17/05/2025
" প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিন, চলুন কালুক! "
Deep tour & travel '
**********************************
"কালুক:"--- পশ্চিম সিকিমের এক শান্ত স্নিগ্ধ আশ্রয়!
'দীপ ট্রুর এন্ড ট্রাভেল'-এর পক্ষ থেকে
আমি, দীপ, আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি পশ্চিম সিকিমের এক নয়নাভিরাম ভ্রমণ, যেখানে প্রকৃতির নীরবতা আপনার মনকে শান্তি এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার মহিমা আপনার দৃষ্টিকে করবে মুগ্ধ।
শহরের যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে, প্রায় ৫৬০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কালুক যেন এক স্বপ্নিল জগৎ। এখানকার স্নিগ্ধ বাতাস, দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ পাহাড় আর বরফাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য - সব মিলিয়ে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
কালুক শুধু একটি ছোট্ট গ্রাম নয়, এটি সিকিমের ইকো-ট্যুরিজমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানকার মানুষের সরল জীবনযাপন, সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য কালুককে এক বিশেষ আকর্ষণ দান করেছে।
কালুকের প্রধান আকর্ষণ হল এর শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশ। জীবনের ক্লান্তি আর একঘেয়েমি দূর করতে কালুকের তুলনা মেলা ভার। বছরের বিভিন্ন সময়ে কালুক তার নিজস্ব রূপে সেজে ওঠে। এপ্রিল থেকে জুনের মাঝামাঝি এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এখানকার মনোরম আবহাওয়া ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তোলে।
আপনাদের থাকার সুব্যবস্থা: কালুক বাজারের কাছেই এক চমৎকার চারতলা হোটেলে আমরা আপনাদের জন্য আরামদায়ক থাকার ব্যবস্থা করেছি। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এমন সুন্দর পরিবেশে বড় বড় কাঁচের জানালা দিয়ে দিগন্তজোড়া পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য, দূরে পেলিং ও গেজিং শহরের ঝলক এবং অবশ্যই কাঞ্চনজঙ্ঘার পূর্ণ দৃশ্য - সত্যিই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা! বিশ্বাস করুন, হোটেলের ঘরে বসেই প্রকৃতির এই অপরূপ শোভা উপভোগ করা এক বিশেষ প্রাপ্তি।
কালুকের আশেপাশে: কালুক থেকে রিংচেনপং পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়। সকালে এক মনোরম হাঁটাপথে আমরা পৌঁছে যাব রিংচেনপং-এর প্রাচীন মনেস্ট্রিতে, যা বহন করছে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। রিংচেনপং কিছুটা শহরের মতো, যেখানে কিছু দোকানপাট ও হোটেল চোখে পড়বে। তবে কালুক তার শান্ত ও স্নিগ্ধ রূপ ধরে রেখেছে, যা দু-তিন দিন প্রকৃতির নীরবতায় কাটাতে ইচ্ছুক মানুষের জন্য এক আদর্শ ঠিকানা।
এছাড়াও, কালুক থেকে সিংশোর ব্রিজ যাওয়া খুবই সহজ। প্রায় ১০০ মিটার উঁচু এবং ২০০ মিটার লম্বা এই ব্রিজটি এশিয়ার দ্বিতীয় উচ্চতম সেতু হিসেবে পরিচিত। দুটি পাহাড়কে সংযুক্তকারী এই সেতুর উপর দাঁড়ালে নীচের গভীর খাদ দেখলে রোমাঞ্চ অনুভব হবে। শোনা যায়, উপর থেকে কোনো ভারী জিনিস ফেললে নীচে পৌঁছাতে প্রায় দশ সেকেন্ড সময় লাগে! এখান থেকে পেলিং-এর বিখ্যাত মনেস্ট্রিও দেখা যায়। একসময় পেলিং ছিল সিকিমের রাজধানী, আর আপার ট্রেনিং-এর কাছে আজও পুরনো রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান। শুনেছি, কালুক থেকে গ্যাংটকের প্রায় ১০০ কিলোমিটারের পথটিও নাকি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর।
জোড়থাং থেকে কালুক আসার পথে দুটি রাস্তা রয়েছে। একটি রিনচেনপং হয়ে এবং অন্যটি সোরেঙ বাজারের পাশ দিয়ে। দ্বিতীয় রাস্তাটি সত্যিই রোমাঞ্চকর, খাড়া পথ আর আঁকাবাঁকে ভরা, যা প্রতি মুহূর্তে মনে এনে দেয় এক নতুন অভিজ্ঞতা।
তাই আর অপেক্ষা কেন? ব্যাগ গুছিয়ে নিন, আর বেরিয়ে পড়ুন কালুকের সৌন্দর্য অন্বেষণে। এখানকার সমৃদ্ধ প্রকৃতি আর শান্ত সংস্কৃতিতে কাটানো কয়েকটি দিন আপনার মন ও আত্মাকে দেবে অনাবিল শান্তি।
দীপ ট্রুর এন্ড ট্রাভেলস্ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে এক বিশেষ সুযোগ! বাজার দরের থেকে ( ১০/১৫ )% ছাড় উপভোগ করুন কালুক ভ্রমণের এই সুবর্ণ সুযোগে।
আসুন, সকলে মিলে আবিষ্কার করি পশ্চিম সিকিমের এই লুকোনো রত্ন - কালুককে। প্রকৃতির শান্ত রূপ এবং স্থানীয় মানুষের আন্তরিকতা আপনার ভ্রমণকে এক অবিস্মরণীয় স্মৃতিতে পরিণত করবে, এ আমার বিশ্বাস।
যোগাযোগ করুন আজই! Deep tours & travels (CEO)
Deep Chatterjee 062965 73089