Chhutir Thikana-ছুটির ঠিকানা

Chhutir Thikana-ছুটির ঠিকানা Tourist Information Centre Photographer

উইংস অফ ওয়াইল্ড ট্যুরিজম আয়োজিত আগামী ডোমেস্টিক গ্রুপ ট্যুরসমূহ (আগস্ট ২০২৫ – মার্চ ২০২৬)উত্তরের সুউচ্চ হিমালয় থেকে দক...
03/06/2025

উইংস অফ ওয়াইল্ড ট্যুরিজম আয়োজিত আগামী ডোমেস্টিক গ্রুপ ট্যুরসমূহ (আগস্ট ২০২৫ – মার্চ ২০২৬)

উত্তরের সুউচ্চ হিমালয় থেকে দক্ষিনের সূর্যস্নাত সমুদ্র সৈকত, পশ্চিমের রাজকীয় দুর্গ থেকে উত্তর পূর্বের ঘন অরণ্য — ভারতের বৈচিত্র্যকে অনুভব করুন আমাদের অল-ইনক্লুসিভ গ্রুপ ট্যুরগুলির মাধ্যমে।

🧭 আসন্ন গ্রুপ ট্যুরসমূহ
🗓 আগস্ট ২০২৫
📍 রাঁচি – নেতারহাট – বেতলা
📍 কালিম্পং (অফবিট ট্রেইল)
📍 বিশাখাপত্তনম – আরাকু ভ্যালি

🗓 সেপ্টেম্বর ২০২৫
📍 ম্যাজিক্যাল লাদাখ
📍 ওয়েস্ট সিকিম এক্সপ্লোরার
📍 স্পিতি ভ্যালি রাউন্ড ট্রিপ

🗓 অক্টোবর ২০২৫
📍 আন্দামান
📍 অরুণাচল প্রদেশ
📍 এনচান্টিং কেরালা
📍 রাঁচি – নেতারহাট (শারদ উৎসব স্পেশাল)
📍 শিমলা – মানালি – কসোল

🗓 নভেম্বর ২০২৫
📍 মনোহর মেঘালয়
📍 রয়্যাল রাজস্থান
📍 আধ্যাত্মিক বারাণসী

🗓 ডিসেম্বর ২০২৫
📍 বৈচিত্র্যময় গুজরাট
📍 বন্য ডুয়ার্স
📍 উত্তরাখণ্ড(হরিদ্বার হৃষীকেশ মুসুরি দেহরাদুন)
📍 মাইসোর – উটি হিল চার্ম

🗓 জানুয়ারি ২০২৬
📍 হিমাচল উইন্টার এস্কেপ(শিমলা মানালি কাসোল)
📍 স্নো-ক্ল্যাড মেঘালয়
📍 কুমায়ুন

🗓 ফেব্রুয়ারি ২০২৬
📍 ফান-ফিল্ড গোয়া
📍 আন্দামান ব্লিস
📍 কেরালা

🗓 মার্চ ২০২৬
📍 সিল্ক রুট – সিকিম
📍 বসন্তকালীন অরুণাচল
📍 পুরুলিয়া পলাশ উৎসব

🎒 কেন উইংস অফ ওয়াইল্ড-এর সাথে ভ্রমণ করবেন?
✅ সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা ও বাজেট-ফ্রেন্ডলি গ্রুপ ট্যুর
✅ লোকাল কালচার অনুভব করার সুযোগ, টপ রেটেড হোমস্টে ও হোটেল, অভিজ্ঞ গাইড
✅ ফ্যামিলি-ফ্রেন্ডলি, সিনিয়র সিটিজেন ফ্রেন্ডলি ও সলো ফ্রেন্ডলি প্যাকেজ

📲 কল বা হোয়াটসঅ্যাপ করুন: +91 7001064293 / 8768064293 / 7450064293
🌐 ওয়েবসাইট: www.wingsofwild.in
📧 ইমেল: [email protected]

সিকিমের পেল্লিং, রাভাংলা ও নামচি: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্যভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি ছোট রাজ্য সিকিম,...
22/05/2025

সিকিমের পেল্লিং, রাভাংলা ও নামচি: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি ছোট রাজ্য সিকিম, যা তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ, ধর্মীয় ঐতিহ্য ও নিরবিচারে প্রকৃতি প্রেমীদের আকর্ষণ করে। এই রাজ্যের পশ্চিম ও দক্ষিণ অংশে অবস্থিত তিনটি অপরূপ স্থান — পেল্লিং, রাভাংলা ও নামচি — আজকাল পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই প্রতিবেদনটি সিকিম ভ্রমণের এই তিনটি মনোরম গন্তব্য নিয়ে।

পেল্লিং: হিমালয়ের কোল ঘেঁষে
পেল্লিং (Pelling), পশ্চিম সিকিমে অবস্থিত একটি ছোট পাহাড়ি শহর, যা মূলত কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের জন্য বিখ্যাত। প্রায় ৭২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই শহরটি শান্ত, পরিষ্কার ও অত্যন্ত মনোরম।

দর্শনীয় স্থানসমূহ:
কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন পয়েন্ট: পেল্লিং থেকে স্পষ্টভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখা যায়, যা সূর্যোদয়ের সময় অসাধারণ মনে হয়।

পেল্লিং স্কাইওয়াক ও চেনরেজিগ স্ট্যাচু: ভারতের প্রথম কাঁচের স্কাইওয়াক এবং বিশাল বৌদ্ধ মূর্তি — চেনরেজিগ, এখানে অবস্থিত। এটি দর্শনার্থীদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়।

সাঙ্গাচেলিং মনাস্ট্রি: এই প্রাচীন বৌদ্ধ মঠটি ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ, যেখানে শান্ত পরিবেশে সময় কাটানো যায়।

