11/09/2024
নুলাওস্তা বিষয়ে ইতালি এ্যাম্বাসির
সর্বশেষ বিবৃতি (বাংলায় অনূদিত)
প্রথম অংশ (First Part):
ঢাকার ইতালির দূতাবাসের পক্ষ থেকে শাহাবুদ্দিন পার্ক, গুলশান ২-এ শতাধিক কর্মভিসার আবেদনকারী জড়ো হয়েছিল যারা তাদের আবেদনগুলোর দ্রুত উত্তরের দাবি জানিয়েছিল। বিক্ষোভটি শান্তিপূর্ণ ছিল। কিছু প্রতিনিধি দূতাবাসের উপপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের কিছু দাবি উপস্থাপন করেন।
সাক্ষাতের সময়, দূতাবাস কর্মভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় বিলম্বের জন্য আইনি, প্রযুক্তিগত এবং সরবরাহ সংক্রান্ত ব্যাখ্যা প্রদান করে। আবেদনকারীদের কোনো মধ্যস্থতাকারী বা দালালের ওপর নির্ভর না করার জন্য সতর্ক করা হয়, কারণ এরা প্রক্রিয়ার বিলম্বের প্রধান কারণ।
আবেদনকারীদের জাল বা ভুয়া কাগজপত্র না দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়। জালিয়াতি এবং ভুয়া কাগজপত্র বা বিবৃতি প্রদান একটি গুরুতর অপরাধ, যা ইতালীয় ও বাংলাদেশি আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য। ইতালির দূতাবাস এই অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সাথে তদন্ত করছে।
দূতাবাস আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা আবেদন প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রোমের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। আবেদনকারীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে একবার তারা আবেদন জমা দিলে তাদের “নুলা ওস্তা” (অনুমোদন নথি) মেয়াদোত্তীর্ণ হবে না।
সাক্ষাতে দূতাবাস আরও ব্যাখ্যা করে যে, ভিএফএস গ্লোবালই একমাত্র অনুমোদিত সংস্থা, যার কাজ হল আবেদন গ্রহণ করা এবং পাসপোর্ট সংগ্রহ ও ফেরত দেওয়া।
দ্বিতীয় অংশ (Second Part):
ঢাকা এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে ভিএফএস গ্লোবাল কঠোরভাবে ইতালির দূতাবাসের নির্দেশে কাজ করে। তারা ভিসার অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান, সময় নির্ধারণ বা আবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। আবেদন পেশ করার পর সমস্ত নিয়ন্ত্রণ এবং যাচাইকরণ দূতাবাসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, কোনো প্রকার ভিএফএস গ্লোবালের সম্পৃক্ততা ছাড়াই।
সাক্ষাতের সময়, দূতাবাস স্মরণ করিয়ে দেয় যে ইতালীয় নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারীরা যেকোনো সময় তাদের পাসপোর্ট তুলে নিতে পারেন যদি তারা আবেদনটি বাতিল করেন। ২০২৪ সালের মে মাসের পরে জমা দেওয়া আবেদনগুলোর ক্ষেত্রে, পাসপোর্ট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়; এটি প্রয়োজনে পরে জমা দেওয়া যেতে পারে।
দূতাবাস উল্লেখ করেছে যে, ভিসার অনুমোদন শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের অধীনে থাকে এবং ভিসা প্রক্রিয়ার সব নিয়ম ইতালীয় আইনের অধীনে পরিচালিত হয়।
২০২৩ সালে দূতাবাস প্রায় ৪০,০০০ ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া করেছে এবং ২০২৪ সালে একই পরিমাণ আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি সম্প্রদায় ইতালিতে অবস্থান করে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ইউরো পাঠাচ্ছে।
অন্যদিকে, কয়েক হাজার অবৈধ বাংলাদেশি প্রতি মাসে ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। ইতালি এবং ইইউ অবৈধ অভিবাসন এবং মানব পাচার বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেষ অংশ (Last Part):
ইতালির দূতাবাস বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অংশীদারিত্বে সক্রিয়ভাবে অনিয়মিত অভিবাসন প্রবাহ রোধ এবং বৈধ অভিবাসনের পথ উন্মুক্ত করতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যা অভিবাসন এবং চলাচল সংক্রান্ত ইস্যুগুলিতে সহযোগিতা আরও উন্নত করার উদ্দেশ্যে, যা আমরা শীঘ্রই চূড়ান্ত করার আশা করি।
ইতালি দূতাবাস,
বাংলাদেশ
ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