05/06/2025
নানান সময়ে নানান মহিলা গ্রুপে বা ব্যক্তিগত ভাবে অনেকে আমায় জিজ্ঞাসা করেন সোলো ট্রাভেলিং মহিলাদের জন্য সেফ কিনা। নেগেটিভ মানুষ হলে বলতাম মহিলাদের জন্য নিজের বাড়ির চার দেওয়াল, অফিস কিচ্ছুটিই সেফ না। কিন্তু আমি পজিটিভ মানুষ, প্রতিবন্ধকতা আসবে জানি, সেগুলোকে কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় এই উত্তর খোঁজা আমার নেশা ও পেশা৷ বছর কয়েক আগে Swati Ray দিদির কথায় লিরিকালের জন্য একটা লেখা লিখেছিলাম, সেই লেখাটিই পুনরায় নিজের টাইমলাইনে রাখছি বিশেষত যারা সোলো ওম্যান ট্রাভেলার তাদের জন্য৷
মেয়েদের পথে ঘাটের সুরক্ষা :-
"যে পুরুষ স্ত্রীকে পথে রক্ষা করিতে পারিবে না জানিয়াই শাস্ত্র বানাইয়াছে, “পথি নারী বিবর্জিতা,” তাহার শাস্ত্রের ততটুকু মূল্যই দেওয়া উচিত এবং ইহাই সুবিচার।" এই বক্তব্যটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'নারীর মূল্য' প্রবন্ধে, ১৯২৩ সালে লেখা। তার পর প্রায় ১০০ বছর কেটে গেলেও ভারতীয় সমাজে নারী'দের নিয়ে মানসিকতার বিশাল কিছু পরিবর্তন হয়নি। ভারতীয় সমাজ এখনও মনে করে নারী কারোর না কারোর অধীন, শৈশবে পিতা, যৌবনে স্বামী, বার্ধক্যে পুত্র। মজার কথা হলো সে নারী যতই স্বাবলম্বী হোক না কেনো তার পরেও। পুরুষ খর্ব করতে পারে নারীর সম্মান, আবার সেই পুরুষই দিতে পারে নারীর সুরক্ষা। এই প্রসঙ্গের অবতারণা আজ যে কোনো আলোচনার শুরুতেই করা যায়। জীবন যাপন, সংসার, পেশা অথবা পথে ঘাটে ( ভ্রমণ?)। আমার আলোচনার বিষয় পথে ঘাটে নারীর সুরক্ষা। সে বিষয়ে কথা বলার আগে আমি জানতে চাই আজকের দিনে নারী গৃহাভ্যন্তরে কতটা সুরক্ষিত? যে কোনো চার দেওয়ালের ঘেরাটোপেই বা কতটা সুরক্ষিত? অফিস, স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, ল্যাব, হাসপাতাল, শপিং মল, স্টুডিও, সিনেমা হল ইত্যাদি স্থানে? একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে দাঁড়িয়েও চতুর্দিকে চোখে পড়ে নারীর বিপত্তির কথা। এক মাসের শিশু থেকে সত্তর বছরের বৃদ্ধা কেউই নিরাপদ নন চার দেওয়ালের ভিতরেও। সেখানে ধরেই নেওয়া হয় পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিংস্র শ্বাপদ, সুযোগ পেলেই নারীকে তারা ছিঁড়ে খাবে অতএব তাকে বন্দী করে রাখো শিকলে। আচ্ছা শিকল কি সুরক্ষা হতে পারে? নাকি নারী (পড়ুন মানুষ) নির্বিঘ্নে, নিশ্চিন্তে থাকবে তা সে চার দেওয়ালের ভিতরে হোক বা পথে সেটাই তো আসল সুরক্ষা৷ পথে বেরোলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সেই আশঙ্কায় কেউ কি পথে বেরোনো বন্ধ করে দেয়? নাকি বাড়ির ভিতরেও মাথায় ছাদ ভেঙে পড়ে মানুষের মৃত্যু হয় না? বাড়ির ভিতরে থাকলে মেয়েরা কতটা সুরক্ষিত তা উইকিপিডয়াতেও দেখলেই পাওয়া যায়। এ বাদেও আরো প্রচুর ওয়েব সাইটে চাইলেই এই ডেটা দেখে নেওয়া যায় |
এই সমস্ত কথা বলার একটিই কারণ - এই ভুল ধারনা টি কাটিয়ে ওঠা যে মহিলারা একমাত্র পথে-ঘাটেই অসুরক্ষিত। অবশ্যই বিপদ বা অসুবিধার ধরন আলাদা, সংখ্যাও বেশী। প্রথমে আসি সমস্যায়, সমস্যা গুলিকে দুই ভাগে ভাগ করবো
ক. নিত্যযাত্রী যাঁরা নিজেদের পেশার কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হন-
পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করা মহিলারা - দূরপাল্লার ট্রেন, লোকাল ট্রেন, বাস, অটো, ট্যাক্সি ইত্যাদি তে নিজ কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে যাওয়া মহিলারা মূলতঃ যে যে অসুবিধার সম্মুখিন হন তা হল
১. যৌন হয়রানি। এই ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হয় মুখ ফুটে নিজের অসুবিধার কথা বলে উঠতে না পারা। একবার মুখ খুললে আসপাশের মানুষের চোখে হাস্যাস্পদ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। - ভয় বা লজ্জা না পেয়ে প্রতিবাদ জানান, প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিন৷ মাথা উঁচু করে ঠাণ্ডা চোখ ও স্বরে নিজের সমস্যা জানান, প্রতিকার দাবী করুন৷ হ্যাঁ দাবীই করবেন, অনুনয় নয়৷ আমাদের সংবিধান আপনাকে সে অধিকার দিয়েছে৷
২. অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার সংক্রান্ত সমস্যা। শহরের মধ্যে তাও বেশ কিছু পরিমান সুলভ শৌচাগার পাওয়া যায়, গ্রামের দিকে বা মফস্বলে এ জিনিসের বড় অভাব, থাকলেও তা অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন। লোকাল মহিলাদের সাথে কথা বলে তাদের বাড়ির শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি চান। মেদিনীপুর বা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা অঞ্চলে কর্মক্ষেত্র হওয়ার সময়ে আমি এই সুবিধা বহুবার নিয়েছি। গৃহস্থ বাড়ির মাসিমা দিদিমারা তারপর জল বাতাসা খাইয়ে ছেড়েছেন। মনে রাখবেন কিভাবে কনভিন্স করবেন সে আপনার হাসিমুখে অনুরোধের কামাল।
৩. পিরিয়ডস চলা কালিন সময়ে প্যাড বদল বা ধারণ করার জন্য চেঞ্জিং রুমের অভাব জনিত সমস্যা। মেন্সট্রুয়াল কাপ /হেভি ফ্লো ট্যাম্পন এই সমস্যা হতে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে।
৪. অ্যাপ ক্যাব বা ট্যাক্সি ড্রাইভারের ব্যবহার জনিত সমস্যা ( শহরাঞ্চলে)। বাড়ির লোক বা কোনো কাছের মানুষের সাথে রাইড শেয়ার করে রাখুন। অফলাইন যেতে চাইলে কিছুতেই সম্মত হবেনা। গাড়িতে ওঠার সময় ড্রাইভার কে বলুন ভিতর থেকে গাড়ির দরজা খুলে দিতে (চাইল্ড লক থাকলে ভিতর থেকে খুলবেনা, বেশী রাতে বা নির্জন জায়গা দিয়ে ট্রাভেল করলে এটা দেখে নেওয়া আবশ্যিক)
৫. বেশী রাত হলে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অমিল হওয়ার সমস্যা। কর্মস্থানে এই সমস্যা জানিয়ে হয় সময় বজায় রাখা যেতে পারে, না হলে অফিশিয়াল ট্রান্সপোর্ট দাবী করা যেতে পারে।
খ. মহিলা ভ্রমনার্থীদের যা যা অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয় (একা অথবা গ্রুপে) :-
১.মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা টা সবার আগে আসে তা তিনি যতই বয়স্ক হোন বা স্বাবলম্বী হোন না কেন। গ্রুপে হলে তাও একটু সহজ হয়, একা বেড়াতে চাইলে তা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পাশ করার মতই কঠিন একটি ব্যাপার। প্রথমেই ধরে নেওয়া হয় রাস্তায় বেরোলে শুধু মাত্র মহিলারাই নানান বিপদের সম্মুখিন হন, কিন্তু বিপদ যে লিঙ্গ দেখে আসে না এ কথা বোঝানো বড় মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়৷