রিম্বি জলপ্রপাত ও খেচিপেরি লেক: প্রাকৃতিক প্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান, যেখানে জলের শব্দ ও পাখির ডাক মিলে এক স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরি করে।

আবাসন ও খাবার:
পেল্লিং-এ নানা রকম হোটেল, হোমস্টে এবং রিসোর্ট রয়েছে। স্থানীয় সিকিমিজ খাবার ছাড়াও ভারতীয়, চাইনিজ ও তিব্বতি খাবার পাওয়া যায়।

রাভাংলা: মেঘে ঢাকা শান্ত এক পর্বতগ্রাম
পেল্লিং থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে দক্ষিণ সিকিমের এক শান্ত শহর রাভাংলা (Ravangla)। এখানেও রয়েছে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি, মেঘে ঢাকা পাহাড় আর ধর্মীয় নিদর্শন।

দর্শনীয় স্থানসমূহ:
বুদ্ধ পার্ক (Buddha Park বা Tathagata Tsal): এই পার্কে ১৩০ ফুট উচ্চ বিশাল বুদ্ধমূর্তি আছে যা রাভাংলার প্রধান আকর্ষণ। এখানে শান্ত পরিবেশে বসে নিশ্চিন্তে ধ্যান করা যায়।

রালাং মনাস্ট্রি: তিব্বতীয় বৌদ্ধ সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এর চারপাশে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য মন জয় করে নেয়।

মাইনাম পাহাড় ও অভয়ারণ্য: যারা ট্রেকিং ভালোবাসেন, তাদের জন্য আদর্শ এই পাহাড় ও অরণ্য। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও তেনজিং হিল দেখা যায়।

আবহাওয়া ও পরিবেশ:
রাভাংলার আবহাওয়া সারা বছর ঠান্ডা ও মনোরম থাকে। বর্ষায় মেঘে ঢাকা পাহাড় ও শীতকালে হালকা তুষারপাত এই অঞ্চলের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

নামচি: ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক মিলনের শহর
নামচি (Namchi), দক্ষিণ সিকিমের অন্যতম প্রধান শহর ও জেলা সদর। “নামচি” শব্দের অর্থ “আকাশের উপরে”। এই শহর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ।

দর্শনীয় স্থানসমূহ:
চার ধাম (Namchi Chardham বা Siddhesvara Dham): এখানে হিন্দু ধর্মের চার ধামের প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে — বদ্রীনাথ, দ্বারকা, জগন্নাথ ও রামেশ্বরম। বিশাল শিবমূর্তি, পবিত্র কুণ্ড ও দর্শনীয় স্থাপত্য এখানে রয়েছে।

সমদ্রুপসে হিল ও গুরু পদ্মসম্ভব মূর্তি: এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গুরু রিনপোচে (পদ্মসম্ভব)-এর মূর্তি। এখান থেকে পুরো দক্ষিণ সিকিম দেখা যায়।

টেমি টি গার্ডেন: সিকিমের একমাত্র চা বাগান। ঘুরে দেখা ও স্থানীয় অর্গানিক চা চেখে দেখার এক অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন এখানে।

লোক সংস্কৃতি:
নামচি-তে নানা সাংস্কৃতিক উৎসব হয়, যেমন “Namchi Mahotsav”। এখানকার স্থানীয় লেপচা ও ভুটিয়া জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, পোশাক ও সংগীত পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।

যাতায়াত ব্যবস্থা:
সিকিম পৌঁছানো: নিকটবর্তী বিমানবন্দর হলো বাগডোগরা (Bagdogra), যা শিলিগুড়ির কাছে রয়েছে। এখান থেকে গাড়ি বা শেয়ার্ড ট্যাক্সিতে গ্যাংটক, পেল্লিং বা নামচি পৌঁছানো যায়।

স্থানীয় যাতায়াত: স্থানীয় ট্যাক্সি, রিজার্ভ গাড়ি বা গ্রুপ ট্যুরের মাধ্যমে এই অঞ্চলগুলি ঘোরা যায়। উইংস অফ ওয়াইল্ড কাস্টমাইজড প্যাকেজ অফার করে।

সেরা সময় ভ্রমণের জন্য:
সিকিম ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হল মার্চ থেকে জুন ও সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। শীতকালে পেল্লিং ও রাভাংলায় তুষারপাত হলেও কিছু রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে। গ্রীষ্মে আবহাওয়া মনোরম এবং শুষ্ক থাকে, যা ভ্রমণের জন্য আদর্শ।

পেল্লিং, রাভাংলা ও নামচি — এই তিনটি জায়গা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দিক দিয়েও অনন্য। প্রকৃতিকে ভালোবাসেন যাঁরা, তাঁদের জন্য এই তিনটি গন্তব্য যেন স্বপ্নের মতো। শান্ত পরিবেশ, বিশুদ্ধ বাতাস, নিরিবিলি পরিবেশ ও স্থানীয় মানুষের আতিথেয়তা এই ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তোলে।

আপনি যদি শহরের কোলাহল থেকে দূরে কিছুদিন প্রকৃতির কোলে শান্তি খুঁজতে চান, তাহলে একবার পেল্লিং-রাভাংলা-নামচির সফর অবশ্যই করুন। এই ভ্রমণ আপনার হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে।

সবাইকে বাঙালি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।‌সবাই সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন, ভ্রমণে থাকুন।
16/04/2025

সবাইকে বাঙালি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।‌সবাই সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন, ভ্রমণে থাকুন।

স্বপ্নের যাত্রা শুরু হোক উইংস অফ ওয়াইল্ড-এর সাথে! ভ্রমণ মানেই তো পৃথিবীকে নতুন করে দেখা!নতুন রাস্তা, নতুন ঠিকানা, নতুন অ...
31/03/2025

স্বপ্নের যাত্রা শুরু হোক উইংস অফ ওয়াইল্ড-এর সাথে!

