29/06/2024
জার্মানে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ:স্বপ্ন পূরণের নবদিগন্ত
------------------------------------------------------
শুধুমাত্র ভাষা শিখেই বিনা খরচে জার্মানে কারিগরি শিক্ষায় আসা যায়।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জনবল ঘাটতি থাকায় দক্ষ কারিগরের অভাব পূরণের জন্য ২০২০ সাল থেকে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে জার্মান এসে কারিগরি শিক্ষা অর্জন ও বৈধভাবে কাজ করার অনুমোদন পাশ হয়।
বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের মাঝে তাই আউসবিল্ডুং খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।জার্মানের মত একটি শিল্পোন্নত স্বপ্নের দেশ শুধুমাত্র মেধা দিয়ে জয় করা যায়, এমন সুযোগ কাজে লাগাতে মেধাবী ও পরিশ্রমী তরুণদের তাই প্রথম টার্গেট আউসবিল্ডুং।
একটা বিষয় পরিস্কার করতে চাই,আউসবিল্ডুং বেচেলার,মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন নয়।স্রেফ
ভকেশনাল ট্রেনিং, যা অর্জন করে খুব ভাল বেতন অর্থাৎ প্রায় ২৫০০-৩৫০০ ইউরো পাওয়া যায়।
তিন বছর আউসবিল্ডুং চলাকালীন সময়ে প্রায় ১০০০ইউরোর মত টাকা দেবে যা দিয়ে সচ্ছলভাবে চলা যায়।এর বাইরে কেউ যদি সপ্তাহে ১০ ঘন্টার একটা মিনিজব করে তাহলে মাসে ৫৩৮ইয়োরো(প্রায় ৭০ হাজার টাকা) পাবে যা পরিবারের জন্য পাঠাতে পারবে।
বাংলাদেশ থেকে অন্তত HSC পাশ করে জার্মান ভাষায় B1/B2 করে নিজেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এপ্লাই করে আউসবিল্ডুং পেতে হয়।এজন্য কোন দালালের প্রয়োজন হয়না।প্রতিষ্ঠানে এপ্লাই করলে তারা রিপ্লাই দিবে,কথা বলবে ও নিয়োগ দিবে।প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পেলে ভিসার জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়না।
এই ভাষা শেখার জন্য কতটুকু সময় প্রয়োজন হয়?এ ধরণের একটা প্রশ্ন অনেকের।আমি বলবো অন্তত দু'বছর। মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্ররা এক/দেড় বছরে পারবে।জার্মান আসা পর্যন্ত তিন বছরের প্রচেষ্টা।
তাই এমন এক ম্যারাথন দৌড় দেওয়ার মত ইচ্ছা ও মানসিক শক্তি যাদের আছে তারাই সফলতা অর্জন করবে।
ভাষার সার্টিফিকেটের জন্য অবশ্যই গোয়েথে ইন্সটিটিউট থেকে পরীক্ষা দিতে হবে।পড়াশোনার জন্য স্বপ্রচেষ্টা, গোয়েথে ইন্সটিটিউট, গ্রুপের মেন্টর, এপ্স,ইউটিউব , গোগল ও বইপত্র সংগ্রহ করে প্রবলভাবে আত্ননিবিষ্ট হতে হয়।
-ইব্রাহীম খলিল
ফ্রাংকফুর্ট।