
08/12/2022
|| দার্জিলিঙের আশেপাশে ||
( শীত আর মিঠে রোদের আমেজ নিতে আসুন ট্যুরিস্ট ক্লাবের অতিথি হয়ে)
Tourist Club Booking :
☎️ +91 7001789498
☎ +91 8900069741
☎️ +91 7797590909
পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই শীতের আমেজ শুরু। আর শীতের আমেজের সাথে সাথেই মনও যথারীতি উড়ুউড়ু। এই অস্থির হওয়া মনকে শান্ত করতে পারে একমাত্র পাহাড়। উত্তুরে হাওয়ার সাথে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা কিংবা বিস্তীর্ণ উপত্যকা জুড়ে কমলালেবুর বাগান অথবা ভাগ্য সহায় হ'লে ঝুরঝুরে বরফপাত এইসবকিছুর সাক্ষী হতে ক'টা দিন ছুটি ম্যানেজ করে আসতেই হবে শীতের পাহাড়ে।
যাঁরা সেইসময় পাহাড়ে আসতে চান তাঁরা এখন থেকেই প্ল্যান করুন, নির্দিষ্ট দিনে টিকিট কেটে নিন আর টিকিট কেটেই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। পুজোতে ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে যেমন জোয়ার এসেছে, ঠিক সেরকমই শীতকালীন ট্যুরিজমের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই, ফলে ভালো মানের হোমস্টেগুলোতে বুকিং এর কাজ সময় থাকতেই সেরে নিন।
আজ দার্জিলিং ও দার্জিলিঙয়ের আশেপাশের কিছু জানা-অজানা অফবিট লোকেশনের, যেখানে আমাদের নিজস্ব ও অ্যাসোসিয়েট হোমস্টে রয়েছে, সেগুলোর সম্ভাব্য কয়েকটি র্যুটপ্ল্যান দিচ্ছি। এগুলোকে নিজেদের মতো করে কাস্টমাইজডও করে নেওয়া যেতে পারে।
কার্শিয়াং ও দার্জিলিং সার্কিটের অফবিটে ভ্রমনের একটি প্রচলিত র্যুট আছে, তা হ'ল সিতং দিয়ে শুরু করে লেপচাজগতে শেষ। মাঝে আরও একটি বা দুটি রাত থাকা যায় তাকদা, তিনচুলে, দাওয়াইপানি, বড় মাঙ্গয়া, চটকপুর, রামপুরিয়া, নয়া বস্তি, লাটপাঞ্চর বা লামাহাট্টাতে।
প্রথমে এই প্রচলিত র্যুটপ্ল্যানটা নিয়েই আলোচনা করি।
⚫ প্রথম দিনঃ এন.জে.পি বা শিলিগুড়ি নেমে ব্রেকফাস্ট সেরে পৌঁছে যান সিতং। সেইদিনটা পায়ে হেঁটে ঘুরে নিন জনপদটির আশপাশ। হোমস্টের টেরেসে বসে মুগ্ধ হন প্রকৃতির অপরূপ শোভা দেখে।
⚫ দ্বিতীয় দিনঃ ব্রেকফাস্ট খেয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিন। প্রথমে গাড়ি উঠবে আরও উপরে। সেখানে অহলদারা ভিউ পয়েন্ট, লাটপাঞ্চর, নামথিং লেক, লেপচা মোনাস্ট্রি, মাহালদিরাম টি এস্টেট, বাগোরা ফরেস্ট দেখে চলে আসুন তাকদা, তিনচুলে, রামপুরিয়া, দাওয়াইপানি বা ছোটা মাঙ্গয়াতে। এই প্রত্যেকটি জায়গাতেই আছে আমাদের নিজস্ব বা অ্যাসোসিয়েট হোমস্টে।
⚫ তৃতীয় দিনঃ তাকদা/তিনচুলে/ রামপুরিয়া/ ছোটা মাঙ্গয়া বা দাওয়াইপানির সাইটসিইংকে দুটি পর্বে সাজাতে পারেন। প্রথম পর্বে ব্রেকফাস্ট সেরে চলে যান তিনচুলে সানরাইজ পয়েন্ট, গুম্বাদারা ভিউ পয়েন্ট, লামাহাট্টা পার্ক দেখতে। ফিরে এসে লাঞ্চ সারুন। খানিক বিশ্রাম নিয়ে চলে যান তাকদা অর্কিড গার্ডেন, রংলি রংলিওট টি এস্টেট, হ্যাংগিং ব্রিজ দেখতে। ফিরে আসুন তাকদা/ তিনচুলে/ রামপুরিয়া/ ছোটা মাঙ্গয়া বা দাওয়াইপানিতে। সেদিন এখানেই রাত কাটান।
যদি তাকদা/ রামপুরিয়া/ তিনচুলে/ দাওয়াইপানি বা ছোটা মাঙ্গয়াতে একরাত্রি থাকতে চান, তবে তৃতীয়দিনেই সাইটসিইং সেরে চলে আসুন চটকপুর। আমাদের হোমস্টেতে চেক ইন করে লাঞ্চ সেড়ে নিন। তারপর প্রকৃতিকে নিজের মতো করে এক্সপ্লোর করুন।