ভ্রমণ মানেই তো পৃথিবীকে নতুন করে দেখা!
নতুন রাস্তা, নতুন ঠিকানা, নতুন অনুভূতির দোলা!
কখনো কাশ্মীরের শিকারা,
কখনো সিকিমের বরফে ঢাকা গুরুডোংমার,
কখনো মেঘালয়ের মেঘবৃষ্টি,
আবার কখনো অরুণাচলের ভোরের আলো!

পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য একটুখানি ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছা আমাদের সবার মনেই আছে। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে উইংস অফ ওয়াইল্ড ট্যুরিজম সবসময় চেষ্টা করে! আমরা শুধু ট্রিপ আয়োজন করি না, বরং আপনাকে একটা নতুন অভিজ্ঞতা দিই, প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিই! যারা আমাদের সঙ্গে বেড়াতে গেছেন তাদের অভিজ্ঞতা শুনলেই বুঝতে পারবেন আমরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দি না।

🌏 কেন উইংস অফ ওয়াইল্ড?
✅ বিশ্বাসযোগ্যতা: ২০১৮ সাল থেকে নির্ভরযোগ্য পর্যটন সংস্থা হিসেবে কাজ করছে, বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে উইংস অফ ওয়াইল্ডের বিকল্প নেই!
✅ অভিজ্ঞতা: পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল বা অফবিট ডেস্টিনেশন—সব ধরনের ট্যুর আয়োজন করা হয়। FIT ও GIT সমস্ত রকমের ট্যুর করানো হয়। LTC/HTC এর সুবিধা আছে. ডমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল সব ধরণের ট্যুর করানো হয়।
✅ এক্সক্লুসিভ পার্টনারশিপ: IRCTC, RedBus, Make My Trip, Clear Trip এর মতো ব্র্যান্ড আমাদের সাথে যুক্ত, ফলে ট্রেন, বাস, ফ্লাইট সমস্ত কিছু আপনি এক জায়গায় পাবেন।
✅ বিশেষ সুবিধা: বিলাসবহুল থেকে বাজেট ফ্রেন্ডলি প্যাকেজ, সেরা হোমস্টে থেকে স্টার ক্যাটাগরি হোটেল, সবকিছুই পাবেন আপনার পছন্দমতো!
✅ পার্টনারশিপ: ট্র্যাভেল এজেন্টরাও চাইলে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। বিশদে জানতে নিচে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করবেন।
✅ এফিলিয়েশন: আমাদের সংস্থা পর্যটন দফতর সহ MSME ও ISO দ্বারা স্বীকৃত।

🌄 আমাদের ট্যুর ডেস্টিনেশন – যেখানে স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয়!
🏔️ দার্জিলিং – পাহাড়ের রানি
সকালবেলা টাইগার হিলে দাঁড়িয়ে সূর্যের প্রথম আলো যখন কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় পরে, তখন মনে হয়, জীবন যেন একটা কবিতা! দার্জিলিং শুধু চায়ের জন্য বিখ্যাত নয়, বরং এখানে বাতাসিয়া লুপ, টাইগার হিল, জাপানিজ টেম্পল, তেনজিং রক, ম্যাল রোড—এই সব মিলিয়ে দার্জিলিং একটা স্বপ্নের জায়গা!

❄️ উত্তর সিকিম – বরফের রাজ্য
গ্যাংটক থেকে শুরু হয়ে লাচেন, লাচুং, গুরুডোংমার লেক, ইয়ামথাং ভ্যালি, জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এক স্বপ্নময় যাত্রা! ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় বরফ ঢাকা পর্বত আর বৌদ্ধ মনাস্ট্রির শান্তি—এটাই উত্তর সিকিমের সৌন্দর্য!

🛤️ সিল্ক রুট – ইতিহাসের পথে পথে
সেই প্রাচীনকালে চীনের সাথে ভারতের বাণিজ্য চলত এই পথ দিয়ে। আজও সেই ঐতিহাসিক পথ ধরে পাহাড়ের কোলে গড়ে উঠেছে জুলুক, নাথাং ভ্যালি, লুংথুং , আরিতার, থাম্বি ভিউ পয়েন্ট-এর মতো নয়নাভিরাম জায়গা! এখানকার জিগ জ্যাগ রোড দিয়ে গাড়ি ছুটিয়ে নিয়ে যেতে পারেন একেবারে মেঘের দেশে!

🌧️ মেঘালয় – মেঘের দেশে হারিয়ে যাওয়া
এখানে মেঘেরা পাহাড়ের কোলে এসে বসে থাকে, ঝর্ণারা যেন মাটির বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে! শিলং, চেরাপুঞ্জি, ডাউকি, মাউলিন্নং—প্রতিটি জায়গাই নৈসর্গিক!

🏞️ অরুণাচল প্রদেশ – ভারতের প্রথম সূর্যোদয়ের সাক্ষী
এখানে প্রকৃতি কথা বলে! পাহাড়ের গায়ে ঘন সবুজ অরণ্য, তার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী—তাওয়াং, দিরাং, বমডিলা, সেলা পাস, সাংতি ভ্যালি—সবকিছু মিলিয়ে অরুণাচল যেন অন্য এক স্বর্গ!

❄️ কাশ্মীর – ভূস্বর্গের হাতছানি
ডাল লেকের শিকারা, গুলমার্গের বরফে ঢাকা ল্যান্ডস্কেপ, পহেলগাঁওয়ের গ্রীন মিডোস—কাশ্মীরকে ঠিক রূপকথার মতো মনে হয়! শীত হোক বা গ্রীষ্ম, এখানে সব ঋতুই অনন্য!

