Spectrum Tour-Travels

Spectrum Tour-Travels We Povide Passport I Visa I Railways & Airways Tickets | Domestic & International Tour Packages Also

হাওড়া ব্রিজ: কলকাতার গর্ব ও চিহ্নহাওড়া ব্রিজ, যা বর্তমানে রবীন্দ্র সেতু নামে পরিচিত, ভারতের অন্যতম বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক ...
01/07/2025

হাওড়া ব্রিজ: কলকাতার গর্ব ও চিহ্ন

হাওড়া ব্রিজ, যা বর্তমানে রবীন্দ্র সেতু নামে পরিচিত, ভারতের অন্যতম বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক সেতু। এটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া ও কলকাতা শহরকে সংযুক্ত করেছে হুগলি নদীর উপর দিয়ে। শুধুমাত্র একটি প্রকৌশল বিস্ময় নয়, হাওড়া ব্রিজ একটি সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যা কলকাতার পরিচয় বহন করে।

ইতিহাস ও নির্মাণকাল

হাওড়া ব্রিজ নির্মাণের ভাবনা আসে ঊনবিংশ শতাব্দীতে, যখন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী এবং ব্রিটিশ উপনিবেশিক প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু। সে সময় হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে চলাচল ক্রমশ বাড়ছিল, ফলে একটি স্থায়ী সংযোগের প্রয়োজন ছিল।

প্রথম দিকে ১৮৭৪ সালে একটি ভাসমান পন্টুন সেতু নির্মিত হয়। তবে এটি স্বল্পমেয়াদী সমাধান ছিল এবং নদীর স্রোত ও নৌপরিবহনকে বারবার বিঘ্নিত করত। ফলে স্থায়ী একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গৃহীত হয়।

নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৯৩৬ সালে, এবং এটি সম্পূর্ণ হয় ১৯৪২ সালে। যদিও ব্রিজটি ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়। পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া ব্রিটিশ শাসনের অধীনে হলেও এতে ব্যবহৃত সমস্ত উপকরণ এবং শ্রম ছিল সম্পূর্ণভাবে ভারতীয়।

স্থাপত্য ও প্রকৌশল

হাওড়া ব্রিজ একটি ক্যানটিলিভার সেতু (Cantilever Bridge)। এটি এমন ধরনের সেতু যা কোনো ধরনের মধ্যবর্তী পিলার ছাড়াই দুই প্রান্ত থেকে প্রসারিত হয়ে নদী পেরিয়ে যায়। হাওড়া ব্রিজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এটি এমন একটি ক্যানটিলিভার সেতু যেখানে একটিও নাট বা বল্টু ব্যবহার করা হয়নি। সবকিছু রিভেটিং (riveting) পদ্ধতিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

মোট দৈর্ঘ্য: ৭০৫ মিটার (২,৩১৩ ফুট)

প্রস্থ: ৭১ ফুট

উচ্চতা: প্রায় ৮২ মিটার

প্রধান স্প্যান: ৪৫৭ মিটার

প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ গাড়ি ও ১৫ লক্ষ মানুষ এই ব্রিজ ব্যবহার করেন

এই ব্রিজ নির্মাণে প্রায় ২৬,৫০০ টন স্টিল ব্যবহৃত হয়েছে, যার একটি বড় অংশ ছিল টাটা স্টিল কর্তৃক সরবরাহকৃত।

সমাজ ও সংস্কৃতিতে হাওড়া ব্রিজ

হাওড়া ব্রিজ কেবলমাত্র একটি পরিবহন ব্যবস্থার অংশ নয়, এটি পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে। অসংখ্য বাংলা ও হিন্দি সিনেমায় এই ব্রিজকে দেখানো হয়েছে, যেমন:

"সীমাবদ্ধ" (সত্যজিৎ রায়)

"পরিণীতা"

"কাহানি"

"গুন্ডে"

এই ব্রিজের দৃশ্যমানতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেক পর্যটক কলকাতায় এসে প্রথমেই এই ব্রিজ দেখতে চান। হাওড়া স্টেশন থেকে নেমেই এটি চোখে পড়ে, এবং রাতের আলোয় সজ্জিত এই ব্রিজ এক অপূর্ব সৌন্দর্য প্রকাশ করে।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব

হাওড়া ব্রিজ কলকাতার অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ব্যস্ততম যানবাহন চলাচলের পথ। হাওড়া রেল স্টেশন, যেটি ভারতের অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন, ঠিক ব্রিজের পাশেই অবস্থিত। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী রেল থেকে নেমে এই ব্রিজ পার হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করেন।

পণ্য পরিবহন, ট্রাক চলাচল, বাস এবং ট্যাক্সি পরিষেবায়ও এই ব্রিজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু হাওড়া ও কলকাতা নয়, বরং পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে।

রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিক চ্যালেঞ্জ

সময়ের সাথে সাথে হাওড়া ব্রিজের উপর চাপ বেড়েছে। ভারি যান চলাচল, দূষণ, এবং প্রাকৃতিক ক্ষয়ক্ষতি ব্রিজের স্থায়িত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তাই কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট ও ভারতীয় প্রকৌশল সংস্থা নিয়মিত এর রক্ষণাবেক্ষণ করে।

আধুনিক কিছু চ্যালেঞ্জ:

স্টিলের ক্ষয় রোধ

অতিরিক্ত যানজট

অবৈধ বিজ্ঞাপন ও পোস্টার লাগানো

বায়ু ও জল দূষণ

তবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সময়ে সময়ে বড় মেরামতির কাজ করা হয়েছে। ২০০৫ সালে একটি বড় রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রিজের নিচের অংশ পরিষ্কার এবং রং করা হয়।

পর্যটন ও জনপ্রিয়তা

হাওড়া ব্রিজ এখন শুধুমাত্র একটি সেতু নয়, এটি পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু। দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক এটি দেখতে আসেন। ব্রিজটি নদীর উপর দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় নদী, নৌকা ও সিটি স্কেপের এক অপূর্ব দৃশ্য প্রদান করে।

কিছু জনপ্রিয় কার্যক্রম:

হুগলি নদীতে বোটিং

প্রাতঃভ্রমণ ও সানরাইজ দেখা

হাওড়া স্টেশনের পাশ থেকে ব্রিজের ছবি তোলা

নাম পরিবর্তন: রবীন্দ্র সেতু

১৯৬৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার হাওড়া ব্রিজের নাম পরিবর্তন করে রবীন্দ্র সেতু রাখে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। যদিও সরকারিভাবে এটি রবীন্দ্র সেতু, তবুও সাধারণ মানুষ এখনও একে “হাওড়া ব্রিজ” নামেই ডাকেন।

উপসংহার

হাওড়া ব্রিজ শুধু একটি সেতু নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি সংস্কৃতি, একটি শহরের স্পন্দন। এটি কলকাতার অচল অংশ এবং এক বিশাল সাংস্কৃতিক পরিচয়। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, উপনিবেশিক অতীত এবং আধুনিক ভারতের জীবন্ত চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই ব্রিজ। হাওড়া ব্রিজ ভবিষ্যতেও এমনভাবেই শহরের প্রতীক হয়ে থাকবে।

Photo Credit - Mihir Roy

27/06/2025

New Office Puja 27th June 2025
Jay Jagannath 🙏

27/06/2025
27/06/2025

ଜୟ ଶ୍ରୀଜଗନ୍ନାଥ ମହାପ୍ରଭୁ

ସମସ୍ତଙ୍କୁ ପବିତ୍ର ରଥଯାତ୍ରାର ଶୁଭକାମନା

25/06/2025
🌺 অম্বুবাচী মেলা কী?অম্বুবাচী মেলা হল কামাখ্যা দেবীর বা মায়ের বা ধরিত্রী শক্তির বা পৃথিবীর ঋতুকাল পালন। এই সময়ে মা কামাখ...
25/06/2025

🌺 অম্বুবাচী মেলা কী?

অম্বুবাচী মেলা হল কামাখ্যা দেবীর বা মায়ের বা ধরিত্রী শক্তির বা পৃথিবীর ঋতুকাল পালন। এই সময়ে মা কামাখ্যার "ঋতুস্রাব" হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। তিনদিন মন্দির বন্ধ থাকে কারণ মাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। এটি কামাখ্যা মন্দিরে অনুষ্ঠিত একটি শক্তি আরাধনার অন্যতম প্রধান উৎসব।

মায়ের ঋতুকাল: অম্বুবাচী হল নারীর জীবনীশক্তি ও প্রজননের প্রতীক। এই মেলা মায়ের সৃষ্টিশীল শক্তিকে সম্মান জানায়।

শক্তি পীঠ: কামাখ্যা মন্দির হল ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম। বিশ্বাস করা হয় এখানে সতীর "যোনি" পতিত হয়েছিল, তাই এই স্থান অতিশয় পূজনীয়।

📍 কোথায় হয়?

