24/07/2025
আজকে আমরা কথা বলবো ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট নিয়ে।
আর সেটা হলো #কালকা সিমলা রেলওয়ে #
🚆এটি হলো একটি narrow gauge রেলপথ, যেটা মাত্র 2.5 ফুট চওড়া। ট্রেন কালকা থেকে শুরু করে পাহাড়ি পথ ধরে এগিয়ে সিমলা পর্যন্ত পৌঁছায়। চলার পথে চোখে পরে পাহাড়, উপত্যাকা আর গ্রামের অপূর্ব দৃশ্য।
🌀রেলপথটি তৈরির নেপথ্যের কারণ🌀
🧛ব্রিটিশ আমলে শিমলা ছিল, ভারতের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। ফলে বছরে দুবার পুরো ব্রিটিশ প্রশাসনকে কলকাতা থেকে শিমলায় এবং আবার শীতকালে শিমলা থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হতো......যেটা ছিল এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। অফিসপত্র, কর্মকর্তা, পরিবার, আসবাসপত্র সবকিছু ঘোড়া 🐎 আর বলদ 🐂 টানা গাড়িতে করে পাহাড়ি পথে নিয়ে যেতে হতো। খুব সহজেই অনুমান করা যায়, যে সেই যাত্রা কতটা সময়সাপেক্ষ, কষ্টসাধ্য, আর বিপদসংকুল ছিল ১৯০৩ সালে কালকা শিমলা রেলপথ চালু হয়, যা এই যাত্রাপথকে সুষ্ঠ ও নিরাপদ করে তোলে।
🌀রেলপথটির বিস্তার🌀
🏔️কালকা(২১৫২ ফুট) থেকে শুরু করে ট্রেনটি পাহাড়ি পথ ধরে ধরমপুর, সোলান, কান্ডাঘাট, তারাদেবী, বারোগ, সালোগড়া, টতু, সামারহিল হয়ে পৌঁছে যায় শিমলায় (৬৮০৮ ফুট)। তারমানে গোটা যাত্রায় উচ্চতার পার্থক্য প্রায় ৪৬৫৬ ফুট।
🌀রেলপথটির প্রযুক্তিগত নির্মানকৌশল 🌀
🛤️রেলপথটিতে মোট ৯৮৮ টি সেতু আছে, আর আছে ১০৭টি টানেল, যার মধ্যে ১০২টি ব্যবহারযোগ্য। Bridge no ২২৬ একটি পাঁচটি লেয়ার এ তৈরী এক বিশাল পাথরের arch bridge, যেটি একটি গভীর উপত্যকার ওপর দিয়ে গেছে।
এছাড়াও আছে ৯১৭টি curve (ঘূর্ণি পথ)। সবথেকে বড়ো curve টি হলো ৪৮ ডিগ্রী, যার ব্যাসার্ধ মাত্র ৩৭.৪৭ মিটার।
রেলপথটি প্রতি ৩৩ মিটারে ১ মিটার উচ্চতা পরিবর্তন করে। এই রেলপথটি প্রযুক্তি ও পরিকল্পনার একটি অপূর্ব সংমিশ্রণ।
🌀 ঐতিহাসিক মর্যাদা 🌀
2007 সালে হিমাচল প্রদেশ সরকার এই রেলপথটিকে হেরিটেজ সম্পত্তি ঘোষণা করে। অবশেষে 2008 সালের 8th July এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
🧑🤝🧑 আজও বহু পর্যটকের কাছে, এই রেলপথটি এক রোমাঞ্চকর ও নস্টালজিক যাত্রার স্মৃতি হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্র- উইকিপেডিয়া