🗻 স্পিতি ভ্যালি – নির্জনতায় হারিয়ে যাওয়া
যেখানে প্রকৃতি রুক্ষ অথচ সৌন্দর্যের বিচারে অতুলনীয়! কাজা, কিব্বার, তাবো, লাংজা—এই জায়গাগুলো যেন চাঁদের কোনো উপত্যকার মতো! বৌদ্ধ মনাস্ট্রির শান্তি, নীল আকাশ আর সুবিশাল পাহাড়—এই হলো স্পিতির পরিচয়!

🔴 এই পোস্টে প্রতিটি ট্যুরে 2 জন থেকে শুরু করে ১৬ জন অব্দি পর্যটকের মাথা পিছু খরচ দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটি প্যাকেজ আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছে বা সুবিধা মতো আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে কাস্টোমাইজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে খরচে কিছুটা হেরফের পারে।

🚀 তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? এবার বেরিয়ে পড়ার পালা! ভ্রমণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে উইংস অফ ওয়াইল্ড আপনাদের ট্র্যাভেল পার্টনার হিসেবে সবসময় প্রস্তুত!

আমাদের সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করুন।
📞 𝟳𝟬𝟬𝟭𝟬𝟲𝟰𝟮𝟵𝟯/ 𝟲𝟮𝟬𝟮𝟰𝟬𝟰𝟵𝟵𝟯
🌐 www.wingsofwild.in
📧 [email protected]

📍অফিস : C/20, বাপুজি নগর, যাদবপুর, কলকাতা 700092
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর ও রাঁচিতে আমাদের অফিস আছে।

এছাড়া আপনারা পুরুলিয়া, হুগলী, আসানসোল, ঝাড়গ্রাম এ থাকা আমাদের বুকিং এক্সিকিউটিভ/মিনি স্টোর গুলিতে যোগাযোগ করেও বুকিং করতে পারেন।

21/03/2025

😁

গত কয়েক বছর ধরেই উইঙ্গস অফ ওয়াইল্ড ঘোরাঘুরি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। বেশ কিছুদিন ভাবনা চিন্তার পর আরেকট...
21/03/2025

গত কয়েক বছর ধরেই উইঙ্গস অফ ওয়াইল্ড ঘোরাঘুরি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। বেশ কিছুদিন ভাবনা চিন্তার পর আরেকটা সেগমেন্ট নিয়ে কাজ করার সুযোগ এসেছে আমাদের কাছে।

শহরাঞ্চল বা মেট্রো সিটি গুলোতে আজকাল নিউক্লিয়ার পরিবার গুলোতে থাকা বাচ্চাদের মানসিক ও মানবিক বিকাশ নিয়ে মা বাবার চিন্তার শেষ থাকে না। স্কুল, টিউশন আর বাকি সময় ফোন বা ট্যাবলেটের স্ক্রিন, এই তাদের ডেলি লাইফ। গত কয়েকটা বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে অনেক জায়গায় আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন বয়সের বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরণের এক্টিভিটিস করানো হয় সেসব জায়গায়। ঋষিকেশ, মানালি, উটি সহ অনেক জায়গায় বাচ্চাদের নিয়ে সামার ক্যাম্প, উইন্টার ক্যাম্পের আয়োজন করানো হয়। সেখানে কোনো ট্যুর প্রোগ্রাম থাকে না। গোটা প্ল্যান জুড়েই থাকে বিভিন্ন ধরণের এক্টিভিটিস। আমার জানা নেই আমাদের এখানে কেউ প্রপারলি এ ধরণের এক্টিভিটিস করায় কি না। তবে শীতকালীন ছুটি গুলোর সময় কিছু বেসিক রক ক্লাইম্বিং ও ট্রেকিং ছাড়া বাচ্চাদের জন্য সেরকম কোনো এক্টিভিটিস এর‌ প্ল্যান কাওকে করতে দেখিনি।

যাইহোক বছরের তিনটে সময়, গরমে সামার ক্যাম্প, বর্ষায় নেচার স্টাডি ক্যাম্প অথবা মনসুন ক্যাম্প এবং শীতে উইন্টার ক্যাম্প; আপাতত এই তিনটে প্রোগ্রাম আমরা ফাইনাল করেছি। চাইলে বাচ্চারা আলাদা আলাদা ভাবেও যোগ দিতে পারে, অথবা একসঙ্গে তিনটে প্রোগ্রামেরই সাবস্ক্রিপশন নিয়ে রাখতে পারে।

