়। ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য এই ফি প্রযোজ্য নয়।
✈️ যাতায়াত ব্যবস্থা-----
বিমানপথে
ভুটানের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলো পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায়, কলকাতা বা দিল্লি হয়ে পারো যাওয়া যায়। ড্রুকএয়ার এবং ভুটান এয়ারলাইনস এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
সড়কপথে------
বাংলাদেশ থেকে সড়কপথে ভুটানে যাওয়ার জন্য প্রথমে ভারতের শিলিগুড়ি বা জয়গাঁও পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে ভুটানের ফুয়েন্টশোলিং সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা যায়। সড়কপথে ভ্রমণের সময় ভারতের ট্রানজিট ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।
📅 ভ্রমণের সেরা সময়
ভুটান ভ্রমণের জন্য মার্চ থেকে মে (বসন্ত) এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর (শরৎ) মাসগুলো সবচেয়ে উপযুক্ত। এই সময়ে আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যেমন থিম্পু ও পারোর তেশু উৎসব।
🏞️ দর্শনীয় স্থানসমূহ
টাইগারস নেস্ট (পারো তাখসাং): পারোর পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ মঠ।
থিম্পু: ভুটানের রাজধানী, যেখানে জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ, তাশিচো জং এবং বিশাল বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে।
পুনাখা জং: ভুটানের অন্যতম সুন্দর দুর্গ, যা মো চু ও ফো চু নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত।
ফোবজিখা উপত্যকা: শীতকালে কালো গলাযুক্ত সারস পাখির আবাসস্থল এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি উপত্যকা।
ভাবুন কবে যাবেন, হতে পারে আপনার পরিবার সহ, হতে পারে আপনি একা একা প্রকৃতি উপভোগ করবেন। সিদ্ধান্ত আপনার। আর আমরা আছি আপনাদের স্বপ্ন পূরনের জন্য।