12/14/2024
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এখন আতংকের নাম। যারা প্রথমবার বিদেশ যাচ্ছেন তাদের কাছে মূর্তিমান আতংক এখন বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন। এর পিছনে আসলে কারন হইল "ব্যাড ইন্টেনশন"।
এখন ৯০% বাংলাদেশীদের মেইন লক্ষ্য-
১: যেভাবেই হউক বিদেশ যেতে হবে। সেইটা হউক ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা ইভেন সেন্ট্রাল এশিয়া, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া অথবা ভিয়েতনাম। আরেক সুগার কান্ট্রি হচ্ছে নেপাল। যেভাবেই হউক বিদেশ যাওয়ার ধান্দা থেকে এই টুরিস্ট দেশ গুলা আজকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখলেই সাইড করে।
২: টুরিস্ট এর নামে লাগেজ পার্টি। কিছু কিছু টুরিস্টদের দেখবেন মাসে ২/৩ বার দেশের বাইরে যায় গ্রুপ নিয়ে। যাওয়ার সময় উনি ৪/৫ জনের ভিসা করে নিয়ে যাবে। আসার সময় লাগেজ এলাউন্স অনুযায়ী একটা করে লাগেজ ধরিয়ে দিবে। সাধারন পাবলিক নাও করতে পারবে না কারন ওইযে ভিসা করে দিয়ে সাথে নিয়া নিছে।
৩: কিছু রিয়েল টুরিস্ট আছে যারা এক একটা নতুন ডেস্টিনেশনে যাবে। আর বিভিন্ন মজাদার তথ্য শেয়ার করবে। এইখানে টোপ হচ্ছে টুরিস্ট টু ওয়ার্ক, বিজনেস টু ওয়ার্ক। এই টোপ গিলে আজকে অনেক লোক উজবেকিস্তান, কিরগিস্থান আর কাজাকিস্তানে চলে গেছে। কাজাকে কিছু কাজ পেলেও কিরগিস্থানে খুব খারাপ অবস্থায় আছে বিশেষ করে যারা এগ্রিকালচার ভিসায় গেছে। কিরগিস্থান মার্কেট মোটামুটি ক্লোস। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে কিরগিস্থানে মেডিকেল লাইনে লেখাপড়া খুব জনপ্রিয় ও সস্তা ছিল। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া থেকে অনেক স্টুডেন্ট গেছিল। এখন ওইটার বেহাল দশা।
৪: ট্রাভেল হিস্ট্রি বাড়ানোর জন্য আমাদের কি করা উচিৎ। আসলে এখন এইখানে সাজেশন দেওয়া টাফ। কারন হিস্ট্রি বাড়ানোর জন্য আমরা আগে প্রথমেই ইন্ডিয়া দিয়ে শুরু করতাম। এখন ইন্ডিয়া অফ থাকার কারনে নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা দিয়ে শুরু করতে গিয়ে ডিপোর্ট বিরম্ভনায় পরতে হচ্ছে। এর কারন,মালদ্বীপে যে পরিমান বাংলাদেশী আছে তার মধ্য বিশাল একটা অংশ ইল্লিগাল। নেপাল গিয়ে কিছু লোকাল লোকের সাহায্যে নেপালীজ পাসপোর্ট বানিয়ে ইউরোপের ভিসা লাগানোর চেস্টা করতেছে। যার কারনে এখন নেপাল বাংলাদেশীদের জন্য কড়াকড়ি ইমিগ্রেশন সিস্টেম ইম্পিলিমেন্ট করেছে। মালদ্বীপ আগে নমনীয় থাকলেও এখন কড়া ইমিগ্রেশন করে এন্ট্রি পারমিট দিচ্ছে।
৫: কানাডা গনহারে রিফিউস করতেছে। যাদের ভিসা দেওয়ার কথা তাদেরকেও ডিপোর্ট করতেছে। ইভেন ক্যান+ ও রিজেক্ট করতেছে। কারন আমাদের নেচার খারাপ এইটা বুজে গেছে। প্রথমে ফেইক ডকুমেন্টস, পরে ফেইক ইনভাইটেশন এনে ১৩/১৪ লাখ টাকায় ভিসা করে। তাদের প্রথম টার্গেট হইল কানাডা এসাইলাম ক্লেইম করা, অথবা আমেরিকা যাওয়া।
৬: ইউরোপ নিয়ে কিছু নতুন করে লিখলাম না।