তিনটে গ্রুপে বাচ্চাদের ভাগ করা হবে। সাত থেকে নয়, অর্থাৎ প্রাইমারি লেভেল। এদের সঙ্গে ক্যাম্পে একজন অভিভাবক যেতে পারবেন। এগুলো কোনো ট্যুর নয় তাই চাইলেও মা বাবা দুজনকেই রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর দশ থেকে বারো‌। অর্থাৎ মিডল অর্ডার। এবং শেষে তেরো থেকে পনেরো। পরের দুই ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের সঙ্গে কোনো অভিভাবক যেতে পারবেন না। এগুলো নেচার স্টাডি ক্যাম্প। কিছু বিকল্প ভাবনা এবং উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা এগোচ্ছি। যারা যাবেন বা যারা তাদের বাচ্চাদের পাঠাবেন তাদের পূর্ণ সহায়তা থাকলেই এ প্রোগ্রাম এগোবে। আপনাদের থেকে সঠিক রেসপন্স বা রিএকশন না পেলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। যারা প্রাইভেসি এবং সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তিত থাকবেন তাদের জন্য জানিয়ে রাখি, এই ক্যাম্প গুলোতে বিভিন্ন ইন্সটিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রফেশনালসরা এসব ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকবে। তবে বাচ্চাকে নিয়ে অতিরিক্ত টেন্সড হলে বা তাকে চোখে হারালে এসব ক্যাম্পে পাঠাবেন না। কারণ বাচ্চাদের একটা নির্দিষ্ট বয়সে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করাই এই ক্যাম্প গুলোর মোটো‌। অর্থাৎ এই ক্যাম্প গুলোতে থাকাকালীন নিজের যাবতীয় দায়িত্ব বাচ্চাদের নিজেকেই বহন করতে হবে এবং নিজের সমস্ত কাজ নিজেকেই করতে হবে। একপ্রকার রেজিস্ট্যান্স টেস্ট ও বলা যেতে পারে। তবে সমস্ত এক্টিভিটিস বেসিক বা মডারেট লেভেল থেকে শুরু হবে। এবং ক্রমে ক্রমে ইনটেনসিটি বাড়ানো হবে। ক্যাম্প শেষে সবাইকেই পুরস্কার ও শংসাপত্র দেওয়া হবে। প্রতি জায়গায় সুপারভাইস করার জন্য আমাদের টিম থাকবে। এবার চলুন তাহলে দেখে নি এই নেচার ক্যাম্প গুলোর বিশেষত্ব কি কি!

✅প্রকৃতির পাঠশালায় শৈশবের বিকাশ – কেন বাচ্চাদের নেচার ক্যাম্পে পাঠানো উচিত?
আজকের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে শিশুরা ধীরে ধীরে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল, ভিডিও গেম ও ইন্টারনেটের আসক্তি তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দখল করে নিচ্ছে। সেখান থেকে প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনই পারে তাদের মানসিক বিকাশকে আরো সুগঠিত করতে, কল্পনাশক্তিকে প্রসারিত করতে এবং বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো অন্য কারো উপর নির্ভর না করে নিজে থেকে সমাধান করতে শেখাতে। ঠিক এই কারণেই শিশুদের সামার ক্যাম্প, উইন্টার ক্যাম্প এবং নেচার স্টাডি ক্যাম্পের মতো অভিজ্ঞতার মধ্যে নিয়ে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

✅প্রকৃতির মাঝে শিক্ষার আসল মানে-
বইয়ের পাতায় পড়ে শেখা আর বাস্তবে প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে শেখার মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। শিশুদের জন্য নেচার ক্যাম্প শুধু একটি আনন্দদায়ক ভ্রমণ নয়, বরং এটি প্রকৃতির এক বাস্তব পাঠশালা। এখানে তারা জঙ্গল, নদী, পাহাড়, বন্যপ্রাণী এবং পাখিদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়। পাখির ডাক, ঝর্ণার শব্দ, বাতাসের মৃদু স্পর্শ – এসব কেবলই অনুভবের বিষয়, যা কোনো ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সম্ভব নয়।

✅একটি নেচার ক্যাম্পে শিশুদের শেখানো হয় গাছপালা, পশুপাখি ও পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব। তারা শিখতে পারে কীভাবে প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়, কীভাবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা যায় এবং কীভাবে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব। এর সঙ্গে নেচার স্টাডি ক্যাম্প গুলোতে চারা গাছ লাগানো এবং তাদের পরিচর্যা সহ যাবতীয় কার্যকলাপ সম্পর্কে শেখানো হবে। আমরা মনে করি ছোট থেকেই যদি এই শিক্ষাগুলো তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে, তবে ভবিষ্যতে তারা আরও দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে উঠবে।

✅ প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ বাড়ায় আত্মবিশ্বাস-
শিশুদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে নেচার ক্যাম্পের ভূমিকা অসাধারণ। এখানে তারা নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাওয়াতে শেখে, প্রকৃতির মধ্যে নিজেই নিজের সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা অর্জন করে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যাম্পিং, ট্রেকিং বা নেচার ট্রেইলের মাধ্যমে তারা নিজেদের মানসিক এবং শারীরিক শক্তি বাড়াতে পারে। নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

✅ প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি সময় কাটালে শিশুদের মানসিক চাপও কমে যায়। আজকের প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা শিশুদের উপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে প্রকৃতির মাঝে কিছুদিন কাটালে তারা সেই চাপ থেকে মুক্তি পায়, মন সতেজ হয়ে ওঠে এবং তারা আরও সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠে।

✅বন্ধুত্ব ও দলগত কাজ শেখায়
নেচার ক্যাম্প শিশুদের মধ্যে দলগতভাবে কাজ করার ক্ষমতা তৈরি করে। এই ধরণের ক্যাম্প গুলোতে তারা এখানে নতুন নতুন বন্ধুদের সঙ্গে পরিচিত হয়, একসঙ্গে খেলাধুলা করে, নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া শেখে এবং দায়িত্ব নিতে শিখে। ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে তারা জানতে পারে কীভাবে একজনের ওপর অন্যজন নির্ভরশীল হতে পারে এবং কীভাবে সহমর্মিতার মাধ্যমে একে অপরকে সাহায্য করতে হয়। শুরুতে আমরা কালিম্পং সহ পুরুলিয়া বা ঝাড়গ্রামের মতো কিছু বেসিক জায়গায় ক্যাম্প গুলোর আয়োজন করবো। এরপর ধীরে ধীরে বাইরে হিমাচল, উত্তরাখণ্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় এই ধরণের ক্যাম্প গুলো অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বাচ্চারা অন্যান্য রাজ্যের সমবয়সী বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবে। ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন কালচার তথা ভিনরাজ্যের বন্ধুদের সাথে পরিচয় হলে তারা ছোটো থেকেই দেশের বিভিন্ন ভাষা, বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জীবন শৈলীর সঙ্গে পরিচিত হবে। এতে করে তাদের কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ হবে।