কামাখ্যা মন্দির, নিলাচল পর্বত, গুয়াহাটি, অসম – এই মন্দিরেই প্রতি বছর অম্বুবাচী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

📅 কবে হয়?

বাংলা আষাঢ় মাসের ৭ম দিনে শুরু হয়।

২০২৫ সালের জন্য মেলার সম্ভাব্য তারিখ:
২২ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত।

প্রথম ৩ দিন (২২-২৪ জুন): মন্দির বন্ধ থাকে।

৪র্থ দিন (২৫ জুন): মন্দির পুনরায় খোলে – এটি মায়ের "স্নান" দিবস, বহু ভক্ত এই দিনে দর্শন করেন।

🙏 ভক্তদের আনাগোনা

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত, তান্ত্রিক, সাধু ও সাধিকা ভারত ও বিদেশ থেকে এই মেলায় আসেন।

অনেক সাধু এই সময়ে প্রকাশ্যে আসেন, যাঁরা সারা বছর জঙ্গলে বা গুহায় সাধনায় থাকেন।

এই সময় গুয়াহাটির প্রায় সব হোটেল, ধর্মশালা পূর্ণ থাকে, তাই আগেই বুকিং করা ভালো।

🔥 আচার ও রীতিনীতি

এই সময় কামাখ্যা মন্দিরে পুজো বন্ধ থাকে – কারণ এটি মা কামাখ্যার বিশ্রামের সময়।

কোনও মূর্তি দর্শন নয়, এখানে শক্তির আরাধনা হয় রূপের নয়।

চতুর্থ দিনে ‘পুনরুজ্জীবন’ দিন হিসেবে পালিত হয়।

🛍️ মেলায় কী থাকে?

লোকসংস্কৃতি, লোকগান, তান্ত্রিক দ্রব্য, সাধুদের শিবির, যোগ সেশন, গাঁজা ও ধূপের গন্ধে মেলা পবিত্র থাকে।

স্থানীয় হস্তশিল্প, খাবার, তান্ত্রিক বই ইত্যাদিও মেলায় বিক্রি হয়।

✈️ কিভাবে যাবেন?

বিমানপথে: গুয়াহাটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদোলই বিমানবন্দর)।

রেলপথে: গুয়াহাটি রেলস্টেশন থেকে ট্যাক্সি বা অটোতে কামাখ্যা মন্দিরে পৌঁছানো যায়।

বাসে: আসামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু স্থান থেকে বাস পরিষেবা পাওয়া যায়।

⚠️ কিছু সতর্কতা

মেলার সময় প্রচুর ভিড় হয়, সাবধানে চলাফেরা করুন।

ব্যক্তিগত মালপত্র দেখে রাখুন।

শুদ্ধতা ও নীরবতা বজায় রাখুন কারণ এটি একটি পবিত্র স্থান।

✨ উপসংহার

অম্বুবাচী মেলা শুধু একটি তান্ত্রিক উৎসব নয়, এটি নারীশক্তির উৎসব, যা মাতৃশক্তিকে সম্মান জানায়। এখানে আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতি, তন্ত্র এবং সাধনার এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটে।

আপনি যদি সত্যিকারের ভক্ত হন বা আধ্যাত্মিকতায় আগ্রহী হন, অন্তত একবার এই মেলায় যোগ দেওয়া উচিত।

কামাখ্যা মন্দির: শক্তির পবিত্র আসনকামাখ্যা মন্দির ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রাচীন ও পবিত্র শ...
23/06/2025

কামাখ্যা মন্দির: শক্তির পবিত্র আসন

কামাখ্যা মন্দির ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রাচীন ও পবিত্র শক্তিপীঠ। এটি নীলাচল পর্বতের উপর অবস্থিত এবং দেবী শক্তির পূজার এক মহান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হলো এখানে কোনো দেবীমূর্তি নেই, বরং একটি যোনি আকৃতির শিলা পূজিত হয়, যা নারীত্বের সৃজনশীল শক্তির প্রতীক। এই যোনি শিলা সর্বদা স্নিগ্ধ ও আর্দ্র থাকে এবং এটি থেকেই এক অদৃশ্য জলধারা প্রবাহিত হয়।

