Jaflong, Sylhet, Bangladesh

Jaflong, Sylhet, Bangladesh Jaflong, Sylhet, Bangladesh
(1198)

জাফলং:

বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে মারি নদীর পাশে অবস্থিত সিলেটের এ দর্শনীয় স্থানটি। হিমালয় থেকে উৎপত্তি এই মারি নদী এখানে স্বেচ্ছায় পাথর বহন করে নিয়ে এসে যেন নিজের দায় মেটায়!

জাফলংকে সিলেটের একটি অবিচ্ছেদ অংশ বললে ভুল করবেন না। এর রুপে মুগ্ধ না হয়ে যাবার সামান্যতম কারণ নেই। জাফলং এর জলের কলকলানি যেন নুপূরের আওয়াজের মতোই দোলা দেয় মনে। সিলেট থেকে প্রায় ৬০ কি.মি. দূরে অবস্থিত জাফলং। শহর থেকে বাস

ে যেতে প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগে। আদিবাসী খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকের বাস এ অঞ্চলে। বিকেলে পাথরের গায়ে সূর্যের ঝলমলতা সঙ্গে চা বাগানের সবুজ রং আপনাকে অবসাদ থেকে মুক্তি দিবেই। তাই জাফলং এ একটি ঢুঁ মেরে আসা যাক!

07/04/2025

একটা জীবন বুঝলেন তো!
একটাই জীবন!

একদিন সকাল বেলা জানালাটা খুলে দেখবেন বয়স হয়ে গেছে! ব্যাস! বেলা ফুরালো!

দুদিন আগে দেখা মেহগনি চারাটা, কবে বৃক্ষ হয়ে বৃদ্ধ হয়ে এসেছে! তাকে কা ট তে লোক এসেছে বাড়িতে!

পাড়ার বড় আপুদের বান্ধবীদের দল, বিয়ে করে কোথায় কোথায় চলে গেলো সবাই!
সারা বেলা কাশতো যে বৃ দ্ধ লোকটা!
তাকে সবাই মিলে কাঁধে করে নিয়ে গেলো, গোরস্থান!

সদ্য গোফ ছাটা লাজুক ছেলেটা, ঘর ছাড়লো, পাড়া ছাড়লো, ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে আর ফিরলোই না কোনদিন!

বাবার হাতের দিকে তাকিয়ে একদিন চমকে উঠলেন!
এত বয়সের ছাপ! এত কুঞ্চিত চামড়ার দল! কবে জমলো এসব!

এই যেন সেদিন, রাগী মানুষটা অফিস থেকে ফিরবে বলে সারা বেলা কিচ কিচ করে শব্দ করে ঘুরে বেড়ানো সিলিং ফ্যানটা পর্যন্ত চুপ করে যেত!

কি জাদুবলে,
কি বাতাসে,
কি অদ্ভুত মায়ায়

এভাবেই নরোম মোমের মতন গলে যায় দিন!

একটাই জীবন বুঝলেন! তার আর ফিরে আসা নেই। নেই দ্বিতীয় যাপন! নেই আর কোন সুযোগ!

দয়া করে বাচুন!
ঘুরুন।

বন্ধু হোক।

দার্জিলিং এর মেঘে বসুন এক সন্ধ্যায়! কাঞ্চন জঙ্ঘায় রাখুন চোখ!
একটা নরোম কাথা গায়ে জড়ান!

সমুদ্রের ঢেউ আর একফোটা আলোর মুখোমুখি হয়ে জানুন এক অলৌকিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন আপনি!

হৃদয় প্রসারি, ক্ষুদ্র দুঃখ সব তুচ্ছ করাই যায়!

09/02/2025
বাংলাদেশের জাফলং: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্যটকদের আকর্ষণজাফলং কেন বিখ্যাত এবং কেন এটি ঘুরতে যেতে হবে......................
27/10/2024