⚫ চতুর্থ দিনঃ তাকদা/রামপুরিয়া/ চটকপুর/ দাওয়াইপানি থেকে এইদিন চলে আসতে পারেন লেপচাজগতে। লেপচাজগত-এর বিশেষত্ব তার অপরূপ পাইন ফরেস্ট আর কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ। এখান থেকে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ান জঙ্গলের ছোট ছোট পথ দিয়ে। লেপচাজগতের পরিবর্তে সোনাদা, নয়াবস্তি বা মিরিকেও থাকতে পারেন একরাত।
⚫ পঞ্চম দিনঃ এই দিন ফেরার পালা। ব্রেকফাস্ট করে পাহাড়কে বিদায় জানিয়ে মিরিক বা কার্শিয়াং হয়ে নেমে আসুন শিলিগুড়িতে।
যদি আপনার প্ল্যানে দার্জিলিং শহরকে রাখতে চান শুধু এক সন্ধ্যায় ম্যালে ঘোরাঘুরি ও কেভেন্টার্স বা গ্লেনারিজ-এ একটা ব্রেকফাস্ট করার জন্য, তবে মাঝের কোন একদিন একটা অফবিট বাদ দিয়ে দিন। আর যদি দার্জিলিঙয়ে থেকে দার্জিলিঙয়ের সমস্ত সাইটসিইং করতে চান তবে আপনার প্ল্যানে দু'দিন অফবিট আর দু'দিন দার্জিলিং রাখুন। পাহাড়ের সাথেই যদি একটা দিন পাহাড়ি নদীর পাশে সময় কাটাতে চান তবে শেষদিন রাখতে পারেন বিজনবাড়ি বা ঝেপি'কে।
এই হ'ল দার্জিলিং আর কার্শিয়াং অফবিটের প্রচলিত র্যুট।
এই জায়গাগুলো যদি আগেই দেখা হয়ে থাকে বা এই সার্কিটের 'সত্যিকারের' অফবিটে এবার শীতের ক'টাদিন কাটাতে চান তাহলে নিচে দেওয়া প্ল্যানটাই হবে আপনার র্যুট।
এই র্যুটটা এখনও অনেকটা আনএক্সপ্লোর্ড( অন্তত আগের র্যুটের থেকে)।
⚫ প্রথম দিনঃ এই র্যুটের শুরুটা হবে ধোত্রে বা মিরিক দিয়ে। সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের বাফার জোনে অবস্থিত, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৫০০ ফুট উচ্চতায় কমবেশি ৬৮টি পরিবার নিয়ে গড়ে ওঠা ধোত্রে। যাঁরা সান্দাকফু গেছেন তাঁদের অনেকেই ধোত্রেকে জানেন। অনেকেই ভাবেন ধোত্রে ট্রেকিং র্যুট, তা একদমই নয়। শিলিগুড়ি থেকে মিরিক, সীমানাবাজার( নেপাল বর্ডার), মানেভঞ্জন হয়ে পৌঁছতে হয় ধোত্রে। রাস্তা প্রায় পুরোটাই খুব ভাল। শীতকালে প্রতিবছরই বরফে ঢেকে যায়। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ মনোমুগ্ধকর। শান্ত, শীতল এই গ্রামে গুটিকয়েক স্থানীয় মানুষের আনাগোনা ও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে একদিন বেশ কেটে যাবে। এখানে আমাদের হোমস্টেতে আতিথেয়তার অভাব হবে না তা হলফ করে বলতে পারি।
⚫ দ্বিতীয় দিনঃ আমাদের পরের ডেস্টিনেশন রিম্বিক, ধোত্রে থেকে খুব বেশি দূরে নয়, তাই ব্রেকফাস্টের আগে কিছুটা হেঁটে নিতে পারেন নিজের মতো। ধোত্রে থেকে সান্দাকফু যাবার একটা রাস্তা আছে, চাইলে সে রাস্তাতেও কিছুটা হেঁটে আসতে পারেন। আর হ্যা, ধোত্রেতে মোমো টেস্ট করতে একদমই ভুলবেন না।
এখানে ব্রেকফাস্ট করে গাড়ি ছুটবে রিম্বিকের দিকে। রিম্বিকের উচ্চতাও দার্জিলিঙয়ের থেকে বেশি( ৭৫০০ ফুট)। যাঁরা সান্দাকফু ট্রেক করে যান, তাঁদের অনেকেই ফেরেন রিম্বিক দিয়ে। হিমালয় তার এমন সুন্দর একটি জায়গাকে মানুষের চোখের প্রায় আড়ালে রেখেছে। এদিন হোমস্টেতে চেক ইন করে লাঞ্চ সেরে পায়ে হেঁটে ঘুরে নিন। রাস্তাঘাট জনশূন্য, অনেক ঘর আছে, কিন্তু কোন হৈ-হট্টগোল নেই।
সন্ধ্যায় বনফায়ারের সাথে গল্পের আসর বসাতে পারেন হোমস্টের সামনের লনে।