কামাখ্যা মন্দির শাক্ত ধর্মাবলম্বীদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম এবং বিশ্বাস করা হয়, এখানে সতীর যোনি পতিত হয়েছিল। কামাখ্যা নামটি এসেছে "কাম" বা ইচ্ছা শব্দ থেকে। দেবী কামাখ্যা সেই শক্তির প্রতীক যিনি ইচ্ছার জন্ম দেন, সৃষ্টির আরম্ভ ঘটান। বলা হয় দেবী কামাখ্যা তার ভক্তদের ইচ্ছা পূরণ করেন, বিশেষত সন্তান লাভ, বিবাহ ও কামনা-বাসনার বিষয়ে।

কামাখ্যা মন্দিরের ইতিহাস বহু প্রাচীন। ধারণা করা হয় এই স্থানে দেবী পূজা পূর্ব-আর্য যুগ থেকেই প্রচলিত ছিল। এটি প্রাচীন তান্ত্রিক সাধনার এক প্রধান কেন্দ্র ছিল। এই মন্দিরের উল্লেখ দশম শতকের কালিকা পুরাণে পাওয়া যায়, যেখানে বলা হয়েছে এই স্থান তন্ত্রসাধনার জন্য অতি উপযুক্ত। মন্দিরটি মূলত কোচ রাজবংশের রাজা নরনারায়ণ ষোড়শ শতকে পুনর্নির্মাণ করেন। প্রাচীন কাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার পর তিনিই বর্তমান রূপে মন্দিরটি নির্মাণ করেন।

মন্দিরটির স্থাপত্য শৈলীতে হিন্দু ও মুসলিম উভয় শিল্পরীতির সংমিশ্রণ দেখা যায়। মন্দিরের গম্বুজটি মৌচাক আকৃতির, যা মধ্যযুগীয় বাংলা মন্দির নির্মাণশৈলীর অনুকরণে গড়া। বাইরের দেওয়ালে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা হয়েছে। মন্দিরের প্রধান অংশে যোনি আকৃতির পাথরটি একটি রক্তবর্ণ রেশমের শাড়িতে আবৃত থাকে, আর এর ওপর জল পড়ে একটি প্রাকৃতিক উৎস থেকে। দেবী কামাখ্যার পূজা কোনো মূর্তিতে নয়, বরং এই যোনিশিলায় অর্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

মন্দির চত্বরে শুধুমাত্র একটিমাত্র মন্দির নেই, বরং এখানে দশটি পৃথক মন্দির রয়েছে যেগুলি দশ মহাবিদ্যার প্রতীক। এই দশটি রূপ হলো কামাখ্যা, ধূমাবতী, ভৈরবী, তারা, বগলামুখী, ছিন্নমস্তা, কালী, মাতঙ্গী, কমলা ও ত্রিপুরাসুন্দরী। এই দশ মহাবিদ্যা তন্ত্রশাস্ত্রের দশটি মুখ্য শক্তি এবং তারা প্রত্যেকে এক একটি বিশেষ শক্তির প্রতীক।

এই মন্দির তান্ত্রিক সাধনার এক বড় কেন্দ্র। এখানে পশুবলি, রক্ত অর্ঘ্য এবং গোপন মন্ত্রপাঠ ইত্যাদি তান্ত্রিক রীতিনীতির মাধ্যমে পূজা হয়ে থাকে। তন্ত্রসাধনার জন্য এই স্থান অতি উপযুক্ত বলে মানা হয়। অনেক সাধু, তান্ত্রিক ও অঘোরী সাধক এখানে আশ্রয় গ্রহণ করে সাধনা করে থাকেন। এখানে পশুবলির প্রচলন এখনো রয়েছে, বিশেষত দুর্গাপূজা ও অম্বুবাচী মেলার সময়ে।