বাংলাদেশের জাফলং: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্যটকদের আকর্ষণ
জাফলং কেন বিখ্যাত এবং কেন এটি ঘুরতে যেতে হবে............................................
জাফলং, বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত এই স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাথরের সারি এবং পাহাড়ের মধ্যে বয়ে চলা নদীর জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এই স্থানটিতে প্রতিবছর হাজারো পর্যটক ভিড় করে, যারা প্রকৃতির এক অনন্য অভিজ্ঞতা নিতে চান। এখানে নদী, সবুজ বনানী এবং পাথর ভাঙার কাজ পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করে।.........................
জাফলং এর ভৌগোলিক অবস্থান ও ইতিহাস
জাফলং বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত এবং খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের কাছাকাছি। জাফলং-এর ইতিহাসটি পুরনো, এবং এটি স্থানীয়দের জীবনযাত্রা, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ অঞ্চলে খাসিয়া উপজাতিরা বসবাস করে, যারা তাদের নিজস্ব জীবনধারা ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করে চলেছে। জাফলং-এর মেঘালয় পাহাড়ের ঝর্ণাগুলি বাংলাদেশে নেমে আসায় এটি আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠেছে।.......................
কেন জাফলং পর্যটকদের জন্য একটি আদর্শ স্থান
১. নদী ও পাথরের ভাস্কর্য: পিয়াইন নদী জাফলং-এর মূল আকর্ষণ। বর্ষার সময় এই নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠে এবং একটি অপরূপ দৃশ্য তৈরি করে। এছাড়া নদীর পাথরের সারি একটি প্রাকৃতিক শিল্পকর্মের মতো দেখা যায়।.........................
২. সবুজ বনানী ও পাহাড়ের অপার সৌন্দর্য: জাফলং-এর পাহাড়, সবুজ গাছপালা এবং ঝর্ণা মনকে প্রশান্ত করে এবং পর্যটকদের মনোরম অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এই স্থানটি অনেকের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে।.........................
৩. পাথর সংগ্রহ ও খনিজ সম্পদের পরিচিতি: জাফলং অঞ্চলে পাথর সংগ্রহ খুব পরিচিত এবং এটাই জাফলং-এর অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। এখানে স্থানীয় লোকেরা পাথর সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন, যা পর্যটকদের কাছে স্থানীয় সংস্কৃতি ও অর্থনীতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরে।.........................
জাফলং ভ্রমণে প্রস্তুতি
জাফলং ভ্রমণে গেলে পর্যটকদের মনে রাখা উচিত কিছু বিষয়। প্রথমত, সিলেট শহর থেকে জাফলং-এর দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার, তাই সময়ের যথাযথ পরিকল্পনা করে যাত্রা শুরু করা উচিত। সড়ক পথে যাত্রা করতে চাইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যবহার করা যায়। এছাড়া প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি সঙ্গে রাখা উচিত, কারণ পাহাড়ি এলাকা এবং সীমিত বাজার থাকায় কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।.........................
জাফলং ভ্রমণের পজিটিভ
১. ইতিবাচক প্রভাব: পর্যটন শিল্প জাফলং-এর স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে এবং স্থানীয় মানুষজন তাদের পণ্য পর্যটকদের কাছে বিক্রি করতে পারছে।.........................
২. নেতিবাচক প্রভাব: অতিরিক্ত পর্যটন এবং অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। নদীর পানি দূষণ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হ্রাস পাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পর্যটন আকর্ষণে হ্রাস ঘটাতে পারে।.........................
জাফলং-এর ভবিষ্যত প্রভাব এবং গুরুত্ব
বর্তমানে জাফলং বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত। ভবিষ্যতে এই স্থানের পর্যটন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। তবে, সঠিক নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে এটি দেশের পর্যটন শিল্পে একটি বড় অবদান রাখতে পারবে।.........................
বাস্তব জীবনের প্রয়োগ: একটি অভিজ্ঞতা
জাফলং-এর নদী তীরের পাথর সংগ্রহের দৃশ্য দেখে মনে হলো, এটি প্রকৃতির প্রতি মানুষের নির্ভরতা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ কিভাবে জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি দেখিয়ে দেয় যে, আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারলে আমরা ভবিষ্যতের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারবো না।.........................
কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
১. জাফলং কোথায় অবস্থিত?
সিলেট বিভাগের গোয়াইনঘাট উপজেলায়, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে।.........................
২. জাফলং-এর আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য কী?
প্রাকৃতিক পাথর, পিয়াইন নদী এবং সবুজ বনানী, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।.........................
৩. জাফলং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।.........................
৪. জাফলং-এর পরিবেশগত সমস্যা কী?
অতিরিক্ত পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এবং নদীর দূষণ ঘটছে।.........................
৫. জাফলং-এ কিভাবে যাওয়া যায়?
ঢাকা থেকে সিলেট, এরপর সড়ক পথে জাফলং যাত্রা করা যায়।.........................
জাফলং-এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন সম্ভাবনা বাংলাদেশে একটি বড় সম্পদ। পর্যটন কেন্দ্রটি যেমন দেশের পর্যটন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তেমনি পরিবেশের ওপর চাপও সৃষ্টি করছে। জাফলং-এর প্রাকৃতিক সম্পদকে সংরক্ষণ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা করলে এটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আরও জনপ্রিয়তা লাভ করবে।