যাদের ছোটোবেলা গ্রামে কেটেছে তারা ভালো ভাবে জানে প্রকৃতির সংস্পর্শ ছাড়া একটা বাচ্চার শৈশব অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমাদের নেচার স্টাডি ক্যাম্প, সামার ক্যাম্প, উইন্টার ক্যাম্প-এ শিশুরা শুধুমাত্র প্রকৃতি সম্পর্কে জানবে না, বরং এক অনন্য অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাবে, যা তাদের সারাজীবনের জন্য মনে থাকবে।

আমরা বাচ্চাদের জন্য এমন ক্যাম্প আয়োজন করবো, যেখানে তারা পাহাড়,জঙ্গল নদী দিয়ে ঘেরা প্রকৃতির কোলে কয়েকটা দিন কাটাবে। চাইলে তারা সেখানে নদীর ধারে বসে পাখির ডাক শুনতে পাবে, বনের ভেতরে গাইডের সাহায্যে ট্রেকিং করতে পারবে, শীতের সন্ধ্যায় মেন্টরের সাহায্য নিয়ে আগুন জ্বালানোর কৌশল শিখতে পারবে, রাতের আকাশের তারা গুনতে পারবে এবং এরকম আরো অনেক অনেক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে পারবে। পিঠে বই ভরা ভারি ব্যাগের বদলে এই কদিন থাকবে একটা রুকস্যাক, স্কুলের হোম ওয়ার্কের বদলে বাকি বন্ধুদের সঙ্গে টিম ওয়ার্ক এবং বই খাতা খুলে পড়াশোনার বদলে একগাদা এক্টিভিটিস।

আমাদের মনে হয় সমস্ত বাবা-মায়েদের উচিত হবে তাদের সন্তানদের এই অপরিসীম অভিজ্ঞতার স্বাদ দিতে এগিয়ে আসা। শুধু একবার নয়, বছরের পর বছর এই অভ্যাস ধরে রাখলে শিশুদের প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ আরও গভীর হবে। এবং অত্যন্ত কম বয়স থেকে তারা পরিণত হবে, দায়িত্ব নিতে শিখবে, জীবনবোধ শিখবে।

এটা প্রাথমিক ঘোষনা। সমস্ত নিয়মাবলী মেনে এবং সমস্ত ফর্মালিটিস পূর্ণ করে সম্পূর্ণ দায়িত্ব সহকারেই আমরা এই ক্যাম্পগুলো অর্গানাইজ করবো। ফাইনাল এনাউন্সমেন্ট খুব তাড়াতাড়িই আসবে। আমাদের ওয়েবসাইট আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে‌। এরপর আমাদের যাবতীয় আপডেট ও ইনফর্মেশন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পাবেন। এছাড়া আমাদের যে কোনো পরিষেবা আপনারা চাইলেই আমাদের ওয়েবসাইট থেকেও বুক করতে পারবেন।

বি.দ্র: যারা পর্যটন সেক্টরে আমাদের মতোই জড়িত আছেন তারা কোনোভাবে এই ইনিশিয়েটিভে যুক্ত হতে চাইলে যোগাযোগ করবেন। সবাইকে স্বাগত।

ওয়েবসাইট: www.wingsofwild.in

আগামী 29শে মার্চ, ইন্দোনেশিয়ার সবথেকে আকর্ষনীয় শহরগুলোর মধ্যে একটি বালি সম্পূর্ণ স্তব্ধ হতে চলেছে। অফিস-কাছারি, যানবাহ...
19/03/2025

আগামী 29শে মার্চ, ইন্দোনেশিয়ার সবথেকে আকর্ষনীয় শহরগুলোর মধ্যে একটি বালি সম্পূর্ণ স্তব্ধ হতে চলেছে। অফিস-কাছারি, যানবাহন চলাচল তো বন্ধ হবেই। তার সঙ্গে 24 ঘন্টা বন্ধ থাকবে বালি এয়ারপোর্ট ও। অর্থাৎ 29 তারিখ সকাল ছ'টা থেকেই 30 তারিখ সকাল ছ'টা অব্দি, না কেউ বাইরে থেকে বালিতে প্রবেশ করতে পারবে, না কেউ বালি থেকে বাইরে যেতে পারবে। এরকম হওয়ার কারণটা কি? অবশ্যই কোনো ভাইরাস বা অতিমারীর মতো ব্যাপক নয়। আসলে আগামী 29 মার্চ বালিতে ন্যেপি উৎসব পালিত হবে, তাই গোটা শহর জুড়ে থাকবে নিস্তব্ধতা। কারণ এই উৎসবের পালনের মাধ্যমই হলো এই নিস্তব্ধতা। বালিতে থাকা হিন্দুরা তাদের সংস্কৃতি অনুযায়ী এই নেপী উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। নেপি উৎসব যেহেতু বালিতে বসবাস করা হিন্দুদের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন তাই এখানকার লোকজন গোটা দিন বাড়িতে থেকে এই দিনটি উদযাপন করে। শহর জুড়ে ছেয়ে থাকে অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা। দূর দূরান্তের গ্রাম থেকে যে সকল মানুষ বালিতে এসে কাজকর্ম করে, এই দিন তারা সকলেই বাড়ি ফিরে যায়। দোকানপাট সব বন্ধ থাকে, রাস্তা ঘাটে কোনোরকম যানবাহন চলাচল করে না। ন্যেপি দিবসের আগের দিন বালির অধিবাসীরা মেলাস্তি বলে একটা রিচুয়াল পালন করে। যেখানে নিজেদের অতীতের সমস্ত পাপ ও ভুল মিটিয়ে নেওয়ার জন্য এখানকার মানুষ সাদা কাপড় পরে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে এই রিচুয়াল পালন করে। ন্যেপির আগের দিন গোটা বালি জুড়ে বিভিন্ন রাক্ষস ও অসুরদের বিশালাকার স্ট্যাচু ও পুত্তলিকা বানানো হয়। তারপর নেগেটিভ এনার্জি তথা ঐ আসুরিক শক্তিকে নাশ করার উদ্দেশ্যে এগুলোতে আগুন লাগানো হয়। ঠিক আমাদের রাবণ পোড়ানোর মতোই।