অম্বুবাচী মেলা কামাখ্যা মন্দিরের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। প্রতিবছর জুন মাসে এই উৎসব পালিত হয়। এই সময় দেবী কামাখ্যার বা প্রকৃতির ঋতুকাল (menstruation) হয় বলে ধরা হয়। এই তিনদিন মন্দির সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকে, কোনো পূজা-অর্চনা হয় না, কারণ বিশ্বাস করা হয় দেবী সেই সময় বিশ্রামে আছেন। চতুর্থ দিনে মন্দির আবার খোলা হয় এবং বিপুল উৎসাহের সঙ্গে পূজা সম্পন্ন হয়। লক্ষ লক্ষ ভক্ত সেই সময় কামাখ্যায় ভিড় জমান। এই মেলাকে পূর্ব ভারতের মহাকুম্ভও বলা হয়।

এই সময় দেবীর যোনিশিলায় যে রক্তবর্ণের কাপড় চড়ানো হয়, সেটি পরে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং অনেকেই এটিকে প্রসাদ হিসেবে রক্ষা করেন, কারণ বিশ্বাস করা হয় এতে অলৌকিক ক্ষমতা আছে।

দুর্গাপূজাও এখানে বিশেষভাবে পালিত হয়। কামাখ্যা দেবীকে দুর্গার রূপে পূজা করা হয়। এই সময় মন্দিরে হাজার হাজার ভক্ত আসেন এবং মন্দিরকে সজ্জিত করা হয় দীপ্তি, ফুল ও ধূপধূনিতে।

এই মন্দির শুধুমাত্র ধর্মীয় কেন্দ্র নয়, এটি নারীত্ব, মাতৃত্ব এবং সৃজনশীল শক্তির প্রতীক। যোনি ও ঋতু নিয়ে সমাজে নানা রকম ট্যাবু থাকলেও, কামাখ্যা মন্দির সেই ধারণাকে পাল্টে দিয়ে বলে যে নারীর শরীর এবং ঋতু শক্তির উৎস, লজ্জার কিছু নয়। এটি নারীশক্তিকে পূজার মাধ্যমে মহিমান্বিত করে তোলে।

অনেক দম্পতি সন্তান লাভের আশায় কামাখ্যা মন্দিরে আসেন। বিবাহযোগ, সন্তান প্রসব, স্বাস্থ্য, মনের ইচ্ছা পূরণ – এই সব বিষয়ে দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়। বহু নারী বিশ্বাস করেন, এই মন্দিরে পূজা দিলে সন্তান লাভ হয় বা কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী লাভ হয়।

এই মন্দির ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তিপীঠ এবং ভারতের তান্ত্রিক ধর্মাচার, লোকবিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কামাখ্যা মন্দির ইতিহাস, পুরাণ, স্থাপত্য, ধর্মীয় আচরণ ও নারীর প্রতীকি শক্তিকে একসাথে মেলাতে সক্ষম হয়েছে।

মন্দিরে পৌঁছানো সহজ। গাড়ি, বাস, ট্রেন ও বিমান সব মাধ্যমেই কামাখ্যা পৌঁছানো যায়। গুয়াহাটি শহরের কেন্দ্র থেকে মন্দির প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এবং গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার। রেলস্টেশন থেকে গাড়ি বা অটো নিয়ে সহজেই মন্দিরে পৌঁছানো যায়। পাহাড়ি রাস্তা ধরে মন্দিরে যেতে হয় এবং উপরে উঠলে পুরো শহর এবং ব্রহ্মপুত্র নদ দেখা যায়, যা এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা।

মন্দিরের আশেপাশে অনেক দর্শনীয় স্থানও আছে। যেমন উমানন্দ মন্দির, নাভগ্রহ মন্দির, আসাম স্টেট মিউজিয়াম, কামাখ্যা পাহাড়ের আশেপাশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং দূরবর্তী কাজিরঙা ন্যাশনাল পার্ক ইত্যাদি।

সার্বিকভাবে কামাখ্যা মন্দির শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি এক জীবন্ত শক্তিপীঠ, এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, এবং এক আধ্যাত্মিক শক্তির কেন্দ্র। এখানে বিশ্বাস, প্রাচীন ইতিহাস, নারীর সম্মান এবং আধ্যাত্মিক সাধনার এক অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে। যুগ যুগ ধরে এই মন্দির মানুষের কামনা, বাসনা ও আস্থার কেন্দ্র হয়ে থেকেছে এবং আগামী দিনেও তা থাকবে।