বাংলাদেশের জাফলং সম্পর্কে এবং এখানে ভ্রমণ করা সম্পর্কে বিস্তারিত --------------জাফলং বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের একটি জনপ্র...
28/09/2024

বাংলাদেশের জাফলং সম্পর্কে এবং এখানে ভ্রমণ করা সম্পর্কে বিস্তারিত
--------------
জাফলং বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যা সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এটি বিশেষভাবে বিখ্যাত এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাথর সংগ্রহের জন্য। জাফলং মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে অবস্থিত এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এখানে পাহাড়ি দৃশ্য এবং ঝর্ণা দেখতে পাওয়া যায়।

জাফলংয়ের আকর্ষণীয় স্থানসমূহ:
পিয়াইন নদী:
জাফলংয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল পিয়াইন নদী। এ নদীর পানি স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার, যার তলদেশে পাথর দেখা যায়। নদীর তীরে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
পাথর সংগ্রহকারী গ্রাম:
জাফলংয়ে পাথর সংগ্রহ একটি স্থানীয় পেশা। এখানে প্রচুর মানুষ পাথর সংগ্রহ করেন, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হয়।
ঝর্ণা:
জাফলংয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণাগুলো বিশেষ আকর্ষণ। বর্ষাকালে ঝর্ণার জলপ্রবাহ বেশি থাকে, যা ভ্রমণকারীদের মনোমুগ্ধ করে।
চা বাগান:
সিলেটের অনেক স্থানের মতো জাফলংয়ের আশেপাশেও চা বাগান রয়েছে। এখানে সবুজ চা বাগানের শোভা এবং পাহাড়ি পথ আপনার মনকে প্রশান্তি দেবে।
জাফলং ভ্রমণের জন্য কিছু পরামর্শ:
-------------------
ভ্রমণের সময়:
শীতকালে জাফলং ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়, কারণ তখন আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং ঝর্ণার পানি পরিষ্কার থাকে। বর্ষাকালেও জাফলং সুন্দর, তবে এ সময় পাহাড়ি ঢলে রাস্তার অবস্থার অবনতি হতে পারে।
যাতায়াত:
সিলেট শহর থেকে বাস, মাইক্রোবাস, বা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে জাফলং পৌঁছানো যায়। যাত্রা করতে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা সময় লাগে।
আবাসন ও খাওয়া:
জাফলংয়ে কিছু ছোটো-মাঝারি হোটেল রয়েছে। সিলেট শহরে থাকতে পারেন এবং সেখান থেকে দিনের ভ্রমণ করতে পারেন। স্থানীয় খাবার দোকানে ভাত, মাছ এবং অন্যান্য দেশীয় খাবার পাওয়া যায়।
বিশেষ সতর্কতা:
যেহেতু এটি একটি সীমান্তবর্তী এলাকা, তাই ভারতীয় সীমান্তের খুব কাছে না যাওয়া ভালো। ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।
জাফলং প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য, যেখানে পাহাড়, ঝর্ণা, নদী, এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সংমিশ্রণ আপনাকে মুগ্ধ করবে।

02/09/2024

আমি এই ফেসবুক পেজটি বিক্রি করে দিতে চাই, কেউ নিতে চাইলে যোগাযোগ করুন

15/06/2024

Jaflong

06/06/2024

Jaflong

21/05/2024

সিলেটের দশটি দর্শনীয় স্থান
জাফলং, রাতারগুল
হাকালুকি হাওর ও তামাবিল
বিছনাকান্দি
মণিপুরী রাজবাড়ি ও মিউজিয়াম
ভোলাগঞ্জ
লালাখাল
কীন ব্রিজ
হাসনরাজার মিউজিয়াম
মালনীছড়া চা-বাগান
এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দর
ড্রিমল্যান্ড পার্ক
আলী আমজাদের ঘড়ি