২. অজানা অচেনা জায়গায় পৌঁছে স্থানীয় মানুষদের সম্মন্ধে নিশ্চিন্ত হওয়া। তাদের দিক থেকে কোনো বিপদ আসতে পারে কি না। এখানে আমি একটি বাস্তব ঘটনার উল্লেখ করবো উদাহরণ হিসেবে - কলেজে পড়তে সমাপ্তি (নাম পরিবর্তিত) একা বেড়াতে গেছিলেন বোলপুর শান্তিনিকেতন। একা একা বেড়ানোর মধ্যেই কয়েকটি স্থানীয় যুবক তাকে লক্ষ্য করে ও পিছু করতে থাকে। তাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বিশেষ মন্তব্যও উড়ে আসছিলো। অত্যন্ত ভয় পেয়ে গিয়ে সমাপ্তি প্রায় আত্মগোপন করে ঘন্টা তিনেক কাটিয়ে স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরে। সমাপ্তির নিজের এ বিষয়ে বক্তব্য ছিলো "বয়স কম ও রক্ত গরম থাকার জন্য আমি একটু বেশীই কেয়ারলেস হয়ে পড়েছিলাম" মাথায় রাখার বিষয় দুর্বিনীত একদল পুরুষের অভব্যতার জন্য সমাপ্তি নিজেকেই দায়ী করছেন। এর পর দেশ বিদেশ বহু জায়গায় তিনি একা ঘুরেছেন, বিপদে ঘাবড়ে না যাওয়া বা কি ভবে সামলানো যায় সে বিষয়ে তিনি এখন দক্ষ। তা সত্বেও সমাপ্তির কয়েকটি কথা যা না বললেই নয় তা হলো - বিদেশে গেলে পোষাক আশাক নিয়ে আমি এত ভাবি না। কিন্তু দেশে ঘুরতে গেলে একদম শর্ট প্যান্ট, বা খোলামেলা পোশাক পরি না, ফুটপাথ থেকে কেনা সস্তার কুর্তা পাজামা পরি। এর কারণ হলো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ না করতে চাওয়া। এটা সমাপ্তির বুদ্ধিমত্তা, সে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার কিছু পদ্ধতি নিজের মত করে খুঁজে নিয়েছে, কিন্তু এ আমাদের স্বাধীন ভারতের লজ্জা যে একজন মহিলা আজও তাঁর পছন্দের পোষাক পরে রাস্তায় বেরোলে তাকে সমালোচিত হতে হয়।
৩.অপরিচিত মানুষের সাথে বেশী বন্ধুত্ব ও তাঁর/তাঁদের দেওয়া কোনো খাবার/পানীয় গ্রহণ করা। অচেনা মানুষের দেওয়া কিছু না খাওয়ার অনুরোধ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত হয়ে চলেছে, এ বিষয়ে সাবধানতা আবশ্যিক।
৪. একা বা গ্রুপে মহিলা দেখে স্থানীয় মানুষ সাহায্য করার বদলে কখনও বিপদে ফেলতে বেশী আগ্রহী থাকে। এটি সম্পূর্ণ কিছু কিছু বিশেষ জায়গার সমস্যা। এই বিষয়েও একটি উদাহরণ দেওয়া দরকার বলে মনে করি - সায়ন্তিকা (নাম পরিবর্তিত) একাই দিল্লি বেড়াতে গেছিলেন। এক দিন থেকে ট্রিপ ক্যানসেল করে ফিরে আসতে বাধ্য হন। দিল্লির সামগ্রিক প্রশাসনিক সুরক্ষা ব্যবস্থার অপদার্থতা জানা সত্বেও তাঁর মনে হয়েছিলো নিজের চোখে দেখে নেওয়া ভালো এবং তিনি রাত নটা নাগাদ হোটেল ফেরার সময় মেট্রো তে লাঞ্ছিত হন। যৌন হয়রানি পর্যন্ত পৌঁছোনোর আগেই তিনি সামনের একটি স্টেশনে নেমে তরিঘরি পুলিশের সাহায্য চান, ও হোটেলে ফিরতে সমর্থ হন৷ অথচ এই সায়ন্তিকাই বছরের পর বছর একা নর্থ বেঙ্গল, সিকিমের পাহাড়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান৷ কোনো দিন কোনো বিপদ তো দূর, অজস্র বার স্থানীয় মানুষের সহায়তায় দিনের পর দিন বা রাত কাটিয়েছেন৷ চোখ বুজে ভরসা করেন উত্তরপূর্বের পাহাড়ের মানুষকে।
৫.গাড়িতে বড় দূরত্ব অতিক্রম করার সময় শৌচাগারের অভাব। নিকটবর্তী পেট্রোল পাম্প বা হোটেলের দিকে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে অ্যাডাল্ট ডায়াপার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. আচমকা রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হওয়া। গোর্খাল্যান্ড স্ট্রাইকের সময় অজস্র যাত্রী ঘন্টার পর ঘন্টা বিনা জল, খাদ্য, শৌচাগার, বিশ্রামাগার ছাড়াই রাস্তায় আটকে ছিলেন। একা একজন মহিলার জন্য এই পরিস্থিতি কিছু বেশীই অস্বস্তি দায়ক হওয়ার সম্ভাবনা।