এর পরের দিন পালন করা হয় ন্যেপি উৎসব। যেদিন কেউ কারো সঙ্গে দেখা করে না, কথা বলে না। তাই নেপি উৎসবের দিনকে ডে অফ সাইলেন্স ও বলা হয়। ইন্টারনেট, এয়ারপোর্ট, হোটেল, রেস্টুরেন্ট সহ যাবতীয় বিনোদনের মাধ্যম, সবকিছু এই দিন পুরোপুরি বন্ধ থাকে। তাই যারা এই দিন বালি যাচ্ছেন বা ওখানে থাকছেন, তাদের না চাইতেও গোটা দিন হোটেল বন্দী হয়েই কাটাতে হবে। সুতরাং আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখুন। বিরক্ত বা বোরিং লাগলেও কিছু করার নেই, বেড়াতে গেলে যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় রীতি নীতি ও সংস্কৃতিকে সম্মান করেই চলুন। ভ্রমণে থাকুন, আনন্দে থাকুন।

Bapi Mahato

🏔️ "এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো?"গরমের ক্লান্তি আর শহরের কোলাহল পেরিয়ে হারিয়ে যান প্রকৃতির শীতল আলি...
16/03/2025

🏔️ "এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো?"

গরমের ক্লান্তি আর শহরের কোলাহল পেরিয়ে হারিয়ে যান প্রকৃতির শীতল আলিঙ্গনে! Wings of Wild Tourism নিয়ে এসেছে এক অনন্য সুযোগ – আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী সাজানো কাস্টমাইজড ট্রিপ!
আপনার বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের কমপক্ষে ৬ জনের একটি গ্রুপ হলেই আমরা পৌঁছে দেবো আপনাকে ভারতের কিছু স্বপ্নীল গন্তব্যে, যেখানে প্রকৃতি আপনাকে নতুন করে স্বাগত জানাবে!

📍 এই গ্রীষ্মে ভ্রমণের সেরা কিছু ডেস্টিনেশন:

🌄 দার্জিলিং – "দার্জিলিং আমার জান, দার্জিলিং আমার প্রাণ!"
বিখ্যাত টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সোনালি আভা দেখার সেই স্বপ্নময় মুহূর্ত, বাতাসিয়ালুপে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের ছোঁয়া, রক গার্ডেন আর জাপানিজ পিস প্যাগোডার নির্জনতা – সব মিলিয়ে দার্জিলিং এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা!

🍃 কালিম্পং ও অফবিট গ্রামসমূহ –
হিমালয়ের বুকে শান্ত এক শহর, যেখানে প্রকৃতির স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে যায় মন। ডেলো পার্কের সবুজ চাদরে পা রাখলেই মনে হবে, এ যেন রূপকথার এক নগরী! লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ, তুকদাহর পাহাড়ি পথে হারিয়ে যাওয়ার এক অন্যরকম অনুভূতি!

❄️ নর্থ সিকিম (লাচেন-লাচুং-গ্যাংটক) –
"নীল আকাশের তলায় বরফ ঢাকা পাহাড়, স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলি আবার…"
গুরডোংমার লেকের হিমশীতল সৌন্দর্য, ইয়ুমথাং ভ্যালির রঙিন ফুলের বাগান আর জিরো পয়েন্টের বরফে মোড়া পথ – সিকিমের অদেখা রূপ দেখার একমাত্র উপায় এই ট্রিপ!

🏔️ সিল্ক রুট –
প্রাচীন তিব্বতি বাণিজ্য পথের স্মৃতিচিহ্নে ঘেরা এই পথ ধরে গেলে দেখতে পাবেন জুলুকের বিখ্যাত জিগজ্যাগ রোড, থাম্বি ভিউ পয়েন্টের অপূর্ব সূর্যোদয় আর নাথাং উপত্যকার শান্ত প্রকৃতি!

🌊 অরুণাচল প্রদেশ –
তাওয়াং মনাস্টেরি, সাঙ্গেস্টার লেক, বুমলা পাস – প্রকৃতি, ইতিহাস আর আধ্যাত্মিকতার এক অপূর্ব মিশ্রণ। অরুণাচল আপনাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে, যেখানে আকাশ ছুঁতে চাইবে পাহাড়ের চূড়া!

🌧️ মেঘালয় –
"বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদীর জলে ঝাপুর ঝুপুর!"
এ যেন প্রকৃতির খেলা! শিলং শহরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য, চেরাপুঞ্জির ঝর্ণার ধারায় হারিয়ে যাওয়া আর দাওকি নদীর স্বচ্ছ জলরাশিতে নৌকা ভ্রমণ – মেঘালয়ের সবটাই যেন এক স্বপ্ন!

🏔️ শিমলা-মানালি –
হিমাচলের রূপের গল্প তো চিরন্তন! সোলাং ভ্যালির অ্যাডভেঞ্চার, কুলুর অপার শোভা আর হাডিম্বা দেবীর মন্দিরের পবিত্রতা আপনাকে এক অপার্থিব অনুভূতি দেবে!