ফেসবুকের দৌলতে একটা বড় অভিজ্ঞতা হলো।। যারা কমেন্ট করে তারা ঘুরতে যায়না আর যারা ঘুরতে যায় তারা কমেন্ট করেনা।। 😂😂₹2999 ...
21/06/2025

ফেসবুকের দৌলতে একটা বড় অভিজ্ঞতা হলো।।
যারা কমেন্ট করে তারা ঘুরতে যায়না আর যারা ঘুরতে যায় তারা কমেন্ট করেনা।। 😂😂
₹2999 দার্জিলিং প্যাকেজ দিলে কেউ বলেনা দাদা এত কমে দিচ্ছেন কি করে ??
কিন্তু Offbeat দার্জিলিং প্যাকেজ যদি ₹4999 হয়, তখনই বলে উঠলো - লুটে নিলেন তো দাদা।। কিন্তু যারা কমেন্ট করছে বিশ্বাস করুন কেউ যায়না ।। যারা যাওয়ার ফোন করে বুকিং করে নিচ্ছে।।
আবার যারা বুকিং করলো তারা বুকিং করে ঘুরে আসার পর যখন রিভিউ দিচ্ছে, এদিকে যে গেলনা তখন তার যাবার ইচ্ছা করছে , অথচ ফোন করলে তখন আর প্যাকেজ ফাঁকা নায়।।। ভগবান আর কত দেখবো।।

🌄 গ্যাংটক–পেলিং ও রাভাংলা ট্যুর | ৫ রাত ৬ দিন✨ এই পূজোতে ঘুরে আসুন সিকিমের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য!📅 ডিপারচার: ৩০ সেপ্টে...
21/06/2025

🌄 গ্যাংটক–পেলিং ও রাভাংলা ট্যুর | ৫ রাত ৬ দিন
✨ এই পূজোতে ঘুরে আসুন সিকিমের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য!
📅 ডিপারচার: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (মঙ্গলবার), NJP থেকে

💰 মাত্র ₹১১,৯৯৯ + ৫% GST প্রতি ব্যক্তি – সব গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানসহ

✅ চাঙ্গু লেক, বাবা মন্দির, বুদ্ধ পার্ক
✅ পেলিং স্কাইওয়াক, জলপ্রপাত, মঠ ও ঐতিহাসিক স্থান
✅ পরিবারভিত্তিক হোটেল, খাবার (১ম দিনের লাঞ্চ থেকে ৬ষ্ঠ দিনের ব্রেকফাস্ট পর্যন্ত)
✅ নিজস্ব গাড়ি, পারমিট ও রুট অনুযায়ী ঘোরাফেরা

👶 ১-৪ বছর: একেবারে ফ্রি (সিট/বিছানা ছাড়া)
👧 ৫-৭ বছর: মাত্র ৫০%
👦 ৭ বছরের উপরে: ফুল চার্জ

📝 বুকিং অনলাইনে – প্রতি জন ₹৩০০০ অগ্রিম (ব্যাংক ট্রান্সফারে)
📄 ভোটার আইডি ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি পাঠান 📲 ৮২০০৭ ৫৭১৫৬
📞 যোগাযোগ করুন: ৮২০০৭৫৭১৫৬ / ৮৯২৭৩৩১১৭৮
📌 সিট সীমিত – আগে বুকিং করলেই নিশ্চিত ট্রিপ!
📄 বিল সংগ্রহ করুন – মুখের কথায় বুকিং নয়।

🌄 গ্যাংটক–পেলিং ও রাভাংলা ট্যুর | ৫ রাত ৬ দিন✨ এই পূজোতে ঘুরে আসুন সিকিমের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য!📅 ডিপারচার: ১০ অক্টোব...
19/06/2025

🌄 গ্যাংটক–পেলিং ও রাভাংলা ট্যুর | ৫ রাত ৬ দিন
✨ এই পূজোতে ঘুরে আসুন সিকিমের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য!