৭. বিদেশে বেড়াতে গিয়ে ভারতীয় পোষাক আশাক বা আচরণ করে ঠগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা। দক্ষিণ পূর্বের বেশ কিছু ট্যুরিস্ট স্পটে ( বালি, থাইল্যান্ড, জাকার্তা) এই ধরনের ঘটনা পাওয়া গেছে।
৮. অজানা জায়গায় গিয়ে একা, আনন্দের আতিশয্যে কোনো রকম মাদক দ্রব্যের প্রভাবে অচেতন বা আধা অচেতন হয়ে পড়া। দেশ-কাল-সীমানা বা লিঙ্গ নির্বিশেষে এ একদম অনুচিত। এক্ষেত্রে বহু পুরুষ ও বিপদে পড়েন, স্বাভাবিক ভাবেই নারীদের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা কয়েক গুন বেড়ে যায়।
পেশাগত ভাবে আমি ভ্রমণ ব্যবসায়ে যুক্ত নিজেও সুযোগ পেলেই সোলো ট্রাভেলে যাই তাই তুলে দিলাম আমার পরিচিত কিছু মহিলার কথা। তাঁরা একা বেড়াতে পছন্দ করেন জেনে তাঁদের এই বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছিলাম।
১. কিরকম জায়গায় তাঁরা একা বেড়াতে পছন্দ করেন।
২. কেনো একা বেড়াতে পছন্দ করেন।
৩. একা বেড়াতে গিয়ে তাঁরা কখনও কোনো বিপদের সম্মুখিন হয়েছেন কি না।
৪. বিপদের সম্মুখিন হলে সেই সমস্যাকে কি ভাবে সামলেছেন।
উত্তর পেয়েছিলাম
১. দেশে হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়, জঙ্গল। দক্ষিণ ভারতের যে কোনো যায়গা, মুম্বাই গোয়া।
তাঁরা কোনো ভাবেই ইউপি, বিহার, ঝাড়খন্ড, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান একা বেড়াতে যেতে চান না।
২. একা বেড়ালে নিজের সাথে অনেকটা সময় কাটানো যায়, পরিবারের ঝামেলা সইতে হয়না ফলে নিজের বেড়ানোর আনন্দ সামগ্রিক ভাবে উপভোগ করা যায়। এমন নয় তাঁরা পরিবারের সাথে বেড়াতে যান না, কিন্তু বছরে বার দুয়েক একাই বেরোন নিকেকে আরো ভালো করে চিনে নিতে৷
৩. দিল্লি ও বোলপুরের ঘটনা আগেই বলেছি। বুদ্ধিমত্তার জন্য বেঁচে গেছেন। এখন কোনো রকম হঠকারিতা করেন না।
৪. বেড়াতে গিয়ে সুযোগ হলে স্থানীয় মানুষের সাথে আগে মিশে বুঝতে চেষ্টা করেন তাঁরা কি ধরনের। সমস্যা বুঝলে স্থান ত্যাগ করেন। বেশীর ভাগ সময়েই আগে খোঁজ খবর করে যান তাই তেমন সমস্যা আর হয় না। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঘোরেন, বেশীরভাগ জায়গায় হিচ হাইকিং করেন না, একা থাকলে কোনো রকম নেশা করেন না।
৫. আমি সোলো ট্রাভেলে গেলে পছন্দ করি রেপুটেড হস্টেলে থাকতে। এখানে ফিমেল ও মিক্সড ডর্ম দুইই পাওয়া যায়, বাজেট ফ্রেন্ডলি তো বটেই। সুবিধা হলো সম মানসিকতার আরও মানুষজন পাওয়া যায় এসব জায়গায় থাকলে ফলে টুকটাক বেড়ানো, ট্রেকিং-হাইকিং করতে গেলে গ্রুপ পাওয়া যায় এবং খরচ বেশী হয়না৷ যেহেতু এসব হস্টেলে নারীপুরুষ নির্বিশেষে বেড়াতে আসেন ও একা আসেন ফলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায় যে তাদের সাথে আপনার মতের বিশেষ অমিল হবেনা (বেড়ানো সম্পর্কিত)। প্রসঙ্গত এই ধরণের জায়গায় থাকলে সান্ধ্য মজলিশ হবেই। চেষ্টা করবেন রাজনৈতিক অথবা ধর্মীয় আলোচনা থেকে দূরে থাকতে।
একটি পর্বে লেখা দীর্ঘায়িত হয়ে যাবে, তাই পরবর্তী পর্বে সমাপ্য অবিশ্যই যদি পাঠকের আগ্রহ থাকে৷
ছবি ব্যক্তিগত অ্যালবাম থেকে-