11/01/2024
আগ্রাবাদ সিডিএ বায়তুল আমিন জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব এবং ইমাম। তিনি রাস্তায় হাঁটার সময়
ছোট একটা বাচ্চা কুকুর আঁচড় দিয়েছিলো। আঁচড়টা নরমাল ছিলো (তেমন কোন রক্তপাত বা জখম ছিলনা) তাই তিনি এতটা পাত্তা দেন নাই।
যার ফলাফল রেবিস/ Rabis positive....
রেবিস/জলাতঙ্ক হওয়ার পর ডাক্তাররা ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিলো কিন্তু তিনি তার আগেই মারা গেছেন।
ইন্না-লিল্লাহি, ওয়া-ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
তার মৃত্যু আমি সরাসরি দেখেছি কি ভয়ানক মৃত্যু, রেবিস রোগী মৃত্যুর আগে পাগলের মত আচরণ করে তখন ডাক্তাররা বুজে যায়।
সে দিন এই ইমাম সাহেব যখন শেষ পর্যায়ে ছিল, তখন দেখলাম নার্সরা রুম থেকে সবাইকে বের করে দিয়েছে, আর রুমে তালা মেরে দিয়েছে, কারন শেষ মুহূর্তে তারা পাগল হয়ে যায় এবং সামনে যাকে পায় তাকে কামড় বা আঁচড় দেয়, এই রোগী যাকে কামড় দিবে তারও জলাতঙ্ক হবে। তখন মৃত্যু ১০০% নিশ্চিত বলা যায়। কারন জলাতঙ্ক /রেবিস হওয়ার আগে ভ্যাকসিন নিলে বাঁচা সম্ভব, আর না নিলে মৃত্যু নিশ্চিত।
তারপর দরজা তালা মেরে দেওয়ার পর উনি বাঁচার জন্য কত কি করলো, কত চাইলো রুম থেকে বের হতে, শুধু ছটপট করে রুমের ভিতর দৌড়া'দৌড়ি করতে লাগলো আর শুধু ধাক্কা খাচ্ছিলো দেওয়াল আর চৌকির সাথে, এটা দেখে তাদের আত্নীয়রা নার্সদের থেকে অনুমতি চাইলো দরজা খুলে তাকে একটু ধরে রাখবে যাথে ধাক্কা না খায় কষ্ট না পায়।
কিন্তু নার্সরা অনুমতি দিলেন না, তারা বললো ওনি Last step এ আছেন। হয়ত আর ১০/১৫ মিনিটের ভিতর মারা যাবে অপেক্ষা করুন, ( স্বজনদের চিৎকার কে দেখবে ) ওনার জন্য তো আমরা আপনাদের সবাইকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিতে পারি না। তাছাড়া এটার দায়ভার কর্তৃপক্ষ নিবেনা।
একটা মুরগী জবাই দেওয়ার পর মুরগী যেভাবে ছটপট করে মৃত্যু হয়, তেমনি জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু একদম Same ভাবে হয়।।।
চৌদ্দ'শ বছর আগে আমাদের প্রিয় রাসুল সাঃ বলে গিয়েছেন কুকুর নাপাক প্রানী, চৌদ্দ'শ বছর পর মেডিকেল সায়েন্স বলছে জলাতঙ্ক ভেকসিন মারা নাই ঐ ধরনের কুকুরকে আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে আপনারও হয়ে যেথে পারে জলাতঙ্ক, কুকুর স্পর্শ করে আমরা যদি আমাদের শরীর চুলকায় বা আমাদের শরীরের কোন ক্ষত স্থানে হাত লেগে যায় তাহলেও রিক্স থাকে জলাতঙ্কের।
রেবিস/ জলাতঙ্ক ভাইরাস রক্তের মাধ্যম আমাদের শরীরে প্রবেশ করে না, রেবিস ভাইরাস আমাদের চামড়ার নিচে যে সাদা একটা চর্বির আস্তর/জিল্লি থাকে সেই চর্বি থেকে মাথায় চলে যায়, প্রথমে আমাদের ব্রেন আক্রমন করে ব্রেন ইন্জুরি করে দেয়, পরে আস্তে আস্তে আমাদের গলাতে নামতে শুরু করে, আমাদের গলার যে নার্ভ থাকে সে নার্ভকে ধ্বংস করে দেয়।
গলার নার্ভের মাধ্যমে আমরা পানি খেয়ে থাকি বা অন্যন্য খাবার খেয়ে থাকি।