কী কী খাওয়া যায় ?
সাতকড়ার আচার
কমলালেবু
পাঁলেয়ার চা

কী কী এক্সপ্লোর করতে পারেন?
নাজিমগড় রিসোর্টে নৌবিহার, ক্যাম্পিং ও বনভোজন
মালনীছড়ার চা-বাগান ও কমলালেবুর বাগান
চৈতন্যদেবের মন্দিরের বারুণী ও রথযাত্রা
ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমায় মেলা
বালাগঞ্জের মোরগ লড়াই প্রতিযোগিতা

21/05/2024

মাত্র ২০০০ টাকায় বিমান ভ্রমন।বাসের ভাড়ায় বিমান

21/05/2024

জাফলং ট্রাভেল গাইড
By Author / March 18, 2023
বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের অন্যতম টুরিস্ট স্পট হলো জাফলং। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ জাফলং দেখার জন্য ভ্রমন করে থাকে। আজকের পোস্টে আমরা চেষ্টা করবো আপনি কিভাবে জাফলং যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি খাবেন, খরচ কত ইত্যাদি তথ্য তুলে ধরতে।

পোস্টের বিষয়বস্তুঃ

জাফলং এর পরিচয়
কেন যাবেন জাফলং
ঢাকা থেকে জাফলং ভ্রমন
চট্টগ্রাম থেকে জাফলং কিভাবে যাবেন
হোটেল এবং কটেজ
খাবার এবং যাতায়াত এর গাড়ির ব্যবস্থা
নিরাপত্তা এবং সতর্কতা
ভ্রমন করতে পছন্দ করে কিন্তু জাফলং এর নাম শুনেনি এমন মানুষ বাংলাদেশে তেমন কমই পাওয়া যাবে। সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে গোহাইনঘাট উপজেলাতে জাফলং অবস্থিত। এর এক পাশে আছে ভারতের সীমান্ত। এক সময় এই জাফলং বনভূমি হিসাবে পতিত পড়ে ছিলো। কিন্তু পাথর ব্যবসায়ীরা পাথরের জন্য এখানে আসতে থাকায় ধিরে ধিরে মানুষের সমাগম হতে থাকে। ৮০ এর দশকে বাংলাদেশ সরকার সিলেট থেকে জাফলং এর ৫৫ কিলোমিটার যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে উঠার পর থেকে জাফলং এ মানুষের ভিড়ও বাড়তে থাকে।

জাফলং কেন যাবেন?
মজার প্রশ্ন কিন্তু দরকারিও বটে। কেননা বাংলাদেশে অনেক গুলো টুরিস্ট স্পট আছে তাহলে সেসব স্পটের মধ্যে জাফলং কেন এগিয়ে থাকবে?
বাংলাদেশের সেইন্ট মারটিন এবং কক্সবাজার অন্যতম টুরিস্ট স্পট এতে কোন সন্দেহ নাই। তবে সাগরের সৌন্দর্য কি পাহাড় নদী ঝর্না আর পাথরের সৌন্দর্য দেখার স্বাদ মিটাতে পারবে?
জাফলং এর সৌন্দর্য হলো এর সচ্ছল পানি যা বাংলাদেশে সচরাচর তেমন দেখা যায় না। সাথে আছে পাহাড় ঝর্না, পাথর।

ঢাকা থেকে জাফলং কিভাবে যাবে?
বাসঃ ঢাকা থেকে প্রতিদিনই সিলেটের উদ্দেশ্যে গাবতলী, সায়েদাবাদ বাস স্টেশন থেকে বাস ছেড়ে যায়। হানিফ পরিবহন, এনা, গ্রিন লাইন অন্যতম। এসি এবং নন এসি ভেদে বাসের ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে। এসি বাসের ভাড়া ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং নন এসি বাসের ভাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। ( এখন যেহেতু হুট হাট তেল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই সিট ভাড়াও পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে)বাসে যেতে কতক্ষন লাগে? নরমাল হিসাবে ৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে পৌঁছে যাওয়ার কথা।