📅 ডিপারচার: ১০ অক্টোবর ২০২৫ (শুক্রবার), NJP থেকে
💰 মাত্র ₹১১,৯৯৯ + ৫% GST প্রতি ব্যক্তি – সব গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানসহ

✅ চাঙ্গু লেক, বাবা মন্দির, বুদ্ধ পার্ক
✅ পেলিং স্কাইওয়াক, জলপ্রপাত, মঠ ও ঐতিহাসিক স্থান
✅ পরিবারভিত্তিক হোটেল, খাবার (১ম দিনের লাঞ্চ থেকে ৬ষ্ঠ দিনের ব্রেকফাস্ট পর্যন্ত)
✅ নিজস্ব গাড়ি, পারমিট ও রুট অনুযায়ী ঘোরাফেরা

👶 ১-৪ বছর: একেবারে ফ্রি (সিট/বিছানা ছাড়া)
👧 ৫-৭ বছর: মাত্র ৫০%
👦 ৭ বছরের উপরে: ফুল চার্জ

📝 বুকিং অনলাইনে – প্রতি জন ₹৩০০০ অগ্রিম (ব্যাংক ট্রান্সফারে)
📄 ভোটার আইডি ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি পাঠান 📲 ৮২০০৭ ৫৭১৫৬
📞 যোগাযোগ করুন: ৮২০০৭৫৭১৫৬ / ৮৯২৭৩৩১১৭৮

📌 সিট সীমিত – আগে বুকিং করলেই নিশ্চিত ট্রিপ!
📄 বিল সংগ্রহ করুন – মুখের কথায় বুকিং নয়।

🌄 এই পুজো ঘুরে আসুন পাহাড়ে!NJP থেকে পেল্লিং, রাভাংলা ও দার্জিলিং – ৫ রাত ৬ দিনের এক অসাধারণ গ্রুপ ট্যুরদৃষ্টিনন্দন প্রক...
19/06/2025

🌄 এই পুজো ঘুরে আসুন পাহাড়ে!
NJP থেকে পেল্লিং, রাভাংলা ও দার্জিলিং – ৫ রাত ৬ দিনের এক অসাধারণ গ্রুপ ট্যুর
দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতি, অ্যাডভেঞ্চার আর স্মৃতিতে ভরা ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত তো?

✅ সব খাবার অন্তর্ভুক্ত (ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার)
✅ ফ্যামিলি রুম ও প্রাইভেট গাড়ি
✅ সম্পূর্ণ দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের ব্যবস্থা

📅 রওনা: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | সকাল ১০টা | NJP থেকে
💰 মাত্র ₹১২,৯৯৯ + ৫% GST

👪 সীমিত আসন – পরিবারের ও বন্ধুবান্ধবের জন্য একদম পারফেক্ট!
📞 বুকিং ও তথ্যের জন্য কল করুন: 8927331178
📍 যাত্রার শুরু ও শেষ: NJP

🎒 আরাম, আনন্দ আর অভিজ্ঞ গাইডের সাথে ঘুরে আসুন পাহাড়ের কোলে!

🏔️ স্বল্প বাজেট, অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য, আর একরাশ স্মৃতি—এই তিনের নিখুঁত মিশেলই হল সিল্ক রুট।✅ মাত্র ₹৪৯৯৯ থেকে শুরু হচ্ছ...
19/06/2025

🏔️ স্বল্প বাজেট, অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য, আর একরাশ স্মৃতি—এই তিনের নিখুঁত মিশেলই হল সিল্ক রুট।
✅ মাত্র ₹৪৯৯৯ থেকে শুরু হচ্ছে ৩ রাত ৪ দিন এবং ৪ রাত ৫ দিনের এক না ভোলার মতো ট্রিপ।
👉 ভিজিট হবে জুলুকের জিগজ্যাগ রোড, থাম্বি ভিউ পয়েন্ট, নাথাং ভ্যালি, কুপুপ লেক, ঋষিখোলা এবং আরও অনেক অফবিট লোকেশন!
🚗 এনজেপি থেকে এনজেপি রিজার্ভ গাড়ি, হোমস্টে, ৪ বেলা মিল ও দর্শনীয় স্থান ঘোরার সুবিধা – সবই প্যাকেজে ইনক্লুডেড।

📞 এখনই যোগাযোগ করুন – বুকিং চলছে দ্রুত!
📲 বিস্তারিত জানতে বা বুক করতে ইনবক্স করুন / WhatsApp করুন 089273 31178

Address

Arambagh

Telephone

+918200757156

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Spectrum Tour-Travels posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Spectrum Tour-Travels:

Share

Category

S P E C T R U M

LOOKING FOR BEST TRAVELS DEALS ?

PLEASE CONTACT WITH US :)