🌿 কাশ্মীর –
"যদি স্বর্গ কোথাও থাকে, তবে তা এখানেই, এখানেই, এখানেই!"
ডাল লেকের হাউসবোটে এক রাতের রোমাঞ্চ, গুলমার্গের তুষারাবৃত পাহাড় আর পহেলগাঁওয়ের সবুজ উপত্যকা – কাশ্মীরের রূপ আপনাকে মুগ্ধ করবেই!

🛕 ধরমশালা-ডালহৌসি-খাজিয়ার-অমৃতসর –
তিব্বতি সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ধরমশালা, খাজিয়ারের ইউরোপীয় সৌন্দর্য আর স্বর্ণমন্দিরের শান্তি – এই ট্রিপ আপনার মনে এক গভীর ছাপ রেখে যাবে!

🌊 হরিদ্বার-ঋষিকেশ-মুসৌরি-দেহরাদূন –
গঙ্গার তীরে সন্ধ্যার আরতি দেখা, ঋষিকেশের যোগ অভ্যাস শেখা, মুসৌরির মেঘ ভেসে যাওয়া রাস্তা আর দেহরাদূনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য – আপনার আত্মাকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলবে!

🔴 আমাদের প্রত্যেকটি প্যাকেজ আপনি নিজের ইচ্ছে বা সুবিধা মতো আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে কাস্টোমাইজ করতে পারেন। এই পোস্টে ন্যূনতম 6 জনের জন্য একটা জায়গার স্ট্যান্ডার্ড ট্যুরের আন্দাজ মাফিক একটা বাজেট দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিন গুলোতে এই খরচ কিছুটা বাড়তে পারে।

🔥 এবার চাইলেই আপনার পছন্দের ট্রিপ কাস্টমাইজ করুন!
📌 শুধুমাত্র ৬ জন বা তার বেশি গ্রুপের জন্য
📌 বিশেষ অফার ও এক্সক্লুসিভ সার্ভিস সহ
📌 সীমিত সিট – আজই বুক করুন!

📞 যোগাযোগ করুন: @7001064293 /6202404993
🌐 ভিজিট করুন: www.wingsofwild.in
📍কোলকাতা অফিসঃ বাপুজি নগর, যাদবপুর, কোলকাতা ৯২
পুরুলিয়া অফিসঃ রাঘবপুর মোড়, নর্থ লেক রোড, পুরুলিয়া

কোলকাতার বাইরে- দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, রাঁচি।


14/03/2025

মসান হোলি হলো উত্তর ভারতের বিশেষ করে বারাণসী (কাশী) অঞ্চলের একটি অনন্য ও রহস্যময় উৎসব। এটি সাধারণত ফাল্গুন মাসে (মার্চ মাসের দিকে) হোলির পরের দিন পালন করা হয় এবং প্রধানত মণিকর্ণিকা ও হারিশচন্দ্র ঘাটে অনুষ্ঠিত হয়।

মসান হোলি কী?

"মসান" শব্দের অর্থ "শ্মশান"। এই হোলি মূলত শিবের উপাসকরা (আগোরী, তান্ত্রিক ও সাধুরা) উদযাপন করেন, যেখানে মৃত্যু ও জীবনের চক্রকে উদযাপন করা হয়। সাধারণত যেখানে শ্মশানে দাহ করা হয়, সেখানে রঙ খেলা ও ভস্ম (চিতা-ভস্ম) মেখে এই উৎসব উদযাপন করা হয়।

উৎসবের বিশেষত্ব

1. শিব ও মসানভক্তি – এই হোলি মহাদেবের নামে নিবেদিত। বলা হয়, শিব নিজেই শ্মশানে বসবাস করেন, তাই তাঁর ভক্তরা এখানে ভস্ম মেখে হোলি খেলে।

2. চিতা-ভস্মের ব্যবহার – অন্যান্য জায়গায় যেখানে আবির ও রঙ দিয়ে হোলি খেলা হয়, এখানে চিতা-ভস্ম মেখে শিবের আরাধনা করা হয়।

3. আগোরী ও সাধুদের অংশগ্রহণ – এই উৎসবে আগোরী সাধুরা উপস্থিত থাকেন, যাঁরা চিতা-ভস্ম মেখে, ধুনো জ্বালিয়ে ও তন্ত্র-মন্ত্রের মাধ্যমে শিবের আরাধনা করেন।

4. সংগীত ও নৃত্য – এখানে বিশেষ ধরণের শ্মশান-সংগীত বাজে, যেখানে "হর হর মহাদেব" ধ্বনিতে পরিবেশ মুখরিত হয়।

5. ভক্তিমূলক পরিবেশ – এটি কেবলমাত্র একটি উৎসব নয়, বরং জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্বের এক গভীর উপলব্ধি।

কেন মসান হোলি পালন করা হয়?

বারাণসীতে বিশ্বাস করা হয় যে, মৃত্যুই প্রকৃত সত্য, আর এই সত্যকে উপলব্ধি করাই মোক্ষের পথ। মহাদেব নিজে এই শ্মশানে থাকেন, তাই ভক্তরা মনে করেন, শিবের আশীর্বাদ লাভ করতে হলে মসান হোলিতে অংশ নেওয়া উচিত।

মসান হোলির অভিজ্ঞতা

যাঁরা এই উৎসবে যোগ দেন, তাঁরা বলেন—এটি একদম অন্যরকম অনুভূতি দেয়। ভয়, রহস্য, আনন্দ ও আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণে এটি এক অনন্য অনুষ্ঠান।

আপনি যদি বারাণসীতে গিয়ে এই হোলি উপভোগ করতে চান, তাহলে আপনার জন্য এটি এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতে পারে!

fans

Address

C/20, Bapuji Nagar, Jadavpur
Kolkata
700092

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Chhutir Thikana-ছুটির ঠিকানা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Chhutir Thikana-ছুটির ঠিকানা:

Share