ট্রেনঃ কালনী, পারাবত, উপবন এক্সপ্রেসে করে ঢাকা থেকে সিলেট যেতে পারবেন। ট্রেনেও যেতে প্রায় ৭/৮ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। কোন শ্রেনিতে যাবেন তার উপর ভিত্তি করে সিটের দাম কম নির্ধারিত হয়। ৩২০ থেকে ১১০০ টাকার মধ্যে সিট পাবেন।

train ticket book
ট্রেনের টিকিট বুক করুনঃ GooFly24.com

বিমানঃ দ্রুত এবং সহজে ভ্রমন করতে আকাশ পথে ভ্রমন করতে পারেন। ঢাকা বিমান বন্দর থেকে সিলেটের বিমান বন্দর পৌছে যাবেন দ্রুত। ইউ এস বাংলা, নভো এয়ার অন্যতম।একোনমি নাকি বিজনেস ক্লাস তার উপর ভিত্তি করে ভাড়া সাড়ে ৩হাজার থেকে দশ হাজারের মধ্যে।

বিমানের টিকিট বুক করার জন্য আমাদের GooFly24.com পেজে এসএমএস দিতে পারেন। আমরা বিমান টিকিট সেবা দিয়ে থাকি।

চট্টগ্রাম থেকে সিলেটঃ
চট্টগ্রামের বাস স্টেশন থেকে সৌদিয়া, গ্রিন লাইন, লন্ডন এক্সপ্রেস ইত্যাদি পরিবহন সিলেট রুটে সার্ভিস দিয়ে থাকে। এসি ভাড়া ১২০০ থেকে ১৫০০ এবং নন এসির ভাড়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার কাছা কাছি থাকে।
ট্রেনে যেতে চাইলে পাহাড়িকা কিংবা উদয়ন এক্সপ্রেসে করে যেতে পারবেন।
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে বিমানে করে যেতে চাইলে একটু সমস্যা, কেননা তখন আপনাকে ঢাকা হয়ে ঘুরে সিলেট যেতে হবে!

যেখান থেকেই যান যেভাবেই যান, সিলেটে পৌছিয়ে আপনাকে যেতে হবে ৬০/৬২ কিলোমিটার দূরের জাফলং।
মাইক্রোবাস ভাড়া করতে পারেন কিংবা লেগুনা, CNG এগুলো ভাড়া করেও যেতে পারবেন। আর লোকাল যেতে চাইলে লোকাল বাসের ভাড়া ৭০ টাকা। কদমতলি থেকে এসব বাস ছেড়ে যায়।

যদি মাইক্রো/ সি এন জি রিজার্ভ করতে চান তাহলে এগুলো পাবেন বন্দরবাজার শিশু পার্কের সামনে এগুলো পেয়ে যাবেন।যাওয়া আসা এবং সারাদিনের জন্য সিএনজি ভাড়া ১৫০০ টাকার মধ্যে পাবেন আশা করি। মাইক্রো ভাড়া আরো বেশি। যদি আপনাদের গ্রুপে বেশি সদস্য হয়ে থাকে তাহলে রিজার্ভ করেই যাওয়া ভালো হবে আশা করি।

থাকবেন কোথায়? হোটেল/ কটেজ
আমরা সিলেটের কিছু হোটেল এর তালিকা দিচ্ছি। আপনারা আপনাদের সুবিধামত হোটেল বেছে নিয়েন।

১। হোটেল নুর জাহান গ্র্যান্ড
এটি সিলেটের দরগাহ গেটে অবস্থিত। সিলেটের অন্যতম আধুনিক একটু হোটেল হলো নুর জাহান গ্র্যান্ড হোটেল। Address: Waves 1, Ritz Tower, Dargah Gate, Sylhet, Bangladesh
Tel: +8801930 111 666
E-mail: [email protected]

সুবিধা সমূহঃ

ফ্রি ওয়াইফাই
আধুনিক বাথরুম
ডাবল বেড/ সিঙ্গেল বেড/ ফ্যামিলি রুম / এক্সিকিউটিভ রুম
ফ্লাট স্ক্রিন টিভি ইত্যাদি
২। Hotel Metro International
২০ ডলার সিঙ্গেল বেডের রুম থেকে শুরু করে ১৫০ ডলার এর মেট্রো রুম পাবেন।তাদের ঠিকানা এবং যোগাযোগ নাম্বারঃ
Dhupadighir par (South),
East bandar bazar, Sylhet, Bangladesh