⚫ তৃতীয় দিনঃ এইদিন ব্রেকফাস্ট করে সারাদিনের সাইটসিইং-এর পালা। প্রথমেই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে খাড়া রাস্তা উঠে যাবে থলথলি লেক। শীতকালে সম্পূর্ণ বরফ হয়ে থাকে এর জল। জঙ্গলে ঘেরা এই লেকের কাছে এসে যখন দাঁড়াবেন, মনে হবে আপনি পৃথিবী থেকে বিচ্যুত। এরপর দেখবেন দার্জিলিং জেলার অন্যতম প্রাচীন #সামতেন_গুম্ফা, মানেদারা ভিউপয়েন্ট, হাইডেল প্রজেক্ট। আসলে রিম্বিকের বিশেষ কোন সাইটসিইং নেই, সম্পূর্ণ রিম্বিকের প্রতিটা জায়গাই দেখবার মতো। এখান থেকে যাবেন শ্রীখোলায়। পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসা এই নদীর ব্যাপ্তি, গাম্ভীর্য, শব্দ আপনাকে মাতাল করে তুলবেই। ঝুলন্ত ব্রিজ ধরে ওপারে যেতে পারেন। চাইলে নিচে নদীতে নেমেও সময় কাটাতে পারেন কিছুক্ষণ। রিম্বিক, পশ্চিম সিকিমের খুব কাছে। শ্রীখোলা যেতেই চোখে পরে সিকিমের পাহাড়। হোমস্টেতে ফিরে এসে লাঞ্চ, বিশ্রাম আর সন্ধ্যায় গল্প-আড্ডা।
⚫ চতুর্থ দিনঃ এই দিন অনেক অপশন হতে পারে। রিম্বিক থেকে বেরিয়ে প্রথমে পরবে লোধোমা। পাহাড়ি অনেককটা জনপদের প্রধান বাজার এই লোধোমা। রাস্তাতেই দেখে নেওয়া যাবে লোধোমা নদী ও ব্রিজ। লোধোমা পেড়িয়ে নদীর পাশে রাত কাটাতে চাইলে থাকতে পারেন ঝেপি'তে। এখানে অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে অপরূপ ফার্ম হাউস। এই ফার্ম হাউসটিই দেখবার মতো।
চতুর্থ দিনের অন্য অপশনগুলি হতে পারে লামাগাও/ সোনাদা/ লেপচাজগত/ তাকদা। আর যদি পাহাড়ের রানীর কাছে একরাত থাকতে চান তবে শেষদিন অবশ্যই দার্জিলিং।
খরচঃ উপরের ট্যুরপ্ল্যান অনুযায়ী একটা খরচের ধারণা দেওয়া হ'ল। তবে হোমস্টে বা দার্জিলিঙয়ের হোটেল বিশেষে এই খরচ পরিবর্তিত হতে পারে।
3N/4D
🟢 For 2️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 9,199/- Per Person
🟢 For 3️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 7,299/- Per Person
🟢 For 4️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 6,399/- Per Person
🟢 For 5️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 6299/- Per Person
🟢 For 6️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 5,999/- Per Person
🟢 For 7️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 5,599/- Per Person
🟢 For 8️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 5,399/- Per Person
4N/5D
🟢 For 2️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 11,799/- Per Person
🟢 For 3️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 9,499/- Per Person
🟢 For 4️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 8,299/- Per Person
🟢 For 5️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 8,199/- Per Person
🟢 For 6️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 7,699/- Per Person
🟢 For 7️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 7,299/- Per Person
🟢 For 8️⃣ Persons 👉🏻 Rs. 6,999/- Per Person
এই আর্টিকলটা পড়ে আর দার্জিলিঙয়ের ম্যাপ দেখে এবার শীতে আপনার ট্যুরপ্ল্যান তৈরী করে ফেলুন অথবা আমাদের ট্রাভেল এক্সপার্টের সাথে কথা বলুন।
Tourist Club
67 D. L. Roy Road,
Bejikhali More( Opposite of Great Eastern Trading Company), Krishnanagar, Nadia
☎️ +91 7001789498
☎️ +91 8900069741
☎️ +91 7797590909
[ Photo courtesy: Mr. Anurag Lama, our honourable guests and Tourist Club]