নার্ভ যখন পুরাপুরি বিকল হয়ে যায় তখন এই রোগী গলা দিয়ে কোন পানি বা খাবার খেতে পারে না, গলাতে কিছু গেলেই তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে কারন যেই নার্ভ খাবার গিলতে সাহায্য করে তা আর কাজ করছে না, তাই সে পানির পিপাসায় একটা সময় মারা যায়।
তারা পানি দেখলেই ভয় পাই কারন পানি গলায় গেলে সে আর শ্বাস নিতে পারে না, যদি আপনি জলাতঙ্ক ভেকসিন না নিয়ে থাকেন। আমাদের একটা ভুল ধারনা আছে, আমরা মনে করি কুকুর কামড়ালে বা আছড় দিলে রেবিস ভেকসিন দিতে হয়, মেডিকেল সায়েন্স বলছে, কুকুরের লালাতে সবচেয়ে বেশি জলাতঙ্ক ভাইরাস রেবিস থাকে, কুকুর তার জিহবা দিয়ে তার শরীল চাটে, এই চাটার/লেহনের কারনে কুকুরের পুরা শরীলে রেবিস জীবানু থাকার রিক্স থাকে। মনে রাখবেন যদি দেখেন কুকুরের শরীর পানি ধারা ভেজা সে ভেজা কুকুর আপনার হাত স্পর্শ হয় বা পায়ে স্পর্শ হয় তাহলে সাথে সাথে এই স্থান কাপড় কাঁচা সাবান নিয়ে পনের মিনিট ধরে ওয়াশ/ধৌত করবেন।
তাই দয়া করে সকলে কুকুর থেকে সাবধানে থাকবেন। কুকুর আপনার শরীল স্পর্শ করলে সাথে সাথে পনের মিনিট কাপড় কাচার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
তারপর রেবিস ভেকসিন দিয়ে দিবেন, আর রেবিস ভেকসিন কখনো সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেন না, যেকোন টিকা সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেননা, আমরা অনেকে ফার্মেসিতে ভেকসিন বা টিকা দিয়ে থাকি এটা উচিত নয়, একজন ফার্মেসির কাজ ঔষধ বিক্রি করা টিকা দেওয়া না, ভেকসিন দেওয়ার নিয়মই তারা জানে না,,রেভিস ভেকসিন নিদিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়, না হলে সেই ভেকসিন কাজ করবে না।
মেডিকেল সায়েন্স বলছে ৯৯ % জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় কুকুর। বিড়ালেরও জলাতঙ্ক হয় যদি সেই বিড়াল কুকুরের কামড় খায় বা কুকুর যে যায়গায় খাবার খাই সেই একই যায়গায় বিড়াল মুখ দেয় তাহলে সে বিড়ালও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়।
তাই রেবিস আক্রান্ত বিড়ালের কামড় বা বিড়ালের আচড় বা বিড়াল আপনার পা চেটে দিয়েছে তাহলেও আপনাকে ভেকসিন দিতে হবে। একবার আপনার শরীলে রেবিস/ জলাতঙ্ক ভাইরাস ঢুকে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু, কারন জলাতঙ্ক হওয়ার পর কোন চিকিৎসা নাই।
আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু হয় অনেক কষ্টদায়ক ভাবে। ২/৩ টা জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু নিজ চোখে দেখার পর আমি শপথ নিয়েছি এই বিষয়ে আমি সবাইকে সতর্ক করবো।
আমার পোষ্টটা সবাই শেয়ার করবেন যাথে সবাই একটু সতর্ক হয়। রেবিস ভেকসিন সকল টপিক্যাল সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ ফ্রিতে দেওয়া হয়। আমি চাইনা এই করুণ মৃত্যু আর কোন ব্যক্তির হোক।
কুকুরের আক্রমণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভেকসিন দিতেই হবে। আপনারা ইউটিউবে জলাতঙ্ক রোগী দিয়ে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন, এই রোগ কতটা ভয়াবহ, আমরা রাস্তার কুকুরকে পাত্তাই দেইনা সবাই দয়া করে একটু সচেতন হন।।।
- (সংগৃহিত) -