Phone: 821 729848
Mobile: 01731 533733

৩। Nazimgarh Resorts
পাহাড়ের উপরে অবস্থিত নাজিমগড় রিসোর্ট সত্যিই অসাধারন । চারিদিকে পাহাড়, চা বাগান, পুল, ইত্যাদির সমন্বয়ে ৬ একর ভুমি নিয়ে এই রিসোর্ট অবস্থিত। সুবিধাঃ

এটি পঞ্চাশটি বিলাসবহুল বিশ্বমানের ডাবল রুম এবং স্যুট সহ টেরেস, ভিলা এবং বাংলো নিয়ে গঠিত। বেশিরভাগ কক্ষে জ্যাকুজি, ব্যালকনি রয়েছে
হিলটপ স্পা কমপ্লেক্সে একটি বড় সুইমিং পুল, বাচ্চাদের পুল, আউটডোর জ্যাকুজি, স্টিম রুম, সনা এবং ম্যাসেজ সুবিধা রয়েছে।
বোর্ড মিটিং, ছোট এক্সক্লুসিভ কনফারেন্স কক্ষ
ঠিকানাঃNazimgarh Resorts
Sylhet, Bangladesh.
Tel: (+88) 01747200100, 01841001201,
01712027722
আপনারা হইতো ভাবছেন জাফলং ট্রাভেল গাইডে সিলেটের হোটেল রিসোর্ট দিচ্ছি কেনো? আসলে জাফলং ঘুরতে গেলেও ট্রাভেলাররা সিলেটে ফিরে আসে। এর জন্য একাধিক কারন আছে, যেমন জাফলং এর চেয়ে সিলেটে হোটেল বেশি, তাছাড়া সিলেট থেকে অন্যান্য টুরিস্ট স্পটে যাওয়া তুলনামুলক ভাবে সহজ।

জাফলং ভ্রমনের কিছু টিপস
যেহেতু এটি সীমান্তবর্তী এলাকা তাই সতর্ক ভাবে ঘুরাঘুরি করা উত্তম।
অযথা বিজিবি কিংবা বিএসএফ এর সাথে কথা বলতে যাবেন না যদি না প্রয়োজন না হয়।
যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না
গাড়ি রিজার্ভ করার আগে কোথায় কোথায় ঘুরবেন কতক্ষন গাড়ি রাখবেন মোট ভাড়া কত টাকা ইত্যাদি ডিটেলস জেনে নিবেন। হুট করে উঠে পড়বেন না
সরকারি হোটেলে রুম ভাড়া করতে চাইলে আগে থেকেই বুক করা লাগে এজন্য সেখানে যাওয়ার আগেই কনফার্ম করে নিবেন
গ্রুপ করে গেলে / ক্যাম্প করলে এলাকাবাসির সাথে ভালো ব্যবহার করবেন। আগ বাড়িয়ে কারো সাথে কোন ঝামেলায় যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এলাকার কোন উটকো ব্যক্তি ঝামেলা করতে আসলে ঠাণ্ডা ভাবে ম্যানেজ করবেন। গ্রুপ করে গেলে রক্ত গরম ভাব থাকে অনেকের, এটা পরিহার করে চলতে চেষ্টা করবেন।
গাড়িতে গান বাজনা না বাজানোই ভালো। আপনি একটু খেয়াল করলে দেখবেন যেসব গাড়িতে মাইকে গান বাজে সেসব পিকনিক গাড়ি গুলো দুর্ঘটনার স্বীকার হয় বেশি।
কিছু সময়ের আনন্দের জন্য নিজের জীবন দেওয়া কোন বুদ্ধিমানের কাজ না।
শেষ কথাঃ জাফলং শুধু সিলেট না সমগ্র বাংলাদেশের অন্যতম একটু টুরিস্ট স্পট। আমরা সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে ময়লা ফেলে এসে সেই স্থানের ১২টা বাজিয়ে না দিয়ে বরং চেষ্টা করবো আরো সুন্দর করতে। কোথাও ময়লা চিপসের প্যাকেট এসব দেখলে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে চেষ্টা করবো।

আমাদের দেশ আমাদেরকেই সুন্দর করতে হবে। অন্য কেউ এসে করে দিবে না। ভ্রমনের গাড়ি নিয়ে অন্য গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে প্রান হারানোর ঘটনা এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করা উচিৎ। যে এলাকাতে যাবেন সেই এলাকার মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

Address

Sylhet

Telephone

+8801711133548

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jaflong, Sylhet, Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jaflong, Sylhet, Bangladesh:

Share

Category